রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেরা একটি কিশোর উপন্যাস ‘নোটুর একটি রাইফেল’

প্রথম যখন ফেসবুকে কিশোর উপন্যাস ‘নোটুর একটি রাইফেল’-এর প্রচ্ছদ দেখি তখনই বুঝেছিলাম, দারুণ একটি বই পাঠককে উপহার দিতে যাচ্ছেন প্রিয় লেখক দন্ত্যস রওশন ভাই! প্রচ্ছদশিল্পী তুলি ভাইকে বলেছিলাম, ‘সেরা প্রচ্ছদ করেছেন!’ আমার দুটি ধারণাই এখন সত্যি হয়েছে!

দন্ত্যস রওশন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চমৎকার একটি উপন্যাস লিখেছেন। আগাম বলে রাখছি, বইটি বাংলা সাহিত্যে চিরস্থায়ী আসন করে নেবে। তেমনি পাঠকমনেও সবসময় দোলা দিয়ে যাবে।

আমি মনেমনে অস্থির হয়েছিলাম কখন বইটি প্রকাশ হবে! তবে আমার অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি, বইটি আমি ইতিমধ্যে পড়ে ফেলেছি। আর পড়া শেষে বইটি নিয়ে আমার পাঠানুভূতি লেখার জন্যও তর সইলো না, লিখতে বসে গেলাম।

পৃথিবীতে অনেক সুন্দর দৃশ্য আছে, তার মধ্যে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা বই পড়ছে সে দৃশ্যটাই অন্যতম সুন্দর দৃশ্য; বিশেষ করে বাংলাদেশের বেলায় তো এ দৃশ্যের কোনো তুলনাই হয় না, এই দৃশ্য আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখায়; কিন্তু চারপাশের পরিবেশ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে, বই ছেড়ে আমাদের সন্তান মোবাইল নিয়ে সারাদিন মেতে আছে, আর আমরাও নির্বিকার, কেউ কিছু বলছি না, আমাদের একটাই চিন্তা সন্তানকে টাকার কামানোর মেশিন বানানো!

এইসব বিরুদ্ধ বাতাসের মধ্য বসবাস করেও একজন লেখক স্বপ্ন দেখতে ভুলে যান না, তার কলম অবিরাম লিখে চলে, তিনি লিখেন স্বপ্নের কথা, আগামীর রঙিন এক পৃথিবীর মানচিত্র আঁকেন তার বিশুদ্ধ কলমের কালিতে।

তেমনি আমাদের শিশু-কিশোরদের ভূবনকে রাঙানোর অন্যতম কারিগর লেখক দন্ত্যস রওশন। কেবল শিশু-কিশোর-ই না তার লেখার জাদুতে আটকা পড়ে বড়রাও, এই যেমন আমিও লেখক দন্ত্যস রওশন ভাইয়ের ‘ক্যাম্পাসের কবি’, ‘যারা ভালোবেসেছিল’, ‘ওল্ড হোম ও টুসির প্রেম’, ‘নোটুর সেভেনটি ওয়ান’, ‘পরিদের নাচের টিচার’, ‘ফোনটা ভিনগ্রহে চলে যায়’, ‘আমরা তো ডানপিটে’, ‘একটি এলিয়েন পরিবার’, ‘নোটুরা চারজন’, ‘আমার বন্ধুর বোন’, ‘আমাদের অদ্ভুত বাসা’, ‘দিতান ও পল্টু’, ‘তৌরিন এখন কংফু শেখে’সহ প্রায় সবগুলো বই আমি পড়েছি, পড়েছি পাঠকের পিপাসা থেকে, লেখক তার লিখনির জাদুতে আমাকে বশ করে ফেলেছেন।

লেখকের লেখা সম্পর্কে আমাকে একবাক্যে বলতে বলা হলে আমি বলব–রওশন ভাইয়ের লেখা হচ্ছে চলন্ত একটা রেলগাড়ি। ছুটে চলা রেলগাড়িতে চলে জানালা দিয়ে আকাশ, পাখি, ফসলের মাঠ, সবুজ গাছপালা, মানুষ দেখতে দেখতে কখন যেন নির্দিষ্ট ষ্টেশনে এসে পৌছে গেছি, টেরই পাইনি।

আবারও লেখক দন্ত্যস রওশন ভাইয়ের নতুন আরেকটি বই হাতে চলে এসেছে ‘নোটুর একটি রাইফেল’! পরিপূর্ণ একটি কিশোর উপন্যাস। তাও আবার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।

এক বসায় বইটি পড়া শেষ করে আমিও ভাবতে বসে গেছি নোটুমুদ্দির মতো আমিও কি মুক্তিযুদ্ধে যেতাম? আমারও কি সে সাহস হতো? নোটুর বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর! ভাবা যায়?

হুম, যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কেবল বড়রাই করেনি, এ দেশের অল্পকিছু মানুষ বাদে বাকি সবাই দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, আর করেছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন। মুক্ত দেশের বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি।

নাম না-জানা কতশত কিশোর নোটুমুদ্দি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার ইতিহাস হয়ত আমাদের ঠিকঠাক জানা নেই, কিন্তু আমাদের জন্য লেখক দন্ত্যস রওশন কিশোরদের জন্য নোটুমুদ্দির মুক্তিযুদ্ধ গাঁথা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ‘নোটুর একটি রাইফেল’ উপন্যাসে।

বইটির উৎসর্গ পাতার তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না, পড়ুন, পড়ে দেখুন, আমার মতো পাঠকও মুগ্ধ হবেন।

‘তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। তাঁর বাসায় বিভিন্ন বিষয়ের বারোশ বই। এই শিক্ষক নিয়মিত বই পড়েন। একদিন ভাবলেন, না। ঠিক হচ্ছে না। আমার ঘরে এত বই অথচ অনেকের একটিও বই নেই। রাজশাহী শহর থেকে তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি গিয়ে একটি পাঠাগার তৈরি করলেন। তারপর বাসার সমস্ত বই দিয়ে দিলেন সেই পাঠাগারে। এখন গ্রামের মানুষ, আশপাশের গ্রামের মানুষও তাঁর গড়া পাঠাগারে বই পড়তে আসেন। আমাদের এই শিক্ষকের নাম—ফারুক হোসেন।’

আসুন নোটুমুদ্দির লড়াইয়ের দিনগুলোতে একটু উঁকি দিই–

১৯৭১ সাল। দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। নোটুমুদ্দি। তার ডাকনাম নোটু। নোটু নামেই গ্রামে পরিচিত। বিভিন্ন জায়গা থেকে যুদ্ধের খবর আসছে। গ্রামের বড় ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধে যাচ্ছেন। নদীতে পাকিস্তানি সেনাদের লঞ্চ। আকাশে বোমারু বিমান। পাকিস্তানিরা গ্রামের পর গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। গ্রাম ছেড়ে মানুষ পালাচ্ছে। পাকিস্তানিদের হাত থেকে যেন বাঁচার উপায় নাই।

নোটুর বয়স চৌদ্দ। সে কী করবে? দেশ স্বাধীন করতে সেও কি যুদ্ধে যাবে?

হ্যাঁ, আমাদের ছোট্ট নোটু যুদ্ধে গিয়েছিল, ট্রেনিং নিয়ে ফিরেও এসেছিল, তারপর একে একে অনেকগুলো লড়াইয়ে সে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। তার বুদ্ধি ও কৌশলে পাকিস্তানি সেনারা কুপোকাত হয়েছিল। সেসব লড়াইয়ের অংশ হতে পাঠকবন্ধুদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি–আসুন, নোটুর সঙ্গে ১৯৭১ সালে ফিরে যাই, বুক চিতিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করি।

আমরা যেমন প্রতিনিয়ত ভালো ভালো খাবারের খোঁজ করি, কেবল ভালো ও সুস্বাদু খাবারই খেতে চাই, তেমনি আমাদের ভালো ভালো বইয়ের খোঁজে নামতে হবে, ভালো বইগুলো পড়তে হবে–তাহলে শরীরের সঙ্গে আমাদের আত্মাও ভালো থাকবে।

কেননা, একটা ভালো বই এক টুকরো আলোর মতো, সে আলোর সন্ধান কেবলমাত্র একজন ভালো পাঠক-ই পেয়ে থাকে; তারপর সে আলো একজন থেকে আরেকজনের কাছে পৌঁছাতে থাকে।

তেমনিও আমিও আজ আপনাদের জন্য ভালো একটি বইয়ের খোঁজ দিলাম। কারণ, ভালো বইয়ের আলো আমার ভেতর-বাহির অবশ্যই আলোকিত করবে।
পাশাপাশি, এই বইটি ছোট-বড় সব পাঠককে মুক্তিযুদ্ধের রক্তঝরা দিনগুলোর ছবি মানসপটে ভেসে উঠবে, পাঠকও অজান্তে ৭১ সালের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে।

সবশেষে প্রিয় বাবা-মায়ের প্রতি আমার আহবান–আপনার শিশু সন্তানের হাতে খেলনা পিস্তল না দিয়ে বই তুলে দিন। বড় হয়ে যাতে আপনার সন্তান পিস্তলবাজ, জংলী না হয়, এই চেষ্টা আপনি করেছিলেন–সে সান্ত্বনাটুকু অন্তত পাবেন।

‘নোটুর একটি রাইফেল’ অনলাইন বুকশপ প্রথমা, রকমারি.কম থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।

বই: নোটুর একটি রাইফেল
লেখক: দন্ত্যস রওশন
ধরন: কিশোর উপন্যাস
প্রকাশন: স্বপ্ন ’৭১
প্রচ্ছদ: নিয়াজ চৌধুরী তুলি
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২২
মূল্য: ২০০ টাকা

এসএ/

Header Ad

১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌ এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

আজ (রবিবার, ০৫ মে) চট্টগ্রামে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটে চট্টগ্রামের স্পেশাল ব্যাচ-২০২৩ এর শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থায় (আইএমও)-তে 'সি' ক্যাটাগরির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। পায়রা বন্দর নির্মিত হচ্ছে, মংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে। আরো জাহাজ সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে একটি মাত্র মেরিন একাডেমি ছিল। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে চারটি নতুন মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্বের অন্যতম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়' শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের (এনএমআই) প্রশিক্ষণের গুণগতমান, আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরিটাইম সেফটি এজেন্সী কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এ গুণগতমান অব্যাহত রাখতে হবে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর পর মাদারীপুরে ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী এবং মেহেরপুর স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে বিশ্বনৌবহর দ্রুতগতিতে উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। সে সাথে তাল মিলিয়ে জাহাজী অফিসার ও নাবিকদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। আমাদের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার এসটিসিডব্লিউ কনভেনশন যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। দিনবদলের পালায় বর্তমান সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্তে দেশের সকল সেক্টর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল (ডেভেলপিং) দেশে এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। এরই অংশীদার হিসাবে শিপিং সেক্টরও জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিপিং সেক্টরে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা দেশপ্রেমকে বুকে ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে যাতে করে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জল থাকে। তোমরা দেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবোনা। কিন্তু তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এবারের স্পেশাল ব্যাচে ১৭৭ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ডেক- ৮৮, ইঞ্জিন- ৭৯ এবং স্টুয়ার্ড- ১০। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এস.এস.সি পাশ। আবার কেউ বহি:নোঙ্গরে মার্চেন্ট জাহাজে ক্যাজুয়েল বেসিসে কাজ করছেন। কেউ শোর রিপেয়ার টিমের সাথে, কেউ শিপ রিপেয়ার ওয়ার্কশপ/শিপইয়ার্ড/ড্রাইডকে ক্যাজুয়েল অথবা স্থায়ীভাবে কাজ করছেন। কেউ পানামা সিডিসিধারী, কেউ দেশে/বিদেশে নন কনভেনশনাল জাহাজে টাগ বোট/সাপ্লাই বোট/বার্জ ইত্যাদিতে চাকরি করছেন। কারো কারো অভ্যন্তরীণ জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মার্চপাস্ট পরিদর্শন করেন এবং শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভিয়ার মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৫ ঘন্টা পর আজ (রবিবার) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নেভাতে কাজ শুরু ফায়ার সার্ভিস। আজ সকাল ৯টা থেকে আগুন নেভাতে বনরক্ষী-ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি এ কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

শুরুতেই নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির লেফটেনেন্ট কমান্ডার আরফাতুল আরেফিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি ফায়ার ফাইটিং টিম আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দেন। তবে নদীতে জোয়ার না থাকায় পানি সরবরাহে বিলম্ব হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মামুন আহমেদ জানান, সকালেই সুন্দরবনের আগুন নেভাতে তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে। এর মধ্যে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বাকি দুটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। তবে বনের পাশে ভোলা নদীতে এখন ভাটা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে পাইপসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নেওয়া যাচ্ছে না। জোয়ার হলে এগুলো পার করা হবে। তবে আগুন অল্প অল্প করে জ্বলছে। শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করার শঙ্কা নেই।

শনিবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি। এর আগে শনিবার দুপুরে স্থানীয় গ্রামবাসী ও বনরক্ষীরা বনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া দেখতে পায়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, ‘রোববার সকাল ৮টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সুন্দরবনের ভোলা নদী থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। যে সব স্থানে আগুনের ধোঁয়া ও কুণ্ডলী দেখছে সেখানে পানি ছেটানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বনবিভাগ ও গ্রামবাসী আগুন নেভাতে কাজ করছে। কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি না নির্বাপণ পর্যন্ত তারা কাজ করবে।’

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমোরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান তারা। পরে বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে বালতি ও কলসি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হেলিকপ্টার এসে সুন্দরবনে আগুনের ঘটনাস্থলের উপরে চক্কর দিয়ে চলে গেছে বলে নিশানবাড়িয়া ইউপি সদস্য আবু তাহের মিনা জানিয়েছেন।

এদিকে, আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান ও ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

ছবি: সংগৃহীত

হামাসের হামলার প্রতিশোধে ফিলিস্তিনের গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ যেন থামছেই না। প্রতিদিনই ফিলিস্তিনি জনগণ হত্যার শিকার হচ্ছে। এ সংঘাত পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে নতুন খবর সামনে এসেছে।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। সেখানে বলা হয়, ঐ নারীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।

 

সর্বশেষ সংবাদ

১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার