ডিবি অফিসকে 'ভাতের হোটেল' বলা হয় কেন, যা জানালেন হারুন

২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৯ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম


ডিবি অফিসকে 'ভাতের হোটেল' বলা হয় কেন, যা জানালেন হারুন
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন সময়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের নানা সমস্যা নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসের দারস্থ হন । তাদের মধ্যে অনেককে আবার ডিবি কার্যালয়ে ভাত খাইয়ে আপ্যায়ন করা হয়। তাদের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক ব্যাক্তি থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের অনেকের ভাত খাওয়ানোর কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছবি ভাইরালের পর ডিবি কার্যালয়কে ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ বলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করেছেন। তবে এসব মন্তব্যকে ডিবি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। ডিবি বলছে, ডিবির ভাতের হোটেলের বিষয়টি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি মহানগর প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ রসবোধের বিষয়টি জানান।

ডিবি কার্যালয়ে হারুন অর রশিদের সঙ্গে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মধ্যাহ্নভোজের ছবিটি ভাইরাল হয়

 

ডিবির ভাতের হোটেল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা রসবোধের প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধসম্পন্ন জাতি। সাহিত্যে রসবোধের প্রয়োগ আমাদের মনের খোরাক জোগায়। আমি মনে করি, এটা রসবোধপ্রবণ একটি বিষয় যে ডিবি ভাত খাওয়ায়। আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। এর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। সে যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান। আর আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানায় যেতে মানুষ ভয় পেতো। আর এখন আমি একজন ডিআইজি, আমার এখানেই শত শত লোক কোনও না কোনও কাজে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।

ডিবি  অফিসে ভাত খাচ্ছেন হিরো আলম । 

 

ডিবির গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, সাংবাদিকরাও বলেন ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সব মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে সাধারণ মানুষ আসে, আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি, এটা আমাদের দায়িত্ব। আর ডিবি যে মানবিক পুলিশিং করে, এটার উদাহরণ হচ্ছে যে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি। ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনও মানুষ যদি কারও বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এইটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এতে আমরা উৎসাহিত হই। মানুষ আসছে, কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেফতার করি, পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি।


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ এএম


রোনালদোর নামে ফ্লোরিডার আদালতে মামলা
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: সংগৃহীত

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে বিতর্কিত ডিজিটাল মুদ্রা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনান্সের প্রচারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এই বিনিয়োগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দাবি করে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ফ্লোরিডার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা করেন তিন ভুক্তভোগী।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ডিজিটাল বাণিজ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা বাদীরা বলেছেন– রোনালদো অস্বীকৃত ‘বিনান্স’ প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, বিনিয়োগ কিংবা কাজে সহায়তা করেছেন। এই ফুটবল তারকার প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়েই ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন বলে জানিয়েছেন তারা। যার ফলে তারা নাকি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছেন!

সংবাদমাধ্যম কয়েনটেলিগ্রাফ বলছে, পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মামলার বাদী হয়েছেন মিখায়েল সিজমোর, মিকি ভোংদারা এবং গর্ডন লুইস। তারা সবাই বিনান্সে বিনোয়াগ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে রোনালদো তার নিজস্ব এনএফটির (নন ফাঞ্জিবল টোকেনস বা একধরনের ডিজিটাল সম্পত্তি) প্রচারণা চালাতে বিনান্সের সঙ্গে চুক্তি করেন।

একইসঙ্গে বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না জানানোয় বাদীরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা বলছেন, বিনান্সের অনিবন্ধিত ক্রিপ্টো সিকিউরিটিজের বিক্রি সম্পর্কে রোনালদো জানতেন অথবা তার জানানো উচিৎ ছিল। কেননা বিনিয়োগে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৮৫ কোটির মতো অনুসারীও আছে তারকা ফুটবলালের। কিন্তু বাইরে থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ থাকার পরও রোনালদো তার অনুসারীদের বিনান্স–সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এক্ষেত্রে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রচারণায় তারকাদের পেমেন্ট গ্রহণের তথ্য প্রকাশের জন্য সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, সেটিও মানেননি তিনি।

রোনালদোর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্ক হাতিয়ে নিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে রোনালদোর বড় অঙ্কের অনলাইন অনুসারীও নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। বাদীরা বলছেন, এনএফটি বিনিয়োগের মাধ্যমে অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিষ্ঠানটি সফল হয়েছে, কেবল এক সপ্তাহেই বিনান্সকে অনলাইনে খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে অন্তত ৫০০ গুন।

 


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:৩২ এএম


২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৮০ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০ টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল বিএনপি। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮০টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি।

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন। বাকি আসনগুলোতে পরবর্তী সময়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের পার্টির অফিসে এ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, "আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দিবো। বাকি ২০ জনের নাম রাতের মধ্যেই আমরা ফাইনাল করবো। আমাদের ৫০০ টির বেশি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এখনও যে কেউ চাইলে মনোনয়ন কিনতে পারেন।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কোনও কোনও আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছি যাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখে পরবর্তীতে ফাইনাল করবো।"

তৈমূর আলম খন্দকার আরও বলেন, "প্রার্থী ঘোষণার ক্ষেত্রে আমরা দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ পরিবারের লোকজন, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। যারা সমাজের জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।"

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৮ এএম


পলকের আসনে নির্বাচন করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও শফিকুল ইসলাম শফিক। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম। তবে এই আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলককে মনোনয়ন দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন উত্তোলন করেন শফিক।

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, দলীয়ভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শফিক বলেন, সিংড়ার জনগণের ভালোবাসায় একবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, দুইবার উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রায় ১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। সিংড়ার জনগণের দাবির মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আশা করছি এবার বঞ্চিত মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটবে। জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব।

প্রসঙ্গত, শফিকুল ইসলাম শফিক সিংড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ১৯৯৬ সালে সিংড়া সরকারি গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯৮ সালে একই কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর টানা দুইবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শফিক।

অনুসরণ করুন