বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো প্রতিষ্ঠাকালীন স্মৃতি

২০০৬ সালের ২৮মে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্ভোদন করেন ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৫০ একর জমির উপর একটি একাডেমি ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও তিনটি হল নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে নেই কোনো প্রতিষ্ঠাকালীন ছাপ। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত ভিত্তিপ্রস্তর এবং প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কার ও মহাসড়কের সাথে আন্ডারপাস নির্মাণে। তিন বছর আগে ভেঙ্গে ফেলা ভিত্তিপ্রস্তরের হদিস জানেনা প্রশাসন।

এসব পুনঃস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃক পাঁচ তালা একটি প্রশাসনিক ভবন, তিন তালা দুইটি ছেলেদের হল, একটি মেয়েদের হল ও অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়। পরে হলগুলো ও অ্যাকাডেমিক ভবন দুই তালা বাড়িয়ে পাঁচ তালা করা হয়।

বিভিন্ন সময় আরো নতুন তিনটি অ্যাকাডেমিক ভবন, দুইটি হল, ভিসি বাংলো, ডরমেটরি, ক্যাফেটেরিয়া, গেস্টহাউজ নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ২০১৭ সালে বঙ্গব›ধুর ভার্ষ্কায নির্মাণ করা হয়। যার একটিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাকালীন স্মৃতি বহন করেনা।

অপরদিকে ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের মুখে ভিত্তিপ্রস্তর ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেলতলী বিশ^রোড়ের মুখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক স্থাপন করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। এ দুটি ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্টাকালীন স্মৃতি। যাতে উল্ল্যেখ ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় কখন ও কোথায় প্রতিষ্টা হয়েছে এবং প্রতিষ্টার পিছনে কার কার অবদান ছিলো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালে মূলফটক থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণে ভেঙ্গে ফেলা হয় ভিত্তপ্রস্তরটি। তৎকালীন প্রশাসন জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সম্প্রসারণ এবং সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরটি ভাঙা হচ্ছে। যা পুনঃস্থাপন করা হবে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের ৩ বছর পার হলেও পুনঃস্থাপন করা হয়নি ভিত্তিপ্রস্তরটি। এমনকি খোঁজ নিয়েও ভিত্তি প্রস্তরের নামফকের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

কোথায় গেলো ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলক
রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বিল্লাল হোসের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তখন তিনি অসুস্থ থাকায় কাজ দেখতে আসতে পারেননি। ভিত্তিপ্রস্তরটি ভেঙ্গে নাম ফলকটি কোথায় জমা দেওয়া হয়েছে তা তিনি সুস্পষ্ট জানেন না, তবে উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তরে থাকতে পারে বলে ধারণা করেন।

উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ড.মোঃ শাহাবুদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে খোজ নিলে তিনি জানান, ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। স্টোর শাখায় খোঁজ নিয়েও তার কোনো হদিস মেলেনি। স্টোর শাখা থেকে জানানো হয় দপ্তর বা বিভাগ থেকে কোন জিনিস গ্রহণ করলে তার কাগজ হয়ে থাকে, কিন্তু ভিত্তিপ্রস্তরের নাম ফলক সংগ্রহের কোন কাগজ পাওয়া যায়নি।

ভিত্তিপ্রস্তর পুনঃস্থাপন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজিব বলেন, ভিত্তি প্রস্তর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্বের সাথে জড়িত। যদি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য না থাকে, রাস্তা নির্মাণের কাজে ভাঙ্গা হলেও প্রশাসন এতদিনে স্থাপন করেনি কেনো? আর তা যদি হদিস না মেলে এ বিষয়ে প্রশাসনের গাফিলতি। আগামীতে যারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে এবং দেখতে আসবে তারা কিভাবে বুঝবে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম কোথায় স্থাপিত হয়েছিলো।

বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে নতুন করে ২০০ একর জমির উপর নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হচ্ছে। সকল অনুষদ, প্রশাসনিক ভবন এবং হল সহ অন্যান্য ভবন গুলো নতুন করে নির্মিত হচ্ছে। যার কারণে সর্বপ্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কোথায় স্থাপিত হয়েছে আগামীতে শিক্ষার্থীদের মনে এ নিয়ে দন্দ তৈরি হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড.এ এফ এম আব্দুল মঈন বলেন, আগের উপাচার্যের সময় তা ভাঙ্গা হয়েছে তাই আমি এ বিষয়ে কিভাবে কি হয়েছে ঠিক বলতে পারবো না। ফাইল দেখে খোঁজ নিয়ে জানাতে হবে।

ভেঙ্গে ফেলা হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক
ভিত্তি প্রস্তর ছাড়াও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন স্মৃতির মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় সরকারি জায়গার উপর ২০০৬ সালে ফটকটি নির্মাণ করা হয় এ ফটক। ততকালীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এ ফটক নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় আন্ডারপাস নির্মাণে ভেঙ্গে ফেলা হয় ফটকটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বেলতলীসহ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে তিনটি আন্ডারপাস ও একটি ইউলুপ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি বেলতলীতে আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা সড়ক ও জনপদ উন্নয়ন অধিদপ্তরের (সওজ) তথ্য মতে, মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান ফটকটি সওজের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অপসারণ করা ছাড়া আন্ডারপাস নির্মাণ সম্ভব নয়।

বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাঙ্গে মিটিং করেছে সড়ওক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রতিনিধিরা। সভা শেষে সওজকে আরেকটি ফটক নির্মাণের দাবি জানিয়েছে কুবি কর্তৃপক্ষ। আরেকটি ফটক নির্মাণ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এফএম আবদুল মঈনের সাথে কথা বললে তিনি প্রকৌশল দপ্তররে খোঁজ নিতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সওজ কতৃক একটি চিঠিতে জানানো হয়, ২৬শে অক্টোবর ২০২২ তারিখে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় কুবির গেইটটি করে দেওয়ার আবেদন করা হয়।

সভায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরকে (সওজ) ডিপিপি (৫৬৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার বাজেট) যথাযথ যুক্তি সাপেক্ষ প্ল্যান রিভাইজ (ব্যায় বৃদ্ধি) করে পাঠানোর অনুমতি দেয় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে। প্ল্যান রিভাইজের বিষয়ে সওজ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক ছাড়াও আরো কয়েকটি জায়গায় ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তাই ভূমির দাম ঠিক করে পুরোটা একেবারে রিভাইজ করে জমা দিবো।

প্রশাসনের অনীহা
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে ভিত্তি প্রস্তরের নাম ফলকে বেগম খালেদা জিয়ার নাম ও ফটকে বেগম খালেদা জিয়ার নামসহ আরো ততকালীন ১৫ জন সংসদ সদস্যের নাম থাকায় তা পুনঃস্থাপনে প্রশাসনের অনিহা রয়েছে।

এ বিষয়ে সাদা দল সমর্থিত শিক্ষক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পিছনে যার অবদান থাকুক কোনো রাজনীতিকরনের কারনে যেন সরিয়া ফেলা ঠিক নয়। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। আমি অনুরোধ করবো উপাচার্য কে তিনি যেনো ভিত্তিপ্রস্তর এবং বেলতলীর ফটকটি পুনঃস্থাপনে উদ্যোগ নেয়।

এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধান ফটকে থাকা বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি সরকারের মন্ত্রীদের নামফলকের মুছে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

ভিত্তি প্রস্তর ও ফটক পুনঃস্থাপন নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, রেজিস্ট্রার ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম সংকলিত ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে ফেলেছে।

আমরা তাৎক্ষণিক ভিসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ভেতরের রাস্তা প্রশস্ত করতে সাময়িকের জন্য ভিত্তিপ্রস্তরটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ভিত্তিপ্রস্তরটি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। এখন প্রতিষ্ঠাকালীন ফটকটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পুনঃস্থাপন হবে কিনা এ বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা রয়েছে। আমি ভিসি স্যারকে দ্রæত সময়ের মধ্যে ভিত্তিপ্রস্তর ও ফটকটি পুনঃস্থাপনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনে অনুরোধ করছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ স্থাপনা দুটি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, উপাচার্য মহোদয় ফটকটি পুনঃস্থাপনে যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। আর ভিত্তি প্রস্তর পুনঃস্থাপনে কি যেতে পারে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
এএজেড

Header Ad

গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

টানা সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলা নিরলসভাবে চলছে এবং এরই মধ্যে গাজার আল-শিফা হাসপাতালে মিলেছে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান।

এই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বাতাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি মেডিকেল দলগুলো গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবর আবিষ্কার করেছে বলে বুধবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে।

মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৯ জনের লাশ গণকবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে এবং আরও লাশের খোঁজে অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা এখনও চলছে।

আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাতটি গণকবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ৩৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং আরও ৭৮ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে। এতে আরও বলা হয়, সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে গাজা উপত্যকা শাসনকারী দল হামাস।

গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন গণকবরের আবিষ্কার ‘আমাদের জনগণ এবং চিকিৎসাখাতের বিরুদ্ধে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনীর বর্বরতার নতুন প্রমাণ’।

হামাস আরও বলেছে, (ইসরায়েলি) দখলদারিত্ব তাদের নির্মূল ও বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা অর্জনের জন্য (গাজায়) মানুষের জীবনের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি সমস্ত মানবাধিকার গোষ্ঠীকে ইসরায়েলের এই অপরাধ নথিভুক্ত করার পাশাপাশি দেশটির দুর্বৃত্ত সত্তা ও অপরাধী নেতাদের জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং অন্যান্য উপযুক্ত আদালতে সেগুলো পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এক রায়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে।

সেসময় ওই রায়ে ইসরায়েলকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক

ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে। মংডুর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে দুই পক্ষই বোমা ও মর্টার শেল হামলা বাড়াচ্ছে। এতে সেখানে রোহিঙ্গা বসতিতে হতাহতের ঘটনা বাড়ায় পালাচ্ছে মানুষ।

সংঘাত বাড়ায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাটে মানুষ চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাট এলাকায় ট্রলারে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে নাফনদ জেটিঘাট জনশূন্য পড়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকাল ৫টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জালিয়াপাড়া গ্রামের ওপারে সুদারপাড়া থেকে থেমে থেমে আসা গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। সীমান্তে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণের ঘটনায় এপারে বসবাসকারীদের মাঝে অস্তিত্ব বাড়ছে।

সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া আরাকান আর্মি ও সরকারি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান গোলা হামলার ঘটনায় এপারে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, খোনকারপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া ও দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। আগের দিনের তুলনার এপারে গোলার শব্দ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এতে লোকজনের মাঝে অস্বস্তি বাড়ছে।

দুপুরে জালিয়াপাড়া বেড়িবাঁধে উদ্বিগ্ন চোখে বসে ছিলেন বৃদ্ধ শফিক চৌধুরী। দিনমজুর শফিক জানালেন, ‘সীমান্তে গোলাবারুদের ব্যাপক শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ওপারের গোলার শব্দে বাড়িঘর কাঁপছে। মনে হচ্ছে এখুনি সব তছনছ হয়ে যাবে। অস্বস্তি নিয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। রাতের তুলনায় দিনে আরও ব্যাপক গোলাবর্ষণ হচ্ছে। সীমান্তের লোকজন খুবই চিন্তিত। এই ভিটা-মাটি ছাড়া আর কোনও আশ্রয়স্থল আমাদের নেই। এটা ছেড়ে যাবো কোথায়? এখনও মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ হচ্ছে। বিশেষ করে রাত হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে ভয়-ভীতিতে থাকতে হচ্ছে। অনেক সময় গোলার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।

মুন্ডারডেইল সীমান্তের বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, আমাদের সীমান্তে নাফনদ না থাকলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হতো। নাফনদের কারণে সীমান্তে দূরত্ব রয়েছে। না হয় যেভাবে গোলাবর্ষণ চলছে, এপারে হতাহত এড়ানো যেতো না। কিন্তু সীমান্তে এখন যে পরিস্থিতি তাতে আমরা খুব ভয়ে আছি। ওপারের গোলার শব্দ এত তীব্র যে এপারে আমরা আতঙ্কে চমকে উঠি। তবে মিয়ানমারে এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।

ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের মতে, গত কয়েকদিন ধরে মংডু টাউনশিপে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ১ নম্বর সেক্টরে হামলা চালায় আরাকান আর্মি। বিজিপির ক্যাম্প দখলে নেয় তারা। কিন্তু বেদখল হয়ে যাওয়া বিজিপির সেক্টরটি পুনরুদ্ধারে হামলা শুরু করে সরকারি বাহিনী। এতে মংডুর রোহিঙ্গাদের আটটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘরবাড়ি হারিয়ে আবার অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত রাখে।

তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, রাখাইনের সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবু সীমান্তে ও নাফনদ জেটিতে প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে ঘুরাঘুরি করতে নিষেধ করা হয়েছে। বিশেষ করে ওপারে চলমান সংঘাতের কারণে যেন কোনভাবে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না পরে সেজন্য বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার নাফনদের কাছাকাছি বসবাসকারী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে বড় ধরনের গোলার শব্দ এপারে পাওয়া যাচ্ছে। ভয়াবহ শব্দে আতঙ্কে অনেকের ঘুম ভাঙছে। এই সীমান্তের ওপারে মংডুতে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে আরকান আর্মি এবং জান্তা সরকারের মধ্য। গোলার বিকট শব্দে আমাদের ঘরবাড়ি কাঁপছে। অনেক সময় মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে।

এদিকে দিন দিন সংঘাত বাড়ার কারণে মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা সংলগ্ন নাফনদে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে মানুষ চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া টেকনাফ কায়ুকখালী ঘাটে ট্রলারে মাছ শিকার আপাতত বন্ধ রাখা রয়েছে।

সীমান্তের নাফ নদের ওপারে থেমে থেমে গুলিবর্ষণের কারণে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়েছেন টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম। তিনি বলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ায় আপাতত মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। তবে মাছ শিকার বন্ধে এই ঘাটের মাঝিমল্লাররা খুব কষ্টের জীবনযাপন করছেন।

নাফনদে ট্রানজিট জেটি ঘাটে টোল আদায়কারী ইমাম হোসেন বলেন, গত দুই দিন ধরে মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে সীমান্ত উত্তাল। এ কারণে জেটি ঘাটে আগের মতো লোকজন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গতকালের তুলনায় আজকেও সীমান্তে অনেক ভারী গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এতে নাফনদ জেটি ঘাটে শূন্য পড়ে আছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ওপারে সংঘাত বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো সর্তক অবস্থায় রয়েছে। মানুষ যাতে নির্ভয়ে থাকে সেজন্য সীমান্তে বসবাসকারীদের খোঁজ রাখছি।

এদিকে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। দেশটির সরকারি সংস্থা বিজিপির সদস্যদের কেউ কেউ বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের ১২৮ জনের মতো বিজিপি সদস্য এ পারে আত্মসমর্পণ করেছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের কাছে। নিরস্ত্র করে সবাইকে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়। বর্তমানে বিজিপির ১২৮ জনকে হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে দুই দফায় পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন বিজিপি-সেনা এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।

ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে গত ৬৫ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠী কমেছে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে বেড়েছে সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের সংখ্যা। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ।

১৯৫০ সালে ভারতে মুসলিম ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যার ১৪.১৫ শতাংশ মুসলিম। শিখ জনসংখ্যা ১.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৮৫। বৃদ্ধির হার ৬.৫৮ শতাংশ। এছাড়া খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে খ্রিষ্টান জনসংখ্যার হার ২.২৪ থেকে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে।

অন্যদিকে ১৯৫০ সালে ভারতের নাগরিক ছিলেন ৮৪ শতাংশ হিন্দু। পরের ৬৫ বছরে এই চিত্রটা পালটে গেছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ কমেছে হিন্দুর সংখ্যা।

এই সমীক্ষাতে দেখা গেছে, মিয়ানমারেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে, এছাড়া হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে নেপালে। ১৬৭টি দেশের সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল।

এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ভারতে ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই রিপোর্ট প্রমাণ করছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবলমাত্র সুরক্ষিতই নয় বরং সংখ্যার হারে ক্রমবর্ধমান।

এদিকে, ভারতেরে উল্টো চিত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। এই দুই দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা (হিন্দু) বেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ হিন্দু নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এই ৬৫ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ০.২৯ শতাংশ। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ইন্ডিয়া

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার
মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক
ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট
নির্বাচনে হেরে গেলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের খালাতো ও মামাতো ভাই
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
'পুনর্জন্ম'র প্রযোজক রূহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই অলআউট
পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
সন্ধ্যার মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ শতাধিক
বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
হজের প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৯ হজযাত্রী
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
বগি লাইনচ্যুত: ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আবু সাঈদ