সীমান্তে না গিয়েই ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান! (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এবং সামরিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তান দাবি করেছে যে তারা ভারতীয় বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর (PAF) দূরপাল্লার আক্রমণে এসব বিমান ধ্বংস হয়েছে, এমনকি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতেও যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে।
ভারতীয় বাহিনী প্রথমে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালায়, যার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর পাঁচটি বিমান ধ্বংস করে দেয়। ফ্রান্স ও রাশিয়ার তৈরি মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান ও ড্রোন হারিয়েছে ভারত। পাকিস্তানী বাহিনী জানিয়েছে, পাল্টা হামলায় ভারতকে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। তারা দাবি করেছে, শহীদ হতে ভয় পায় না পাকিস্তানি সেনারা।
বুধবার (৭ মে) প্রথম প্রহরে আক্রমণের জবাবে সীমান্তে থাকা ভারতের উপর চূড়ান্ত হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভূপাতিত হয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ফ্রান্সের তৈরি তিনটি রাফাল, রাশিয়ার সুথ ও একটি মি যুদ্ধবিমান রয়েছে। তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়ায় একসাথে পাঁচটি যুদ্ধবিমান হারানোর এমন ঘটনা যুদ্ধক্ষেত্রেই নজিরবিহীন।
পাকিস্তানি বাহিনীর এমন বিশ্বয়কর ক্ষমতায় চোখ কপালে উঠেছে ভারতের যুদ্ধ বিশ্লেষকদের। কয়েকশো কিলোমিটার দূরে থেকেই নির্ভুল হামলায় পশ্চিমা যুদ্ধবিমান ঘায়েল করার পর থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে থাকা অস্ত্র নিয়েও চলছে বিস্তর বিশ্লেষণ। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ভান্ডারে রয়েছে মিসাইলের এক অফুরন্ত সম্ভার। ভূমি থেকে ভূমিতে, আকাশ থেকে ভূমিতে বা আকাশ থেকে আকাশে হামলায় মিসাইলের অত্যাশ্চর্য শক্তিশালী এক বহর রয়েছে পাক বাহিনীর হাতে।
পাকিস্তানের আইএসপিআর হামলার ঘটনারও বিস্তারিত তুলে ধরেছে। আইএসপিআর মুখপাত্র জানান, পাকিস্তান শুধু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে দিয়েছে যে ভারতীয় বাহিনীর কোন বিমানকে পাকিস্তানের মাটিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ভারতের যেসব বিমান ধ্বংস করা হয়েছে, সেগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থেকেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ভারতকে জবাব ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। তারা জানিয়েছে, ভারতের ভুল ধারণা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। পাকিস্তানের সেনারা মৃত্যুর ভয়ের চেয়ে দেশ রক্ষায় শহীদ হতে বেশি ভালোবাসে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ব শক্তিগুলো, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া, উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছে। এদিকে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশটি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই সংঘাতের ফলে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলাচল করছে, যার ফলে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
