শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাষ্ট্রপতির কাছে যে পরিকল্পনা তুলে ধরতে চায় দুদক

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে এবার গবেষণা ও উন্নয়ন সেল করতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতির প্রবণতা বুঝতে, ধরন শনাক্ত করতে এবং মোকাবিলায় নতুন উপায় বের করতে এ সেল বা ইউনিট গঠনে আগ্রহী সংস্থাটি। ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতির কাছে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে সময় চাওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়। প্রতিবেদনে আগামীর নীতি ও পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরা হবে। তবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে নেওয়া কৌশলগত নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাটাকে চ্যালেঞ্জও মনে করছে দুদক।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দুদক সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কৌশলগত পরিকল্পনায় বৃহৎ পরিসরে দুর্নীতি দমনের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সামাজিক প্রয়াসকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে চায় তারা। যে নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় সেগুলো হচ্ছে– প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত, কার্যকর প্রসিকিউশন, কার্যকর প্রতিরোধ ও গবেষণা কার্যক্রম এবং কার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা।

প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো: প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে দুদক। তারপরও তারা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি কিছু কর্মপরিকল্পনা পেশ করতে চায় রাষ্ট্রপতির কাছে। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– যুগোপযোগী একটি নতুন অর্গানোগ্রাম প্রণয়ন, নতুন কর্মী নিয়োগ, উত্তম কাজের পুরস্কার হিসেবে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা এবং পর্যাপ্ত ও যথোপযুক্ত লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করা। যদিও ২০২৩ সালে কমিশনে বিভিন্ন পদে ১২৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এরপরও কিছু অনুমোদিত পদ শূন্য রয়েছে।

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ, মূল্যায়ন, বিশ্লেষণ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ, দুদকের ডিজিটাল ফরেনসির ল্যাবের সক্ষমতা বাড়ানো, ফরেনসিক অ্যাকাউন্টিংয়ের জন্য প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করা, একটি ডেডিকেটেড প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন, অর্থবছরের শুরুতে বার্ষিক প্রশিক্ষণ কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন, প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য কোর্স (TOT) আয়োজন এবং দুর্নীতি দূরীকরণে দুদককে সহায়তাকারী অংশীদারদের সঙ্গে মতবিনিময়।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে– দুদক ও জনসাধারণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য দুদকের মৌলিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রীয় নৈতিকতা বিধি প্রণয়ন করে তা প্রসারের উদ্যোগ গ্রহণ ও নৈতিকতা বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চায় তারা।

অনুসন্ধান ও তদন্ত: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মৌলিক কার্যক্রমের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধান ও তদন্ত। এবারের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে– সক্ষমতার অভাব এবং গতানুগতিক পদ্ধতির প্রয়োগ, অনুসন্ধান ও তদন্তের ক্ষেত্রে দুদকের প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করে। যে কারণে কার্যকর অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম নিশ্চিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চায় সংস্থাটি।

স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় জনবল, লজিস্টিক এবং অন্যান্য সুবিধা অন্তর্ভুক্তি এবং পর্যাপ্ত আর্থিক বরাদ্দ এবং সততার ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করতে চায় সংস্থাটি। মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রাসঙ্গিক আইন, বিধি, সার্কুলার এবং অফিস আদেশ অন্তর্ভুক্ত করে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য একটি যুগোপযোগী গাইডলাইন তৈরি করে সেটা অনুসরণ করা। অনুসন্ধান ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তাদের তদারককারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা রাখা।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচারিক কার্যক্রম এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য দুদক কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায় সংস্থাটি। এরজন্য মানসম্পন্ন ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন এবং ডিটেনশন সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখা।

কার্যকর প্রসিকিউশন: দায়ের করা দুর্নীতি মামলার বিচার ও তদারকি করা যে কোনও দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। তবে এসব মামলার বিচারে কার্যকর সহায়তা দেওয়ার জন্য বর্তমানে কমিশনে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল ও লজিস্টিক নেই। সেজন্য লজিস্টিক এবং অন্যান্য সুবিধাসহ প্রসিকিউশন ইউনিটের জন্য অর্গানোগ্রামে জনবল রেখে সেই অনুযায়ী দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রসিকিউটরদের দুদক চাকরি বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী নিয়োগ দিতে চায় দুদক। এছাড়া প্রসিকিউটর এবং তাদের তত্বাবধায়কদের জন্য গাইডলাইন তৈরি করে প্রসিকিউটর এবং তত্ত্বাবধায়কের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়।

প্রতিরোধ ও গবেষণা কার্যক্রম: জনগণের সক্রিয় সমর্থন বা অংশগ্রহণ ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী কোনও উদ্যোগই সফল হতে পারে না বলে মনে করে দুদক। দুর্নীতির প্রবণতা বোঝা, দুর্নীতির রূপ শনাক্ত ও মোকাবিলায় নতুন উপায় বের করে সেটার মাত্রা মূল্যায়নের জন্য গবেষণা জরুরি বলে মনে করে সংস্থাটি। তাই কমিশনের নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিটের প্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে তুলে ধরবে দুদক, যেটা অনুসন্ধান, তদন্ত, বিচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রচেষ্টাগুলোর সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

দুর্নীতি দমনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুদকের সক্ষমতা বাড়াতে প্রতি বছরই স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয় দুদক। এবছরও নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও কার্যকর করা কতটুকু সম্ভব? জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চাননি। তবে তিনি বলেন, বাৎসরিক পরিকল্পনা ওই বছরই বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও সততা স্টোরের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারাবছরই কাজ করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে নানা কারণে ব্যতিক্রম হয়।  সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Header Ad

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

কোটা আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।

এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে। সেই সময় ভিসি স্যার আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন।

এ ছাড়া পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানায় আবু সাঈদের পরিবার।

মকবুল হোসেন আরও বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিল আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় আমার সংসার চলতো। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। বাবা হয়ে সবচেয়ে ভারী কাজ হলো সন্তানের লাশ কাঁধে নেওয়া।

এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দোয়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে আবু সাঈদের বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব সময় যোগাযোগ রাখছে। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সাড়ে সাত লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনার পর আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাজুড়ে। নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ২০৯টি। নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২০৯টি মামলায় ২৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সারাদেশে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। অভিযানে ঢাকায় ৬৩ ও ঢাকার বাইরে ২০৩ জনসহ মোট ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এদিকে আজ নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত অনেকবার গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা বা দেশকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পুলিশের কারণে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা এবার পুলিশকেই টার্গেট করেছে।

যারা পুলিশকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, স্বপ্নের মেট্রোরেলসহ সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালিয়েছে। যারা এসবের নেতৃত্ব দিয়েছে, অর্থ আদান-প্রদান করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’

বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা শতকরা পাঁচ ভাগ রেখেছে। এটি মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু পরিষ্কার হওয়া দরকার, বাকি পদে কাদের নেওয়া হবে। আমরা বাকি ৯৫ শতাংশ কোটা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়ায় বোঝাপড়া করব।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর পাঁচদোনায় সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনাসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই পাঁচদোনা মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্মৃতিধন্য এই স্থানে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। দুঃখের বিষয়, সেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই হামলা চালানো হয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও বিএনপির ক্যাডাররা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। মুক্তিযুদ্ধের সেই গর্বের ধন আজ পরাজিত শক্তির কাছে আক্রান্ত হচ্ছে।

এসময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত গ্রহণের জন্যও আদালতকে অনুরোধ জানানো হবে। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটিও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকারের দল এ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে যারা আঘাত করেছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডার।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য শাহজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরো, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা
তারেক রহমানের নির্দেশেই রাষ্ট্রের ওপর হামলা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে’, মমতাকে কড়া বার্তা দিল্লির
বাজারে সরবরাহ বাড়লেও সবজির দামে এখনো অস্বস্তি