রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরি বিক্রি! দুর্নীতির বীজ থেকে অপরাধের মহীরুহ

মাত্র কয়েক বছর আগে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে জোয়ার নামিয়ে এনেছিল বাংলাদেশের ছাত্র ও যুবসমাজ। গঙ্গাপারের শহর কলকাতায়ও গত প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রছাত্রী তথা যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন। ধারে ও ভারে কিংবা চরিত্রে শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে কলকাতার যুব-আন্দোলনের মিল না থাকলেও স্পিরিটটা মোটামুটি একই রকম।

আন্দোলনকারীরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউয়ের পর্ব শেষ করে চাকরির প্যানেলে নাম তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, তাঁদের সেই ন্যায্য চাকরি পেয়ে গিয়ে চাকরি শুরু করে দিয়েছেন হাজার হাজার অযোগ্য প্রার্থীরা। চাকরির দাবিতে সেই থেকে তাঁদের আন্দোলনের সূত্রপাত।

এর পরের পর্যায়ে কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া। সেখানে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা মিলে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেই সরকারি শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছেন অযোগ্য প্রার্থীদের। সাত থেকে ১৮ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই চাকরিগুলি। এখনও চলছে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া।

এই মুহূর্তে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দপ্তরের প্রায় সব শীর্ষ কর্তাই জেলে রয়েছেন। এই শীর্ষ নেতাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেড়শো কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ (চাকরি বিক্রির টাকা)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অনশনরত সেই চাকরিপ্রার্থীদের ওপর চড়াও হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ। লাঠিপেটা করে তুলে দেওয়া হয় সেই চাকরি প্রার্থীদের। ওই ঘটনার পর থেকে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে পরিস্থিতি।

বিরোধী দলগুলি রাস্তায় নেমে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিষোদ্গার করতে শুরু করেছেন অপর্ণা সেনের মতো সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। কয়েকটি পরিসংখ্যানের ওপর নজর রাখলে বোঝা যাবে চুরির পর চুরির অভিযোগে বিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যকে ঠিক কোন খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে।

পরিসংখ্যান ১: তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ দুর্নীতির জেরে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী রাজপথে আমরণ গণঅনশন করছেন। তাঁরা প্রতীকী লাশ হয়েছেন। এ রাজ্যে গত বাম সরকারের ৩৪ বছরে এমন দেখা যায়নি।

পরিসংখ্যান ২: বিজেপি জোট শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। কর্মচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আত্মহত্যা ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৪২ জন। বাংলাভাষী এই রাজ্যে গত ২৫ বছরের বাম আমলে এমনটি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা এই দুটি রাজ্য থেকেই বাম সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরে গেছে। দুটি রাজ্যেই ক্ষমতায় দক্ষিণপন্থীরা। দুই রাজ্যে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

পরিসংখ্যান ৩: সিপিআইএম নেতৃত্বে কেরল সরকার ঘোষণা করেছে বিপুল শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। দেশের প্রথম সারির সব গণমাধ্যমের খবর, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতায় যে কোনও উন্নত দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে কেরল সরকার। উপরোক্ত পরিসংখ্যানগুলি জানিয়ে দিচ্ছে সবই সরকারের ইচ্ছে। অভিযোগ, সদিচ্ছার অভাব হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। যেমন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় কর্মচ্যুত শিক্ষকের মৃত্যুর পর অর্থাভাবে তাঁর স্ত্রী চিতায় উঠে সন্তানসহ সহমরণ করতে যান। শতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকার মৃত্যু হয়।

এদিকে টেক চাকরি প্রার্থীদের কলকাতায় গণঅনশনের জীবন্ত লাশ হওয়া ছবি ভয়াবহ ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছ। বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে এই ছবি। সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে যদি এই প্রতীকী লাশ বাস্তব হয়ে যায়? গত সোমবার থেকে সল্টলেকে অনশন বিক্ষোভ জারি রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ অন্ন, জল কিছুই নামেনি গলা দিয়ে। যার জেরে অচল হয়ে পড়ছে শরীর৷ তবুও আন্দোলনে অনড় ২০১৪ সালের টেক পাশ চাকরি প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবারও জারি রয়েছে আমরণ অনশন৷ শরীরের ওপর সাদা কাপড় জড়িয়ে নিজেরাই হয়েছেন জীবন্ত লাশ৷ চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য, দীর্ঘ চার দিনের পরেও নমনীয় হচ্ছে না সরকার৷ তাদের বক্তব্য, সরকার অনেক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে পারে তবে এক্ষেত্রে কেন নিচ্ছেন না৷ তাদের কথায়, এমনিতেই আমাদের মরতে হবে৷ মরতে হলে এখানেই মরব৷ তবে যোগ্য নিয়োগ-দাবি অর্জন না হওয়া অবধি আন্দোলন জারি রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। প্রয়োজনে সরকার অচল করতেও প্রস্তুত তাঁরা।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি হয়েছে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এবং মামলাকারীদের আইনজীবীরা। আগামী নভেম্বর মাসেই আদালতের কাছে ভুয়ো নিয়োগের রিপোর্ট পেশ করা হবে। আগামী ১৬ নভেম্বর হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে সেই রিপোর্ট। ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় যেসব শিক্ষকদের নাম রয়েছে,সেই তালিকা সুদীর্ঘ। যার ফলে আগামী মাসে হাজার হাজার ভুয়ো এবং টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক চাকরি খোয়াতে চলেছেন।

গত কয়েক বছরে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের নজির এখন রাজ্যের জেলায় জেলায়। গত কয়েক বছরে এই যে দুর্নীতি, তাতে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তা খুঁজে বের করতেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরে বৈঠকে বসে তিন পক্ষ। ইতিমধ্যেই ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই তথ্যের সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির একাধিক সদস্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি-সহ সামিল রয়েছেন মিডলম্যানরাও। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কারা যুক্ত? কীভাবে এতগুলো বছর ধরে এই নিয়োগ দুর্নীতি চলছিল? এর সাথে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছেন? তদন্তের জন্য সবটাই জানতে বারবার সকলকে হেফাজতে নিচ্ছে সিবিআই। সম্প্রতি (গত বুধবার) সিবিআই দাবি করে, 'কী করে অপরাধ করলে বাঁচতে হবে সবটাই পরিকল্পনা রেখেছিলেন সকলেই'।

আদালতের কাছে সিবিআই আরও দাবি করেছে, এঁরা প্রত্যেকে প্রভাবশালী। সিবিআই কী তদন্ত করছে, কাকে ডাকছে, কী তদন্ত করছে, তা এঁরা জেনে নিতেন। সাক্ষীদের কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তাও জেনে নিতেন। বাঁচার জন্য রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন”। সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়েছে,নিয়োগ দুর্নীতি সঙ্গে যারা যুক্ত, সকলকেই আদালতের সামনে আনতে চায় সিবিআই।
এএজেড

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য