মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চীনে ইসলামি ধাঁচের শেষ মসজিদটিরও গম্বুজ উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক আবহের বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা চীনের সর্বশেষ প্রধান মসজিদটি তার গম্বুজ হারিয়েছে। আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে এর মিনারগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশটির মুসলমানদের উপাসনালয়গুলোকে চাইনিজ স্টাইলে করার জন্য একটি সরকারি প্রচারণা সমাপ্ত হলো। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের ছোট্ট শহরের সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদ।

গত বছর পর্যন্ত ২১ হাজার বর্গমিটারের মসজিদ মভনটির মাথায় টাইলসের সবুজ গম্বুজ ছিল। একটি অর্ধচন্দ্র, চারটি ছোট গম্বুজ ও উঁচু মিনারের সমন্বয়ে সজ্জিত ছিল এটি। ২০২২ সালের স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যায়, মসজিদের প্রবেশপথটি উজ্জ্বল কালো টাইলস দিয়ে তৈরি একটি বড় অর্ধচন্দ্র এবং তারা দিয়ে সজ্জিত।

অথচ এ বছরের স্যাটেলাইট চিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে দেখা যায়, মসজিদের গম্বুজটি সরানো হয়েছে এবং হান চীনা স্টাইলের প্যাগোডার ছাদ দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মিনারগুলো ছোট করে প্যাগোডা টাওয়ারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। কেবল অর্ধচন্দ্র এবং তারা টাইলসের একটি ক্ষীণ চিহ্ন দৃশ্যমান রয়েছে, যা একসময় মসজিদের সামনের ছাদকে চিহ্নিত করেছিল।

শাদিয়ান থেকে ১০০ মাইলের কম দূরত্বে অবস্থিত ইউনানের আরেক ঐতিহাসিক মসজিদ নাজিয়াং-এও সম্প্রতি সংস্কারের মাধ্যমে ইসলামিক বৈশিষ্ট্যগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

২০১৮ সালে চীন সরকার 'ইসলামের সিনিফিকেশন' নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে। পরিকল্পনার একটি অংশ ছিল 'বিদেশি স্থাপত্যশৈলী' প্রতিরোধ করা এবং ইসলামী স্থাপত্যগুলো চীনা বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ করা। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ফাঁস হওয়া একটি মেমোতে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে 'আরও ভেঙে ফেলার এবং কম নির্মাণের নীতি মেনে চলার' নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত্ববিদ রুসলান ইউসুপভ বলেন, এই বড় দুটি মসজিদ চীনা 'ইসলামের সিনিফিকেশন' অভিযানের সাফল্যকে নির্দেশ করে। গ্রামে থাকা আরব রীতির ছোট ছোট মসজিদ অবশিষ্ট থাকলেও স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে সিনিকাইজেশনের বিরোধিতা করা কঠিন হবে।

চীনের প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ইতিহাসের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ হান্নাহ থেকার বলেন, মসজিদ সিনিকাজেশন অভিযান 'প্রদেশ বাই প্রদেশ' এগিয়ে গেছে। বেইজিংয়ের অন্যতম দূরবর্তী প্রদেশ ইউনানকে সর্বশেষ সিনিকাজেশন অভিযান চালানো হয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক চীনা হুই কর্মী মা জু বলেন, চীনা সরকারের এই সংস্কার 'ধর্ম ও জাতিসত্তা ধ্বংস করার একটি স্পষ্ট বার্তা'।

মিং রাজবংশের সময় একটি বিদ্রোহে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে পিপলস লিবারেশন আর্মি এই অঞ্চলে হুই মুসলমানদের বিদ্রোহ দমন করে। সে সময় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে সরকারি সহায়তায় গ্র্যান্ড মসজিদটি পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হয়।

সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত মসজিদে নববীর মতো করে শাদিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদটির নকশা করে তৈরি করা হয়েছিল। এটিতে তিনটি প্রার্থনা কক্ষ এবং ১০ হাজার মুসল্লির ধারণক্ষমতা রয়েছে।

হুই একটি চীনা মুসলিম জাতিগত সংখ্যালঘু, যাদের বেশিরভাগই পশ্চিম চীনে বাস করে। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি হুই মানুষ আছেন, যা উইঘুরদের সমান জনগোষ্ঠী।

মসজিদগুলোর পুনঃনির্মাণের বিরোধিতাকারী একজন হুই মুসলিম বলেন, শাদিয়ান মসজিদ শুধু সাদিয়ান নয়, সব মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা বড় ক্ষতি।

চীন ছেড়ে চলে যাওয়া এক মুসলিম ব্যক্তি নিজের নিরাপত্তার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, আমরা কেবল আমাদের শেষ মর্যাদাটুকু রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। কারণ, শাদিয়ান ও নাজিয়াইং ছাড়া দেশের প্রতিটি মসজিদকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।

স্থাপত্যশৈলীর পাশাপাশি গ্র্যান্ড মসজিদে আনা আরেকটি পরিবর্তন হলো, ভবনের সামনের অংশে সোনার প্রলেপযুক্ত আরবি লেখার নিচে নতুন করে 'চীনা অক্ষর' যুক্ত করা হয়েছে। চীনা লেখাটি হলো: 'সর্বোচ্চ সত্যের রাজকীয় প্রাসাদ'- যা একটি তাওবাদী শব্দ। এর আগে লেখাটি সাদিয়ানের মসজিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না।

ধর্ম নিয়ে লেখা বই 'দ্য সোলস অব চায়না'র লেখক ইয়ান জনসন বলেন, এই মসজিদের দুঃখজনক ইতিহাস- বিশেষ করে হান উগ্র জাতীয়তাবাদের কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছিল। এখন নতুন করে মসজিদটির পুনর্গঠন ও পুনঃনামকরণ স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মুছে ফেলার আরেকটি প্রচেষ্টা।

২০১৪ সালে চীন সরকার উইঘুরদের বিরুদ্ধে 'কঠোর' অভিযান শুরু করে, যারা মূলত জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বাস করে। নীতিগুলোর মধ্যে নিপীড়নমূলক নজরদারি ব্যবস্থা এবং ইসলামী বিশ্বাসের বিস্তৃত প্রকাশের জন্য কঠোর শাস্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই অভিযানের ফলে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক মিলিয়ন উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু বিচারবহির্ভূত আটক বা বন্দির শিকার হয়। জাতিসংঘ সে সময় বলেছিল, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে। চীন সরকার চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় বলে তার নীতির পক্ষে সাফাই গেয়েছে।

আর ২০১৮ সাল থেকে ইসলামি স্থাপত্যের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে চীন সরকারের অভিযানের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮ সাল থেকে চীনজুড়ে ২ হাজার ৩০০টি মসজিদের তিন-চতুর্থাংশ পরিবর্তন বা ধ্বংস করা হয়েছে। গত বছর নাজিয়াইং মসজিদে পরিকল্পিত সংস্কারের প্রতিবাদে শত শত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অবশেষে বিক্ষোভ দমন করা হয় এবং সংস্কার কাজ এগিয়ে যায়। তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রামে হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের সমন্বয়করা কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের বাদ দিয়ে নারী হেনস্তায় অভিযুক্ত, কিশোর গ্যাং সদস্য ও ব্যবসায়ীদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘এই কমিটি বাতিল করতে হবে। যদি বাতিল না হয়, তাহলে হাসনাত আব্দুল্লাহ চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত হবেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের একাংশের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সিয়াম ইলাহি, জুবাইর মানিক ও আব্দুল বাছির নাঈম। তারা বলেন, ‘যারা আন্দোলনে মাঠে ছিল, তাদের বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীদের নেতৃত্বে বসানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি এবং পদত্যাগ করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা অভিযোগ করেন, ‘নারী হেনস্তায় অভিযুক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। অথচ আমরা কেন্দ্রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখনো তা করা হয়নি। উল্টো তাদেরই নেতৃত্বে বসানো হয়েছে।’

সিয়াম ইলাহি বলেন, ‘এই কমিটির মাধ্যমে আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে। যারা রক্ত দিয়েছে, যারা আহত হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসাদের কমিটিতে বসানো হয়েছে।’

জুবাইর মানিক বলেন, ‘আন্দোলনের সময় যারা পাশে ছিল না, তারাই এখন নেতা সেজেছে। অথচ আহতদের পাশে যারা ছিল, তারা মূল্যায়নই পায়নি। এটা শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’

আব্দুল বাছির নাঈম বলেন, ‘বিচার ও আহতদের পাশে থাকা কর্মীদের মূল্যায়ন না করে যারা চাঁদাবাজি করেছে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে, তাদেরই কমিটিতে বসানো হয়েছে। এটি চট্টগ্রামের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না।’

তিন দফা দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ‘যদি দাবি না মানা হয়, তাহলে চট্টগ্রামে কঠোর আন্দোলন হবে। এর দায়ভার হাসনাত আব্দুল্লাহকেই নিতে হবে।’

তাদের দাবিগুলো হলো— বিকেল ৩টার মধ্যে নতুন কমিটি বাতিল করে অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করতে হবে। তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে। কমিটি গঠনের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়করা আরও বলেন, ‘বীর চট্টলায় অন্যায় কমিটি টিকবে না। আন্দোলনকারীদের বঞ্চিত করলে আমরা রাজপথে নামবো।’

এর আগে, সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর ৩১৫, জেলা উত্তরে ১১২, জেলা দক্ষিণে ৩২৭ সহ মোট ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

Header Ad
Header Ad

ক্ষমতার থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন: মির্জা ফখরুল

যশোর টাউন হল ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপদেষ্টা পরিষদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘ক্ষমতার খায়েস থাকলে পদত্যাগ করে দল করে নির্বাচন করুন।

আমাদের কোন‌কিছু লুকোছাপা নেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। এ দেশের মানুষ সংস্কার কি বুঝে না। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি‌ সহনীয় পর্যায়ে রাখা, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘জাতীয় সরকার নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিলে আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। প্রবলেম শুরু হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

সভায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। সংস্কার করবে জনগণ ও তাদের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার সেটা করে নির্বাচন দিন।’

তিনি ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি দায়িত্ব নেয়ায় আশ্বস্ত হয়েছিলাম। আমরা আশাবাদী আপনি দ্রুত নির্বাচন দেবেন। যত দ্রুত নির্বাচন দেবেন, তত দ্রুত দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যশোর খুলনা অঞ্চলে পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা নিরসন করা হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এর স্থায়ী সমাধান করা হবে।’

সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

 

Header Ad
Header Ad

পানিবণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে: তারেক রহমান

লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির সমাপনী জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন যে, পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশকে যথাযথ সম্মান দিচ্ছে না এবং অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে। তিনি বলেন, তিস্তার পানি বাংলাদেশের অধিকার, এটি কারও করুণা নয়।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচির সমাপনী জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, "উত্তরাঞ্চলের তিস্তাপাড়ের পানিবঞ্চিত মানুষ আজ সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চায় যে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে, সেগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকার। অথচ আমাদেরকে এর জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে।"

নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "নির্বাচনের কথা বললেই সরকারের কিছু উপদেষ্টা বিচলিত হয়ে পড়েন।"

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে সোমবার থেকে রংপুরের পাঁচ জেলার ১১টি পয়েন্টে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচি পালন করছেন তিস্তাপাড়ের সর্বস্তরের মানুষ।

তারেক রহমানের বক্তব্যে পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রামে হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
ক্ষমতার থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন: মির্জা ফখরুল
পানিবণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে: তারেক রহমান
পরিবর্তন হচ্ছে র‍্যাবের নাম: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অতীতের মত এবারও যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন করা হবে : ফারুকী
পলকের স্ত্রীর ২৮ বিঘা জমি ক্রোক, ১৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সানীর অকাল মৃত্যুতে নাটকের সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন
প্রজ্ঞাপন জারি করে অবশেষে পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল
ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রদল সংঘর্ষ চলছে, আহত অন্তত ১০
আজহারুলের মুক্তি ও নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে নওগাঁয় জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ৪ লাশ উদ্ধার, যা জানা গেল
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়া উচিত: আসিফ মাহমুদ
ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে রিয়াদে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
ফেসবুকে হরতাল ডেকে কোথাও নেই আওয়ামী লীগ! (ভিডিও)
ইডেনে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী বৈশাখি আটক
খালেদা জিয়া হবেন রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি নেতা লালু
আইনি প্রক্রিয়া মেনেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছিল: উপদেষ্টা
বিয়ে ছাড়াই ২৩ বছর বয়সে মা হয়েছেন শ্রীলীলা!
৭ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে পালিয়ে ১০ বছর, অবশেষে গ্রেপ্তার
রিয়াল-আতলেতিকোকে হটিয়ে আবারও শীর্ষে বার্সেলোনা