বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আমদানির অনুমোদন না পাওয়ায় ভারত থেকে আসছে না পেঁয়াজ

চট্টগ্রামে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। ভোজ্যতেলের সঙ্গে ক্রেতাদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ হিসেবে দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দাম। পাইকারি ও খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই দাম বাড়ছে।

এক সপ্তাহ আগেও চট্টগ্রামে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা থেকে ৩২ টাকা। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকা দাম বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। ক্রেতাদের আশঙ্কা আবারও পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি ছাড়াবে। অনেকে মনে করছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণেই দাম বাড়ছে। ভারতে রপ্তানি বন্ধ হলেও খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের মজুত যথেষ্ট আছে। এখনই দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না।

এ ব্যাপারে খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মার্কেটের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদ মো. ইদরিস বৃহস্পতিবার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের কারণে দেশের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ছে। এখন খাতুনগঞ্জে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ নিয়ে কোনো ট্রাক ঢুকছে না। ঈদের আগে যেসব পেঁয়াজভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কেবল সেসব পেঁয়াজের সরবরাহ পাচ্ছি। এখন দৈনিক ৫ থেকে ৬ পেঁয়াজভর্তি ট্রাক ঢুকছে খাতুনগঞ্জে। এসব পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেলে দাম আরও বাড়বে।

পাইকারিতে কত বেড়েছে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতি কেজি ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে তা আরও বেশি। এখনই দাম কমবে বলে আমি মনে করি না। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হলে দাম কমতে পারে।

নাম প্রকাশ করার শর্তে খাতুনগঞ্জের এক আড়তদার জানান, আগে আমদানি করা পেঁয়াজের মজুত এখনো শেষ হয়নি। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হলেও মজুদ করা পেঁয়াজ দিয়ে ১৫ দিন চলবে। দাম হয়তো দুয়েক টাকা বাড়তে পারে। একেবারে কেজিপ্রতি দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধির মতো অবস্থা এখনো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাতুনগঞ্জে বস্তা প্রতি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। প্রতি বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। ঈদের আগে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। আগে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২৭ থেকে ২৮ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৪০ টাকার কাছাকাছি।

বুধবার (১১ মে) ও বৃহস্পতিবার (১২ মে) নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। ঈদের আগে সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়।

বর্তমানে দেশে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এ আমদানি করা চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে। পেঁয়াজের উৎপাদন স্থানীয় পর্যায়ে বাড়ানো গেলে দামের উপর কখনো প্রভাব পড়বে না। সিন্ডিকেটও কারসাজি করার সুযোগ পাবে না।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির কর্মকর্তারা জানান, রমজান শুরুর আগে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার রমজানে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করে। ৫ মের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি শুরু হলে আবার দাম কমতে শুরু করবে।

এ ব্যাপারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম এখনই বাড়ানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি। আমদানি করা পেঁয়াজ যথেষ্ট মজুত আছে। ব্যবসায়ীরা একেক অজুহাতে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন। তেলের দামে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড করেছে। একই ভাবে বেড়েছে ডাল-চিনির দামও। তবে এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীদের দোকান গুদামে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ থাকার পরেও তারা একদিনে পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক জানান, পাইকারদের কাছ থেকে আমরা পেঁয়াজ কিনে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করে থাকি। আমাদের দোকানে বেশিদিন পেঁয়াজ মজুত রাখার সুযোগ নেই। পাইকাররা কেজিপ্রতি দাম বেশি নিলে আমরাও ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে বিক্রি করি। মূলত আমাদের পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের দাম ওঠানামা করে খাতুনগঞ্জ থেকে কেনা পাইকারদের দামের উপর।

তবে ক্রেতাদের বড় অংশের অভিযোগ পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে প্রশাসন কিছুই করছে না। এজন্য মজুতদাররা কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই দাম বাড়াচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলে অন্তত এখনই পেঁয়াজের দামে লাগাম টেনে ধরা যেত।

নগরীর হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়ব আশরাফি বলেন, সয়াবিন তেল নিয়ে নানা কারসাজি হচ্ছে। প্রতিদিন জব্দ হচ্ছে মজুত করা বোতলজাত তেল। এ সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। কিন্তু প্রশাসনের কোনো তদারকি কিংবা অভিযান নেই।

তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, ভোজ্যতেলের মতো পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে মজুতদারদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এসএন

Header Ad

বিদেশে বসে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া হয় : দীপু মনি

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলে করে বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদকে উসকে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ চাইলে রাজনীতিকে বেছে নিতে হবে। দেশে রাজনীতি ঠিক হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পলিসি এ্যাডভোকেসি রোডম্যাপ’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থা-জিবিএসএস আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারপার্সন প্রফেসর সাজেদা বানু। আলোচনায় অংশ নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেটি ক্রোক, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার তাপস কান্তি পাল, কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সানইয়াত জিবিএসএস’র নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রতান প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, যেখানে কেউ পিছিয়ে পড়ে থাকবে না। আইন, নীতিমালা প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়ন সকল পর্যায়ে সকলের অংশগ্রহণ হওয়া জরুরি। দেশে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমান মৌলিক অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারে সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কোন নীতিমালা সংবিধানের উপরে নয়। নীতিমালায় থাকুক না থাকুক সেটা বিষয় নয়। এই রাষ্ট্রে সবাই সমান অধিকার পাবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে বেড়ানো দলকে দেশ থেকে তাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

ঋষি সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি মন্তব্য করে ডা. দীপু মনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য ও সমতার ভিত্তিতে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছে। সংবিধান আমাদের সমান অধিকার দিলেও স্বাধীনতার পর একটা লম্বা সময় দেশের ক্ষমতায় ছিলো, যারা স্বাধীনতা ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না। সেই কারণে আমাদের যতোটা এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো সেটা হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার, উন্নত দেশগড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে বেসরকারি সংগঠনগুলোকেও রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নেওয়া দরকার। ঋষি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা চাইলে ট্যানারি শিল্প কিংবা জুতা কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুসারে অগ্রাধিকার বা সুযোগ করে দিতে হবে। এছাড়া বিশেষ পেশায় যারা আছেন তাদের উৎপাদিত বিশেষায়িত পণ্য উচ্চমূল্যে দেশে-বিদেশে বিক্রি হতে পারে।

সভায় ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পাঁচ দফা পলিসি এ্যাভোকেসি রোডম্যাপ সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। সুপারিশে ঋষি সম্প্রদায়ের মৌলিক অধিকার রক্ষায় নীতিমালা সংশোধন ও একটি সংসদীয় ককাসের গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া বিগত মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বৈষম্যবিরোধী আইন দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি কাসসাম ব্রিগেডের

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি করেছে হামাসের সশস্ত্র কাসসাম ব্রিগেড। টেলিগ্রাম চ্যানেলে তারা হামলার বিষয়ে জানিয়েছে।

কাসসাম ব্রিগেড বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলীয় আল-সালাম এলাকায় ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে একটি ইসরায়েলি সেনাবাহী রণতরী ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কয়েকজন ক্রু সদস্য নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন। এছাড়া রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে আরও বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে একদল ইসরায়েলি সেনা ও সামরিক যানে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাবালিয়ার উত্তর-পূর্বে ইয়াসিন-১০৫ রকেট দিয়ে মারকাভা ট্যাংক লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাশাপাশি জাবালিয়ার পূর্বাঞ্চলে স্নাইপারের গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন।
হামাসের হামলা নিয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটির মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি ভবনে ইসরায়েল হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। সূত্র : আল জাজিরা

ইরানের সাথে চাবাহার চুক্তি, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটন বলেছে, কোনো দেশ যদি ইরানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখে, তাহলে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী— চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে।

আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে। সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ সংবাদ

বিদেশে বসে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়া হয় : দীপু মনি
ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর একাধিক হামলার দাবি কাসসাম ব্রিগেডের
ইরানের সাথে চাবাহার চুক্তি, ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
মোটরসাইকেলের গতি সীমা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার
গলায় লিচুর বিচি আটকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
টাঙ্গাইলে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক কলেজছাত্রের
খারকিভে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া
নিজের পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক
মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি স্বর্ণ লুট
স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’
ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে আদালত
মার্কিন স্যাংশন, ভিসা নীতিকে পাত্তা দেই না: ওবায়দুল কাদের
ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ কোম্পানির ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা
তাসকিনকে নিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা, বাদ সাইফউদ্দিন
ঢাকায় ডোনাল্ড লু
টঙ্গীতে নারী আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
৭ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ
এম ভি আবদুল্লাহ থেকে পণ্য খালাস শুরু