শনিবার, ১১ মে ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৭০০ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা ‘দ্য রেলওয়ে ম্যান’ অসিম কুমার

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নিমির্ত ভারতীয় ওয়েব সিরিজ ‘দ্য রেলওয়ে মেন’। যেখানে দেখা যায় গ্যাস লিকের ঘটনায় ভোপাল ট্রেন স্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাস্টার ও তার সহকারীগণ কীভাবে অনেকগুলো মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছিলো। ১৯৮৪ সালে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে ঘটে এক ট্রাজেডির গল্প। অবিকল তেমন ঘটনা এখানে না ঘটলেও মানবকল্যাণে বা মানব হিতৈষী কাজে কম যান না আমাদের ‘রেলওয়ে মেন’। বাংলাদেশেও এমন একজন রেলওয়ে ম্যানের কথা জানা গেল, যার অক্লান্ত চেষ্টা আর দূরদর্শিতায় ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান ট্রেনটিতে থাকা সাত শতাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এই অনন্য দৃষ্টান্তটি স্থাপন করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (স্নাতক)। দুপুর সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়ার কথা এই ইউনিটের চতুর্থ ও শেষ শিফটের পরীক্ষা।

এ পরীক্ষায় অংশ নিতে সকাল ৬টায় ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ওঠেন ‘সি’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটের ৭০০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে রাজধানী ছাড়তে এ ট্রেনের দেরি হয়। হিসাব করে দেখা যায়, ট্রেনটি রাজশাহীতে পৌঁছানোর কথা দুপুর ৩টায়‌। যথাসময়ে ছাড়লে যেটি পৌঁছাতো বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু ভাগ্য এতোই খারাপ, পথিমধ্যে ধূমকেতুর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ট্রেনে থাকা শিক্ষার্থীরা তখন ধরেই নিয়েছিলেন, জীবনের মহা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাটা হয়তো দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু ‘দ্য রেলওয়ে ম্যান’ অসীম কুমার তালুকদারের আন্তরিকতার কারণে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান তারা।

সেদিন রাতেই রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি পোস্ট দেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক।

অসীম কুমার তালুকদার লিখেছেন, প্রায় ৭০০ ছাত্র-ছাত্রীর ‘ধুমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে গিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা। রেল ব্রোকেনের জন্য ধুমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকেই বিলম্বে রওনা হয়। সকাল ১১টায় হিসেব করে দেখা গেল, ট্রেনটি বিকেল ৩টা নাগাদ রাজশাহী পৌঁছুবে।

তখন থেকেই কাজ শুরু করেন অসীম কুমার। পরীক্ষার্থীদের সময়ের ব্যাপারে চিন্তা করে ধূমকেতু এক্সপ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে আসেন অন্য কয়েকটি ট্রেনকে বসিয়ে রেখে। কিন্তু বিধি বাম! লাহেড়ী মোহনপুর স্টেশনে এসে ধূমকেতুর ইঞ্জিন ফেইল করে। ফলে ট্রেনটির চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। কী করা যায়, কী করা যায়? ভাবছেন অসীম। এভাবে কি সমাপ্তি হবে শত শত পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন? যেই ভাবা, সেই কাজ। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে শরৎনগরে থাকা ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির ইঞ্জিন কেটে এনে ধূমকেতু এক্সপ্রেসে প্রতিস্থাপন করা হয়। আবার চালু হয় ট্রেনটি। কিন্তু সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। ততোক্ষণে এক ঘণ্টার মতো ‘সময়’ নষ্ট হয়ে গেছে।

হিসেব করে দেখা যায়, ট্রেনটি বিকেল ৪টায় রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছুবে। তখন তো পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে! পরীক্ষার্থীদের লালিত স্বপ্ন কি ধূলিসাৎ হয়ে যাবে? উপায়ান্তর না দেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারকে পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান অসীম। ট্রেন ছুটছে, দুর্বার গতিতে ছুটছে। দুশ্চিন্তাও পিছু ছাড়ছে না– পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে তো শিক্ষার্থীরা?

আন্তরিক যোগাযোগ রাখছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। ফোন করে জেনে নিচ্ছেন ট্রেনের খবর। সময় বাঁচাতে আড়ানি স্টেশনের স্টপেজে ট্রেন না থামানোর নিদের্শ দেন অসীম কুমার। অবশেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে। ভিসির কাছে ‘লেট এন্ট্রি’র বিশেষ অনুরোধ করেছিলেন অসীম। পরীক্ষা শুরু হয়ে গেলেও তাই শুধুমাত্র তাদের জন্য হলে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল আরও ২০ মিনিট।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, ঈশ্বরকে খুব একটা ডাকেন না তিনি। কিন্তু সেদিন পরীক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে, তাদের স্বপ্নের কথা চিন্তা করে তিনি ঈশ্বরকে ডাকা শুরু করেন। ছোটোখাটো মানতও করে ফেলেন। ঈশ্বর বোধহয় সদয় হলেন। তার মনোবাঞ্ছা পূরণ হলো এবং ১২৫ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেন। এখান থেকে একজন শিক্ষার্থীও যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, তাহলে হয়তো আবার ঈশ্বরের শরণাপন্ন হবেন অসীম।

বুধবার (৬ মার্চ) ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক প্রেস বিফ্রিংয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, দুর্ভোগ বলে কয়ে আসে না। ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ায় ঠিক সময়ে ট্রেনটি আসতে পারেনি। ওই ট্রেনে মঙ্গলবারের ‘সি’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটের ১২৫ জনের মতো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ছিল। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পর পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে মানবিক বিবেচনায় তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় বলে জানান তিনি।

খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলে। প্রশংসার স্তুতি বা বাহবার পাহাড় জমে অসীম কুমার তালুকদারের নামে। তাকে বা তার এই গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণের দাবি জানান অনেক নেটিজেন।

একজন ফেসবুকে লিখেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন টেস্ট ছিল। ঢাকা থেকে আসা একটি ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। থ্যাংকফুলি পশ্চিমাঞ্চল ট্রেনের মহাব্যবস্থাপক সেটা মনিটর করেছেন। নিজে রাবি’র ভিসির সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষায় লেট এন্ট্রির ব্যবস্থা করেছেন। অন্য ট্রেনের ইঞ্জিন ওই নষ্ট ট্রেনে সেট করে দ্রুত রাজশাহী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। এতো কষ্ট না করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও কারও কিছু করার ছিল না। একটু সহমর্মিতা, একটু আন্তরিকতা দেখিয়েছেন বলে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থীকে চোখের পানি ফেলতে হয়নি। তার নাম অসীম কুমার তালুকদার।

আরেকজন লিখেছেন, একটা পচে যাওয়া সময়ে অসীম যা করেছেন, তা আসলেই রেলওয়ের ইতিহাসে লেখা থাকবে। আমরাও সুর মিলিয়ে বলতে পারি– অসীম, আপনি যা করলেন, তার জন্য ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে। এই শত শত শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ যদি ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না-ও হয়, তবু আপনার ঠাঁই হবে মহাকালের অনন্ত যাত্রায়।

যেখানে অন্ধরাই চোখে বেশি দেখে, সেখানে অসীমের মতো মানুষ আসে চশমার গ্লাস হয়ে। যেসময়ে শহর পুড়ছে নরকের মতো, তখন এইসব ‘রেলওয়ে মেন’দের গল্প আমাদের কাছে দেবদূতের মতো মনে হয়। আমরা তখন পোড়া শহরে বাঁচার গন্ধ পাই। আমরা তখন নিরীহ জমির ভেতর আশার বীজ বুনতে দেখি..

 

Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের পাঞ্চ কার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হবে। এক্ষেত্রে ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও যারা পড়তে যান, বিশেষ করে বিভিন্ন চাকরি ও বিসিএস প্রস্তুতির জন্য পড়তে যাওয়া ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। আগামী বছর থেকে এই নিয়ম চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অগ্রায়ন (বিদায়) ও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অগ্রায়ন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব পরিকল্পনার কথা জানান।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফেরদৌস আহমেদ এবং সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ সাইফুল আলম চৌধুরী।

বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, লাইব্রেরিতে কার্ড পাঞ্চ করে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানোর প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে। যারা কেবল বিসিএস পড়তে যায়, তারা আগামী বছর থেকে লাইব্রেরিতেও প্রবেশ করতে পারবে না। এখন লাইব্রেরিতে সবাই বিসিএস পড়তে যায়। দু-একজন হয়তো একাডেমিক বই পড়ার জন্য যায়। এর অর্থ, যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে, সে বিষয়ে তারা আনন্দ পায় না। আনন্দ পেলে পাঠ্যসূচিনির্ভর পড়াশোনা তাদের ধ্যান-জ্ঞান হওয়ার কথা।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আগামী বছর থেকে হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত কার্ড পাঞ্চ করে প্রবেশ করতে হবে। যার ফলে, মেয়াদোত্তীর্ণ ও বহিরাগতরা হলে প্রবেশ করতে পারবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠান আখ্যায়িত করে উপাচার্য বলেন, এখানকার উন্মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশে জ্ঞান চর্চা ও সকল সুযোগ-সুবিধার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সঠিক তথ্য পরিবেশন, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।

সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ বলেন, জ্ঞান, বিবেক ও বুদ্ধি দিয়ে সাংবাদিকরা দেশ ও সমাজকে একটি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলুদ সাংবাদিকতা রোধ ও সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বিভাগের সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের দেশে এনআইডি করতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না। প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)।

প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)। পরিপত্রে দেওয়া নির্দেশনায় সংস্থাটি জানায়, এখন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের দেশে এনআইডি করতে আর দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না। সম্প্রতি এনআইডির সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিপত্রে জানানো হয়, প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম সহজ করতে ও মাঠপর্যায়ে সব অফিস থেকে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫১; বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলী) আদেশ, ১৯৭২ অনুসারে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই। এই আইন ও আদেশ অনুযায়ী আবেদনকারীর পিতা/মাতা অথবা দাদা-দাদির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র/বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/অনলাইন জন্ম সনদ/অনলাইন মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদের কপি দাখিল করতে হবে।

২. কোনো বাংলদেশি প্রবাসী অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাকেও জাতীয় পরিচয় প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

৩. বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলী) বিধান, ১৯৭৮ এর বিধান-৪ অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

৪. বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার শর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, উক্ত বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে।

৫. প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ সাত কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে ডাটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।

৬. প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ সংক্রান্ত সব বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। নতুন এই পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল জারিকৃত স্মারকটি বাতিল করা হলো।

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে ২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে কৃষকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১১ মে) সকালে উপজেলার পাটা চোরা ও সদর উপজেলার বেগমপুরের ঝাঁজরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা পাটা চোরা গ্রামের মল্লিকপাড়ার খেদের মল্লিকের ছেলে আহাম্মেদ আলী মল্লিক (৭০) ও সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরী গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল হোসেন (৩০)।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন জানান, এদিন সকালে রুবেল মাঠে কাজ করতে গিয়েছিল। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে সে কাজ না করে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় ঝাঁঝরি স্কুলের কাছে পৌঁছালে তার মাথায় বাজ পড়ে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এদিকে পাটাচোরা গ্রামের বাসিন্দা শাহিন জানান, এদিন সকালে গ্রামের ইশেরগাড়ী মাঠ থেকে কাজ শেষে আহম্মেদ মল্লিক বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বজ্রাঘাতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হন। তাকে দ্রুত দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, বজ্রাঘাতপ্রাপ্ত আহম্মেদ মল্লিককে মৃত অবস্থায় এখানকার জরুরী বিভাগে আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শাহবাগে চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশীদের অবরোধ
ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১০ জুন: রেলমন্ত্রী
২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ এখন বাংলাদেশের জলসীমায়
নিজের মুখেই পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন এমবাপ্পে
মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর যুবকের আত্মহত্যা
বিয়ে না করেই দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন একতা কাপুর
আগামীকাল এসএসসির ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
৫০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি কেজরিওয়াল, একনায়কতন্ত্র আটকানোর আহ্বান
থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোক কেড়ে নিল ৬১ প্রাণ
যাত্রী উধাও, ভাড়া না পেয়ে জ্ঞান হারালেন রিকশাচালক
শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় বড় তহবিল পাচ্ছে আইসিবি
নওগাঁয় ভুট্টাক্ষেতে পড়েছিল কৃষকের মরদেহ
৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর এখনো ভিসা হয়নি
ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় গাজায় ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