শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আশিষকে

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন রোববার এই আদেশ দেন।

গত ১১ এপ্রিল আদালত আশিষ রায়কে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক রবিবার (১৭ এপ্রিল) তাকে আদালতে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিন আশিষ রায়ের জামিন আবেদনও করা হয়। তার আইনজীবী নজিবউল্যাহ হিরু জামিনের এই আবেদন করেন।

আদালতকে আইনজীবী বলেন, ২০০৫ সালের ২৩ মে আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর মামলার কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। এরই মধ্যে গত ২৪ মার্চ আসামি বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই বিষয়ে আসামিকে জানানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ থাকায় আইনজীবীর সঙ্গে তেমনভাবে যোগাযোগও করা হয়নি। বিষয়টি আইনজীবীও জানেন না। এটা ভুল হয়েছে। তাই আসামির জামিনের প্রার্থনা করছি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলে, প্রত্যেকের (আসামির) ঠিকানায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আসামিপক্ষে জামিননামাও দিয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশ অবহেলা হয়েছে। তাই আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হলো।

উল্লেখ্য গত ৬ এপ্রিল সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার জব্দ হওয়া আলামত উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক গোয়েন্দা পুলিশ আজ জব্দ হওয়া আলামত আদালতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী। আগামী ২৫ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার আসামিরা হলেন-ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।

রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল৷ ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত এলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

এমএ/এমএমএ/

Header Ad

সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীকে দায়িত্বশীল এজেন্ট নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করতে চাইলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের অবশ্যই প্রতিটি কেন্দ্রে দায়িত্বশীল এজেন্ট দিতে হবে, যিনি ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট কেন্দ্রে অনেক সময় অনিয়ম হলেও প্রমাণের অভাবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে এজেন্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

আজ শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে আয়োজিত মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।


এজেন্ট নিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এজেন্টরাই প্রতিটি কেন্দ্রে অন্যায়–অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করবেন। এজেন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করবেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা হাতে নিয়ে তবে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, যাঁরা নির্বাচনী আইন মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনো রকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। এখন পর্যন্ত অনেকের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান ও রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে গোপালপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে সমাবেশ ও আলোচনা সভা কর্মসূচি পালন করেছে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। শুক্রবার (০৩ মে) বিকালে উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের উদ্যোগে জেলার গোপালপুর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ফোরামের সহ-সভাপতি আনছার আলী, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আসাদুল ইসলাম বাবুল, ঘাটাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি খান ফজলুর রহমান, মধুপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শহীদ, গোপালপু্র প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কে এম মিঠু,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ ঘোষ, সাংবাদিক আনোয়ার সাদত ইমরান, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও জেলার গোপালপুর, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী ও কালিহাতী উপজেলার বিভিন্ন মিডিয়ার প্রায় অর্ধশত গণমাধ্যমকর্মী আলোচনা সভা ও সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় বক্তারা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং গ্রামীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন।

গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আজকে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, ভোটাধিকার ফিরে পাবার জন্য লড়াই করছে, তাদের নাম ইতহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’

শুক্রবার সারাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা বিএনপির পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত তো আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাদের যখন বিদায় হবে। তখন যে ইতিহাস লেখা হবে সেই ইতিহাসে দেশের জনগণ আপনাদের মীরজাফর হিসেবে চিনবে। মীরজাফর যেমন নিগৃত হয়েছে আপনারা তেমন হবেন।

তিনি বলেন, বিএনপির লোকজন বিদেশে যাবে কেন? তারা জেলে যাচ্ছে। তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। তারপরও তারা এদেশে থেকে গণতন্ত্রের জন্য আদম্য সাহস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রেরণা হচ্ছে খালেদা জিয়া। তিনি বিদেশে চলে যেতে পারতেন। কিন্তু জনগণকে ছেড়ে তিনি বিদেশে যাননি।

সর্বশেষ সংবাদ

সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত