শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গণটিকাকে কেন্দ্র করে ঢাকা উৎসবের নগরী

গণটিকা প্রদানকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ঢাকা আজ উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্র মানুষের সয়লাব। দলবেঁধে নারী-পুরুষরা ছুটছেন টিকা গ্রহণের উদ্দেশ্যে। কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ সারি মানুষের।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার চাঁদ হাউজিং উদ্যান, বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন আল্লাহ করিম মসজিদ মোড়, ঢাকা উদ্যানের প্রবেশমুখসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্র মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তাদের বেশিরভাগই কর্মজীবী, রিকশাচালক, নির্মল দরিদ্র মানুষজন।

গার্মেন্টসকর্মীদের একটি বড় অংশ আজ গণটিকা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন টিকা নিতে। এদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন গার্মেন্টস থেকে তাদের টিকা দেওয়া হয়নি। আবার কোথাও টিকা নিতে যেতে চাইলে ছুটি দেওয়া হয়নি। যার ফলে তারা আগে টিকা নিতে পারেননি। প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় আজকে গার্মেন্টস থেকে জোরপূর্বক ছুটি নিয়ে এসেছেন অনেকে।

মোহাম্মদপুরের চাঁদ হাউজিংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সকাল থেকেই সেখানে দীর্ঘ সারি মানুষের। নারী-পুরুষরা আলাদা সারি দেখা গেছে। তবে পুরুষের চেয়ে নারীদের লাইন ছিল অনেক দীর্ঘ।

এই কেন্দ্রে কথা হয় টিকা নিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে। যারা টিকা নেওয়ার জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন।

তাদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সামির মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। শেষদিনে কেন টিকা নিতে আসলেন এমন প্রশ্নের জবাবে সামির বলেন, 'গত আগস্ট মাসে রেজিস্ট্রেশন করে ছিলাম টিকার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত মেসেজ বা এসএমএস আসেনি। তাই আজকে বাধ্য হয়ে এই গণটিকার লাইনে দাঁড়ালাম। যেহেতু প্রথম ডোজ দেওয়ার শেষ দিন সে কারণে কোনো বিকল্প ছিল না।'

একই কথা জানালেন আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তালহা। বললেন, রেজিস্ট্রেশন করার পরও এসএমএস আসেনি। যার ফলে এতদিন টিকা দিতে পারেননি।

ইকরা নামে গার্মেন্টসকর্মী জানান, 'আমাদের অফিস থেকে ছাড়ে না, ছুটি দেয় না, এ কারণে এতদিন টিকা দিতে পারিনি। সকাল ৯টার দিকে এসেছি, এখন দুপুর ১টা, এখনও লাইনে আছি।

ইসমোতারা নামে এক মহিলা জানান, তার আইডি কার্ড ছিল না, তাই এতদিন টিকা নিতে পারেননি। এ কারণে আজকে এই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

গার্মেন্টসকর্মী হাজারা জানান, এতদিন তারা টিকার বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। তা ছাড়া আইডি কার্ডের সমস্যা ছিল, এ কারণে দেওয়া হয়নি। সরকার যখন বলল আজকেই শেষ দিন এরপর আর টিকা দেওয়া যাবে না, তখন লাইনে এসে দাঁড়ালাম।

তিনি বলেন, সকাল ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি। আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।

আরেক গার্মেন্টসকর্মী রুবী বেগম বলেন, 'এতদিন মনে করেছিলাম টিকা ভুয়া। কিন্তু সরকার বলল ঠিকা না দিলে কাজে যেতে পারব না, চাকরি করতে পারব না। সেই ভয়ে আজ টিকা নিতে আসলাম।'

মাদ্রাসাছাত্র তৈয়ব হাসান জানান, তিনি এতদিন মাদ্রাসা থেকে ছুটি পাননি বলে টিকা দিতে পারেনি। চাপের কারণে আজ ছুটি দিয়েছে বলে আজ টিকা দিতে এসেছি।

এনএইচবি/টিটি

Header Ad

বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন

বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বনানীতে সড়কের মধ্যে চলন্ত একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জে কে এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করে) পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। পড়ে মোটরসাইকেলটি টেনে হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্কি বিস্ফোরণের কারণে বাসে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না

ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও প্রখর রোদে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জনজীবন। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফসল। নেমে গেছে সেচ পাম্পের পানির স্তর। প্রচন্ড রোদে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণীকুলের। কোথাও মিলছে না কোনো স্বস্তি।

অপরদিকে, বিদ্যুতের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভয়াবহ লোডশেডিং। এই বিপর্যয়ে আরও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ও হাসপাতালের রোগীরা।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন ইমাম, মুয়াজ্জিন পরিষদ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার মুসল্লিরা সমবেত হয়ে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করেছেন।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনায় ছিলেন- সিরাজগঞ্জের বন পাড়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি মঈনুল ইসলাম খান। ইসতিসকার নামাজ শেষে মোনাজাতে শিশুসহ মুসল্লিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা সকলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা হয়।

ইসতিসকার নামাজ আদায় করছেন মুসুল্লিরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নামাজে অংশ নেয়া আমিনুল ইসলাম, হাফেজ তুষার আহমেদ ও আলীম মিয়াসহ একাধিক মুসল্লি বলেন, আমাদের জীবনে আমি এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি ও গরম এরআগে কখনো দেখি নাই। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। তাই এই তীব্র গরম থেকে বাঁচতে আজ বিশেষ (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ পাক যেন বৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশটা ঠান্ডা করে দেয়।

গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে ধরে সারাদেশেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। এই গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় আমরা মুসল্লিরা খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার নামাজ আদায়ের জন্য সমবেত হয়েছি। মহান আল্লাহর দরবারে আমরা শান্তি কামনায় ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নিশ্চিয় মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করে রহমতের বর্ষণ প্রেরণ করবেন।

নামাজ শেষে মাওলানা মুফতি মঈনুল ইসলাম খান বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে মহান আল্লাহ তা’লার কাছে তওবা করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আকুতি ভরে বৃষ্টির জন্য দোয়া করতে হয়। এই নামাজকে (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ বলে। বৃষ্টি ও শান্তি কামনার জন্য তাই আমরা মুসল্লিরা খোলা আকাশের নিচে তীব্র রোদকে উপেক্ষা করে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি।

এদিকে, একই দিন সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী, টেপিবাড়ী, ঘাটান্দী ছাড়াও জেলার গোপালপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, বাসাইল, নাগরপুর ও মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও শান্তি কামনায় (সালাতুল) ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন হাজার হাজার মুসল্লিরা। এতে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন অংশ নেন এবং মহান আল্লাহ তা’লার দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের

বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তিন বিদেশি বড় শক্তি কাজ করেছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আগেই বুঝেছিলাম, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কখনই অনুগত বিরোধী দলের ক্যাটাগরিতে ছিলো না। সরকার তাদের অনুগত বিরোধী দল বানানোর চেষ্টা করেছে। নির্বাচনে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিলো, তাই দলটি নির্বাচনে গিয়েছে বলে দাবি তার। জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ ছাড় দিয়েছে এটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের।

জিএম কাদের বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে এমন ইতিহাস নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না।

এসময় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এখন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগ চায় না দেশে আর কোনো রাজনৈতিক দল থাকুক এমন মন্তব্য করেন দলটির নেতারা।

সর্বশেষ সংবাদ

বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন
টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
চিফ হিট অফিসার একটি টাকাও বেতন নেন না: মেয়র আতিক
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
সরকারি স্কুল খুলছে রোববার, শ্রেণি কার্যক্রম চলবে যেভাবে
শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় নওগাঁয় ইসতিসকার নামাজ
জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে তিন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ
ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী
ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
কোটি টাকার মাদকসহ সংগীত শিল্পী এনামুল কবির গ্রেপ্তার
টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে কলকাতাকে হারাল পাঞ্জাব
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় ভ্যানের ৩ আরোহী নিহত
গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, তাপপ্রবাহ ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা
গাজার ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লাগতে পারে: জাতিসংঘ
টাঙ্গাইলে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রের মৃত্যু, আটক ৩
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু