ইউক্রেনে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধ করতে চাওয়া বাংলাদেশিদের ‘না’ করেছে দূতাবাস
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে যোগ দিতে ইচ্ছা পোষণ করে কিছু বাংলাদেশি ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে চিঠি দিয়েছিল। রাশিয়া এসব বাংলাদেশিকে সাধুবাদ জানিয়ে যুদ্ধে যেতে নিরুৎসাহিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার রুশ দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাসের ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্য হলো দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক এবং লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিককে সাহায্য করা। এছাড়া ইউক্রেনে বসবাসকারী রুশভাষী জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করাও এই সামরিক অভিযানের লক্ষ্য। এতে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে বিদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এরপর থেকে ঢাকার রুশ দূতাবাসে বহু বাংলাদেশি নাগরিক চিঠি দিয়ে অবৈতনিক ভিত্তিতে অবদান রাখতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এসব বাংলাদেশিকে সাধুবাদ জানিয়েছে রুশ দূতাবাস।
রুশ দূতাবাস বলছে, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে অনেক বাংলাদেশি পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোকে প্রত্যাখ্যান এবং ইউক্রেনে নব্য-নাৎসিবাদের অবসান ঘটাতে রাশিয়ান সরকারের ন্যায়সঙ্গত আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকার করে। আমরা বাংলাদেশি জনগণের এ আহ্বানকে সাধুবাদ জানাই।
পাশাপাশি দূতাবাস দূতাবাস এটাও বলছে যে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে নির্ধারিত লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য অর্জন করেছে। সেইসঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশেষ সামরিক অভিযান এখনও চলছে। অতএব অভিযানে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজন নেই।
আরইউ/
