রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিস্তায় আরো দুটি কৃত্রিম খাল ও দুটি জলবিদুৎ তৈরি করছে ভারত

প্রতিবেশী দেশ ভারত তার কৃষি ব্যবস্থার জন্য আন্তঃসীমান্তের নদী তিস্তার জলকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় চোখ তুলে তাকিয়েছে। বাংলাদেশ বলছে, এটি উদ্বেগজনক যেহেতু নদীটি যৌথ ও এর গতিপথ পরিবর্তন বাংলাদেশের নিচুব্যবস্থার কৃষিজমিগুলোর সর্বনাশ ডেকে আনবে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে শুক্রবার (১৭ মার্চ) কথাগুলো বলেছেন ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভারতের কেন্দ্রীয় জল কমিশনকে একটি রাষ্ট্রীয় পত্র প্রেরণ করবে। যেখানে প্রতিবেশী দেশটি অন্বেষণ করবে স্বাদু ও পরিস্কার পানিকে ভাগ করার ব্যাখ্যা।

গেল সপ্তাহে একটি ভারতীয় দৈনিক খবর প্রকাশ করেছে, পশ্চিমবঙ্গের জলসেচ বিভাগ আনুমানিক ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছে আরও দুটি বিরাট আকারের কৃত্রিম খাল খননের জন্য যাতে এই তিস্তা নদীর বাঁধে সেগুলো তৈরির মাধ্যমে তাদের কৃষিগত বিষয়গুলো সম্পাদন করতে পারে। এই নতুন প্রকল্পটির মাধ্যমে ভারত তার হিমালয়ের তীরের পশ্চিমবঙ্গীয় শহর দার্জিলিংয়ে আরও তিনটি জলবিদুৎ প্লান্টও তৈরি করবে। যেগুলোর দুটিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হবে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির দৈনিক টেলিগ্রাফ।

বাংলাদেশের খবরের বিস্তারিত হলো, দেশটি ভারতকে একটি ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য লিখতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ও সেখানে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করবে এই সবগুলো প্রকল্প সম্পর্কেই যেগুলোতে ভারত সরকারের এই যৌথ নদীটির পানিগুলোতে তাদের দিকে কৃষির কাজে ব্যবহারের জন্য নেবার প্রশ্নগুলোও থাকবে।

৪১৪ কিলোমিটার বা ২৫৭ মাইলের তিস্তা নদীটি হিমালয়ের ভারতীয় পশ্চিম অংশ থেকে জন্মেছে ও বাংলাদেশের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

বাংলাদেশের মোট ৫৭টি আন্ত:সীমান্ত নদী রয়েছে। তার ৫৪টিই ভারত ও বাকি তিনটি মিয়ানমারের ভেতর থেকে এসেছে।

যৌথ নদী কমিশনের সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন আরও বলেছেন, 'তারা (ভারত) আমাদের জানানো উচিত ছিল। তবে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনোকিছুই জ্ঞাত হইনি। এর ফলে আমরা একটি ‘ডেমি-অফিশিয়াল লেটার’ আমাদের ভারতীয় পক্ষকে প্রেরণ করবো, যেখানে এই বিষয়ের মূল জিজ্ঞাস্যগুলো থাকবে ও মূল বিষয়গুলোতে প্রশ্ন করা হবে এবং আমরা আমাদের উদ্বেগ ও সংকট জানাবো, যেগুলোর মধ্যে এমন একটি উদ্যোগ বাংলাদেশে তিস্তার নিম্মধারা কিভাবে প্রভাব ফেলবে সেটিও লেখা হবে।'

‘যৌথ নদী কমিশন সাধারণত বাংলাদেশের মোট ৫৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমিকে শুকনো বা গ্রীষ্মকালীন মৌসুমগুলোতে কৃষি কাজের জন্য পানি সরবরাহ করে। তবে এই বছর মোটে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পানি প্রবাহিত করতে পেরেছে। এর কারণ হলো তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহই ছিল না। এর পেছনে তিন্তা নদীতে বাঁধের পাশাপাশি আরো দুটি কৃত্রিম খালের কাজ’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

তিস্তা নদী বাঁধ প্রকল্প মোট ২৭ মাইল বা ৪৪ কিলোমিটার জুড়ে, সেটি বাংলাদেশের নীলফামারীর উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত। এই প্রকল্পটিকে ভারত ১৯৭৯ সালে চালু করেছে।

‘ভারতের ওপরের অংশ থেকে নিম্মধারায় বাংলাদেশী প্রবাহিত তিস্তা নদীটি দেশটির পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও তাদের জলসেচের কার্যক্রমের জন্য শুকনো বা গ্রীস্মকালীন মৌসুমে বাংলাদেশ অংশে প্রায় মরে যায়’ এই কথাগুলোর উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবুল হোসেন আরো জানিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে এই নদীটির পানিকে যদি ভাগ করে ফেলা হয় তার ফলে তিস্তার পুরো বাস্তুসংস্থানই তার নিম্মধারায় প্রবলভাবে ভুগবে।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের একেবারে কম পানি প্রবাহও থাকে না তিস্তা নদীতে শুকনো মৌসুমে, আমরা প্রাপ্য পাই না। তখন কোনো পানি, কোনো মাছ খুঁজে পাওয়া যায় না নদীটিতে। কেবল অসংখ্য চর বা বালির সৈকত থাকে ওপরের প্রাকৃতিকভাবে প্রবাহিত ভারতীয় নদী অংশের পানির ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে।’

মোহাম্মদ আবুল হোসেন উল্লেখ করেছেন, ‘তারা জোর করে এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছে।’

বাংলাদেশের নৌমন্ত্রী জাহিদ ফারুকও জানিয়েছেন, ভারতের তিস্তা নদীর ওপর নতুনভাবে দুটি বিরাট কৃত্রিম খাল খনন ও দুটি জলবিদুৎ প্রকল্প তৈরির কাজে বাংলাদেশের উদ্বেগ রয়েছে। তিনি রাজধানী ঢাকাতে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের সরকার এই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা প্রদান করতে নয়াদিল্লীকে বলবে।

সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শেহেলি সাবরিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ও ভারতের সাড়া প্রদানের ওপর ভিত্তি করে সঠিক অ্যাকশনে যাবে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীর বারবার নিশ্চয়তা প্রদান সত্ত্বে, যেগুলোর মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশ্বাস ও নিশ্চয়তা রয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রতিরোধ হলেও বাংলাদেশ গত ১২ বছর চেষ্টা করেও দীর্ঘকালের পানি-ভাগাভাগির চুক্তিটি প্রতিবেশী ও বড় দেশ ভারতের সঙ্গে করতে পারেনি।

বাংলাদেশের ১১টি ছোট নদী যেগুলোর বেশিরভাগ উত্তরের জেলাগুলোতে প্রবাহিত, সেগুলো তিস্তা নদীর ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। এই নদীর পানি প্রবাহ থেমে যাওয়ায় এই নদীগুলোও মারা যাচ্ছে। এর কারণও হলো, ওপরের ভারতীয় অংশে প্রবাহিত ধারাগুলোতে স্বজ্ঞানে দেশটি পানি প্রবাহ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বাঁধ দিয়ে ও প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে পানি চুক্তি করতে অস্বীকার করছে বা রাজি হচ্ছে না অথবা এগিয়ে আসছে না।

ওএফএস/এএস

Header Ad

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও মানবিক স্টোরি তুলে ধরে ব্যাপক আলোচনায় আসেন এই সংসদ সদস্য।

বর্তমানে এমপি হলেও আগের মতো নানা ইস্যুতে আওয়াজ তুলেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ধারাবাহিকতায় মানবিকতার আড়ালে ভয়ংকর প্রতারক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।

মিল্টন সমাদ্দার মানবিক কাজ দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলেন। বর্তমানে তার মানবিক কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একটা বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিৎ, যারা মানবিক কাজ করে মুখ দিয়ে নয়, হৃদয় দিয়ে করে। মুখ দিয়ে মানবিক কাজ করলে নানা প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিন্তু হৃদয় থেকে করলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মানবিক কাজগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হলে সমাজে কী নীতিবাচক প্রভাব ফেলে না? এমন প্রশ্নের জবাবে এই সংসদ সদস্য বলেন, সমাজে নীতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলতে এই পর্যায়ে আমরা দাঁড়িয়েছি। আর পেছনের যাওয়ার সুযোগ নেই, সামনের দিকে যেতে হবে। আমরা নষ্ট হওয়ার শেষ পেরিয়ে গেছি। এর থেকে বেশি নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত, দুস্থ, অসহায় ব্যক্তিদের আশ্রয় ও সাহায্যের মতো মানবিক কাজের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত পান মিল্টন সমাদ্দার।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এসব কাজের আড়ালে তার নানা অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর বুধবার এই মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তার বিরুদ্ধে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতি, মানবপাচার, আশ্রয় দেওয়া অসহায়, দুস্থ ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর তাদের কিডনি বিক্রি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান

ছবি: সংগৃহীত

চলমান ছাত্র বিক্ষোভে দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইরানি গণমাধ্যম ইরনার

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ দমন প্রসঙ্গে কানানি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের মিথ্যা রক্ষকদের মুখ থেকে ভণ্ডামির মুখোশ সরে গেছে। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে দমন-পীড়নকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য সত্যকে বিকৃত করে শিক্ষার্থী ও একাডেমিক কর্মীদের প্রকৃত ক্ষোভ ও তাদের প্রতিবাদকে ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে বর্ণনা করছে মার্কিন সরকার।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ক্লাস-পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। সে সঙ্গে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকতেও বিন্দুমাত্র পিছপা হননি তারা।

এমনকি পুলিশ এসে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে। গ্রেফতার করেছে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে। তবে এতকিছু করেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা পুলিশ প্রশাসন। উলটো তা আরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ছাড়িয়ে এখন বৈশ্বিক রূপ ধারণ করেছে।

নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, যেকোন মূল্যে উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অন্যুায়ী ব্যবস্থা নিবে।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহীর চার জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা সুলতানা একথা বলেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি পছন্দের প্রার্থী পক্ষে নেক দৃষ্টি দিয়ে সরকারের অতি সুবিধাভোগি কিছু ব্যক্তিরা (মন্ত্রী-এমপি) এ নির্বাচনে প্রভাব খানাটোর চেষ্টা করছেন। ওই সমস্ত পদে যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করবো- দয়া করে আপনারা আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনি এলাকার ভোটার আপনি আসবেন ভোট দিবেন চলে যাবেন। আপনি যে পর্যায়ে আছেন- আপনি আপনার মান ইজ্জত রক্ষা করবেন। আপনার ইজ্জত আপনি যদি রক্ষা না করেন তাহলে কিন্তু যে কোন মুহুর্তে বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এর দায় কিন্তু আমরা নিব না। আপনাই সেটা বহন করবেন। আপনারা নিজের মর্যাদায় আসিন থেকে দ্বায়ীত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের সৌন্দর্য নেই, গ্রহনযোগ্যতা নেই, আনন্দও নেই। ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতা আর ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতার মধ্যে প্রার্থক্য আপনারাই বুঝতে পারবেন। তাই আপনার চিন্ত করেন, পরিবেশ নষ্ট করে ১০ শতাংশ ভোটে জিততে চান ভোটার না এনে; ৮০ শতাংশ ভোটে জিততে চান। আপনাদের উপর এই ভারটা ছেড়ে দিলাম সিদ্ধান্ত নেয়ার।

ইসি বলেন, ভোটের দিন কোন রকম উশৃঙখলতা, বিশৃঙখলাতা, সহিংস আচরণ, ভোট কেন্দ্র দখল করার মত কোন দুঃসাহস করবেন না। আপনার অবৈধভাবে যে ব্যালটই রাখেন না কেন আমাদের কাছে তথ্য গেলে প্রমান পেলে সেই ভোট বাতিল করে দিব যেকোন মুহুর্তে। আর অসাধুচারণ করেন, আচরন বিধি ভঙ্গ করেন আমরা কিন্তু নির্বাচনের মুহুর্তেও প্রার্থীতা বাতিল করে দিব। ভোটের দিন যে কোন নৈরাজ্য মূলক আচরণ করলে আমরা কিন্তু নির্বাচন স্থগিত করবো, নির্বাচন বাতিল করবো, প্রার্থীতা বাতিল করবো।

তিনি আরও বলেন, গনতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগনের মনে যেন গেঁথে থাকে এমন একটি নির্বাচন হবে এবার। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কমিশন চায় না।

নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদেশ্যে রাশেদা সুলতানা বলেন, কোন প্রার্থী জিতল কোন প্রার্থী জিতল না এ নিয়ে ইসির কোন মাথা বেথা নেই। নির্বাচন কমিশনের একটি নির্দেশনা, আপনার সব প্রার্থীকে সমান চোখে দেখবেন, নিরপেক্ষতার সাথে দেখবেন, যে হাঙ্গামা করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। তবে কমিশনার নির্দেশনা যিনি প্রতি পালন করবেন না তার দায়দায়িত্বও তিনি নিবেন। আপনাদের কৃতকর্মের দায় কমিশন বহন করবে না।

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের উপজেলার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

সর্বশেষ সংবাদ

মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত
১৭ রোগীকে হত্যার দায়ে মার্কিন নার্সের ৭৬০ বছর কারাদণ্ড
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা
দুবাইয়ের ‘গোল্ডেন ভিসা’ পেলেন শাকিব খান
সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ আগুন, ছড়িয়েছে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
স্কুলে দেরি করে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
আইপিএলের প্লে অফের দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আবারও বাংলাদেশে প্রবেশ করল মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য