দক্ষিণ ফিলিপাইনে একটি যাত্রীবাহী ফেরিতে আগুন লেগে কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং কমপক্ষে সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন। ওই সময় ফেরিতে থাকা আরও ২৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিলান প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় যখন আগুন লাগে তখন জাহাজটি দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ প্রদেশ বাসিলানের কাছে সমুদ্রে ছিল।
উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়। বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আগুন লাগা লেডি মেরি জয় নামক জাহাজটি কতজন লোক বহন করছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে মিনদানাও অঞ্চল কোস্টগার্ডের প্রধান কমডোর রিজার্ড মারফে স্থানীয় ডিজিএমএম রেডিও স্টেশনকে জানিয়েছেন, আগুনের সূত্রপাত হয় ফেরির একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনে। ওই কেবিনে থাকা ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ফেরিটি একসঙ্গে ৪৩০ জন মানুষ বহন করতে পারে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার তদন্তে এবং নিরাপত্তা মূল্যায়নের বিষয়ে তারা সহায়তা করবে। এ ছাড়া সমুদ্রে তেল ছড়িয়ে পড়ে কিনা সেদিকটিতেও লক্ষ্য রাখবে।
৭ হাজার ৬০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইন একটি দ্বীপপুঞ্জ রাষ্ট্র। ফিলিপাইনে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা কিছুটা নিয়মিত ঘটে। গত বছর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার পূর্বে পলিলো দ্বীপ থেকে যাত্রা করার পরপরই ১২৪ জন যাত্রী বহনকারী একটি ফেরিতে আগুন লেগে সাতজন মারা যান। উদ্ধার করা হয় শতাধিক মানুষকে।
যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্মসচিব), বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, বরিশাল এর যুগ্মসচিব মো: আহসান হাবীবকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) এর পরিচালক পদে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব জসিম উদ্দিন হায়দারকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।
এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালযয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমানকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর উপমহাপরিচালক করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
টিকেট নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ও রেলওয়ের টিটিই'র মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে টিটিই, গার্ড ও এক সেনা সদস্যসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই ঘটনায় ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড রুমের দরজা, জানালা ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে সেনা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর ঘটনার পর প্রায় ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
আর এতেই দূর্ভোগে পড়ে প্রায় দুই হাজার যাত্রী। অনেক যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়। আবার প্রায় দুই শত যাত্রীকে দেখা যায় তারা ট্রেন ছাড়ার জন্য বিক্ষোভ করতে করতে স্টেশন মাস্টারের রুমের দিকে এগিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫ টার দিকে বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ফুলবাড়ি স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ওই ট্রেনের শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) 'গ' বগিতে থাকা সেনা সদস্য আল আমিন সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে ছুটিতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে। সেই ট্রেনে আরও ১০-১২ জন সেনা সদস্য ছিল। ওই ট্রেনের দায়িত্বরত টিটিই রাসেল হোসেন টিকেট চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর টিটিই'র চাহিদামতো টিকেট বাবদ ৭ শত টাকা দিয়ে দেয় সেনা সদস্য। টাকার বিনিময়ে টিকেট চাইলে টিকিট দিতে অস্বীকৃতি জানান সেই টিটিই। আর এতেই সেখানে এক পর্যায়ে ওই টিটিইর সাথে তাদের বাকবিতন্ডা বাঁধে। ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল মালেক, গার্ড আব্দুস সাত্তার বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন।
এরপর ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছলে ওই ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে যাত্রা করা ১০-১২ সেনা সদস্য একত্রিত হয়ে ওই ট্রেনের গার্ড, টিটিই ও অ্যাটেনডেন্টসহ ৪-৫ জনকে কিল, ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে মারপিট করে আহত করেন। পাশাপাশি ট্রেনের দরজা, জানালা ভাংচুর করেন।
এ ঘটনায় এক সেনা সদস্যও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, আদমদীঘি থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। আহত টিটি ও গার্ডকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও বেশ কিছু সেনা সদস্যকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয় নিয়ে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে একাধিক সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সহকারী পুলিশ সুপার, রেলওয়ে পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ট্রেন যাত্রী বলেন, টিটিই জানতোনা সে সেনাবাহিনীর সদস্য। টিকেট না থাকায় তার কাছে টিকেট চায় কর্তব্যরত টিটি। তখন সে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে বলে আমার কাছে টিকেট নেই। টিটিই তার কাছে সাত শত টাকা চাইলে টিকেটের মূল্য বাবদ সেনাবাহিনীর ওই সদস্য টিটিকে টাকা দিয়ে দেয়। এরপর টিকেট চাইলে টিকেট দিতে গড়ি মসি করে টিটিই। মূলত টিকেট না দেওয়ায় শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। তিনি একটু ক্ষোভ নিয়েই বললেন, প্রায় সকল ট্রেনেই কিছু দূর্নীতিবাজ টিটিই থাকে।
যাত্রীরা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সরকারি লোকদের গন্ডগোলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি আমাদের মতো প্রায় দুই হাজার সাধারণ যাত্রীরা। এই ঘটনার পর প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে এই সান্তাহার স্টেশনে। কখন যে এর সমাধান হবে কিছুই বলতে পারছি না। তবে এর দ্রুত সমাধান চাই আমরা যাত্রী সাধারণেরা।
এরিপোর্ট লেখা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সান্তাহার রেলওয়ে থানায় সেনাবাহিনীর ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল।