সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ

বেসরকারি খাতের নেতৃত্ব, দ্রুত বেড়ে ওঠা মধ্যবিত্ত ও বিপুল ভোক্তা শ্রেণির কারণে ২০৪০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলার বা লাখ কোটি বা এক হাজার বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যয়ের পরও কীভাবে দেশটির অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার ওপর আলোকপাত করে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘দ্য ট্রিলিয়ন-ডলার প্রাইজ-লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের করপোরেট কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের এদেশীয় প্রধান রিয়াজ এ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হ্যান্স-পল বার্কনার, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের জ্যেষ্ঠ অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারিফ মুনির, প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শৈবাল চক্রবর্তী ও বোস্টন কলসাল্টিং গ্রুপের অংশীদার তৌসিফ ইশতিয়াকসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে অপ্টিমিস্টিক আউটলুক (দৃঢ় আশাবাদ), গিগ ইকোনমি (ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল খণ্ডকালীন কাজ), ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, তরুণ ও ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা (হাই ইকোনমিক রেজিলিয়ান্স), ডিজিটাল মাধ্যমের বহুল ব্যবহার, সরকারি উদ্যোগ এবং একটি বৃহৎ, সুসংগঠিত বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উদীয়মান চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের বিশ্বের দরবারে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ও দেশকে নেতৃত্ব দিতে নিত্যনতুন কৌশল নিচ্ছে এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছে। এভাবেই বাংলাদেশ ২০৪০ সাল নাগাদ এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উদীয়মান কম্পানিগুলো উদ্ভাবনী, দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঠামোগত সুবিধা তৈরি করেছে এবং বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণেও প্রস্তুত। এ চ্যাম্পিয়নের সাফল্য অন্যান্য দেশের অনুকরণীয় কোম্পানিগুলোর উদ্যোগেরই প্রতিধ্বনি। নিজস্ব দক্ষতা, সফলতা ও গুণগত মান অর্জনে তারা যেন দ্বিগুণ প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই চ্যাম্পিয়নদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক পুঁজি বাড়ানো, বৈশ্বিক জোট গঠন এবং সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈচিত্র্যময় ও পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রবেশ করা। বেসরকারি খাত উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে এবং সুগঠিত কৌশলগত কর্মসূচির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সুবিধাকে কাজে লাগাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই চ্যাম্পিয়নরা বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে শক্তিশালী অবদান রাখবে।’

প্রতিবেদনটি বিসিজির বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ৩০০ মিলিয়ন থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিসিজি প্রতিবেদনে কোম্পানিগুলোর মধ্যে দৃঢ় আশাবাদ পেয়েছে এবং এদের ৫৭ শতাংশ বিশ্বাস করে পরবর্তী প্রজন্ম আরও ভালো জীবনযাপনের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের একটি উদীয়মান তরুণ শ্রমশক্তি রয়েছে। যাদের গড় বয়স ২৮ বছর। এ দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৬৮.৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে ৮৩ শতাংশ কোম্পানির সাহসী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভিশন রয়েছে এবং ৩৮ শতাংশ আরও ভালো গ্রাহক ফলাফল অর্জনে মনোনিবেশ করেছে। প্রায় ৭৮ শতাংশ কম্পানি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে তারা প্রতিনিয়ত রূপান্তরের একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ৬১ শতাংশ আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণে কৌশল গ্রহণ করেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার বিশ্বের নবম বৃহৎ হওয়ার পথে রয়েছে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ শ্রেণির দ্রুত বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে। এই শ্রেণিটি ২০২০ সালের ১৯ মিলিয়ন থেকে ২০২৫ সাল নাগাদ হবে ৩৪ মিলিয়ন। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গড়ে বার্ষিক ৬.৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়েছে। এ দেশের প্রবৃদ্ধির হার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দ্বিগুণ এবং বৈশ্বিক গড় ২.৯ শতাংশের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এখন আমরা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপকে এ ধরনের সমীক্ষা পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানাই, যেখানে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার চিত্র উঠে এসেছে।’

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস হ্যান্স-পল বার্কনার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য আদর্শস্থানীয়। এই দেশ ইতোমধ্যে অনেক কিছু অর্জন করেছে। বিশেষ করে দেশের বেসরকারি খাতের অপরিসীম অবদানের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর রূপান্তর এবং দেশের বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান এ গতিকে ত্বরান্বিত করেছে।’

আরএ/

Header Ad

স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

তীব্র গরম ও চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদরাসার পাঠদান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) রয়েছে সেগুলোতে যথারীতি পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। এছাড়া যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য করা থাকে সেক্ষেত্রে সিডিউল অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা এসি নেই, তীব্র গরমের কারণে এ ধরনের প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসাগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অন্যদিকে, কোনো প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলে নির্ধারিত সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলেও জানান এ আইনজীবী।

ঈদের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি বাড়ানো হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী রোববার সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত গরমে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা

ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরী করোনা টিকা। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোম্পানিটির এই স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে খুব বিরল থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) এর ঘটনা ঘটতে পারে। যার ফলে মানুষের রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়। খবর টেলিগ্রাফ।

ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এমন ডজনখানেক ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বছর অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন জেমি স্কট নামের এক ব্যক্তি। তিনি ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। যার ফলে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কমে গেছে।

এর আগে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের টিকার কারণে টিটিএস'র সম্ভাবনা নকচ করে দিয়েছিল তবে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে এর দায় স্বীকার করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্রিটিশ-সুইস এই কোম্পানিটির স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

খন্দকার মুশতাক ও ফাওজিয়া রাশেদী। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

এর আগে গত বছরের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

পরবর্তীতে মামলাটি দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা।

গত ৩ মার্চ পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে এই নারাজি দাখিল করেন মামলার বাদী ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। আদালত নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতো। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতো। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়।

ভিকটিম এরকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে (২নং আসামি) ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করতেছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আসামিকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী ২নং আসামির কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনও সহযোগিতা করেননি বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বাদী জানতে পারেন আসামি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছে এবং যৌন নিপীড়ন করছে।

সর্বশেষ সংবাদ

স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু
রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার
বিয়ের দাবি নিয়ে আসা তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
তীব্র গরমে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ
হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !