বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভারতের ২০ শহরে দিলীপ কুমার চলচ্চিত্র উৎসব

‘ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন (এফএইচএফ)’ শনিবার (২৬ নভেম্বর) ঘোষণা করেছে, ভারতের সিনেমা ইতিহাসের কিংবদন্তী দিলীপ কুমারের শততম জন্মবার্ষিকী একটি চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে আয়োজন করা হবে।

উৎসবটির নাম, ‘দিলীপ কুমার: নায়কদের নায়ক’। অয়োজন করা হবে ১০ ও ১১ ডিসেম্বর, ২০২২। ‘এফএইচএফ’ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংরক্ষণবিদ শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনে আরও জানিয়েছেন, ‘আমাদের আড়ম্বরপূর্ণ এই আয়োজনের সহযোগী অংশীদার হলো প্রধান মাল্টিপ্লেক্স চেইন ‘পিভিআর সিনেমাস’।

উৎসবে দেখানো হবে সমালোচকদের বিচারেও দিলীপ কুমারের অত্যন্ত জনপ্রিয় সিনেমা-১৯৫২ সালের ‘আন’, ১৯৫৫ সালের ‘দেবদাস’, ১৯৬৭ সালের ‘রাম আউর শ্যাম’ এবং ১৯৮২ সালের শক্তি।

‘ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন (এফএইচএফ) জানিয়েছে, ভারতের সিনেমার মহা-তারকা দিলীপ কুমারের এই চারটি সিনেমা মোট ২০টি শহরের ৩১টি সিনেমা হলে দেখানো হবে।

দুঙ্গারপুর উল্লেখ করেছেন, ‘এই উৎসব বড় পর্দায় ভারতের সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম বড় অভিনেতাকে আবার ফিরিয়ে আনার একটি অসাধারণ সুযোগ তৈরি করবে।’

দিলীপ ৯৮ বছর বয়সে ২০২১ গত বছর ৭ জুলাই মারা গিয়েছেন।

দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, ‘তিনি নায়কদের সত্যিকারের নায়ক। এখনো তিনি এমন একজন অভিনেতা যার মতো সবচেয়ে বড় তারকারা হতে চান। তার জীবনের মাইলস্টোনকে উদযাপন করতে একটি চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে তার ছবিগুলোকে হলগুলোতে ফিরিয়ে আনার বাইরে আর কোনো ভালো উপায় এফএইচএফের আমরা চিন্তা করতে পারি না। এমনকি আজও তার ছবিগুলোর কয়েকটি যেগুলো আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে মুক্তি পেয়েছে, দিলীপ কুমারের অসাধারণ পারফরমেন্স, সুশৃংখল পদ্ধতিতে পেশা নির্ভর দক্ষতা এবং তার যোগ্যতায় সময়ের হিসেবের অনেক উর্ধ্বে তুলে দিয়েছে।’

এর আগে অমিতাভ বচ্চনের ৮০ বছর পূর্তিতে তিনি একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছেন।

দুঙ্গারপুর আরও জানিয়েছেন, তাকে দুঃখিত করেছে যে দিলীপ কুমারের অনেকগুলো সেরা ছবি আছে কম রেজুলেশন ফরমেটে। যেগুলো বড় পর্দায় এখন আর দেখানো সম্ভব নয়।

তিনি বলেছেন, ‘আমার জুতোয় তালি পড়ে গিয়েছে এই ছবিগুলোকে এক করতে। অনেক বড় বাধাগুলোর মোকাবেলা করতে হয়েছে। আবার অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, কেন তাদের প্রিয় দিলীপ কুমারের অন্য কয়েকটি সেরা ছবি উৎসবে অর্ন্তভুক্ত হলো না? আমি আরও মনে করি, এই উৎসবের মাধ্যমে ঘুম থেকে জাগানো হবে চলচ্চিত্র পরিচালকদের। তারা বুঝতে পারবেন, সময় দৌড়ে চলে যাচ্ছে এবং অনেক দেরি হয়ে যাবার আগেই তাদের ছবিগুলো সংরক্ষণের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

দিলীপ কুমারের স্ত্রী ও কিংবদন্তি নায়িকা-অভিনেত্রী সায়রা বানু জানিয়েছেন, তিনি পরমোল্লাসিত যে, এফএইচএফ তার স্বামী ও ভারতের মহানায়ক দিলীপ কুমারের শততম জন্মদিন এই উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সবচেয়ে মহান অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তারা এর চেয়ে সঠিক আর কোনো শিরোনাম করতে পারত না। আমার খুব পছন্দ হয়েছে-‘দিলীপ কুমার হিরো অব হিরোজ।’ তিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় অভিনেতা, যখন আমার মোটে ১২। টেকনিকালারে আমি তার প্রথম ছবি দেখলাম ‘আন’।

