মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিসেম্বরে সাগর থেকে পাইপ লাইনে ক্রুড পরিবহন শুরুর প্রত্যাশা

গভীর সাগর থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জ্বালানি তেলের স্টোরেজ ট্যাঙ্কে তেল খালাস হবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি। দিনে গড়ে ৫০ হাজার টন জ্বালানি তেল খালাস হবে এই পাইপ লাইনে। ৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য পাইপ লাইন স্থাপনের কাজও এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল খালাসে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সাশ্রয় হবে অন্তত ৮০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মাধ্যমে তেল খালাস করে বিপুল অংকের অর্থ ব্যয় করতে হবে না।

এ ব্যাপারে বিপিসির পরিচালক (বিপনন) অনুপম বড়ুয়া বুধবার সকালে (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, পাইপ লাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা ক্রুড অয়েল পরিবহনের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ হবে বলে জানা আছে। এতে দুই ধরনের উপকার হবে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ক্রুড পরিবহন হলে অপারেশনস লোকসান কমবে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ক্রুড পরিবহন ব্যয়ও কমবে বিপিসির।

বিপিসি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ক্রুড পরিবহন হচ্ছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দুই লাইটার ট্যাংকার ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ ও ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’র মাধ্যমে। এতে বিপিসির অপারেশনস লোকসান বাবদ বিপুল ক্ষতি হতো। আবার বিএসসিকে ক্রুড পরিবহন বাবদ প্রতি মাসে বিপুল অর্থ পরিশোধ করতে হতো। মূলত পরিবহন ও অপারেশনস খাতে অর্থ সাশ্রয় করতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ক্রুড পরিবহন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এই প্রকল্পের সুফল পাওয়ার সময় এখন কাছাকাছি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পাইপ লাইনে ক্রুড পরিবহন করতে নেওয়া প্রকল্পটির নাম ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ নির্মাণ প্রকল্প। প্রতি মাসে বিপিসি ১ লাখ টন ক্রুড আমদানি করে। এসব ক্রুডবাহী বৃহদাকার মাদার অয়েল ট্যাংকার নোঙর করে কুতুবদিয়ার কাছে গভীর সাগরে। চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে নোঙর করতে পারে না। মাদার ট্যাংকারে করে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা হয় ক্রুড। পাইপ লাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে অবস্থানকারী ১ লাখ টন ধারণ ক্ষমতার মাদার ট্যাংকার দেশের একমাত্র তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারিতে (ইআরএল) জ্বালানি তেল নিয়ে আসা হবে। রিফাইনারির স্টোরেজ ট্যাংকেই ভর্তি করা হবে পাইপ লাইনে আনা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল।

বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, দেশে বর্তমানে গড়ে ৭০ লাখ টনের কাছাকাছি জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এরমধ্যে ১২ লাখ টন থেকে ১৫ লাখ টনের মতো ক্রুড বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হয়। বাকি আমদানি তেলের সবই পরিশোধিত অবস্থায় আনা হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে আমদানি করা হয় এসব পরিশোধিত জ্বালানি তেল। গড়ে ১ লাখ টন অয়েল ট্যাংকার কুতুবদিয়ার কাছে গভীর সাগরে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে এসব জ্বালানি তেল লাইটারিং করে ইস্টার্ন রিফাইনারির স্টোরেজ ট্যাংকে নিয়ে আসা হয়। এই খাতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) বছরে গড়ে ৮০০ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় করতে হয়।

এ ছাড়া ১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল লাইটারিং করতে গড়ে ১১ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। এক একটি মাদার অয়েল ট্যাংকার থেকে খালাস প্রক্রিয়া শেষ করতে লাগত ১১/১২ দিন। এসময়ের জন্য জাহাজ মালিককে বিপুল ভাড়া পরিশোধ করতে হতো বিপিসিকে। এ ছাড়া মাদার অয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ করার সময় জ্বালানি তেল অপচয় ও নষ্ট হয়। বহু তেল চুরিও হয়। এভাবে বিপিসি প্রচুর সিস্টেম লসের কবলে পড়ে। এ ধরনের কঠিন সংকট কাটাতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাহাজ থেকে তেল খালাসে সময় ও অর্থ সাশ্রয় করতে গভীর সাগরে একটি ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

২০১০ সালে প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদন লাভ করলেও অর্থাভাবে ঝুলে ছিল। পরবর্তীতে প্রকল্পটিতে অর্থায়নে চীন সরকার আগ্রহ দেখায়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চীনের এক্সিম ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৫৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তায় ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ শীর্ষক প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়।

এই প্রকল্পের আওতায় চায়না পেট্রোলিয়াম ব্যুরো মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’ নির্মাণ করবে এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত অফশোর ও অনশোর মিলে মোট ২২০ কিলোমিটার ডাবল পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। এরমধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার অফশোর পাইপলাইন এবং ৭৪ কিলোমিটার অনশোর পাইপলাইন। বর্তমানে পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে।

কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায় ৯০ একর জায়গার উপর ৬টি স্টোরেজ ট্যাংক ও পাম্প স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ৬টি স্টোরেজ ট্যাংকের ৩টিতে পরিশোধিত এবং অপর ৩টিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুদ করা হবে। প্রতিটি পরিশোধিত স্টোরেজ ট্যাংকারের ধারণ ক্ষমতা ৬০ হাজার ঘনমিটার এবং অপরিশোধিত স্টোরেজ ট্যাংকারের ধারণক্ষমতা ৩৫ হাজার ঘনমিটার।

জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল ও পরিশোধিত তেল সরাসরি ভেসেল মুরিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। ওখান থেকে পাম্প করে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে পুনরায় পাম্পের মাধ্যমে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পাঠানো হবে। ডাবল পাইপ লাইনের একটি দিয়ে ক্রুড অয়েল এবং অপর পাইপ লাইন দিয়ে রিফাইনড অয়েল সরবরাহ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ১ লাখ ২০ হাজার টন অপরিশোধিত এবং ২৮ ঘণ্টায় ৭০ হাজার টন পরিশোধিত ডিজেল খালাস করা যাবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটির কাজ আরও অনেক আগে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে মেয়াদ বৃদ্ধি হয়। তিন দফা সংশোধন করে আগামী বছরের (২০২৩ সাল) জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। শুরুতে প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পটির ব্যয় ৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বিপিসির অধীনে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ইআরএলের কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে অনেক পুরোনো পদ্ধতিতে বন্দর বহির্নোঙর থেকে জ্বালানি তেল খালাস করা হয়। এই পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুলও। গভীর সমুদ্রে মুরিং পয়েন্ট নির্মাণ ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাস সর্বাধুনিক পদ্ধতি। এতে নিরাপদ ও কম ব্যয়ে পরিবহন হবে জ্বালানি তেল।

এসএন

Header Ad

নিজের পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক

ছবি: সংগৃহীত

নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে মস্তিষ্ক ক্যানসার থেকে মুক্তি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক হলেন অধ্যাপক স্কোলিয়ার। তিনি গ্লায়োব্লাস্টোমার নামে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ধরনের রোগীদের অনেকে এক বছরও বেঁচে থাকে না।

ক্যানসার নিয়ে নিজেরই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে স্কোলিয়ারের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসক স্কোলিয়ার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদ। ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর স্কোলিয়ার এবং তার সহকর্মী ও বন্ধু জর্জিনা লংকে অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্কোলিয়ার বলেন, আবারও এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেছে নতুন করে টিউমারটি ফিরে আসেনি। এতে ‘আমি অত্যন্ত খুশি!!!’

এক দশক ধরে ইমিউনোথেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়ার সহপরিচালকেরা। এ পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্যানসার কোষকে আক্রমণ করা হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যানসারের শেষ ধাপে থাকা রোগীদের মধ্যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্লেখজনক সাফল্য পাওয়া গেছে।

স্কোলিয়ারের মস্তিষ্কের ক্যানসার সারাতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন অধ্যাপক লংসহ চিকিৎসকদের একটি দল। অধ্যাপক স্কোলিয়ার হলেন মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রথম রোগী, যার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারমুক্ত আছেন।

মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়াতে অধ্যাপক লং এবং তার চিকিৎসক দল গবেষণা করে দেখেছে, কয়েকটি ওষুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হলে তা অপেক্ষাকৃত ভালো কাজ করে।

স্কোলিয়ারের চিকিৎসায় যে সাফল্য পাওয়া গেছে, তাতে চিকিৎসা জগতে আশার সঞ্চার হচ্ছে। লং ও স্কোলিয়ারের এ প্রচেষ্টা হয়তো প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ মানুষের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি

মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি স্বর্ণ লুট

বাসার রুমের ভেতরে আসবাবপত্র এলোমেলো। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মধ্যরাতে বাসার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটকে রেখে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও আলমিরাতে থাকা ১৯ ভরি স্বর্ণ অলংকার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ডাকাতদের বাধা দিলে তাদের দু’জনকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে।

গত সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া পশ্চিমপাড়া আলীম আল রাজিম আকন্দের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে কয়েড়া ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগি আলীম আল রাজিম জানান, বাসার পেছনে লোহার গ্রিল কেটে মধ্যরাতে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। তখন আনুমানিক রাত দেড়টা হবে। পরে হঠাৎ কোনো কিছু শব্দে ঘুম ভাঙলে চিৎকার করার চেষ্টা করলে আমার ও সন্তানদের মাথায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এর একপর্যায়ে স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায় এবং সে আমাকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আলমিরা ও লকারের চাবি চায় ডাকাত দল। পরে চাবি দিতে না চাইলে ডাকাতরা আমাদের সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে ও মারধর করে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও ১৯ ভরি স্বর্ণ লুটপাট করে নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, তারা রাত ৪ টার দিকে পালিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক আমি বাসা থেকে বেরিয়ে ডাক-চিৎকার করলে লোকজন আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে আসি। এরআগে সকালে বিষয়টি ভূঞাপুর থানা পুলিশকে জানানো হয়।

এ ঘটনায় ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ জানান, মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটির ব্যাপারে ভুক্তভোগী জানালে দ্রুত টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী কোনো অভিযোগ না করলেও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দীর্ঘ এক মাস পর ঝড়-ঝঞ্ঝা সামলিয়ে অবশেষে দেশে পৌঁছেছে। আজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক স্বজনদের কাছে ফিরলেন। এর আগে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হয়। এখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরবেন।

নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ সময় নাবিকদের স্বজন ও কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।

কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লাগেছে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।

সর্বশেষ সংবাদ

নিজের পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক
মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকাসহ ১৯ ভরি স্বর্ণ লুট
স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক
পাকিস্তানি বলে গুলিস্তানের ড্রেস বিক্রি করতো গুলশানের ‘সানভীস বাই তনি’
ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছে আদালত
মার্কিন স্যাংশন, ভিসা নীতিকে পাত্তা দেই না: ওবায়দুল কাদের
ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ কোম্পানির ইলেকট্রোলাইট ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা
তাসকিনকে নিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা, বাদ সাইফউদ্দিন
ঢাকায় ডোনাল্ড লু
টঙ্গীতে নারী আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
৭ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ
এম ভি আবদুল্লাহ থেকে পণ্য খালাস শুরু
জুন-জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর
বিএনপি নেতা সোহেল কারামুক্ত
চার বছর পর কারামুক্ত হচ্ছেন করোনার রিপোর্ট করা চীনা সাংবাদিক
গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৪
বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে কাজ করেছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জমজ দুই বোনের চমক, এসএসসি পরীক্ষায় পেলো জিপিএ-৫
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন : গণপূর্ত মন্ত্রণালয়