রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্রকাশকদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রয়াস ফলপ্রসূ হবে

বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের মান নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২২সালের এখন পর্যন্ত করোনার একটি সংক্রমণ সৃজনশীল প্রকাশনাতে খুব ভাল রকম একটি ছোবল দিয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ছোবলের কারণে অনেক প্রকাশকই ক্ষতিগ্রস্থ। তবে সোজা হয়ে দাঁড়াবার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা ভরসার জায়গা থেকে ২০২১ সালের বইমেলাটি আমাদের হতাশ করেছে। ২০২২সালের বই মেলার জন্য প্রকাশকেরা আবারও বুকে আশা বেঁধেছিল। প্রথম দিকে একটু বিঘ্নিত হয়েছে। তারপর যাইহোক, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে মেলা শুরু হলো। আজকে মেলার প্রথমদিন মেলার যে চেহারা দেখলাম, সেটি দুই তিন সপ্তাহের হোক বা আরও বেশি, আমার মনে হচ্ছে বইমেলা ভাল হবে। যদি তাই হয়, তবে করোনার ছোবল থেকে প্রকাশকদের ঘুরে দাঁড়ানোর যে প্রয়াস সেটি ফলপ্রসূ হবে।

প্রকাশকরা কিছুটা এগিয়ে যাবে। তবে করোনা মহামারি সৃজনশীল প্রকাশনাকে যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্থ করেছে সেটি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে আরও দুই থেকে তিন বছর অথবা আরও বেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির বইমেলায় আমরা আশংকা করেছিলাম অনেকেই হয়তো অংশগ্রহণ করবে না। কিছুসংখ্যক যে পাইনি তা নয়, পাশাপাশি আমি সমিতির সভাপতি হিসেবে আমি দেখেছি, প্রচুর সংখ্যক দরখাস্ত এসেছে যারা নিজেদের আরও আপগ্রেটেড করতে চায়। অনেকেই প্যাভিলিয়ন পেতে চায়। নতুন করে ৬৩টি দরখাস্ত পেয়েছি, যারা নতুন করে বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আবেদন করেছে।

গত দেড় দুই দশক ধরে আমরা প্রবীণদের পাশাপাশি নতুন লেখক খুঁজে যাচ্ছি । নতুন লেখা নতুন লেখকের সন্ধান করছি প্রতিনিয়ত। একটি ভাল সংখ্যক নারী লেখক যেন থাকে। অধিক পরিমাণে তরুণ লেখক থাকে। সমসাময়িক উপন্যাস থাকে। প্রকাশকদের জায়গা থেকে আমরা আমাদের চেষ্টাটুকু করে যাচ্ছি। লেখার মানের দিক থেকে, লেখার পরিপক্কতার দিক থেকে, ভ্যারিয়েশনের দিক থেকে আমরা খুঁজে যাচ্ছি ভাল মান সম্পন্ন লেখক। আমি মনে করি, মান আপেক্ষিক বিষয়, যেটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হয়। একটি লেখাকে কেউ বলবে মান সম্পন্ন আবার কেউ বলবে মান সম্পন্ন নয়।

আপনারা জানেন, রবীন্দ্রনাথের একটি লেখা কলেজে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কয়টি ভুল আছে বের করার জন্য। কাজেই রবীন্দ্রনাথকেও প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছিল।এখন আমরা বলি, বাংলা সাহিত্যকে উনি একটি জায়গায় পৌঁছে দিয়ে গেছেন। কাজেই পন্ডিতেরা তাদের মতো করে ভাববেন। আমরা আমাদের মানদণ্ডে যে বইটি প্রকাশের উপযোগী, সেই বইটি প্রকাশ করবো। লেখা সাহিত্যের মানের দিক থেকে কতটুকু উৎকর্ষ হতে পেরেছে বা পারেনি, এটি সময় বলে দিবে, গবেষকরা বলবেন, পাঠকদের চাহিদা কতটুকু পুরণ করতে পারলো কি পারলো না এ ব্যাপারে পাঠকরা যেমন বলতে পারে, একই সঙ্গে বই বিক্রির হিসাবটিতো প্রকাশকদের কাছে আছে।

বইমেলার সময়সীমা বৃদ্ধির একটি কথা শোনা যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি পজিটিভ দিক বলে আমি মনে করি। কারণ একটি দিন বাড়লে, সেদিন যদি দশটি বই বিক্রি হয়, সেটিতো সংখ্যায় বাড়লো। প্রকাশকরা সেটি আশা করছেন। প্রধানমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় কি সিদ্ধান্ত আসে। আমি মনে করি একটি নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত মেলার সময়সীমা বৃদ্ধি পাওয়া ভাল।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিক অঙ্গনকে আরও ব্যপকভাবে বাড়াতে হবে। আমরা বইকে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি আরও আগে। আমরা উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়েছি। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ৬৪টি জেলায় একযোগে বইমেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটিও প্রধানমন্ত্রী জানেন। কাজেই কজগুলি হচ্ছে আমাদের। আমি আশাবাদী মানুষ, হতাশ নই।


একথা সত্য, তথ্য প্রযুক্তি আমাদের শিশুদের কিছুটা বই বিমুখ করে ফেলেছে। এমনকি অভিভাবকরাও একথাটি বলছেন। শিশুরা মোবাইল স্মার্ট ফোনের দিকে ঝুঁকছে বেশি। আজকাল শিশুদের এক্সট্রা কারিকুলামের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নেই। অভিভাবকরা যখন বলে তখনতো আর কারোরই এ বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না।

আমাদের প্রকাশনাটিকে সমৃদ্ধ করতে হবে। তা না হলে আমরা মেধা সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে পারবো না। জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারবো না। তাহলে মেধাসম্পন্ন জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরি করতে গেলে, আমাদের ভাল প্রকাশনা করতে হবে। ভাল প্রকাশনা করতে হলে প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষগুলিকে হতে হবে সৃজনশীল ভাল মানুষ। যারা সৃজনশীল মেধা সম্পন্ন তাদেরকে এই পেশায় আসতে হবে। যারা সৃজনশীল প্রকাশনার নামে কিছু জঞ্জাল সৃষ্টি করছে, তাদের এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাংলা একাডেমিতে প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলার যে আয়োজন করা হয়, সেই আয়োজনকে ঢেলে সাজাতে হবে। এরকমভাবে প্রকাশনার মানসম্পন্ন, মানহীন, মৌসুমি, সবধরণের প্রকাশককে একসঙ্গে মিলিয়ে একটি বিশাল আয়তনের বইমেলা করার ফলে পাঠকদের বইমেলার প্রতি আগ্রহ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এত অধিক অংশগ্রহণে অধিক বই বের হচ্ছে। যদি নির্দিষ্ট সংখ্যক বই বের হতো, তবে মানসম্পন্ন বই বের হবে। পাঠকদেরও বই প্রকাশের সুযোগটা ভাল তৈরি হবে। সবকিছু মিলিয়ে এই পদ্ধতিকে কিছুটা সংস্কার করার দরকার আছে। সংস্কারটি আসলে সম্মিলিতভাবে করা দরকার। সেটি সরকারের পক্ষ থেকে যতটা না করা সম্ভব তার চেয়ে বেশি সম্ভব হচ্ছে নিজেরা পরিশুদ্ধ হওয়া। সৃজনশীল প্রকাশনাকে অন্য ব্যবসার সঙ্গে না মিলিয়ে একটি সৃস্টিশীল সেবামূলক ব্যবসা হিসেবে ধরে যারা এই কাজটি করার মন মানসিকতা সম্পন্ন তাদেরই কেবল এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত, অন্যদের নয়।

 

লেখক: প্রকাশক, সময় প্রকাশন

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য