সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

স্বাধীনতা পুরস্কার বিতর্কমুক্ত হলো, চলচ্চিত্র পুরস্কারের কী হবে?

সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ আমির হামজা’র নাম ঘোষণার পর পরই শুরু হয় বিতর্ক। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হলে আমির হামজা’র পুরস্কার বাতিল করে সরকার।

এ কারণে স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়েন সাহিত্য অঙ্গনে সৃষ্টিশীল মানুষদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরাও।

আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের মাধ্যমে স্বাধীনতা পুরস্কার বিতর্ক ও কলঙ্কমুক্ত হলেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে তৈরি বিতর্ক ও সমালোচনার শেষ হয়নি আজও। বরং দ্বিগুণ বেগে ছুটে চলছে বিতর্কের রথ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও কি বিতর্ক ও কলঙ্ক মুক্ত হবে? নাকি নকল কথা ও সুরের গান গাওয়া শিল্পীর হাতেই উঠবে জাতীয় চলচ্চিত্রের মতো মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার?

এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিতর্ক নিয়ে কিংবদন্তি গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যাদের সক্ষমতা আছে তারা অন্যের জিনিস গ্রহণ করে না। এগুলো হচ্ছে অক্ষমতার চূড়ান্ত অবক্ষয়। অক্ষম ব্যক্তিরাই এগুলো করছে। কিছুটা জুড়ে দেওয়া হলো অক্ষমতা। এদের মধ্যে সৃজনশীল বলতে কিছু নেই। কেন যে তারা এগুলো করছে, এর চেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নেই। এটা অসাধু চিন্তা, অসাধু ব্যবসায়িক চিন্তা। আর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

এ সম্পর্কে খ্যাতিমান গীতিকবি লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, ‘যে কোনো জাতীয় পুরস্কার বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা উচিত। ভালো ও মান সম্মত গান না থাকলে সে বছর পুরস্কার না দেওয়া উচিত। বছর বছর পুরস্কার দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলে, পাঁচটা মানহীন গানের মধ্যে একটাকে বাছাই করে পুরস্কার দেওয়ার এই বাধ্যবাধকতা নিঃসন্দেহে জাতীয় পুরস্কারের মানকে ক্ষুন্ন করছে। আমার কথাটা গান ও সিনেমা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’

খ্যাতিমান গীতিকবি মিলন খান বলেন, ‘সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা হওয়া উচিত, কাব্যিক শৈল্পিক নান্দনিক লেখা হওয়া উচিত। চুরি করা, ধার করা লেখা অবশ্যই নিন্দনীয়, অগ্রহণযোগ্য। আংশিক মেরে দেওয়া, জুড়ে দেওয়া লেখাও বর্জনীয়। এমন লেখার গান যদি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় তাহলে এই পুরষ্কারের মান মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে।

ধার করা লেখা দিয়ে কেউ পুরস্কার পেলে তা বাতিল করা উচিত এবং শান্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। পুরস্কার যেনো চর দখলের মতো জোর জবরদস্তি করে পাওয়া জিনিস না হয়। আমির হামজার স্বাধীনতা পদক বাতিল হয়েছে। চৌর্যবৃত্তির দায়ে অন্যান্য পুরস্কার বাতিল হবে কি?

স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের পর খ্যাতিমান গীতিকবি মুন্সী ওয়াদুদ তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেন, তীব্র সমালোচনার মুখে মো. আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল হবার পর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিতর্কিত গান সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু এখন!

একে তো গর্হিতভাবে একটি শব্দ বাদ দিয়ে ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতা থেকে চুপচাপ দু'লাইন চুরি’, উপরন্তু বাঙালির শিষ্টাচারের সঙ্গে যায় না, এমন ‘তুই-তোকারি মার্কা’ গানের জন্য

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আমাদের সংগীত তথা সংস্কৃতির জন্য সত্যি অশনিসংকেত!
এবং সরকারের ভাবমূর্তির জন্যেও একটা চ্যালেঞ্জ। জাতীয় পুরস্কার রাজউকের প্লট বরাদ্দ নয়--এ বোধ আসবে কবে, পত্রিকার পাতায় এমন বিশ্লেষণেও দেখেছি বিদগ্ধজনের। অতএব সাধু সাবধান!’

এ নিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুড়ি বোর্ডের অন্যতম সদস্য চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘দেখুন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে প্রতিবারই সমালোচনা হয়। এ নিয়ে তাই বিশেষ করে বলার কিছু নেই। তবে জুরিবোর্ড মানেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শেষ কথা নয়। আমি বলব সবারই নিজের প্রতি সৎ হওয়া জরুরি। শিল্পচর্চায় সততা না থাকলে হয় না।’

এদিকে নকল কথা ও সুরের একটি গানে অল্প কয়েক লাইন গেয়ে কোনাল কীভাবে পুরস্কার পেল এই প্রশ্নে তুমুল বিতর্ক চলছে।

শুধু তাই নয়, এমন গানের জন্য কোনাল পুরস্কার পাওয়ায় বিষয়টি বেশ কিছু গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে।

সেখানে দাবি করা হচ্ছে, অনুমতি ছাড়াই একটি পুরনো জনপ্রিয় গানের লাইন ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’ ব্রিজলাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কোনালের গাওয়া গানে। যা কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। এমন গানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দিয়ে কপিরাইট আইনকে খাটো করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্যের গান অনুমতি ছাড়া ব্যবহারেও উৎসাহিত করা হয়েছে।

‘অবুঝ হৃদয়’ সিনেমার ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’ গানের ব্রিজলাইনটুকু নিয়ে ‘বীর’ সিনেমার জন্য নতুন করে গানটি তৈরি করা হয়েছে। গানটি লিখেছেন কবির বকুল। ভারতের সংগীত পরিচালক আকাশ সেনের সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দেন ইমরান ও কোনাল।

নকল কথা ও সুরের গান গেয়ে কীভাবে কোনাল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেল এমন অভিযোগ তুলেছে এই গান ব্যবহৃত সিনেমার প্রযোজক মো. ইকবার নিজেও।

এ সম্পর্কে ইকবাল একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘এই গানের কথা নকল, সুরও নকল। গানটির মিউজিক করেছি ইন্ডিয়া থেকে। তাহলে নকল এই গানে কোনাল কীভাবে পুরস্কার পায়? আমার সেন্সে মনে হয় এই গানে কোনাল কখনই পুরস্কার পায় না । কারণ আমি অন্যায়কে কখনও সাপোর্ট করি না। কথা নকল, সুর নকল কোনো গান কখনও পুরস্কার পায় না। মৌলিক গান নতুন গান পুরস্কার পেতে পারে। আমারও একটা প্রশ্ন জাগে-রুনা লায়লা ম্যাডাম যখন গানটি ১৯৮৮ সালে গেয়েছেন তখন কি উনি এই গানটির জন্য পুরস্কার পেয়েছিল? আমার জানা মতে উনি পুরস্কার পাননি। আর যদি উনি পুরস্কারটা পেয়েও থাকেন তাহলে এক গানে কি দুইবার পুরস্কার দেওয়া হবে? তবে আমি জেনেছি ১৯৮৮ সালে রুনা লায়লা পুরস্কার পাননি। তাহলে কি কোনাল রুনা লায়লার চেয়েও বড় শিল্পী? প্রশ্ন আপনাদের কাছে।’

এদিকে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন ও নকল গানে কণ্ঠশিল্পী সোমনুর মনির কোনালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাতিল চেয়ে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে রিট আবেদনও করেছেন মো: শামীম নামের এক ব্যক্তি।

এই রিট আবেদনে বিবাদীদের মধ্যে আছেন-মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য সচিব, সংশ্লিষ্ট জুরিবোর্ডের সভাপতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. মিজান-উল আলম এবং সোমনমুর মনির কোনাল।

এ সম্পর্কে আইনজীবী খান জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন গানটি গেয়ে কোনাল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এই গানটি রিমেক ও নকল গান। এই গান আগে গেয়েছিলেন দুই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর। এই গানে রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর জাতীয় পুরস্কার পাননি। তাহলে তাদের গান নকল ও রিমেক করে গেয়ে কোনাল কীভাবে পুরস্কার পান এটাই আমাদের রিটের মুল বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কপিরাইট আইন লঙ্ঘন ও নকল গানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়ায় এই পুরস্কারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটা আমাদের শুদ্ধ সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই মহামান্য হাইকোর্টে কণ্ঠশিল্পী কোনালের পুরস্কার প্রাপ্তির প্রক্রিয়া স্থগিত এবং বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে। আশা করি মহামান্য আদালত এই কণ্ঠশিল্পীর প্রশ্নবিদ্ধ পুরস্কারটি বাতিল করার নির্দেশ দেবেন। কারণ নকল করে গাওয়া গানের-জন্য পেতে যাওয়া এ পুরস্কার বাতিল হলে ভবিষ্যতে আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’

‘অবুঝ হৃদয়’ সিনেমার ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’ গানের ব্রিজলাইনটুকু নিয়ে ‘বীর’ সিনেমার জন্য নতুন করে গানটি তৈরি করা হয়েছে। গানটি লিখেছেন কবির বকুল। ভারতের সংগীত পরিচালক আকাশ সেনের সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দেন ইমরান  ও কোনাল। তথ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে গানটির নাম ‘ভালোবাসার মানুষ তুমি’ লেখা হয়েছে। তবে শাকিব খানের এসকে ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ‘তুমি আমার জীবন’ নামেই প্রকাশ হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার একজন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘এ বিষয়ে কোর্টে রিট হয়েছে আমাদের জানা নেই। তবে কোর্টের আদেশ পেলে অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ‘অবুঝ হৃদয়’ সিনেমায় আহম্মেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের লেখা ও সুরে ‘তুমি আমার জীবন’ শিরোনামে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর।

এএম/এমএমএ/

Header Ad

রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে রাত ১১টার পর রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় এসব অস্থায়ী দোকানে অপরাধীরা সারারাত আড্ডা দেয়, আর সুযোগ পেলেই ছিনতাই করে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ করে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকারও নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, এবার রমজানে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে

ছবি:সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগ ও সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে। এই হামলার জেরে উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে গতকাল রোববার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের বাদী হয়ে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে বিবাদী হিসেবে রয়েছেন উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম, রাকিব ও দ্বীপ চৌধুরী।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ এপ্রিল (গতকাল রোববার) বেলা একটায় প্রশাসনিক ভবনের ফটকের সামনে শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এ সময় উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাঁর (উপাচার্যের) সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি মুর্শেদ রায়হানের পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। একই সময়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোকাদ্দেস উল ইসলামের মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করেন। এ সময় অন্তত ২০ জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্যের কার্যালয়ে বসে কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বহিরাগতদের (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, ‘১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের ওপর উপাচার্যের দপ্তরে হামলা হয়। আমরা থানায় জিডি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুই মাস পর জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে তদন্ত কমিটি করে। সেটির কোনো কার্যকারিতা নেই। রোববার আবার বহিরাগত এনে শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা হয়। উপাচার্য নিজে হামলায় অংশ নেন, ফুটেজ আছে। প্রক্টর এক শিক্ষককে ঘুষি মারেন। কোষাধ্যক্ষ শিক্ষক সমিতির কার্যালয় ভাঙতে বহিরাগতদের পাঠান। ২০ জন শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়। তাই আমরা মামলা করেছি।’

ওই ঘটনার পর গতকাল বিকেল পাঁচটায় প্রশাসনিক ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হানসহ শিক্ষক সমিতির ৮-১০ জন তিনিসহ অন্য সাধারণ শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এ সময় সেখানে কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী আহত হন। সংবাদ সম্মেলনে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে উপাচার্য কারও নাম বলতে পারেননি।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রোববার মধ্যরাতে থানায় অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের। এতে ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ২০ জনের নাম অভিযোগে আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে আজ থেকে খনন কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। খনন কাজের জন্য ১২০ দিনের কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাপেক্স এ খনন কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে অবস্থিত কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ২২ এপ্রিল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হবে সকাল ১১টায়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩২০০ মিটার পর্যন্ত খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

খনন প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। আগামী ১২০ দিন চলবে খনন কাজ। দুই শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন জানিয়ে মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন- এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর এ বেগমগঞ্জ জোনে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে ১৯৭৬ সালে। এরপর ১৯৭৮ সালে মিলে আরেকটি কূপের সন্ধান। কিন্তু ড্রিলিং করার পর কোনো গ্যাস মেলেনি ওই দুটি কূপে। পরবর্তীতে একই অঞ্চলে ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদনে সফলতা মেলে এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

রাত ১১ টার পর চা-বিড়ির দোকান বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে
সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন
আজ দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার
বিয়ের দাবি নিয়ে আসা তরুণীকে নিয়ে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
তীব্র গরমে ৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে আজ
হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !
পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গুদামে মিলল পুলিশের রেশনের ৩০০ বস্তা চাল, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ইরাকে সমকামিতায় জড়ালেই ১৫ বছরের জেল
আবারও বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলেন শিবলী রুবাইয়াত
কোরবানির জন্য গরু আমদানি করবে না সরকার
আবু ধাবিতে উদ্বোধন হচ্ছে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গির্জা
পাপ লুকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার : রিজভী
রিকশাচালকদের মাঝে ডিএনসিসির ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ
নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার