রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

একদিন সময় আসবে, যখন ভোক্তারই প্রতিবাদ করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ছবি:সংগৃহীত

‌'জনগণ সিন্ডিকেট করলে অন্য কোনো সিন্ডিকেট আর পাত্তা পাবে না। একদিন সময় আসবে, যখন ভোক্তারই প্রতিবাদ করবে।'

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি।

‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেসরকারী খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক ছায়া সংসদটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ সিন্ডিকেট করলে অন্য কোনো সিন্ডিকেট আর পাত্তা পাবে না। ভোক্তা অধিদপ্তর সেই জ্ঞানটাই দিতে চাইছে মানুষকে, যে জনগণের ক্ষমতাই সবচেয়ে বড় ক্ষমতা। তাদের (জনগণ) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, জ্ঞান থাকতে হবে, আইন সম্পর্কে জানতে হবে। জনগণ যদি তাদের অধিকার সম্পর্কে জানে এবং সচেতন হয়, তাহলে অনেকটা সমস্যা লাঘব হয়ে যাবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি খাত এবং সরকারি খাতের যৌথ ভূমিকাই মুখ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশে উৎসবের সময় ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য কমায়। আমি এবার ব্যবসায়ীদের খুব অনুরোধ করলাম, সামনে রোজার ঈদ, আপনারা দয়া করে একটু বিবেক সম্পন্ন হোন এবং সেই বিবেচনায় একটু দাম কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিবেন। কিন্তু তারা তা করেনি। পরে আমাকে বলতে হয়েছে, আপনাদের বিশ্বাস করে আমি ভুল করেছি।

তাৎক্ষণিক পণ্য আমদানিতে সমন্বয়হীনতা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই কথাটি আমি স্বীকার করতে রাজি। কেননা আমরা যখন চাইলাম ডিম আমদানী করবো, সেদিন থেকে প্রায় এক মাস পরে আমাদের বলতে হলো। কারণ আমরা সেই নির্দেশটা দিতে পারি না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আমাদের এসিস্ট করলো যে, তোমরা এই দামে দিতে পারো। যার জন্য সেখানে একটু সমন্বয়হীনতা বলবো না, একটু দেরি হয়েছে। পেঁয়াজ ও আলুর ক্ষেত্রেও কিছুটা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যে পেঁয়াজ প্রয়োজন, তার থেকে ৭-৮ লক্ষ টন পেঁয়াজ ঘাটতি আছে। আমরা প্রায় ২৫-২৬ লক্ষ টন পেঁয়াজ খাই। আমাদের সেই পরিমাণই উৎপাদন হয়। কিন্ত ২৫-২৬ শতাংশ পেঁয়াজ রাখতে পারি না, পঁচে যায়। যার জন্য পেঁয়াজটা আমাদের আমদানি করতে হয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন পেঁয়াজ আমাদানী করতে চাইলাম, তখন কৃষকদের কথা বিবেচনা করে কৃষি মন্ত্রণালয় মনে করলো, এখন আমদানি না করাই ভালো। তখন আমরা আমদানি করতে পারলাম না। তার এক মাস পরে ভারতে পেঁয়াজ আমদানীর উপর ৪০ শতাংশ ডিউটি বসালো। আমরা যখন পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা ঠিক করে আমদানির সিদ্ধান্ত নিলাম, তার কিছুদিন পর তারা প্রতি টনে ৮০০ ডলার ঠিক করে দিলো। প্রতি কেজি ৯০ টাকা করে দাম ঠিক করে দিলো। এর কমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না। আমরা সেই বিপদে পড়ে গেলাম। যার জন্য কিছুটা সমন্বয়হীনতা বা দেরি বলি, সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তার কিছুটা প্রভাব বাজারে পড়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার দলের একটি গ্রুপ আছে তারা তৈরি করে। যেহেতু আওয়ামী লীগের মূল উদ্দেশ্য জনগণ, সেহেতু আমি আশা করি তারা সেই দিক বিবেচনা করে ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি রাখবেন যাতে জনগণের স্বস্তি হয়।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সদিচ্ছার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। সেজন্য আমাদের সদিচ্ছা তো আছেই। আমরা তো আপ্রাণ চেষ্ট করে যাচ্ছি, যেনো দ্রব্যমূল্য যেটা যৌক্তিক সেটা হয়। আমরা আজকে বৈশ্বিক একটি পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এখন আবার ফিলিস্তিন-হামাস যুদ্ধ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে সাড়ে তিন বছর আমাদের গেছে এসব ঝামেলাতে। তারপরও একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি মনে করি, মানুষকে ভালো রাখতে হলে, দ্রব্যমূল্য তাদের ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। সেজন্য চেষ্টা চলছে।

হঠাৎ করে বাজারে বিক্রেতারা কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যদি গরুর মাংস আমদানি করি তাহলে ৪০০-৪৫০ টাকায় গরুর মাংস খাওয়াতে পারবো। কিন্তু আমরা চেয়েছি দেশের খামারিরা যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। আগে করোবানির ঈদে ভারত থেকে গরু আসতো। এখন একটি গরুও অফিসিয়ালি ঢুকতে পারবে না। দরকার নেই আমাদের। এতে আমাদের তরুণরা উদ্যোক্তা হচ্ছে। আমরা চাই, আমাদের খামারিরা শক্তিশালী পর্যায়ে যাক।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিতার্কিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদে আমাকে খুব ধোলায় হয়েছে। সংসদের বিরোধী দল আমাকে বলেছে, তুমি পদত্যাগ করো না কেন? সিন্ডিকেট থামাও না কেন? এমন অনেক কথা আমাকে শুনতে হয়েছে। আমি যদি এসব বিতার্কিকদের মতো বুদ্ধিমান বক্তা হতাম, তাহলে আমি সংসদে তাদের (বিরোধী দল) এড্রেস করতে পারতাম। যা আমি এখানে শিখেছি।

ছায়া সংসদে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে আমরা কাজ করতে পারবো না। আমাদের ব্যবসায়ী সমাজ, যেসব প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় আছে, সবাই মিলে আমরা কাজ করছি। ভোক্তা অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা প্রতিযোগিতা কমিশন এককভাবে কিছু করতে পারবে না। ব্যবসায়ী সমাজকে আমরা যতক্ষণ না পর্যন্ত যুক্ত করতে পারবো ততক্ষণ ফলাফল আসবে না।

প্রতিযোগিতা শেষে দ্রব্যমূল্য বাড়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমরা প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নয়। তারা বড় বড় পুঁজি নিয়ে বাজারে আসে। লাভ যেমন আছে তেমনি ঝুঁকিও রয়েছে। তাই ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় রেখে উন্মুক্ত আমদানি ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডলার সংকটে কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটায় অনেক শিল্পকারখানা তার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছে না। উৎপাদন ঘাটতির কারণে শিল্পপণ্যের জোগান ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সরবরাহ ঘাটতির কারণে পণ্যমূল্য বাড়ছে। তবে মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রাস্ফীতিও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আরেকটি প্রধান কারণ। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাহিদা মোতাবেক তাৎক্ষণিক আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে না পারলে ডিমান্ড অনুযায়ী সাপ্লাই ঘাটতি হলে ভোক্তাদের দুর্ভোগ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, উৎপাদন বাড়াতে পারলে বাজার সিন্ডিকেট করা সম্ভব হবে না। বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি যাদের ওপর কোম্পানিগুলোর দ্রব্যমূল্য অনেকখানি নির্ভর করে তারা প্রত্যেকেই সমাজের মর্যাদাবান ও বিষ্ণুশালী। তাই এসব কর্পোরেট কাছে অনুরোধ আপনারা সাধারণ মানুষের কল্যাণে বাজার ব্যবস্থাপণাকে স্থিতিশীল রাখবেন। যাতে এদেশের সবসময় আপনাদের অবদানের কথা স্মরণ রাখে।

Header Ad

বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে বেড়েই চলেছে বজ্রপাতে প্রাণহানি। আর এমন অবস্থায় বজ্রপাতে থেকে বাঁচার কৌশল বলে দিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। এ বিষয়ে আজ রবিবার আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে অধিদপ্তর।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়েছে। সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কাও রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশলয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙ্গুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।

চলমান দাবদাহের বিষয়ে বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামীকাল সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে আগামীকাল থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ মে) বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর হাসপাতাল মোড়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এদিকে সকাল থেকে ঔষদের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তীতে পড়েছে রোগীর স্বজনরা। দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন- চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে। ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

তিনি আরো বলেন- মামলায় আসামীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিকক্স আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।

ঔষধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন- আমরা মানবসেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবী জানানা তারা।

নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসীন্দা মুনি আরা বলেন- এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চারপদের ঔষধ লিখে দেয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের এসে দেখি সব দোকান। আধা ঘন্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ঔষধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ঔষধগুলো সংগ্রহ করা হয়। ঔষদের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটের বাসীন্দা নিমাই চন্দ্র বলেন- গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সবগুলো বন্ধ রয়েছে। আমার মতো অনেকেই ঔষধ নিতে এসে দোকান বন্ধ পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধান চাই।

বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। শনিবার মেঘালয়ের পূর্ব পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেঘালয়ের পূর্ব পশ্চিম খাসি হিলস জেলার নংথলিউ গ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় ওই দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী।

পুলিশ বলেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে বলেছে ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল। ওই সময় দুই যুবক ছুরি হাতে তার ওপর আক্রমণ চালায় এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে দু’জনকে ধরে ফেলে।

পরে গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ সেখান থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে পার্শ্ববর্তী একটি কমিউনিটি হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত দুই যুবককে পুলিশ কর্মকর্তাদের জিম্মায় দেয়নি।

স্থানীয় কমিউনিটির নেতাদের সাথে পুলিশের আলোচনার সময় জনতা কমিউনিটি হলে ঢুকে পড়ে এবং অভিযুক্তদের মারধর করে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, লোকজনের বাধার কারণে পুলিশ কমিউনিটি হলে প্রবেশ করতে পারেনি।

পরে অভিযুক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই দুই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

মেঘালয় পুলিশ বলেছে, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। গণপিটুনিতে নিহত দুই যুবক নংথলিউতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান