
ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকার বেশি হওয়া যৌক্তিক নয়: ভোক্তা অধিদপ্তর
২২ মার্চ ২০২৩, ০৯:০২ পিএম | আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকার টাকার বেশি হওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
বুধবার (২২ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর রাজধানীর নিউ মার্কেটের বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে, কোনোক্রমেই ঠেকানো যাচ্ছে না মুরগির দাম। বিভিন্ন বাজারে পোল্ট্রির মুরগি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন বাজার কমিটির শীর্ষ নেতারা।
মহাপরিচালক বলেন, ব্রয়লার মুরগি নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করেছে। পোল্ট্রি খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা এবং নিজস্ব পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে আমাদের পর্যবেক্ষণ হল, ব্রয়লার মুরগির দাম ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ২০০ টাকার উপর হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
সফিকুজ্জামান বলেন, ডাল, ছোলাসহ অনেক পণ্যের দাম কমেছে। তবে বেড়েই যাচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম। কিন্তু কোনোভাবেই এক কেজি মুরগির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ হতে পারে না। এটা তাহলে মুরগি আমদানি শুরু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই৷ আমি ভোক্তাদের বলব, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। এবার রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে যাতে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারে, সেজন্য বাজার কমিটিগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্থিরতা সৃষ্টি হলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া। বাজার নিয়ে সরকারকে আটটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এই অতিরিক্ত সচিব লেন, যারা দায়িত্বশীল, তারা ভোক্তাদের কষ্ট লাঘবের বিষয়টি দেখবেন।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, রমজান আসলেই ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার অপবাদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আছে। তাই এবার এফবিসিসিআই, ভোক্তা অধিদপ্তর, দোকান মালিক সমিতি, বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি রমজানে পণ্যের দাম যাতে কোনোক্রমেই না বাড়ে।
মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বেশি নিলে বাজার কমিটিগুলোকে তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা এই নিয়ন্ত্রণটুকু করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার কমিটি বাতিল করে দেবে। ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান থাকবে এবার রমজানে ভোক্তারা যেন একটু স্বস্তিতে থাকেন।
জেডএ/এমএমএ/