রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন টাইগাররা, প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ছবি: সংগৃহীত

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে এ জয় আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার আশিকুর রহমানের ১২৯ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছিল বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে রান তাড়ায় আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে ৮৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতেছে ১৯৫ রানে।

২০২০ সালেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি টাইগার যুবাদের। অবশেষে সেই অপূর্ণতাও ঘোচাল লাল-সবুজের দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে আরব আমিরাত। শুরুটা করেন বাঁ-হাতি পেসার মারুফ মৃধা। এই বাঁ-হাতি পেসার পঞ্চম ওভারে ফিরিয়ে দেন আমিরাতের ওপেনার আর্যাংশ শর্মাকে। নিজের পরের ওভারেই মারুফ আরেক ওপেনার অক্ষত রাইয়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন।

এরপর কাজে নামেন রোহনাত। টানা তিন ওভারে এই মিডিয়াম পেসার তুলে নেন তানিশ সুরি, ইথান ডি’সুজা ও আমিরাত অধিনায়ক আইয়ান আফজাল খানকে। ২৫টি ওয়ানডে ও ২১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা আইয়ান যখন উইকেটকিপার আশিকের ক্যাচ হলেন আমিরাতের স্কোর ৪৫/৫।

আমিরাত ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় ১৫তম ওভারে । টানা দুই বলে যাযিন রাই ও আম্মার বাদামিকে তুলে নেন ইকবাল হোসেন। পেসাররা টানা ৭ উইকেট নেওয়ার পর দৃশ্যপটে আসেন এক স্পিনার। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ হার্দিক রাইকে বোল্ড করে আমিরাতের স্কোরটাকে ৭১/৮ বানিয়ে ফেলেন।

মারুফ মৃধা আবার আক্রমণে এসে নবম উইকেটটি তুলে নেওয়ার পর শেখ পারভেজ শেষ উইকেটটি তুলে নিতেই এশিয়া জয়ের উৎসবে মাতেন বাংলাদেশের যুবারা।

আমিরাতের ইনিংসে যা একটু প্রতিরোধ গড়েন ধ্রুব পরাশর। চারে নামা ব্যাটসম্যান করেছেন সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু পঞ্চম ওভারের শেষ বলে জিশান আলম ১৫ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রান যোগ করেন শিবলী।

রিজওয়ান ৬০ রান করে ফিরে গেলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে অবিচল ছিলেন শিবলী। তৃতীয় উইকেটে আরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন তিনি। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ফিফটির দেখাও পেয়ে যান আরিফুল। তবে ৪০ বলে ৬ চারে ৫০ রানে থামে তার ইনিংস।

এর মাঝে ১২৯ বলে আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৬ রানের দারুণ এক নক খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭১ ও জাপানের বিপক্ষে ৫৫ রান করেন।

এরপর খানিক ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত। তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।

তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন শিবলী। নিজের ইনিংসটা টেনে নিয়েছেন ১২৯ পর্যন্ত। তার ১৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ১টি ছক্কার মার। তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।

Header Ad

ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর এক মাস। পুরো বছরের তুলনায় এই সময় মশলার চাহিদা বেশি থাকে। আর এর মধ্যেই মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে এলাচির দাম বাড়ছে লাফিয়ে। এছাড়া অন্যান্য মসলার মধ্যে জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনিয়া, শুকনা মরিচ ও হলুদের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বৃদ্ধি ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের মসলার দাম। তবে বাজার অস্থিতিশীল বলা যাবে না।

শনিবার (১৯ মে) দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মসলার বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ও কয়েকটি খুচরা বাজার সরেজমিনে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় থেকে দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এলাচির দাম। দুই মাস আগে প্রতিকেজি এলাচির দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। খুচরায় এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এলাচির দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। জিরার দাম ছয় মাস আগে আরও বেশি ছিল। তখন প্রতিকেজি জিরার দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কিছুটা কমে পাইকারিতে ৭২০ টাকা, খুচরায় ৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বছর দুয়েক আগেও ঢাকার বাজারে প্রতিকেজি জিরার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই পরিস্থিতিতে ফেরার মতো অবস্থা এখনো হয়নি।

এদিকে বাজারে হলুদ ও শুকনা মরিচের মতো পণ্যের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি। এ দুটি মসলাজাতীয় পণ্য দেশেও কিছুটা উৎপাদন হয়। তাই পণ্য দুটির বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর বলা যাবে না। দেশে উৎপাদিত হলেও হলুদ ও শুকনা মরিচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমদানি হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

মৌলভীবাজারে প্রতিকেজি জিরা ৬৩০ থেকে ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ১৫ দিন আগেও ছিল ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা। এলাচ প্রতিকেজি ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা রোজার আগে ছিল ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি। দারচিনি ১০ কেজির কাটন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সে হিসেবে প্রতিকেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে দাম একই রয়েছে। দুই মাস আগে প্রতিকেজি গোলমরিচের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি। লবঙ্গ প্রতিকেজি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এটার দাম কমেছে।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা। এক মাস আগে যেটা কেজিতে ২০ টাকা করে কম ছিল। আস্তো হলুদ প্রতিকেজি ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই মাস আগে ছিল ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। ধনিয়া প্রতিকেজি ২৪০ টাকা থেকে কমে ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ২১০ থেকে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকা। রসুন প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১৮২ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরা ৮০০ টাকা, এলাচ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা, দারচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, আস্তো হলুদ ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, ধনিয়া ২৪০ টাকা, আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, রসুন ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতসহ যে-সব দেশ মসলাজাতীয় পণ্য রপ্তানি করে সেখানে খরার কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে ডলারের দাম দিন দিন বাড়ছেই। যেহেতু মসলা আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই ডলারের দামের সঙ্গে পণ্যের দামও ওঠানামা করে। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচ, জিরা, গোলমরিচের। অন্যান্য পণ্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ মসলার চাহিদা বেড়ে যাবে। এদিকে আমদানি খরচও বেড়েছে সেই প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। যদি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে বছরব্যাপী একই নীতি অনুসরণ করা যায়, তাহলে মসলার বাজার আরও স্থিতিশীল হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, ছোট আকারের এলাচির খুচরা দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। এক বছর আগে (গত কোরবানির ঈদ বাজারে) ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বাজারে এলাচির দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ। বাজারে বড় আকারের এলাচির দাম আরেকটু বেশি। খুচরা বাজারে বড় আকারের প্রতিকেজি এলাচি সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

অন্য মসলার মধ্যে টিসিবির তালিকা অনুযায়ী, বাজারে প্রতিকেজি দারুচিনির দাম এখন ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা। এক বছর আগে যা ছিল ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫২০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। বর্তমানে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। গত বছরের এ সময়ে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। বাজারে ধনিয়ার কেজি এখন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। এক বছর আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। সেই হিসেবে ধনিয়ার দাম এক বছরে বেড়েছে ৫২ শতাংশ। প্রতিকেজি তেজপাতার দাম এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ বেশি। প্রতিকেজি জিরার দাম এখন বাজারে সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা। গত বছরে একই সময়ে যা ছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা।

টিসিবির হিসেবে, বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর আমদানি করা হলুদের দাম গত বছর ছিল প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ১৩০ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

ফাইল ছবি

বান্দরবানের রুমা উপজেলার রনিন পাড়া সংলগ্ন এলাকায় কেএনএফ'র একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছে। আজ রবিবার সকালে ওই এলাকার গভীর জঙ্গলে একটি আস্তানার খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন ডেবা ছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএস আস্তানা গেড়ে সেখানে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে সকালে সেখানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দুজন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলি বিদ্ধ আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সেও মারা যায়। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনার পর আশেপাশের পাড়াগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর ওই এলাকায় সেনাবাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে নিহতদের লাশ উদ্ধারে সেখানে পুলিশ গিয়েছে। গত দুই ও তিন এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালি ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় কেএনএফ সদস্যরা হামলা চালিয়ে ১৪ টি অস্ত্র গুলি ও ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর কেএনএফ এর তৎপরতা দমনে বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফ এর পাঁচ সদস্য নিহত ও ৮২ জনকে আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। দেশটির উত্তর প্রদেশের বান্দায় এক নির্বাচনি সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সমাবেশে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির বেশ সমালোচনা করেন অমিত শাহ। অযোধ্যা রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ করেন, ভোট ব্যাংক হারানোর ভয়ে সেখানে যাননি তারা।

রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদবকে ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাদের ভোটব্যাংক মনে করে।

ভারত জোটকে লক্ষ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৪ জুন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম