শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাশিয়া একের পর এক ইউক্রেনের শহর ধ্বংস ও দখল করছে

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের গতিপথে কেবল পরিবর্তনই আসেনি। বরং খুব দ্রুত গতিতে এটি ঘটছে। ‘আমরা জানি কী আসছে,’ কস্টিয়ানটিনিভকায় নিজের ফ্ল্যাটের জিনিসপত্র প্যাকিং করার সময় একটি টেলিভিশনকে বলছিলেন মারিয়া। কিয়েভে ছেলের কাছে রওনা দেয়ার আগে এগুলো পাঠিয়ে দিবেন তিনি।

‘আমরা ক্লান্ত এবং মুড ও প্যানিক অ্যাটাকে ভুগছি। একটানা বিষন্নতায় ভুগছি এবং আমরা ভীত।’ গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর আভডিভকা দখলের পর থেকে আরো পশ্চিমে অগ্রসর হচ্ছে এবং আর কিছু গ্রাম দখল করে নিয়েছে।

ইউক্রেন বলছে, তাদের সেনারা অবস্থান ধরে রেখেছে। কিন্তু রাশিয়ার সেনারা এখন রণাঙ্গনের প্রায় ১১ শ’ কিলোমিটার জুড়ে পাঁচটি এলাকায় আক্রমণ করছে।

এখন তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলে, যেখানে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের ব্যাপক পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে।

পোকরোভস্ক, কস্টিয়ানটিনিভকা এবং ক্রামাতরস্ক শহরগুলোর মানুষ এখন দ্রুত অগ্রবর্তী রুশ ফ্রন্টলাইনের মুখে, দখলদারিত্বের মুখোমুখি।

মারিয়া ও তার মা তেতিয়ানা বুঝতে পারছেন যে রাশিয়ানরা যতই এগিয়ে আসছে, জীবন ততই কঠিন হয়ে আসছে। তাদের শহরের থেকে আক্রমণের শঙ্কায় আচ্ছন্ন। মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরেই রুশ বাহিনীর সম্মুখভাগের অবস্থান। প্রায় সব সড়কেই ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দেখা মিলছে।

সেখানেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হওয়া একটি ট্রেন স্টেশনের কাছে একটি গির্জায় গোল্ড প্যানেল সংযোজন করছিলেন শ্রমিকরা।

এই শহরের ঠাণ্ডা বাতাস এখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় পরিপূর্ণ। শহরটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কার একটি শিল্প এলাকা।

রাশিয়া এগুলো দখলের জন্য ধীরে ধীরে ইউক্রেনের একের পর এক শহর ধ্বংস করছে। সে কারণেই ভয় ছড়িয়ে পড়েছে এখানে।

মারিয়া জানাচ্ছিলেন, তার মা এখানে থাকবেন। যদিও তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তার মাও তাকেই অনুসরণ করবেন।

‘এখানে সবজায়গাই এখন ভয় পাওয়ার মতো। পুরো দেশ আগুনের মুখে।’

তার চোখ ভিজে যাচ্ছিল। একটি বিষয় হলো, যতটা সম্ভব নিজের বাড়িতে থাকা। কিন্তু আরেকটি বিষয়ক হলো, মৃত্যু বা রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি।

পুরো ইউক্রেন এখন যুদ্ধরত এলাকা; দোনেৎস্ক অঞ্চলসহ আরো চারটি এলাকা এখন রণাঙ্গন।

এখানকার ঘন ও প্রসারিত বনজঙ্গল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হবে আপনি সঙ্ঘাতের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন।

আপনি ৪০ কিলোমিটার দূর থেকেও ভারী গোলার শব্দ শুনবেন। কোনো একটি এলাকা থেকে আপনি দেখতে পাবেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড ভেঙে যাওয়ার দৃশ্য।

আভডিভকার দিক থেকে আসতে দেখা যাবে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। শহরটি সম্প্রতি দখল করেছে রাশিয়া। আর ২০১৪ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হরলিভকা।

নিজের আকার, এয়ার সুপিরিওরিটি ও অস্ত্র বারুদ ব্যবহার করছে রাশিয়া। এর কাছেই চমৎকার উপত্যকা। এখানকার প্রাকৃতিক ভুদৃশ্যশোভিত এলাকাটিতেই ইউক্রেনের সৈন্যরা ‘ফ্রন্ট লাইন’ বানিয়েছে।

ইউক্রেনের জেনারেলদের আশা কিছু এলাকা সাময়িকভাবে তারা হারালেও দীর্ঘমেয়াদে এসব এলাকা মুক্ত করতে পারবেন তারা।

যদিও সবার জন্য তা প্রযোজ্য নয়। কিছু মানুষ শুধু তাদের বাড়িঘর পরিত্যক্ত করে চলে যেতে রাজি নয় এবং প্রতিদিনকার বিপদসংকুল পরিস্থিতির সাথে তারা অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন।

তবে ভ্যালেরি তেমন নন। নিজের বাড়িতে দুই দফা গোলা বর্ষণ হওয়ার পর তিনি জিনিসপত্র নিয়ে নাতির হাত ধরে গিয়েছেন পিকআপ পয়েন্টে।

অথচ রাশিয়ানরা যখন পাঁচ কিলোমিটার দূরে তখনো তার প্রতিবেশীরা ঘর ছাড়তে রাজি হননি। পরে তিনি নাতিসহ পুলিশের একটি সশস্ত্র বাহনে উঠে বসেন।

‘আমার জীবন আমি কাটিয়েছি। কিন্তু আমাকে এ বাচ্চাটিকে রক্ষা করতে হবে। ২০ বছর খনিতে কাজ করেছি তাই কিছুতেই ভয় পাই না। কিন্তু তার (নাতি) জন্য আমি উদ্বিগ্ন।’

১৪ বছর বয়সী ডেনি বলছিলেন যে তার শেষ বন্ধুটিও চলে গেছে তিন সপ্তাহ আগে।

রণাঙ্গনের ফ্রন্ট লাইন থেকে শিশুসহ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া অত্যাবশ্যকীয়। যদিও কমপক্ষে ১৫টি শিশু এখন টরেৎস্ক শহরে।

পুলিশের উদ্ধারকারী দলের সদস্য অ্যান্টন প্রন ফ্রন্ট লাইন এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে সহায়তা করছিলেন। তিনি জানান যে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

‘তারা প্রতিনিয়ত গোলাবর্ষণ করছে। রাশিয়ানরা এমনকি আবাসিক এলাকার বাড়িঘরে বোমা বর্ষণ করছে।’

এখন কাছের ক্রামাটরস্ক শহরের ট্রেন স্টেশনটি সৈন্যদের আসার আর বেসামরিক নাগরিকদের তল্পিতল্পাসহ চলে যাওয়ার জন্য শেষ স্টপেজ।

মূলত গোলাবারুদের শব্দই এখানে কাউকে স্বাগত জানায় কিংবা কারো বিদায় নেয়ার কারণ হয়।

ট্রেনের প্লাটফর্মে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেয়ার দৃশ্য দেখা যায়। ট্রেনগুলোকে বিশেষ সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে যাতে অন্তত ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করা যায়।

২০২২ সালে এখানে কমপক্ষে ৬১ জন নিহত হয়েছে। এখানেই কিয়েভের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আললা।

‘এক বছর আগে ভেবেছিলাম পশ্চিমারা আমাদের সহায়তা করবে কিন্তু এখন আর তা আশা করি না।’

‘মানুষ আগে বিশ্বাস করতো কিন্তু এখন আর না।’

ইউক্রেন বিশ্বাস করে এর পূর্বাঞ্চলীয় ভূমি আবার বসবাসের জন্য নিরাপদ হবে। তবে এখন এটা পরিষ্কার নয় যে যারা চলে যাচ্ছেন তারা আবার কবে ফিরবেন। আসলে রাশিয়ানরা কোথায় গিয়ে থাকবে তার উত্তর দেয়াই এখন কষ্টকর। সূত্র : বিবিসি

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত গম বাংলাদেশে আমদানি হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। একই সঙ্গে এই গম আমদানিতে জড়িত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বানও জানাবে দেশটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ভারতস্থ রাষ্ট্রদূত ওলেক্সান্ডার পোলিশচুক জানান, বাংলাদেশ সরকারকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তার ভাষায়, "আমরা একাধিকবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু কোনো জবাব পাইনি। ফলে এখন বিষয়টি ইইউতে তোলা হবে।"

রাষ্ট্রদূতের দাবি, রাশিয়ার কিছু কোম্পানি ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চল থেকে শস্য সংগ্রহ করে তা রাশিয়ার উৎপাদিত গমের সঙ্গে মিশিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করছে—যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বেআইনি এবং 'অর্থনৈতিক লুটপাটের' শামিল।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে বলা হয়, ইউক্রেনের নয়াদিল্লি দূতাবাস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিক চিঠিতে ১.৫ লাখ টনের বেশি ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কফকাজ বন্দর থেকে এই গমগুলো আমদানি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল কৃষিভূমি ও ক্রিমিয়া দখল করার পর থেকেই ‘চুরি করা গম’ রপ্তানির অভিযোগ করে আসছে কিয়েভ। ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ওই অঞ্চল এখন তাদের ভূখণ্ড এবং সেখানকার শস্য রপ্তানি বৈধ।

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বাংলাদেশের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই চুরি করা গম আমদানি করে না। রাশিয়ার অধিকৃত কোনো এলাকা থেকে গম আনার প্রশ্নই ওঠে না।”

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট