সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

একজন মানবিক বিজ্ঞানী ও তার কোয়ান্টাম তত্ত্ব

আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম দুটি ভিত্তি হলো–আপেক্ষিক তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিকস। আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব যেমন স্থান, কাল, মহাকর্ষ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে; তেমনি ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম তত্ত্বও পারমাণবিক, অতিপারমাণবিক বিষয়াদি বোঝার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। তবে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের বাইরে এসে কোয়ান্টাম তত্ত্বের জন্ম দেন। সে কারণেই তিনি এক ‘অনিচ্ছুক বিপ্লবী বিজ্ঞানী’।

ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের বিজ্ঞানী হয়ে উঠার গল্পই তুলে ধরা হয়েছে ‘কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক–ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক’ গ্রন্থে। সাংবাদিক আবুল বাসারের লেখা এ বইয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাই শুধু স্থান পায়নি। বরং এখানে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের শৈশব, তাঁর বেড়ে উঠা, তৎকালীন সমাজ বাস্তবতাও স্থান পেয়েছে। ভাষার প্রাঞ্জলতা এ বইটির একটি বিশেষত্ব, যা একজন পাঠককে পরবর্তী ধাপে টেনে নিয়ে যেতে পারে। সেখানে একজন বিজ্ঞানীর চিন্তা-চেতনার প্রতিফলনও দেখতে পাওয়া যায়–কীভাবে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক হয়ে উঠলেন বিজ্ঞানের বিপ্লবী।

বেড়ে উঠা

জার্মানির কিয়েল শহরে ১৮৫৮ সালের ২৩ এপ্রিল জোহান জুলিয়াস উইলহেম প্ল্যাঙ্ক এবং এমা প্যাটজিগের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক। প্ল্যাঙ্ক পরিবার ছিল উচ্চশিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী। জোহান ছিলেন একজন আইনের প্রফেসর। এমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত। জন্মকালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের নাম রাখা হয়েছিল কার্ল আর্নেস্ট লুডভিগ মার্ক্স প্ল্যাঙ্ক। নয় বছর বয়সী তাকে কিয়েলের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে ভর্তি করা হয়। এক বছর পর থেকে তিনি নিজের নাম একটু ছেঁটে লিখতে শুরু করেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক। এরই পর থেকে এ নামেই তিনি পরিচিত হন।

ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক স্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনে প্রবেশের পর থেকেই প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটতে থাকে। মিউনিখের ম্যাক্সিমিলিয়ান জিমনেসিয়াম স্কুলের গণিত শিক্ষক হারমান মুলার তা বুঝতে ভুল করেননি। গণিতে ম্যাক্সের প্রতিভা ছিল অন্য সবার চেয়ে পৃথক। হারমান তাই ম্যাক্সকে বাড়তি করে জোতির্বিজ্ঞান ও বলবিদ্যা পড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। হারমানের কাছেই তিনি লাভ করেন পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ ও মৌলিক পাঠ। ম্যাক্সের প্রতিভা শুধু গণিত, পদার্থবিজ্ঞানেই আটকে ছিল তা। সংগীত চর্চায়ও তিনি ছিলেন অনবদ্য।

বিজ্ঞানীর ধর্মবিশ্বাস

ম্যাক্স ১৮৭৪ সালে সতেরো বছর বয়সে পাড়ি জমান জার্মানির মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তবে পড়া শুরু করেই তিনি মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পদার্থবিদের উপর বিরক্ত হন। কারণ তাদের ধারণা ছিল–পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সবই আবিষ্কৃত। তাই গতানুগতিক কাজেই তাদের গবেষণা সীমিত ছিল।

এ সময়ে তাঁর ধর্মবিশ্বাস পায় নতুন মাত্রা। জন্মগতভাবে খ্রিস্টধর্মানুসারী হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি লুথারান মতবাদকে ধারণ করেন। নাস্তিকতাকে তিনি অস্বীকার করতেন। তবে ভিন্নমত ও ভিন্ন ধর্মের প্রতি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। ১৯৩৭ সালে ‘ধর্ম ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় ম্যাক্স তার ধর্মবিশ্বাস তুলে ধরেন। বিশ্বে খ্রিস্টধর্মের নামেই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে বলে ক্যাথলিক চার্চকে আঘাত করেন। তার মতে, ঈশ্বরকে কোনো নির্দিষ্ট প্রতীকে বন্দি করে রাখা সম্ভব নয়। ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। প্রতীকে আবদ্ধ করার মানেই ঈশ্বরকে খণ্ডিত করা। ‘সায়েন্টিফিক অটোবায়োগ্রাফি অ্যান্ড আদার পেপারস’ শীর্ষক গ্রন্থে ম্যাক্স আরও বলেন, বিশ্বাসের মানেই হলো সত্যের উপলব্ধি। ক্রমাগত প্রাকৃতিক জ্ঞান আহরণের মধ্য দিয়ে সত্যের দিকে ধাবিত হতে পারে প্রকৃতি বিজ্ঞান।

কোয়ান্টামের পথে

১৮৭৭ সালে ২০ বছর বয়সী ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক বার্লিনের ফ্রেডরিখ উইলহেলম বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরের জন্য বদলি হন। সেখানে তিনি তাপগতিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন। ১৮৭৮ সালের শেষ দিকে বার্লিন থেকে ম্যাক্স মিউনিখে ফিরে আসেন। পরের বছর তিনি তাপগতিবিজ্ঞানের দ্বিতীয় সূত্রের উপর তার গবেষণা প্রবন্ধ জমা দেন এবং মাত্র ২১ বছর বয়সেই লাভ করেন পিএইচডি ডিগ্রি। পরের বছর তিনি আরও একটি গবেষণা প্রবন্ধ জমা দেন। এই গবেষণা প্রবন্ধই তাকে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ করে দেয়। ১৮৮৯ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের সার্বক্ষণিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়।

সে সময় জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ডব্লিউ জে ভিনের সূত্র ছিল বৈজ্ঞানিক আলোচনার কেন্দ্রে। ১৮৯৬ সালে তাপগতিবিদ্যার তত্ত্ব প্রয়োগ করে কৃষ্ণবস্তুর বর্ণালীতে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের জন্য শক্তি বণ্টন দুটি সূত্র প্রদান করেন এই বিজ্ঞানী। সূত্র দুটির নাম যথাক্রমে ভিনের সরণ সূত্র ও পঞ্চঘাত সূত্র। সূত্রটি হলো–কোন কৃষ্ণবস্তু থেকে সর্বাধিক শক্তি বিকিরণের জন্য তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কৃষ্ণবস্তুটির পরম তাপমাত্রার ব্যস্তানুপাতিক।

বিজ্ঞানীরা এ সূত্রের কিছু ত্রুটি খুঁজে পান। এর বিপরীতে অপর একটি সূত্র সামনে আসে, যা র্যালে-জিন্স সূত্র মানে পরিচিত। এ সূত্রানুসারে বস্তু যত উত্তপ্ত হতে থাকে, বিকিরণের তীব্রতা ততই অসীমের দিকে ধাবিত হতে থাকে। তবে এতেও ত্রুটি ছিল। পরীক্ষায় দেখা যায়, এ সূত্রটির কার্যকারিতা ভিনের সূত্রের ঠিক উল্টো। ভিনের সূত্র ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কার্যকর প্রমাণিত হলো, দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ছিল অকার্যকর। অপরদিকে, র্যালে জিন্স সূত্র দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কার্যকর প্রমাণিত হয়; কিন্তু ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যে তা সঠিক ফল দিচ্ছিল না।

এই সমস্যা দূর করতে এগিয়ে আসেন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক। তিনি প্রস্তাব করেন যে, শক্তি অবিচ্ছিন্নভাবে যে কোনো পরিমাণে নির্গত হয় না; বরং নির্দিষ্ট পরিমাণে নির্গত হয় যার নাম দেন তিনি ‘কোয়ান্টা’। প্ল্যাঙ্ক আরও বের করেন যে তড়িৎচুম্বক বিকিরণ এর সাথে বাহিত শক্তির পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য হতে হবে। এ সংখ্যাটিকে আজ আমরা প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবক বলেই জানি। এ সমীকরণ থেকে বোঝা যায়, যে কোনো বিকিরণের কোয়ান্টাম শক্তি তার কম্পাঙ্ক ও প্ল্যাঙ্কের ধ্রুবকের (h) গুণফলের সমান। সহজ কথায়, কম্পাঙ্ক বাড়লে কোয়ান্টাম শক্তিও বাড়বে।

এখানে অবিভাজ্য একক শক্তি E=hv, এখানে v হলো কম্পাঙ্ক, h=৬.৬২৬০৬৯৫৭ X ১০-৩৪

১৯০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে জার্মান ফিজিক্যাল সোসাইটির সভায় ম্যাক্স তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ ‘স্বাভাবিক বর্ণালির শক্তি বণ্টনের সূত্র’ উপস্থাপন করেন। সেদিন তিনি অনেক অভিনন্দন পেলেও হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেননি প্ল্যাঙ্ক কী বিপ্লব সাধন করেছেন। এর কিছুকাল পর আইনস্টাইন, নিলস বোর, হাইজেনবার্গ, শ্রোডিঙ্গার, পাউলি ব্রগলির মতো তরুণ বিজ্ঞানীরা যে কোয়ান্টাম তত্ত্বকে এক শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাবেন, সেটাই বা কে জানত! ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন স্বীকার করে নেন, আলোর মধ্যেও এই অতিক্ষুদ্র বিচ্ছিন্ন গুচ্ছ বা প্যাকেট (বা কোয়ান্টা) থাকে। এই প্যাকেটকে আইনস্টাইন নাম দিয়েছিলেন কোয়ান্টা অব লাইট বা আলোর কণা।
এ দুনিয়া কাঁপানো আবিষ্কার সম্পর্কে ম্যাক্স নিজেও যে সচেতন ছিলেন, তা-ও নয়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন আমি জানি মৌলিক ব্যাপারগুলো ব্যাখ্যায় কার্যের কোয়ান্টাম (h) পদার্থবিজ্ঞানে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমন কিছু যে হতে পারে, আমি আসলে তা সন্দেহ করতেও প্রস্তুত ছিলাম না।’

কৃষ্ণবস্তুর বিকিরণের সূত্র তথা কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯১৮ সালে নোবেল পুরস্কার পান ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক।

নাৎসিদের অধীনে জীবন

নাৎসি শাসন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ম্যাক্সের জীবনকে রীতিমতো তছনছ করে দিয়েছিল। ১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি দল জার্মানির ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই শুরু হয় হিটলারের ইহুদিদের বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া। তখন ম্যাক্সের বয়স ৭৪ বছর। তিনি দেখলেন অনেক ইহুদি বন্ধু ও সহকর্মী তাদের পদ থেকে বহিষ্কৃত হলেন। অপমানিত করে ইহুদিদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাড়ি, এমনকি নাগরিক অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হতে থাকল।

হিটলারকে যে সহজেই ফেরানো সম্ভব নয়, তা বুঝে একে একে বিজ্ঞানীরা দেশ ছাড়তে শুরু করেন। ম্যাক্স বুঝতে পারলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে জার্মানি জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়বে। গেলেন হিটলারকে বোঝাতে। মিনিট চল্লিশেক আলোচনা হলেও, তা ছিল নিষ্ফল। হাজারো জ্ঞানী-গুণীজন জার্মানি ছেড়ে গেলেন। সেইসঙ্গে জার্মানি জ্ঞান উৎপাদনের কেন্দ্র থেকে সরে এলো। নাৎসি শাসনের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে যাননি ম্যাক্স। এরপরও নাৎসিরা তার ছেলেকে হিটলারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যা করেছিল।

প্রসঙ্গত, নাৎসিদের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা না করলেও, তাদের সহযোগিতাও ম্যাক্স করেননি। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল হিটলার তাঁর সহযোগিতায় হয়তো পারমাণবিক গবেষণা চালাচ্ছে। তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একাধিকবার ম্যাক্সের বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এক অসাধারণ বিজ্ঞানীর বহু গবেষণা ধসিয়ে দেওয়া হয় মাটির সঙ্গে। নাৎসি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে ম্যাক্সের খোঁজে নামে মার্কিন বাহিনী। তাকে এক কৃষকের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে আনা হয়। ম্যাক্সের স্ত্রী মার্গা আরেক পদার্থবিজ্ঞানী ভন লিউকে বলেছিলেন, জীবনের সব কষ্টের স্মৃতি ভুলতে পারলেও তিনি দুটো স্মৃতি ভুলবেন না। একটি হলো ম্যাক্সের ছেলে আরউইনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার মুহূর্ত এবং অপরটি হলো মার্কিন সেনারা যখন তার স্বামীকে জিপে তুলল, সেই মুহূর্তটি। তখন তিনি প্রচণ্ড ব্যথায় কেঁদে উঠেছিলেন।

মার্কিন বাহিনী ম্যাক্স ও অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচির কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেয়েও ইংল্যান্ডের প্রত্যন্ত এলাকার এক খামারবাড়িতে আটকে রাখে। পরে ছেড়ে দেওয়া হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ম্যাক্স বার্লিনে ফিরে দেখেন এক বিধ্বস্ত নগরী। পুরো নগরীর চেহারা যেন তার ধসে পড়া বাড়িটির মতোই।

শেষের কথা

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার দুই বছর পর ১৯৪৭ সালের ৪ অক্টোবর ৮৯ বছর বয়সে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক জার্মানির গটিনগেন শহরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এ মহান বিজ্ঞানীর মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় স্ত্রী মার্গার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন থেকে এক চিঠিতে আইনস্টাইন ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক সম্পর্কে লিখেছেন, ‘নেতাদের মধ্যে যদি এ রকম অনন্য মানুষ থাকত, তাহলে মানুষের পৃথিবী কত আলাদা আর ভালো হতো।’ বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের বাড়িতে যে সময়গুলো কাটিয়েছি এবং যে সময়গুলো এই চমৎকার মানুষটির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি, সেগুলো আমার বাকি জীবনের সুন্দরতম স্মৃতি হয়ে থাকবে। একটা মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল, সেই সত্যটা আমি বদলাতে পারব না।’

দুনিয়া পাল্টে দেওয়া এক তত্ত্বের আবিষ্কারক হওয়ার পরও ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক নিয়ে আলোচনা সেভাবে হয়নি। অথচ এর বিপরীতে আরেক দুনিয়া কাঁপানো আপেক্ষিকতা তত্ত্বের আবিষ্কারক আলবার্ট আইনস্টাইন বরাবরই ছিলেন আলোচনায়। তবে বাকি বিশ্বে আলোচনার বাইরে থাকলেও জার্মানিতে ম্যাক্সকে নিয়ে আলোচনা বরাবরই ছিল ও আছে। আর ইংরেজি নির্ভর বিশ্বব্যবস্থায় আলোচনায় না থাকায়, যদিও বা কোয়ান্টাম মেকানিকস নিয়ে কিছু বই পাওয়া যায়, ম্যাক্সকে নিয়ে বাংলায় তেমন ভালো রচনা সেভাবে পাওয়া যায় না। আর এজন্যই আবুল বাসারের লেখা ‘কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক–ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক’ বইটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজ্ঞানের আগ্রহীরা এ থেকে এক বিপ্লবী বিজ্ঞানীর প্রাথমিক সাক্ষাৎটুকু যে পেতে পারেন, তা নিশ্চিতভাবেই বলে দেওয়া যায়।

বই: কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক

লেখক: আবুল বাসার

প্রকাশক: বাতিঘর

প্রকাশকাল: জানুয়ারি ২০২১

প্রচ্ছদ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

মূল্য: ২৮০ টাকা

এসএ/

Header Ad

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির হঠাৎ বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন!

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগের চারটিতে হেরেছে সিকান্দার জিম্বাবুয়ে। তবে আজ শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হোয়াইটয়াশ ঠেকিয়েছে সিকান্দার রাজার দল। এদিকে মাঠে খেলা গড়ানোর আগে যখন ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি সারছিলেন; সে সময় অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্স ছাড়া মাঠের বাইরে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শুধু তাই নয় এর বাইরেও বড় ঘটনা ঘটেছে হোম অব ক্রিকেটে অবস্থিত বিসিবি অফিস বিল্ডিংয়ে। সভাপতির কক্ষে বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের এক নীতি নির্ধারনী বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের ১০ শীর্ষ কর্তা। সেই অনির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন, সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন, সিনিয়র পরিচালক জালাল ইউনুস, অন্যতম পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠুসহ কয়েকজন।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং বোর্ডের ৮- ৯ জন শীর্ষ পরিচালক বৈঠকে বসেছিলেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিয়ে।

জানা গেছে, বিসিবি সভাপতির কক্ষে একান্ত বৈঠকটি হয়েছে মূলত বোর্ড শীর্ষ কর্তা আর অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াাদের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হলো যে, মাহমুদউল্লাহর সাথে বোর্ড নীতি নির্ধারকদের বৈঠক?

প্রেস বক্সে চাপা গুঞ্জন, প্রাণচাঞ্চল্য। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লো যে, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটিং ফর্ম ভালো যাচ্ছেনা। বিসিবি সভাপতি পাপনও শান্তর ব্যাটিং নিয়ে খানিক অতৃপ্ত। তাই হয়তো শান্তর বদলে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপে অধিনায়ক করার কথা ভাবছে বিসিবি। সেজন্যই রিয়াদকে ম্যাচ শেষে প্রেসিডেন্ট রুমে ডেকে নিয়ে একান্তে বসা।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ব্যাপারটা তা নয়। শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে যে কথা হয়নি, তা নয়। তবে অধিনায়ক রদবদলের কথা আলোচনা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন শীর্ষ পরিচালক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, না, না। এ সময়ে এসে হঠাৎ অধিনায়ক পদে পরিবর্তন করা হবে কেন? শান্তর ক্যাপ্টেন্সি বদল নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

ওই দুই পরিচালক জানান, আসলে রিয়াদ ভালো খেলেছে। এই বয়সেও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলেছে। আজ প্রায় একাই লড়াই করেছে। তাই তাকে বাহবা দিতেই সঙ্গে নিয়ে বসা।

জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের অকুণ্ঠ প্রশংসা করেছেন বোর্ড পরিচালকরা। বিসিবি প্রধানও মাহমুদউল্লাহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এখনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা বা ঘোষণা না দেওয়ার পরামর্শও নাকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অধিনায়ক শান্তকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বর্ষীয়ান এই ক্রিকেটারকে।

অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির পরীক্ষা

অন্তর্বাসে লুকানো ডিভাইসের সাহায্যে চাকরির পরীক্ষা, গ্রেপ্তার ৭। ছবি: সংগৃহীত

মেয়েদের অন্তর্বাসের মধ্যে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকতো অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস। একই সঙ্গে কানেক্ট করে পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে রাখা হতো ক্ষুদ্রাকৃতির বল। প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করত আরেকটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর জানিয়ে দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের।

বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করার সংঘবদ্ধ এই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)।

শনিবার (১১ মে) তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০ টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, ৭ টি মোবাইল ফোন ও ১০ টি সিম কার্ড এবং ১টি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় পত্রফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার প্রশ্ন উত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্রে ম্যানেজ করে প্রশ্নের কপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিত। বাইরে তাদের প্রশ্নপত্র সমাধান টিম পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন সমাধান করে ফেলে। এরপর তারা উত্তরগুলো বলতে থাকে।

হারুন অর রশীদ বলেন, পরীক্ষার্থীর কাছে যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে সেটা পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে থাকে। আর পকেটের মধ্যে একটা রাউটার থাকে। অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসের বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সাথে সাথে পরীক্ষার্থী শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সমাধান করে ফেলে।

ব্রিফ করছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, দিন দিন এভাবে অপরাধের ধরন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এক সময় আমরা নকল প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছি। সে সময় তারা পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত। আমরাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি। এখন সর্বশেষ আমরা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে তারা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গা রাখছে যেখানে ধরার কোন উপায় নেই।

তিনি আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর (গ্রেড-২) ও বুকিং অ্যাসিসটেন্ট (গ্রেড-২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরো বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এ পন্থা অবলম্বন করেছে।

জব্দকৃত অন্তর্বাস, গেঞ্জি, ডিভাইস, মোবাইলফোন। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যান্যদের সাথে সমন্বয় করতেন। রাসেল, মাহমুদুল হাসান শাকিল এবং আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহার বিধি শিখিয়ে দিতেন।

তিনি আর বলেন, আরিফুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সুবিধামতো সময়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়্যাটসঅ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিতেন। এরপর তাদের সমাধান টিম অতিদ্রুত সেই প্রশ্নপত্র সমাধান করে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল স্পাই ডিভাইসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতো।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ‌্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলারের ওপারে আরাকান আর্মির গুলিতে আবুল কালাম (২৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

রবিবার (১২ মে) সকাল ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৮নং পিলারের ওপারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালাম নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতিরছড়ার মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রোববার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে সীমান্তের ৪৮নং পিলারের ওপারে ছেলির ঢালা নামক এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে আবুল কালাম।খাদ্যসামগ্রী বুঝে দিয়ে ফেরার পথে আরকান বিদ্রোহীদের দখলকৃত আরাকান আর্মির ঘাঁটি বরাবর এলে তখন আরাকান আর্মির ডিউটিরত এক সদস্য চাঁদা ফাঁকি দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আরকান আর্মির সেই দায়িত্বরত সদস্য আবুল কালামের মাথায় গুলি করে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম নিহত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে, সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার শামশুল আলম জানান, নিহত আবুল কালাম আমার এলাকার। তার লাশটি ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরাও বিষয়টি শুনেছি। এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবি সভাপতির হঠাৎ বৈঠক, অধিনায়ক বদলের গুঞ্জন!
অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো চাকরির পরীক্ষা
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আরাকান আর্মির গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিএনপিকে নিশ্চিহ্নে ক্র্যাকডাউনের পরিকল্পনা করছে সরকার: রিজভী
নওগাঁয় ধান ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সরকারি চাকরিতে বয়স বাড়ানোর সুপারিশের কার্যকারিতা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণ শুরু কাল, আবেদন করবেন যেভাবে
ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি
উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নির্দেশ ইসির
মারা গেলেন প্রথম শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনকারী সেই ব্যক্তি
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যক্ষের অপসারণ চান শিক্ষক-কর্মচারীরা
চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী
গোবিন্দগঞ্জে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
উড়ন্ত বিমান থেকে লাফ দেওয়ার হুমকি যাত্রীর, তারপর...
রাজশাহীর কোন আম কবে বাজারে আসবে জানালো জেলা প্রশাসন
আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি তা এখানেই সীমাবদ্ধ না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এসএসসিতে ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন ভেঙে সান্ত্বনার জয় পেল জিম্বাবুয়ে
বিয়ে করছেন ‘বিগ বস’ তারকা আবদু রোজিক
এসএসসিতে কোন বোর্ডে পাসের হার কত