শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নেপালে দেউবার দলের ৫৩ আসন, রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান!

নেপালের বর্তমান শাসক দল ও প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেত্বতাধীন ‘দ্য নেপালি কংগ্রেস’ রবিবার (২৭ নভেম্বর) দেশের সবচেয়ে বড় একক দল হিসেবে নির্বাচনে ফলাফলে আবিভূত হয়েছে। তারা প্রাধান্য ধরে রেখেছেন ৫৩টি সিট লাভের মাধ্যমে। ফলে কয়েক সপ্তাহের দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটল।

দেশের দি হাউজ অব রিপ্রেজেনটেভিস (এইচওআর) বা জাতীয় সংসদ এবং সাতটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়েছে গত ২০ নভেম্বর।

শের বাহাদুর দেউবা ও পুস্পকমল দহল প্রচণ্ড দেউবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াতারে বৈঠক করেছিলেন। তারা পাঁচটি দলের ঐক্য গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর নেপালি কংগ্রেস, প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-মাওয়িস্ট, মাধব নেপালের সিপিএন-ইউনিফায়েড সোশ্যালিস্ট পার্টি, মহান্ত ঠাকুরের লক্ষ্যতান্ত্রিক সমাজবাদী পার্টি ও চিত্ত বাহাদুরের রাষ্ট্রীয় জনমঞ্চের মধ্যে নির্বাচনী ঐক্য হয়েছে এবং তারা বিজয় অর্জন করেছেন।

ক্ষমাসীনদের ঐক্য মোট ৮৫টি আসন লাভ করেছে। তাদের বিরোধীরা ৫৫টি সিট পেয়েছেন। এই ফলাফলগুলো প্রধানমন্ত্রী দেউবার পক্ষে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেউবাসহ সাবেক তিন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড, ওলি (কে.পি. শর্মা ওলি) এবং মাধব নেপাল পার্লামেন্টর সদস্য নিবাচিত হয়েছেন।

তবে দল হিসেবে তার প্রতিপক্ষ দি কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাকসিস্ট-লেলিনিস্টদের একত্র অংশ, সিপিএন-উএমএল) লাভ করেছে ৪২টি সিট। এ তার আগামীতে দলগত চিন্তার বিষয়। এর বাইরে সিপিএ-মাওয়িস্ট ১৭টি আসন লাভ করেছে। ১০টি আসন লাভ করেছে সিপিএন-ইউনিফায়েড সোসালিস্ট পার্টি। রাস্ট্রীয় সত্যেন্দ্র পার্টি (আরএসপি) এবং হিন্দুপন্থী রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পাটি নতুন গড়া দল। তারা ৭টি করে আসন পেয়েছে।

স্বতন্ত্র এবং অন্য ছোট দলগুলো একত্রে ২১টি আসন লাভ করেছে। এখনো নেপালের সংসদের ১৬৫টি আসনের মধ্যে ৮টির ফলাফল পাওয়া বাকি আছে। দেশের নির্বাচন কমিশন বলেছে, নিবন্ধিত ১৭.৯ মিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ৬১ ভাগ ভোট প্রদান করেছেন।

এখন পর্যন্ত ৮০ ভাগ ভোট গণনা করা হয়েছে। ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ভোট গণনা বাকি আছে। ২শ ৭৫ আসনের জাতীয় সংসদে ১৬৫ জন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হন। বাকি ১১০ আসন সমানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রদান করা হয়। পরিষ্কার জয় লাভের জন্য কোনো একটি দলকে ১৩৮ সিট লাভ করতে হয়।

দীর্ঘকালের মাওবাদীদের বিদ্রোহের অবসানের পর থেকে নেপালের পার্লামেন্টে তাদের মাধ্যমে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ফলে ২০০৬ সালের পর থেকে আর কোনো প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি।

আগামী সরকারকেও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তাদের একটি স্থায়ী রাজনৈতিক প্রশাসন ও পাশের দেশ ভারত এবং চীনের সঙ্গে সমঝোতা করে এগুতে হবে।

ওএফএস/

Header Ad

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম বেশ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন ঢাকার বুকে এক টুকরো জমি পাচ্ছে অভিনয় শিল্পীরা। সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সাড়ে তিন কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হবে তাদের স্বপ্নের ভবন ‘অ্যাক্টরস হোম’। সেখানে থাকবে অভিনয় শিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আড্ডার জায়গা, চর্চার জায়গা।

অবশেষে শুক্রবার (৩ মে) বরাদ্দকৃত জায়গাটি বুঝে পেয়েছে সংগঠনটি। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নাসিম নিজেই।

আহসান হাবিব নাসিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা’র কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এরপর এ নেতা লেখেন, আরও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক জনাব আনিসুর রহমান, এসি ল্যান্ড তেজগাঁও জনাব শরিফ মো. হেলাল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি।

Caption

 

নাসিম আরও বলেন, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। কেননা দীর্ঘদিন বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা চলছিল। অবশেষে জায়গা বুঝে পাওয়াটা অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি সফলতা বলে মনে করছি। শিল্পীদের প্রশিক্ষণ, মিটিং, একসঙ্গে সময় কাটানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হবে এটি। ওই জায়গা থেকে আজ আমাদের আনন্দের দিন।

এদিকে জমি গ্রহণের খবর দেয়ার সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র প্রকাশ করেছেন নাসিম। সেখানে তার সঙ্গে দেখা গেছে সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে। আরও ছিলেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদসহ বেশ কয়েকজন। বোঝা যাচ্ছে জমি গ্রহণ করার মুহূর্ত ছিল এটি। রাজধানীর আফতাব নগরে দেওয়া হয়েছে জায়গাটি।

সংঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘জায়গাটি হোল্ডিং নং: ৩২, রোড: ২, ব্লক: সি, জহুরুল ইসলাম সিটি, আফতাব নগর। গতকাল শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশ, জেলা প্রশাসন ঢাকা এর কাছ থেকে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস

ঢাকাসহ দেশের ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে কয়েক সপ্তাহের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা মিললেও কমেনি ভ্যাপসা গরম। তবে এবার সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়ে কমবে তাপমাত্রা। তবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার (৪ মে ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ববঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে।

পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত

ফাইল ছবি

প্রায় ৬ মাস পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত। শনিবার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

শনিবার (৪ মে) এক প্রজ্ঞাপনে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।

ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫৫০ ডলার।

ভারতের, বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও ভারত সরকার সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ সংবাদ

‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি
রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ
জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত