সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিন বিশিষ্টজনকে পদক

চাঁদের হাটের মতো সংগঠন খুব প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

জাতীয় শিশু কিশোর ও যুবকল্যাণ সংগঠন ‘চাঁদের হাট’ তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘দাদুভাই স্মৃতি পদক’ দিয়েছে। চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত রফিকুল হক দাদুভাইয়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই পদক চালু করেছে সংগঠনটি।

প্রথমবারের মত চালু হওয়া এই পদক দেওয়া হয়েছে তিনটি বিভাগে। এরমধ্যে ছড়াসাহিত্যে পদক পেয়েছেন সাবেক সচিব ও ছড়াকার ফারুক হোসেন, গান রচনায় (গীতিকার) ক্যাটাগরিতে মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী এবং সাংবাদিকতায় দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তিন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে পদক তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পদক প্রদান শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, চাঁদের হাট এমন একটি সংগঠন যেটি বাংলাদেশে বহু গুণীজনের জন্ম দিয়েছে। শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে, তাদের মননশীলতা বিকাশের ক্ষেত্রে, তাদের সাহিত্যমনস্ক করার ক্ষেত্রে চাঁদের হাট গত কয়েক দশক ধরে যে ভূমিকা রেখেছে সেটি সত্যিই অতুলনীয়। সেজন্য আমি চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল ইসলাম দাদুভাইয়ের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। নিজের ছোটেবেলার কথা স্মরণ করে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি যদি আমার জীবনের পেছন ফিরে তাকাই তাহলে আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে, কাগজে লেখালেখি—জীবন গড়ার ক্ষেত্রে ও আজকের পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।

তিনি বলেন, আমার কাছে জীবন একটি সংগ্রাম, একটি যুদ্ধ। জীবন সংগ্রামে প্রত্যয়ী হওয়া, জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়া, প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে লক্ষ্যে পৌঁছানো—এগুলো আসলে চাঁদের হাটের মত যেসব শিশু-কিশোর সংগঠন ছিল, তারা যেভাবে শিশু-কিশোরদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল, এখন দুঃখজনক হলেও সত্য সে সমস্ত সংগঠন আগের মত সক্রিয় নেই। কিন্তু সংগঠন আছে। আমি মনে করি আজকের প্রেক্ষাপটে এ সমস্ত সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা আরও অনেক বেশি। যখন শিশু-কিশোরদের বিপথগামী হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি তখন এই ধরনের সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা আগের তুলনায় বেশি। দেখা যাচ্ছে ছেলে ঘরেই থাকছে, ঘরেই খাচ্ছে, ঘরেই ঘুমাচ্ছে, কিন্তু ছেলে যে ভেতরে ভেতরে বিপথগামী হয়ে গেল বাবা-মা খেয়ালই করতে পারলেন না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে গেল। বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে মিশতে এক সময় মাদকাসক্ত হয়ে পড়ল।

হাছান মাহমুদ বলেন, যখন কোনো শিশু-কিশোর সৃষ্টিশীল কাজের সঙ্গে লিপ্ত থাকে, তখন তাকে বিপথগামী হওয়া থেকে সৃষ্টিশীল কাজগুলো বাধা দিতে থাকে। এ জন্য আমি মনে করি এ ধরনের সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা আগের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিভাবে মনে করি শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ গঠন হয় না। তিনি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা অনেক উন্নত। কিন্তু ছেলে মেয়েরা যখন বড় হয় তখন তারা আর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে না। সে জন্য উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্র আমরা চাই। একইসঙ্গে মানুষে মানুষে মমত্ববোধ থাকবে, মানবিকতা থাকবে, দেশাত্ববোধ থাকবে। তাহলেই একটি রাষ্ট্র গঠন হবে। সেই রাষ্ট্র গঠন করতে আমার মধ্যে পরিবর্তন এনে সম্ভব নয়। সেই রাষ্ট্র গঠনের জন্য ধরতে হবে শিশু-কিশোরদের। তাদের মধ্যে মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ জাগ্রত করে সেগুলোর সমন্বয় ঘটিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা প্রয়োজন, উন্নত জাতি গঠনের জন্য। এ জন্য চাঁদের হাটের মত সংগঠনগুলোর প্রয়োজনীয়তা আবশ্যিক।

তথ্যমন্ত্রী দেশের বড় পত্রিকার সম্পাদকদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আগের মত পত্রিকাগুলোতে শিশু-কিশোরদের পাতা সপ্তাহে অন্তত একদিন চালু করেন। আজকে রূপচর্চার জন্য দুই পৃষ্ঠা ছাপা হয়। আরও অনেক কিছু দুই পৃষ্ঠা ছাপা হয়। কিন্তু শিশু-কিশোরদের জন্য কোনো পত্রিকায় পাতা দেখি না। আমি মনে করি, শিশু-কিশোরদের জন্য পত্রিকার পাতায় জায়গা ছাড়লে আমরা যে ধরনের বাংলাদেশ চাচ্ছি সেটি নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব।

পদকপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আমি চাঁদের হাটের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তার সঙ্গীতের জন্য তিনি পদক পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, বীরাঙ্গনা আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সে জন্য আমি সরকারি চাকরির পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করি। আমি যখন সৈয়দপুরে দায়িত্বে ছিলাম তখন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ‘অদম্য স্বাধীনতা’ নামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করি। ১৯৭১ সালে সৈয়দপুর কারখানায় যে গণহত্যা হয়েছিল সেটিকে স্মরণ করে রাখতেই আমি এটি নির্মাণ করি। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুটি কোচে রেলওয়ে জাদুঘর নির্মাণ করেছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমি একটি গান লিখেছি। এটি লিখতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। এই গান তৈরি করতে তিন বছর সময় লেগেছে। আমি মনে করি এই গানটি কোটি মানুষের কাছে যাওয়া উচিত। কারণ এই গানটিতে বঙ্গবন্ধুকে তুলে এনেছি। তিনি তথ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই গানটি যেন প্রচার লাভ করে।

পদকপ্রাপ্ত সাবেক সচিব ও ছড়াকার ফারুক হোসেন বলেন, আমার কাছে এই পদক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি যে দাদু ভাইয়ের নামে পদক পাচ্ছি সাইফুল ভাইয়ের পাশে একসঙ্গে, এটা আমাকে স্মৃতিকাতর করেছে। কারণ আমি যখন ঢাকায় এসে চাঁদের হাটে লেখা শুরু করলাম তখন সাইফুল ভাইয়ের হাত দিয়ে আমার অনেক গল্প ছাপা হয়েছে। আজ দাদু ভাই একেবারেই স্মৃতি। কিন্তু সেদিনের সেইসব স্মৃতির কথা আজ খুব মনে পড়ে। দাদু ভাই মজার মজার সব গল্প করতেন। আমরা শুনতাম। এই পদকের পেছনে রফিকুল হক দাদুভাই যুক্ত। দাদুভাই আমার কাছে একজন আদর্শ।

দ্বিতীয়টি হল চাঁদের হাট। আমি চাঁদপুরে কলেজে পড়ার সময় আমার বন্ধু জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে চাঁদের হাটে যুক্ত হয়েছিলাম। জাহাঙ্গীরও গত কোভিডকালে মারা গেছে। এই পদক পাওয়ার পেছনে চাঁদের হাট যুক্ত। এটিও তাৎপর্যপূর্ণ। দাদুভাই সম্পর্কে বলতে হয়, তিনি সব সময় বলতেন, আমি ছড়া লিখি না, ছড়া বানাই। তার নাটক, গানও অনেক জনপ্রিয়তা পায়।

যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, এই আজকের আমি চাঁদের হাট এর তৈরি। আমাকে যে পদক দিয়ে সম্মানিত করেছে তাতে আমি চাঁদের হাটের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই পদক আমি আবার চাঁদের হাট কেই ফিরিয়ে দিতে চাই। এটা আপনাদের।

চাঁদের হাটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাঁদের হাটের আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, পদক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মুফদি আহমেদ মনা প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত ও চাঁদের হাটের সাংগঠনিক সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহের মধ্যেও দেশে গাছ কাটা অব্যাহত থাকায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। আগামীকাল সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এইচআরপিবির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রোববার (৫ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।

আবেদনে পাঁচটি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এগুলো হল-

১. গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে ৭ দিনের মধ্যে পরিবেশবাদী, পরিবেশবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপকের সমন্বয়ে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন, যারা প্রয়োজনে ঢাকা শহরে গাছ কাটার অনুমতি দেবেন।

২. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পরিবেশ অফিসার, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারি এবং সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবেন, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৩. গাছ কাটা বন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৭ দিনের মধ্যে একটি সার্কুলার জারি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে; কলেজের অধ্যক্ষ, সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী, সমাজকল্যাণ অফিসার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব ল্যান্ড এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করবে, যাদের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।

৪. কমিটি গঠন হওয়ার আগে পর্যন্ত সকল বিবাদী নিজ নিজ এলাকায় যাতে কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৫. গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, ঢাকা শহরসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলা শহরে গাছ কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সামাজিক বনায়ন বিধিমালা-২০০৪ এর বিধানে গাছ লাগানোর চুক্তিভুক্ত পক্ষকে অর্থ প্রদানের বিধান সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-সে মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে।

এইচআরপিবির পক্ষে রিট আবেদনকারীরা হলেন-অ্যাডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, পরিবেশ বিভাগ মহাপরিচালক, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান বন সংরক্ষক, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শককে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‌‘সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর ৩টি উপজেলার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল। অপরদিকে, তিনটি উপজেলায় ৩৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

রোববার (৫ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন: কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও বেগমগঞ্জের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিম। শাহাদাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ না করে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী এ এস এম সেলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের হলফনামায় চারটি মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলে ঘোষিত হয়। মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নুর হোসেন মাসুদ ও মো. মনির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৬মে থেকে ৮মে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার সুযোগ পাবেন। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

সর্বশেষ সংবাদ

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন