শ্যামলীতে ওয়ালটন মোবাইলের নতুন ব্র্যান্ড শপ ‘এ জে টেলিকম’

১৩ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ এএম


শ্যামলীতে ওয়ালটন মোবাইলের নতুন ব্র্যান্ড শপ ‘এ জে টেলিকম’

সম্প্রতি রাজধানীর শ্যামলীতে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন মোবাইলের নতুন স্মার্ট পয়েন্ট ‘এ জে টেলিকম’। শ্যামলী স্কয়ার সুপার মার্কেটে চালু হওয়া ওই এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড শপে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের সব মডেলের স্মার্ট ও ফিচার ফোন এবং এক্সেসরিজ।

গ্রাহকপ্রিয়তা এবং দেশব্যাপী ওয়ালটন মোবাইলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইলের জন্য বিশেষায়িত ব্র্যান্ড শপ স্মার্ট পয়েন্ট চালু করছে ওয়ালটন। স্মার্টফোনের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে আসাই উদ্দেশ্য। এর আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওয়ালটন মোবাইলের প্রায় এক ডজন স্মার্ট পয়েন্ট চালু করেছে ওয়ালটন।

‘এ জে টেলিকম’র আগে রাজধানীর মিরপুর-১০ এর রোকেয়া স্মরণীর মাতবর ম্যানশনে উদ্বোধন করা হয়েছিল ওয়ালটন মোবাইলের স্মার্ট পয়েন্ট ‘মোবাইল নীড়’।

‘এ জে টেলিকম’ ব্র্যান্ড শপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন মোবাইলের হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স রেজাউল হাসান, ওয়ালটন মোবাইলের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) আবু জাহিদ, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (আরএন্ডআই) প্রধান শামীম ইসলাম এবং ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান।

ওয়ালটন মোবাইলের সিবিও আবু জাহিদ বলেন, মোবাইল ফোন কেনায় ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করছে ওয়ালটন মোবাইল। ক্রেতারা ওয়ালটনের পণ্য গ্রহণ করছেন বলেই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এজন্য ক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশে মোবাইলের স্মার্ট পয়েন্ট খোলা হচ্ছে। দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোবাইল ফোন ডিভাইস উৎপাদন ও বিপণনের পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সেবা ও গুণগতমান উন্নয়নে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছে ওয়ালটন।

তিনি বলেন, ক্রেতাদের সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবায় কোনো ছাড় দিচ্ছে না ওয়ালটন। এ প্রেক্ষিতে মোবাইল ফোনের সার্ভিস নিশ্চিতে ওয়ালটন ডিজি-টেকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারে নগর সিদ্দিকী প্লাজায় সম্প্রতি চালু করা হয়েছে দেশের প্রথম ওয়ালটন মোবাইল টাচ পয়েন্ট। এভাবে ক্রেতাদের জন্য বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে সারা দেশে স্মার্ট পয়েন্ট চালুর পাশাপাশি সার্ভিস পয়েন্টও খোলা হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্মার্ট পয়েন্টগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এসব ব্র্যান্ড শপে ক্রেতারা আগ্রহের সঙ্গে ভিড় করছেন। ব্যাপকহারে বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের মোবাইল ফোন। বেস্ট সেলার হিসেবে ইতোমধ্যেই ওয়ালটনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত হয়েছে মিরপুর-১০ এর শাহ আলী প্লাজায় ওয়ালটনের স্মার্ট পয়েন্ট ‘জুহী ইলেকট্রনিক্স’।


বিভাগ : কর্পোরেট



যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে কারো নাম উল্লেখ করা না হলেও যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের বিষয়ে বলা হয়, এরা বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচারবিভাগের সদস্য এবং নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ পররাষ্ট্র বিভাগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেছে বা এর জন্য দায়ী কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল’।

যাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে সেসব ব্যক্তি তা তাদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, “আমাদের আজকের পদক্ষেপ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যের প্রতি সমর্থনকে প্রতিফলিত করে। একই সাথে এই পদক্ষেপ যারা সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চান তাদের প্রতিও সমর্থন”।

এর আগে চলতি বছরের ২৫শে মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র।

তখন বলা হয়েছিলো যে, এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় - তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এ নীতি বাংলাদেশের তখনকার রাজনৈতিক পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো। এরপরই মূলত রাজনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন হয় এবং বিরোধী দলগুলো নিয়মিত রাজনৈতিক সভা সমাবেশের সুযোগ পেতে শুরু করে।

তবে এর জের ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এমনকি বিবিসির সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন যে ‘আমেরিকা হয়তো তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না”।

এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের র‍্যাব ও এর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতর 'গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার' অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতর।

দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনেকেই ঢাকায় এসে সরকার ও বিরোধী দলসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করে গেছেন।

এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন জানায় যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না বলে তাদের নিশ্চিত করেছে।

ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলো থেকে পর্যবেক্ষক আসবে কি-না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় আসবে।

তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে যে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কি-না।

আমেরিকার এই ভিসা নীতি ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন। সেসময় তিনি মন্তব্য করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে বাধা তৈরি করে তাহলে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবেন তারা।

 

 


কেবিনেই সিসিইউ সেটআপে পর্যবেক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম


কেবিনেই সিসিইউ সেটআপে  পর্যবেক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তবে পরে তাকে আবারও কেবিনে আনা হয়েছে। (সিসিইউ) সেটআপে কেবিনেই অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।


তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। গতকাল তার অবস্থার অবনতি হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। বিকালের দিকে তার শারীরিক অবস্থা স্টেবল হলে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হয়। এখন কেবিনে সিসিইউ সেটআপে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় অবজারভেশনে আছেন।’


৭৮ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার, ফুসফুস, কিডনি জটিলতাসহ হৃদরোগ, ডায়াবেটিক প্রভৃতি রোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিসকদের সমন্বয় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন।


গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


উত্তরার আবদুল্লাহপুরে দলীয় সমাবেশে গতকালকেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতিদ্রুত খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে আবারো সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজকে যখন তার (খালেদা জিয়া) জীবন-মরণ সমস্যা… তখন তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন বন্দি নন, এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রী। একবার নয় তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী। এখন কারাগারে থেকেও এই অসুস্থবস্থায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। এই নেত্রীকে আজ তারা বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’


তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রীর যদি সুচিকিৎসা না হয়, তাকে যদি বিদেশে পাঠানো না হয় তবে তার অবস্থা আরো অবণতির দিকে যেতে পারে।’


খালেদা জিয়ার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে অবিলম্বে তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের সুপারিশ করেছেন।

 

 


যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে মানব কল্যাণে কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৪ পিএম


যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে মানব কল্যাণে কাজ করার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধ-সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (সেপ্টেম্বর ২২) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বহুপাক্ষিক কূটনীতিকে জোরদারকরণ, জাতিসংঘের উপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করার জন্য প্রচেষ্টা ও সাহসী বক্তব্য, এবং বৈশ্বিক সঙ্কট উত্তরণে সুদূরপ্রসারী ও বাস্তবমূখী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এবং সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসেকে সাধুবাদ জানান। একই সঙ্গে ক্ষতার সঙ্গে ৭৭তম অধিবেশন পরিচালনা করার জন্য তিনি তাঁর পূর্বসূরি সাবা কোরোসিকেও ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: আস্থার পুন:নির্মাণ এবং বিশ্বব্যাপী সংহতির পুনরুজ্জীবন: আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার করে ২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং এর আওতাধীন টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জনের মাধ্যমে সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ। আমি মনে করি, বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও জটিলতার প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এর ফলে একটা শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অর্জিত সাফল্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

করোনা মহামারি ও জলবায়ু সঙ্কটের প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য, অর্থায়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন-লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে ।
জটিল এই সন্ধিক্ষণে বৈশ্বিক সংহতি রক্ষার্থে আস্থার পুনঃনির্মাণ এবং পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে আপনার আহ্বান আমাকে এই পরিষদে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ভাষণের একটি বিশেষ উক্তির কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি বলেছিলেন, কোট: ‘‘সাম্প্রতিককালে গোটা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ন্যায়সঙ্গত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজে আমাদের আরও ত্বরিৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে আমাদের মধ্যে মানবিক ঐক্যবোধ-ভ্রাতৃত্ববোধের পুনর্জাগরণ। পারস্পরিক নির্ভরশীলতার স্বীকৃতিই কেবল বর্তমান সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধান ঘটাতে সক্ষম। বর্তমান দুর্যোগ কাটাতে হলে অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার।

এ প্রসঙ্গে, আগামী বছর ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ আহ্বান করার উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করছি, এই প্রক্রিয়াটি ২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টার পরিপূরক হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।

সবার জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অভিন্ন সঙ্কট মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এজন্য আমাদের অবশ্যই বিভাজন, সঙ্কীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতার বিপরীতে একতা, সহমর্মিতা ও বহুপাক্ষিকতা বেছে নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিতে আমরা মানুষের কল্যাণে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও আধুনিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি। তাঁর দেখানো পথে বাস্তবমূখী নীতিগ্রহণ, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হতে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে পেরেছি। আমরা দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ থেকে ২০২২ সালে ১৮.৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি।

সহাস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আমরা এসডিজি অর্জনে অবিচলিত অগ্রগতি সাধন করেছি। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও এক্ষেত্রে গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। করোনা ভাইরাস, বিভিন্ন মানবসৃষ্ট সঙ্কট এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় চ্যালেঞ্জগুলিকে বহুগুণে জটিল করেছে। সে কারণে, এই বছর জাতিসংঘ এসডিজি সম্মেলনের সফল আয়োজন এবং এতে গৃহীত রাজনৈতিক ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা বিশ্বাস করি, এই রাজনৈতিক ঘোষণা ২০৩০ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে।

তাছাড়া, জরুরি অবস্থা এবং দুর্যোগের সময় আইএমএফের এসডিআর তহবিলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার থাকতে হবে। সমস্ত ঋণ ব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত বিশেষ বিধান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রস্তাবনার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা এই প্রস্তাবনার দ্রুত বাস্তবায়ন দাবি করছি।

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, আমরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছি এবং কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং অন্যান্য দুর্বল খাতে লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা প্রদান করেছি। অসহায় নারী, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং সমাজের অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারিত করেছি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুবিধা পাচ্ছেন। চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ২৬,২৭২ কোটি টাকা (প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবছর, আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোন নাগরিক এই পেনশন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ০.৪৭ শতাংশেরও কম অবদান রাখলেও বাংলাদেশ জলবায়ুজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মারাত্মক হুমকি। এর সমাধানের লক্ষ্যে জরুরি, সাহসী এবং উচ্চাভিলাষী সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাংলাদেশ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু-সহনশীল টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সবুজ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বল্প-কার্বন নির্গমন কৌশল প্রণয়ন করছে।

আমরা জলবায়ু অভিযোজনের জন্য ২০০৯ সালে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে এ তহবিলে এ পর্যন্ত ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছি। জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমনের লক্ষ্যে সমুদ্র উপকূলে বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, গ্রিন বেল্ট এবং বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। আমরা কক্সবাজারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যূত মানুষের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সেখানে ৪ হাজার ৪০৯টি উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আমার সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার পরিবারের ৫০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পর সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারকে কাজে লাগানোর জন্য সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশনের বিধানগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন আবশ্যক।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, আমরা 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' বাস্তবায়ন করছি। এর লক্ষ্য হল সমন্বিত ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু সহনশীল এবং সমৃদ্ধ ডেল্টা অর্জন। সরকার "মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা" গ্রহণ করেছে। আমরা ধীরে ধীরে একটি জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে জলবায়ু সহনশীল দেশে পরিণত হতে কাজ করছি।

বাংলাদেশের ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহার করছে। আমরা আরও টেকসই শক্তির মিশ্রণের জন্য কাজ করছি। আমরা আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের শক্তির ৪০% পুনঃনবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া যাবে।

জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের উন্নয়ন চাহিদার কথা বিবেচনা করতে হবে। আমরা ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তহবিলের জরুরি বাস্তবায়ন চাই।
সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ততা, নদী ক্ষয়, বন্যা ও খরা-জনিত কারণে জলবায়ু-অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আমি আন্তর্জাতিক সংহতির আহ্বান জানাই।
বিগত কয়েক বছরের আন্তঃসংযুক্ত সঙ্কটগুলি বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি এবং পণ্য মূল্য বৃদ্ধি করেছে। জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি বিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করেছি। আমরা নিম্ন আয়ের ১ কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমি আমাদের জনগণকে নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে এবং কোনো জমি অনাবাদি না রাখার আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের বিজ্ঞানীরা খরা, লবণাক্ততা, জলমগ্নতাসহ বিরূপ আবহাওয়া উপযোগী ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা, জাতির পিতা ও বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন আমার মা, আমার তিন ছোট ভাই, দুই ভ্রাতৃবধূ, চাচাসহ পরিবারের মোট আঠার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। আমার ছোট বোন এবং আমি বিদেশে থাকায় সেই বর্বরতা থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। এর আগে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ত্রিশ লাখ দেশবাসীকে হত্যা করা হয়, দুই লাখ নারী নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। আমি নিজে নিপীড়িত এবং যুদ্ধ ও হত্যার নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যুদ্ধ, হত্যা, অভ্যুত্থান ও সংঘাতের ভয়াবহতার কারণে মানুষ যে বেদনা ও যন্ত্রণা সহ্য করে তা অনুভব করতে পারি।

এ বছরের ইউএনজিএর মূল প্রতিপাদ্য, 'আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছেন। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে নিউইয়র্ক ত্যাগ করবেন এবং সেখানে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন সফর শেষ করে তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত অবস্থান করবেন এবং অবশেষে ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

 

অনুসরণ করুন