মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরো উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে কেউ বঞ্চিত করলে, সে যত বড় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হোক না কেন তাকে আমরা ছাড়বো না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। মালিকদের বলবো, শিল্প কলকারখানা শিল্প মালিকরা বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিবেন, সেচাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা শিল্প কারখানা যেন বন্ধ না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের নারীরা সমমজুরি পায়। আমাদের সময় নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ৪৩ দশমিক ১ ভাগে বৃদ্ধি পেয়েছে। মেয়েরা সব জায়গায় কাজ করতে পারে। আমরা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠন করে আমাদের প্রধান কাজ হলো মানুষের কল্যাণ করা। সেই প্রচেষ্টাই আমরা হাতে নিয়েছিলাম। আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।

Header Ad

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ছবি: সংগৃহীত

শেষ হলো ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এখন গণনা চলছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেল ৪টায় দেশের ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এসব উপজেলার মধ্যে ২৪টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

এ ধাপেও প্রচার ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত, হুমকি, আচরণবিধি লঙ্ঘন, সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোটের পরে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন অনেকে। স্থানীয় এমপি ও প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করে কতটুকু সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে- সেটি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোনো কোনো প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ ধাপে ১০টি অঞ্চলের ১০৬ পৌরসভার, ১ হাজার ৪৯৪ ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৩ হাজার ১৬টি। আর ভোটকক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯টি। দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ৭৪৮ জন।

নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন ছিল ৪৫৮ প্ল্যাটুন। পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল ৮৯ হাজার ৮৬৩ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব মোতায়েন ছিল ২ হাজার ৭৬৮ জন। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করে ইসি। এর মধ্যে ধাপ পরিবর্তন, মামলাসহ বিভিন্ন কারণে ৫টিতে এ ধাপে ভোট হচ্ছে না। বাকি ১৫৬ উপজেলায় ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৫৬ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে তারা সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ সম্পন্ন করবেন। পরের ধাপগুলোর জন্যও একইভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেবে ইসি।

 

নিষেধাজ্ঞায় তাদের অপকর্ম থামেনি: ফখরুল

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, র‌্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাতে তাদের কিছুই হয়নি, তাদের অপকর্ম থামেনি। সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞায় অনেকে খুশি হয়েছে। কিন্তু এটা আরেকটা বিভ্রান্তিকর বিষয়।

তিনি বলেন, আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। উৎখাত করবো কেন? ভোটের মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করবো, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা আয়োজন করে জাগপার একাংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ পরিবারসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন। এখানে কেস দেখানো হয়েছে, গণতন্ত্র বিনষ্ট ও দুর্নীতির দায়। সরকার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগসহ সব প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছে। সংবাদিকদের লেখার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই।

তিনি বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। গণতন্ত্রের আলখেল্লা পরে নির্বাচন নাটক দেখাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে, সেই ভয়ে তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে তাতেও জনগণের সমর্থন নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ক্ষমতায় যেতে চাই না। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই। এতে আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন? কারণ তারা যে অপকর্ম করেছে এগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের হবে সেই ভয়ে।

তরুণ সমাজ কোথায়? দেশের এ অবস্থা তাদের কি আলোড়িত করে না? এমন প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্য কোনো পথ চিনি না, আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণকে বেরিয়ে আসতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে।

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার

ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৯৩ ডলার ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৫৯১ ডলার।

চলতি অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে হবে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

সোমবার (২০ মে) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএস বলছে, চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর কিছুদিন বাকি আছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে দাঁড়াবে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এছাড়া মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। ফলে বছরের ব্যবধানে ৩৫ ডলার বেড়েছে। বর্তমানে টাকার হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।

সর্বশেষ সংবাদ

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
নিষেধাজ্ঞায় তাদের অপকর্ম থামেনি: ফখরুল
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার
আজ চা প্রেমীদের দিন
সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্র দখল ও ভোটে কারচুপি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তাবরিজে রাইসির শেষ বিদায়ে হাজারও মানুষের ঢল
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সংসার ভাঙার গুঞ্জন
রাইসির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ
চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ: ইসি সচিব
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ
ভয় থেকেই সরকার ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে কারাগারে নিয়েছে: রিজভী
দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, স্ট্রোকে প্রাণ গেল ভোটারের
লিফট-এসি কিনতে বিদেশ যাচ্ছেন ১০ কর্মকর্তা
নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৫ শতাংশের কম
গাইবান্ধার ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটার উপস্থিতি কম
ঢাকায় পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং
হোটেলে খেতে গিয়ে দায়িত্ব হারালেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা
প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৮ শতাংশ: ইসির অতিরিক্ত সচিব
উপজেলা নির্বাচন: ২ ঘণ্টায় মাত্র ৩ ভোট!