সায়রা বানু জানিয়েছেন, দিলীপ কুমারকে বড় পর্দায় ফিরিয়ে আনা ও তাকে সেখানে ছবিগুলোর মাধ্যমে দেখা একটি আনন্দের ব্যাপার হবে আমার জন্যও। তিনি জীবনের চেয়ে বড়, যেমন ছিলেন আমার জীবনেও।’

অমিতাভ বচ্চন অনুরোধ করেছেন ভারতের সব চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং সমকালীন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের-দিলীপ কুমারের সেরা ছবিগুলো হলগুলোতে দেখার অসাধারণ সুযোগগুলো তারা কেউ যেন না হারান। এই কিংবদন্তি অভিনেতা আরও বলেছেন, ‘তার ছবিগুলো হবে অভিনয়ের মাস্টার ক্লাস।’

অমিতাভ বলেন, ‘এমনকি আজও যখন তার ছবি দেখি আমি সব সময় কিছু না কিছু শিখতে পারি। তিনি আমার জীবনের আদর্শ ছিলেন। আমার এখনো সেই অভিনেতার সঙ্গে পরিচিত হবার ইচ্ছে আছে যিনি তার মতো ত্রুটিহীন অভিনয় করতে পারেন। নিখুঁত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বুদ্ধিমত্তা এবং অঙ্গীকার দিলীপ কুমারকে মঞ্চকলায় অনন্য আসনে নিয়ে এসেছে।’

‘তার প্রতিটি কথা ছিল কবিতা। যখন পর্দায় আসতেন, তিনি বাদে সবই ঝাঁপসা হয়ে যেত। আমার কেবল একবার এই পর্দাটিকে তার সঙ্গে ভাগ করার সৌভাগ্য হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা এখনো আমি স্বযত্নে লালন করছি’, বলেছেন তিনি।

তামিল সুপারস্টার ও কিংবদন্তি অভিনেতা কমল হাসান বলেছেন, দিলীপ কুমার ভারতের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তাকে অনুসরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছেন।

কমল হাসান আরও বলেছেন ‘জ্ঞানী, অলংকারপূর্ণ এবং পরমোৎকৃষ্ট ছিলেন তিনি তার পছন্দের ভুবনে। সিনেমা মানুষকে বিশ্বাস করাতে পারে যে, যারা চলে গিয়েছেন, তারা এখনো বেঁচে আছেন। এভাবে আমার কাছে দিলীপ কুমারজি এখনো বেঁচে আছেন বিশ্বের সেরা অভিনেতাদের একজন হিসেবে। ‘ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন (এফএইচএফ) অসাধারণ কৃতিত্বের কাজ করেছে। আমি তাদের কাছে আরো ঋণী যে, তারা আমার সম্পদগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।’

ওএফএস/এমএমএ/

Header Ad

গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (৮ মে) রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এ আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাশ করা হয়। সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এ আইন করেছে। তবে যেকোনো একটি আইন সমাজে তৈরি হলে, সে আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। এ আইনে যারা তথ্য নেবেন বা যারা তথ্য দেবেন দুই পক্ষেরই কিছু বোঝাপড়ার অভাব থাকতে পারে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু সে অস্ত্রের ব্যবহার না অপব্যবহার হবে সেটা বোঝা এবং এ আইনে যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে তাদের মধ্যে একটি সংস্কৃতিগত রূপান্তর দরকার। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় জড়তা থাকে। যেগুলো জনসম্পৃক্ত তথ্য, জনগণের যেটা অধিকার সে তথ্য দেয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার অ্যাপ্রোচ থাকা প্রয়োজন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনের অধীন যে তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে সে বিষয় নিয়ে অনেক সময় যারা তথ্য চাইবেন তাদের পক্ষ থেকেও কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কোনো তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোনো তথ্য গোপন তথ্য সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে, এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ এ ধরনের অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশল বাস্তবায়নের আগপর্যন্ত অনেক সময় গোপন রাখতে হয়। এগুলো প্রকাশ করলে অনেক সময় বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং স্পর্শকাতর তথ্য এসবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য করতে হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সব পক্ষের করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য তথ্য এবং জাতীয় স্বার্থে যেগুলোক পৃথিবীর সব দেশে স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য হিসেবে ধরা হয় সেগুলোর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরও প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেন এ আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন, এ আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার উপযোগিতা আমরা সমাজে পাই। একইসঙ্গে এ আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। যাদের এ আইনের অধীনে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যেন তথ্য চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়। জনগণের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যম তথ্য চাইবে, সে তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, ততো গুজব বা অপপ্রচার হওয়ার সুযোগ কম হবে।

তিনি আরও বলেন, যে তথ্য জনগণের বলে তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে। এ তথ্যগুলো যত দ্রুততার সঙ্গে সহজলভ্য করা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এ ধরনের অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের জন্য তত ভালো। আমাদের সবার এ মানসিকতা তৈরি করা দরকার যে, সঠিক তথ্য যত দ্রুত জনগণের কাছে চলে আসবে- এটা আমাদের জন্য মঙ্গল।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার চায় তথ্য অধিকার আইনের আওতায় যারা তথ্য দেবেন না, তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে যেন কোনো ধরনের জড়তা বা মানসিক বাধা না থাকে। সরকার আরও চায় সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্য সহজলভ্য করুক। আর যারা তথ্য চাইবেন আমরা চাই তথ্য অধিকার আইন তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই আইন ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি হোক সেটাও আমরা চাই; যাতে এ আইনের অপব্যবহার কেউ না করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য দেওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সহজলভ্য করা হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, অপসংবাদিকতা হলে তার সবচেয়ে বড় শিকার হয় পেশাদার সাংবাদিকরা। অপপ্রচার হলে পেশাদার সাংবাদিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব আইনেই কিছু অসৎ ব্যক্তি অপব্যবহারের সুযোগ নিতে চায়। সেটা আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে; কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ব্যবহার করে কোনো সাংবাদিকতার চর্চা আটকে দেওয়ার সুযোগ নেই। সিএসএ পেশাদার সাংবাদিকতাকে সুরক্ষা দেবে।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম।

দুই দিনের ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা দুই দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর এ‌টি দি‌ল্লির কোনো প্রতি‌নি‌ধির প্রথম ঢাকা সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো দিল্লি সফরের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। ওই দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকা সফরের সময় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও ভারত আগামী জুন মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের বিষয়টি মোটামুটি চূড়ান্ত করেছিল। এখন প্রধানমন্ত্রীর ওই সফর পিছিয়ে জুলাইয়ে আয়োজন করতে চাইছে ভারত। ঢাকা সফরের সময় বিনয় কোয়াত্রা এটি বাংলাদেশের কাছে তুলে ধরতে পারেন।

ছেলে-পুত্রবধূর অপমান সইতে না পেরে বৃদ্ধ মা-বাবার বিষপান

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের গুরুদাসপুরে ছেলের ওপর অভিমান করে মা-বাবার এক সঙ্গে বিষ পানের ঘটনা ঘটেছে। স্বজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষপানে গুরুতর অসুস্থ বাবা-মা হলেন- মো. আলম শেখ (৬০) ও নাজমা বেগম (৫০)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলম শেখ বলেন, আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। ছেলে সবুজ শেখকে সব জমি-জমা লিখে দিয়েছি। ছেলে কথা দিয়েছিল সংসারের সকল দায়িত্ব নেবে এবং আমার সব ঋণ পরিশোধ করবে। কিন্তু জমি লিখে নেওয়ার পর ছেলে কথা রাখেনি। এদিকে ঋণের কারণে পাওনাদারদের অপমান-অপদস্থ সহ্য করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ছেলে ও ছেলের বউ এর দুর্ব্যবহার তো রয়েছেই। তাই অতিষ্ঠ হয়ে স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে বিষপান করেছেন বলে জানান তিনি।

মা-বাবার বিষপানে আত্মহত্যাচেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলে সবুজ শেখ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. স্নিগ্ধা আক্তার জানান, বিষপান করে দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে আলম শেখের স্ত্রী নাজমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
দুই দিনের ঢাকা সফরে এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
ছেলে-পুত্রবধূর অপমান সইতে না পেরে বৃদ্ধ মা-বাবার বিষপান
৪৬তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ হতে পারে আগামীকাল
জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
ফের আলিয়া ভাটের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস!
‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সিরাজ গ্রেপ্তার, দুই দিনের রিমান্ডে
এক লাফে ডলারের দাম বাড়ল ৭ টাকা
আজ বিশ্ব গাধা দিবস, পালন করা হয় যেভাবে...
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাইকার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
বগুড়ায় ব্যালট পেপার বাইরে দেওয়ায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীর এজেন্ট আটক
জাতীয় দলে ফিরলেন সাকিব-মুস্তাফিজ-সৌম্য
ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
মাদারীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, আহত ১০
দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভোট কারচুপির অভিযোগে ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভোট বর্জন
মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুপক্ষের মারামারি, আহত ৫০
নওগাঁর ভোট কেন্দ্রগুলোতে নেই ভোটার উপস্থিতি