শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ট্রাকে করে ঢাকায় ১২ টাকায় ডিম বিক্রি শুরু

সরকারের বেঁধে দেওয়া প্রতি ডিম ১২টাকায় বিক্রির ট্রাকসেল (খোলা বাজারে) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন চত্ত্বরে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় কার্যক্রমে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। ঢাকার ১৬ থেকে ২০টি পয়েন্টে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। দাম আরও কমলে সেই দামে ভোক্তারা ডিম পাবেন বলে জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিমের বাজার ঠিক রাখতে আমরা প্রতিটা গ্রুপের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। অর্থাৎ ভোক্তা থেকে শুরু করে আমাদের কর্পোরেট গ্রুপ বিশেষ করে যে প্রান্তিক খামারীরা আছেন। সেখানে আসলে একটা সমস্যা আছে। প্রান্তিক খামারীরা এখনো ৮০ শতাংশ ডিম উৎপাদন করেন। কর্পোরেট গ্রুপ তারা এখানে যেটা করেছে, কন্ট্যাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যেকোনোভাবেই হোক, সারা দেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছিল।

তিনি বলেন, গত বছর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পর আমরা ধারণা করেছিলাম, এ বছর একটা সিস্টেমে চলবে। কিন্তু দেখা গেল, গত ৬ আগস্টের ১২ টাকার ডিম হঠাৎ করে ৯ আগস্ট ১৫ টাকা হয়ে গেল এবং এ বছরও সেরকম একটি কারসাজির নীলনকশা করা হয়েছিল।

এরপর ব্যাপকভাবে আমরা সারা দেশে অভিযান করেছি। তখন আমরা ১২ টাকায় আনতে না পারলেও সাড়ে ১২ টাকায় এনেছিলাম। তখন আমাদের প্রাণীসম্পদমন্ত্রী উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং খুচরা বাজারে ১২ টাকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু আমরা সেটি সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত এনেছিলাম।এর কারণ হলো, উৎপাদক পর্যায়ে সাড়ে দশ টাকা আনা সম্ভব হয়নি। তখন সারা দেশে উৎপাদক পর্যায়ে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ডিমের দাম ছিল। তারা বলেছিলেন, খাবারের দাম বৃদ্ধির জন্য এ দাম রাখা হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, তারা বিদেশ থেকে খাবার আমদানিতে খরচ দেখিয়েছিলেন। এরপর আমরা এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি মিটিংও করেছি। এটা নিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, আসলে প্রান্তিক খামারীদের খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিনতে হয়। এ কারণেই আসলে তারা পোষাতে পারেন না। এরপর গত বৃহস্পতিবার পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা সরাসরি খামার থেকে এনে ১২ টাকায় ডিম বিক্র করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে এই কার্যক্রম আমরা উদ্বোধন করলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান পিএসসি। এছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আড়াই বছরের প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ (কীটনাশক) খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা-মা'র বিরুদ্ধে। এমন লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীমঙ্গলের ভূনবীর ইউনিয়নের রাজপাড়া গ্রামে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাতে নিজ সন্তানকে ওই বাবা-মা হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, ফারিয়া আক্তার নামের ওই শিশুর বাবার নাম রাশেদ মিয়া ও মা একই গ্রামের ওয়াসিত মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগম। রাশেদ ওই গ্রামের ফয়জল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ফারিয়া নামে আড়াই বছরের সন্তান জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে চলাফেরা করতে পারত না। শুধু বিছানায় শুয়ে থাকত। এতে শিশুর মা-বাবা ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। তারা প্রায় সময় ফারিয়াকে অবহেলা করে ঘরের বাইরেও ফেলে রাখতেন। শুক্রবার বিকালে ফারিয়ার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন ওই দম্পতি। পরে নিজেরাই ফারিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মেয়েটি মারা যায়। মেয়ের মরদেহ বাড়িতে এনে দাফনের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু ইতোমধ্যে বিষ খাওয়ানোর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ফারিয়ার বাবা-মা ও নানি পালিয়ে যান। ঘর থেকে পুলিশ ফারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় ফারিয়ার নানা ওয়াসিত মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

এদিকে বিষ প্রয়োগের কারণে ফারিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট মেডিকেল অফিসার আব্দুর রউফ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী সন্তান হওয়ার কারণে আড়াই বছরের ফারিয়াকে তার মা-বাবা কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলেছেন বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় মো.রিফাত হোসেন বাপ্পি (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এলাকার বাঁধের হাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাক্টরের চালক পলাতক রয়েছে।

নিহত মো.রিফাত হোসেন বাপ্পি (৭) উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের রেজোয়ানুর রহমানের ছেলে। সে স্থানীয় পূর্ব চরজব্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউছার আলম ভূঁইয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বাঁধের হাট বাজার এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলো ট্রাক্টরটি। এ সময় রাস্তায় শিশুটি চলন্ত ট্রাক্টরে উঠতে চেষ্টা করে। ওই সময় ট্রাক্টরের নিচে শিশুটি চাপা পড়ে মাথা থেতলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে।

ওসি কাউছার আলম ভূঁইয়া বলেন, নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ট্রাক্টরটি জব্দ করে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক

ছবি: সংগৃহীত

হঠাৎ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শনিবার (১৮ মে) বিকেলের দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মামুনুল হক ডিবিতে যান।

এর আগে ৩ মে সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মামুনুল হক।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে তখন হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এরপর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এর ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারেই ছিলেন মামুনুল হক।

 

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে