রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

গাজায় ঈদের পরদিন ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৫

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের আনন্দ ভুলে ভয়াবহ মৃত্যু ও ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন, ৭ জুন শনিবার, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর একাধিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছে এক পরিবারের ১৬ জন সদস্য, যাদের ৬ জনই শিশু।

গাজা সিটির সাবরা এলাকায় বসবাস করা ওই পরিবারটি রাতের আঁধারে হামলার শিকার হয়। গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল জানান, হামলার আগে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা বা সাইরেন দেওয়া হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অন্তত ৮৫ জন আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “এটি ছিল ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিত গণহত্যা। নিহতদের সবাই বেসামরিক মানুষ, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।”

গাজা সিটির বাসিন্দা হামেদ কেহিল বলেন, “অতীতে ঈদের সকালে আমরা আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে মিলিত হতাম। এবারের ঈদে আমরা কফিন কাঁধে নিয়েছি। শিশুরা নতুন পোশাকের বদলে পড়েছে রক্তে ভেজা কাপড়।”

অন্য আরেক বাসিন্দা হাসান আলখোর বলেন, “গত দুই বছরে ইসরায়েল যা করেছে, তার জন্য একদিন নেতানিয়াহুকে সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।”

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তাদের শনিবারের হামলার লক্ষ্য ছিল হামাসের সামরিক শাখার শীর্ষস্থানীয় নেতা আসাদ আবু শারিয়া। তাকে হত্যা করতে গিয়ে অসংখ্য সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারায়।

এর আগের দিন, ঈদের প্রথম দিন ৬ জুনেও, গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৪২ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল অভিমুখী হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫৪,৬৭৭ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১,২৫,৫৩০ জন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মার্চ থেকে ইসরায়েল খাদ্য, ওষুধ ও ত্রাণবাহী গাড়িগুলোকেও গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে যুদ্ধ, ক্ষুধা ও চিকিৎসার অভাবে গাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

হামাস কর্তৃক অপহৃত ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনো প্রায় ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ জানিয়েছে, সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।

জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহলের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল না করা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া চুক্তি উপস্থাপন করা হলেও, এখন পর্যন্ত হামাস তা অনুমোদন করেনি।

Header Ad
Header Ad

ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছেন না রোনালদো, জল্পনায় ইতি

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

ক্লাব বিশ্বকাপে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অংশগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘদিনের জল্পনার অবসান ঘটেছে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, আসন্ন টুর্নামেন্টে খেলছেন না তিনি।

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য রোনালদোর অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রোনালদোকে হয়তো কোনোভাবে টুর্নামেন্টে আনা যেতে পারে।

তবে সব জল্পনায় পানি ঢেলে রোনালদো জানালেন, “আমি ক্লাব বিশ্বকাপে যাচ্ছি না, যদিও অনেক আমন্ত্রণ পেয়েছি।”

বর্তমানে জাতীয় দলের ইউরো প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকা এই পর্তুগিজ তারকা আরও বলেন, “এটা এখন অপ্রাসঙ্গিক। জাতীয় দল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে কথা বলার মানে নেই। আমাকে দীর্ঘমেয়াদী ভাবতে হয়।”

এর আগে আল নাসরের হয়ে মৌসুম শেষ করার পর সামাজিক মাধ্যমে রোনালদোর একটি মন্তব্য ("এই অধ্যায় শেষ। গল্প? এখনও লেখা হচ্ছে।") তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন বাড়িয়ে দেয়। এরপর ক্লাব বদলের গুঞ্জন আরও জোরালো হয়।

তবে রোনালদোর স্পষ্ট বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে—ক্লাব বিশ্বকাপ নয়, আপাতত তার মনোযোগ শুধুই জাতীয় দলের উপর।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীমুখী যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানানো হয়েছে।

রবিবার (৮ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি দেশে করোনা সংক্রমণের হার আবারও কিছুটা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে জনসমাগমপূর্ণ স্থানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বিশেষভাবে বয়স্ক, অসুস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ নাগরিকদের প্রতি জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার আলোকে রেল মন্ত্রণালয় ট্রেনে ঈদের ফিরতি যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং অবশ্যই মাস্ক পরার জন্য যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ ধরনের সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে, যাতে যাত্রা আনন্দদায়ক ও নিরাপদ হয়।

Header Ad
Header Ad

‘মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ’, কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

টেসলা-স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলা-স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন নতুন মোড় নিয়েছে। একসময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য আলোচনায় থাকা এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক এখন ভেঙে গেছে—এমনটিই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই।

রবিবার (৮ জুন) বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, আমি ধরেই নিচ্ছি সম্পর্ক শেষ।” মাস্কের সঙ্গে আবার যোগাযোগ কিংবা সম্পর্ক মেরামতের কোনো আগ্রহও যে তার নেই, সেটাও সাফ জানিয়েছেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্প ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ইলন মাস্ক যদি ডেমোক্রেট পার্টিকে আর্থিক সহায়তা দেন, তবে তাকে “গুরুতর পরিণতির” হুমকিও দিয়েছেন। যদিও সেই পরিণতি কী ধরনের হতে পারে, তা বিস্তারিত বলেননি তিনি।

এদিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও মাস্ককে সতর্ক করেছেন, জানিয়ে দিয়েছেন—ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়ানো বড় ভুল।

এই উত্তেজনার সূচনা গত সপ্তাহে, যখন ইলন মাস্ক সামাজিক মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর ও ব্যয় নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। মাস্ক নীতিগুলোকে ‘জঘন্য’ বলে আখ্যায়িত করেন, যা ওভাল অফিস পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া ছড়ায়। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বৈঠকে উত্তেজনার চূড়ান্ত দেখা যায়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেদরিখ মের্জ। বিবিসি জানিয়েছে, ওই সময় প্রেসিডেন্টের আচরণ ছিল যেন এক প্রত্যাখ্যাত প্রেমিকের মতো।

মাস্কের অভিযোগ, ট্রাম্প তার পূর্ব সমর্থনের গুরুত্ব এখন অস্বীকার করছেন। তিনি বলেন, “এত অকৃতজ্ঞতা।” মাস্কের মতে, তার আর্থিক সহায়তা ও প্রভাব ছাড়া রিপাবলিকানদের জয়ের পথ হয়তো সহজ হতো না।

এদিকে ট্রাম্পের দাবি, ইলন মাস্ক এখন অবস্থান পরিবর্তন করছেন কারণ বৈদ্যুতিক যানবাহনের ওপর করছাড় বন্ধ হওয়ার ফলে টেসলা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মাস্ক অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লেখেন, তিনি গাড়ির ভর্তুকি নিয়ে চিন্তিত নন, বরং জাতীয় ঋণ কমানোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছেন না রোনালদো, জল্পনায় ইতি
ঈদের ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ
‘মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ’, কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের জন্য ওয়ার্ক ও ওমরাহ ভিসা স্থগিত করল সৌদি
কারাগারে ঈদের আনন্দ, বন্দিদের গান শোনালেন নোবেল
ঢাকায় ১২ ঘণ্টারও কম সময়ে কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে: আসিফ মাহমুদ
আজ বিশ্ব সমুদ্র দিবস
আজ চলাচল করবে যেসব ট্রেন
গাজায় ঈদের পরদিন ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ৭৫
ঈদের নামাজে বাধা নিয়ে বিরোধ, সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপি কর্মী নিহত
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মারা গেছেন
পাকিস্তান-তুরস্ক-চীনের অদৃশ্য জোটে চাপে ভারত
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়: ট্রাম্প
রাজধানীতে কোরবানির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়
ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা
আরাফাতের ময়দানে হজের সময় সন্তানের জন্ম দিলেন টোগোর নারী
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২৬ জন, মোট মৃত্যু ২৩
রাজধানীতে কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে আহত ৭৭ জন
ঈদ মৌসুমে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস, সতর্ক থাকতে বলছে আবহাওয়া অফিস
ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা নিহত