সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বছরজুড়ে ডিবি অফিসে ভাত খেয়েছেন যারা

ফাইল ছবি

শেষ হতে চলেছে ২০২৩ সাল। এ বছর দেশে নানা রকম ঘটনার পাশাপাশি পুরো বছর জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ও। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভাত খাইয়ে টাইমলাইনে এসেছে ডিবি অফিস। সাথে ডিবি প্রধান হারুনও। এসব ঘটনার পর ডিবি কার্যালয়কে অনেকে ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ আবার ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ বলেও মন্তব্য করেন।

তবে এসব মন্তব্য ডিবি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বলে জানান ডিবি প্রধান। তিনি বলেন, ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ কথাটি মানুষ রসবোধ থেকে বলছে।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক পুরো বছরজুড়ে কারা কারা ডিবির আপ্যায়নে ভাত খেয়েছেন।

প্রথম আলোচনায় আসা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ডিবি হারুন অর রশীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। 


গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। হাসিমুখে ডিবিপ্রধানের সঙ্গে তার খাবার খাওয়ার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, হারুন অর রশীদ নিজে গয়েশ্বরের প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছেন।

জানা যায়, ওইদিন খাবারের মেন্যুতে ছিল খাসির মাংস, মুরগির মাংস, একাধিক মাছের তরকারি, রোস্ট ও সবজি। এছাড়া আম, মালটা, আঙ্গুর ও ড্রাগন ফলও ছিল খাবারের টেবিলে। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ডিবির একটি সাদা গাড়িতে করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে তার বাসায় পৌঁছে দেন ডিবি সদস্যরা।

তবে এ ঘটনায় ভাত খাইয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াকে ন্যক্কারজনক বলেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড। যারা কাজটি করেছে- এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক, এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে আমরা হাভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয় ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’।

নিতাই রায় চৌধুরীকেও মধ্যাহ্নভোজ করান ডিবিপ্রধান
২৯ আগস্ট ব্যক্তিগত কাজে ডিবি কার্যালয়ে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। এসময় তাকেও দুপুরের খাবার খাওয়ান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায়ের বাবা নিতাই রায় চৌধুরী। নিতাই রায়ের খাবার মেন্যুতে ফলের পাশাপাশি মাছ, মাংস ও ভাতের ব্যবস্থা ছিল। ওইদিনও ডিবিপ্রধান নিজ হাতে খাবার তুলে দিয়ে বিএনপি নেতাকে আপ্যায়ন করেন।

ডিবি কার্যালয়ে ডাল-ভাত খান হিরো আলম

১৩ সেপ্টেম্বর ডিবি কার্যালয়ে ভাত খাচ্ছেন হিরো আলম


হত্যার হুমকির অভিযোগ নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল ইসলাম ওরফে হিরো আলম। ওইদিন দুই সহযোগীসহ ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খান তিনি। তবে ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে পুলিশ কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও খাবার নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন হিরো আলম।

এ সময় হিরো আলম বলেন, ‘আমাদের আলুভর্তা আর ডাল দেওয়া হয়েছে। এটা ঠিক না। দুরকম খাবার দিচ্ছেন, ঠিক নাকি? অপু (অপু বিশ্বাস) আসলে অনেক খাবার দিছেন, নেতা আসলেও অনেক কিছু খেতে দিছেন। আর আমারে খালি আলুভর্তা, ডাল, ভাজি দিছেন।’

সমঝোতার পর ডিবি অফিসে খাবার খান অপু-তাপস

১৯ ডিসেম্বর সমঝোতার পর ডিবি অফিসে ডিবি প্রধানের সাথে খাবার খান অপু-তাপস ।


ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ও গানবাংলা টিভির সিইও কৌশিক হোসেন তাপস গত ১৯ ডিসেম্বর ডিবি কার্যালয়ে দুপুরের খাবার খান। কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। ডিবি কার্যালয়ে সেসব বিষয় সমঝোতার পর সেখানে দুপুরের খাবার খান তারা। তাদের খাবারের মেন্যুতে ছিল ভাত, মাংস, মাছ, ডাল, লাল শাক, সবজি ও ভর্তা।

শাহজাহান ওমর

৬ ডিসেম্বর ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন শাহজাহান ওমর।


গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে ভাত খান বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। খাবারের মেন্যুতে ছিল ভাত, মাংস, মাছ, ডাল, সবজি ও ভর্তা।

খাবার শেষে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে আলাপে নিজের অভিযোগের কথা জানান শাহজাহান ওমর। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের শাহজাহান ওমর বলেন, ‘আমি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। আমার ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী এমনকি আমার জুনিয়র আইনজীবীর মোবাইল ফোনে কল করে নানান কথা বলা হচ্ছে। ওই বিষয়টিই হারুন সাহেবকে জানাতে এসেছিলাম।’

শামীম ওসমানের মধ্যাহ্নভোজ

২৯ নভেম্বর দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে মধ্যাহ্নভোজন করেন শামীম ওসমান ।


নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ২৯ নভেম্বর দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন করেন। ওইদিন ডিবি কার্যালয় থেকে বের হলে সাংবাদিকরা তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। তখন শামীম ওসমান বলেন, ‘হারুন ভাইয়ের নয়, উনার স্ত্রী আমার বোন তার হোটেলে খেয়েছি।’

শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘হারুন ভাই আমার অনেক আগের পরিচিত। একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। সে কারণেই দেখা করতে আসা। পাশাপাশি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্র করছে। এসব তথ্য তাকে দিয়েছি। সাধারণ মানুষ হিসেবে তথ্যগুলো দিয়ে গেলাম। হারুন ভাই ক্যাপাবল অফিসার, তিনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’

মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে যা বলছেন ডিবিপ্রধান
‘ডিবির ভাতের হোটেল’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এটা রসবোধের প্রশ্ন। বাঙালি রসবোধ সম্পন্ন জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়। আমি মনে করি রসবোধপ্রবণ একটি বিষয় হলো ভাত খাওয়ানো। আমরা আসলে কাউকে ডেকে এনে ভাত খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসেন, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি। তিনি যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান।’

ডিবি কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানায় যেতে মানুষ ভয় পেতো। এখন আমি একজন ডিআইজি, আমার কাছে শত শত লোক কোনো না কোনো কাজ আসেন। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসে।’

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে আছে- কোনো মানুষ যদি কারও বাড়িতে যায় তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ, আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এটাতো খারাপ কিছু নয়। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলেন, তারাও ভালো অর্থে বলেন, খারাপ অর্থে বলেন না। এতে আমরা উৎসাহিত হই।’

 

Header Ad
Header Ad

এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি

এক সংবাদ সম্মেলনে মো. রাশেদ খান লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের পর এবার জাতীয় পার্টিকে (জাপা) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। গতকাল রবিবার দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করে গণঅধিকার পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। এ সময় জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলে আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন দলটির নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খান বলেন, ‘শনিবার, ১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আন্দোলনকারী বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তবে চূড়ান্ত নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

দলের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে রাশেদ আরও বলেন, ‘গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, শুধু সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা নয়, আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত নিবন্ধন বাতিল না হলে এই গণঅভ্যুত্থান অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি নিবন্ধন বাতিল এবং চূড়ান্তভাবে দলটিকে নিষিদ্ধ করতে নির্বাচন কমিশন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করেন তারা।’

 

Header Ad
Header Ad

এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা

এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা। ছবি: সংগৃহীত

স্প্যানিশ সুপার কাপ, লা লিগা এবং কোপা দেল রের ফাইনাল মিলিয়ে এই মৌসুমে চার সাক্ষাতের চার বারই বার্সেলোনার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তাদের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে বার্সা।

ম্যাচের শুরুতে যে এমন বারুদের দেখা মিলবে, তা অনুমিত ছিল। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বক্সের ভেতর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফাউল করে বিপদ ডেকে আনেন বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। স্পটকিক থেকে রিয়ালকে এগিয়ে নিতে কোনো ভুল করেননি এমবাপ্পে। যদিও তিনি যেদিকে শট নিয়েছেন, সেদিকে ধাবিত হয়েছিলেন সেজনি। কিন্তু ঠেকানো তো দূরের কথা ছুঁতেও পারেননি এই গোলরক্ষক।

৪-৩ গোলের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে বার্সা। ছবি: সংগৃহীত

১৪ মিনিটে আবারও সেজনিকে পরাস্ত করেন এমবাপ্পে। পাল্টা আক্রমণে উঠে বাঁ প্রান্ত থেকে তাঁর দিকে বল বাড়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে দারুণ এক শটে কীর্তিতে নাম লেখান এমবাপ্পে। এই গোল দিয়ে ৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন তিনি।

মৌসুমের শুরুটা ছিল একবারে মলিন। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রিয়ালের জার্সিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন এমবাপ্পে। মৌসুম যদিও এখনো শেষ হয়নি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৮ গোল করেছেন তিনি। রিয়ালের হয়ে প্রথম মৌসুমে এর চেয়ে বেশি গোল করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ৩৭ গোল করেন ইভান জামোরানো।

২ গোল হজম করে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে বার্সা। শুধু প্রত্যাবর্তনই করেনি রিয়ালের ওপর দেখায় নিজেদের দাপট। ১৯ মিনিটে ফেরান তোরেসের অ্যাসিস্ট থেকে দারুণ হেডে ব্যবধান কমান এরিক গার্সিয়া। ৩২ মিনিটে দৃষ্টিনন্দন এক গোলে ম্যাচে সমতা আনেন লামিনে ইয়ামাল। ফেরান তোরেসের কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁকানো শটে থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন তিনি।

সমতায় ফেরার মাত্র ২ মিনিট পরই বার্সাকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। পেদ্রির দেওয়া পাস গোলে পরিণত করতে কোনো ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখাও পেয়ে যান তিনি। এর মাঝে অবশ্য একটি পেনাল্টি পায় রিয়াল। তবে অফসাইডের কারণে রেফারি সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন। ৮২ বছরে এই প্রথম এল ক্লাসিকোয় প্রথমার্ধ শেষে দেখা মিলল ছয় গোলের।

সমতায় ফেরার মাত্র ২ মিনিট পরই বার্সাকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিরতির পর উত্তাপ তেমন একটা ছিল না বলা যায়। রিয়াল ম্যাচে ফেরার জন্য উদ্যমী হয়ে ওঠে বটে। ৭০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের পাসে এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলে সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। ৩০ বছর পর লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন রিয়ালের কোনো ফুটবলার।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। দুই দলই পায় গোলের দেখা। কিন্তু দুটি গোলই বাতিল করেন রেফারি। এমবাপ্পের গোলটি হয়নি অফসাইডে থাকার কারণে। ভিএআরে একইভাবে হতাশ হতে হয় বার্সার ফার্মিন লোপেজকে। তবে শেষ হাসিটা হাসে বার্সাই। ৩৫ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শিরোপা থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে রয়েছে তারা। ৭ পয়েন্ট পেছনে থেকে দুইয়ে রিয়াল। লিগে বাকি আর কেবল তিন ম্যাচ। রোমাঞ্চকর কিছু না ঘটলে শিরোপা উঠতে যাচ্ছে বার্সার ঘরেই।

 

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ সোমবার দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত শুক্রবার তার ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আগামী সপ্তাহে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন বিভাগ।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রির্পোট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ‘ফরমাল চার্জ’ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।

‘ইতোমধ্যে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি
এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ
যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
একদিনে চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে নতি স্বীকার: তোপের মুখে মোদী
সংগঠন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন
শ্রীলঙ্কায় বাস খাদে পড়ে ২১ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু
আলোচনার টেবিলে ভারত-পাকিস্তান, গুরুত্ব পাচ্ছে সিন্ধু চুক্তি ও কাশ্মির ইস্যু
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক
আ. লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বারবার পত্র দিয়েছে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে গ্রেফতার আতঙ্কে ভাইয়ের জানাজায় অংশ নেননি আ.লীগের দুই নেতা
বিরামপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবার মৃত্যু, ছেলে আহত
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে: আসিফ নজরুল