শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

উমামা ফাতেমা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ থেকে সরে দাঁড়ালেন সংগঠনটির পরিচিত মুখ উমামা ফাতেমা। শনিবার (২৮ জুন) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

পাঠকদের জন্য উমামা ফাতেমার ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয়েছে গত পরশু। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সাথে আমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা এখানেই শেষ হলো। এনসিপি নামক রাজনৈতিক দলটি গঠনের পর আমি জুলাইয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো করার দায়বদ্ধতা থেকে এই ব্যানার নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু দলীয় লেজুড় ও প্রেসক্রিপশনের বাইরে এই ব্যানারটি স্বাধীনভাবে কাজ করলে অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ত। তাই আমার উপর অনলাইন, অফলাইনে ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করা হয় যাতে আমি এই ব্যানার নিয়ে কাজ না করি। আমি পুরা বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই একটা Goodwill থেকে ব্যানারকে সচল করার চেষ্টা করেছিলাম। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আমার আলাদা করে বলার কিছু নেই। যে মানুষগুলার সাথে আমি পাশে দাঁড়ায়ে মিটিং করছি, মিছিল করছি তারাই পরিকল্পিতভাবে জুনিয়রদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে Smear campaign চালায়।’

‘মানুষ বাইরে যত ভালো সাজার চেষ্টা করুক ভিতর থেকে কতটা ছোটলোক হতে পারে আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই ঐ সময়গুলাতে। এই সো কল্ড সহযোদ্ধারা মানুষকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করে, প্রযোজনা শেষ হলে ছুঁড়ে ফেলতে এক মুহূর্তও লাগে না। আমি মার্চ-এপ্রিল মাসে এই প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি পোকার মতো ভিতর থেকে প্ল্যাটফর্মকে সুবিধাবাদীরা খেয়ে ফেলেছে। হ্যাঁ, আমি বলব বিভিন্ন শাখা কমিটিতে অনেক Goodwill এর মানুষ ছিল, যারা পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে কমিটিতে আসছিল। চেষ্টা করছে কাজ করার। কিন্তু তারাও এই সুবিধাবাদীদের কাছে জায়গা করতে পারেনি। আমার সাথে অনেকের কথা হয় এখনো। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে চেষ্টা করি সাজেশন দেয়ার, হেল্প করার। জুলাই অভ্যুত্থানের মতো এত বড় ইভেন্ট দেখার পর চোখের সামনে সবকিছু ভেঙে পড়তে দেখাটা অনেক অনেক কঠিন। পরবর্তীতে আমার বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের সাথে পরামর্শ করে এই ব্যানার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। বৈষম্যবিরোধী ব্যানারের থেকে সরাসরি পদত্যাগ না করলেও এই ব্যানারের সাথে কার্যত সম্পর্কছিন্ন করি গত এপ্রিল-মে মাসে। প্ল্যাটফর্ম থেকে Empowering our Fighters নিয়ে কাজে মনোযোগ দিই। বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল, সেসবে মনোযোগ দিই। অনেকবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পদত্যাগ করব।একটা পদত্যাগপত্র লিখে আর জমা দিইনি। পারি নাই আসলে। রাজনৈতিকভাবে ভাবলে পদত্যাগ করে আসাটা সবথেকে সহজ। কিন্তু আমি তো মানুষ, অনেক কঠিন, অভ্যুত্থানের কারণে পারি নাই। আমি এই প্ল্যাটফর্মে তো দেশ সংস্কার করতে আসছিলাম। কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করতে তো আসি নাই এখানে।’

‘জেলা, উপজেলার অনিয়মের খবর আসত শুধু, সাংবাদিকদের কল আসত। আমি পরিষ্কার করে বলেছি যারা এই কমিটিগুলো দিয়েছে তাদের আপনারা কেন জিজ্ঞেস করেন না? যাদের সাইনে কমিটি হচ্ছে তাদের মুখের সামনে মাইক ধরেন না কেন?! এই কমিটিগুলো করার সময় আমার কাছে কমপ্লেইন আসলে তো সরাসরি আমি অবজেকশনগুলো জানিয়েছি সাবেক আহ্বায়ক, সদস্য সচিবের কাছে। এনসিপি গঠনের আগে ঢালাওভাবে কমিটি ফর্ম হয়েছে। আমিসহ কয়েকজন এসব কমিটি নিয়ে অবজেকশন দিই। কোনো উত্তর আমাদের দেয়া হয়নি। মুখপাত্র হিসেবে বৈষম্যবিরোধীর পেইজের এক্সেস থাকার কথা আমার কাছে, আমার দায়িত্ব হওয়ার কথা মিডিয়া হ্যান্ডলিং। পেইজের এক্সেস দেয়া তো দূরের কথা এই পেইজ থেকে মার্চ মাসে আমার বিরুদ্ধে পর্যন্ত পোস্ট হয়েছে। আমি ব্যবস্থা নিতে চাইলে পেইজকে আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় আর নাইলে Silent treatment সহ্য করতে হয়। দিনের পর দিন হেন কোনো নোংরামি নাই যা এরা করেনি।’

‘জুলাই এর পরে এই পরিস্থিতিগুলো ডিল করতে গিয়ে মার্চ, এপ্রিল মাসে আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাই। যাদের সাথে কাজ করতে চাচ্ছিলাম তারাও হেয়াররোডের আশায় তাকিয়ে থাকত। একদিকে আমার কথার সাথে তাল মেলাত, অন্যদিকে রাতেরবেলা হেয়ার রোডে গিয়ে পদ-পদবি নিয়ে বার্গেইনিং করত, সব খবর আমি পেতাম। আমি কনফ্রন্ট করলে আমাকেও বলা হত যাতে সুপ্রিম অথরিটি সাথে আমি পদ নিয়ে কথা বলে আসি। আমি সরাসরি বলি যে, আমি কেন ওদের কাছে পদ খুঁজতে যাব? ওরা আমাকে পদ দেয়ার কে? ও কোন হনু হয়ে গেছে যে আমাকে এসে তারা পদ দিবে? ওর কাছে গিয়ে পদ আনতে হলে প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করার আর মানে কি?! এসবের ভাই-ব্রাদার রাজনীতির যন্ত্রণায় বদ্ধ জলাশয়ের মতো প্ল্যাটফর্ম আটকে ছিল। আমি কাজ করতে চাইলে আমাকে করতে দিবে না। বরং পেছনে কথা ছড়ানো হতো আমি প্ল্যাটফর্মের কাউকে কাজ করতে দিচ্ছি না, কাউন্সিল আটকে রেখেছি। নেতারা তাদের জুনিয়রদের দিয়ে প্রোপাগান্ডা সার্কুলেট করে বিভিন্ন ফোরামে। পরবর্তীতে আমি সিদ্ধান্ত নিই এভাবে হয় না। নির্বাহীর যারা অবশিষ্ট ছিল তাদের জানিয়ে দিই। মুখপাত্র পরিচয়টা বাদ দিয়ে শিক্ষার্থী পরিচয়টাকে আপন করার শুরু করি। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার জানতে পারি আমি নাকি বৈষম্যের কাউন্সিল আটকে রেখেছি। অথচ সবাই জানে কাউন্সিল মন্ত্রীপাড়ায় আটকে আছে। আর আমি এই প্ল্যাটফর্মের সাথেই নাই। আমি চুপ করে ছিলাম সেটা নিয়েও একটা না একটা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছিল। আমার এত ক্ষমতা, আমি কমিটি আটকে রেখেছি। অথচ আমি শাখা কমিটি নিয়ে কোনো একশন নিতে পারিনি, ঢালাও ভাবে পেজ থেকে পোস্ট হওয়া উপজেলা কমিটিগুলোও আটকাতে পারিনি। অথচ যখন হেয়ার রোড থেকে আহ্বায়ক সিলেক্ট হলো তখন নির্বাচন হতে ২০ দিনও লাগেনি।’

সর্বশেষ আসে কাউন্সিলে ভোট দিতে যাওয়ার বিষয়টা। আমি শেষ দিন পর্যন্ত কাউন্সিলে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যারা কাজ করতে চায় তারা বেশিরভাগ এই কাউন্সিলে প্রার্থীই হওয়ারই সুযোগ পায়নি। ভোটার খুব লিমিটেড, যার মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের লোকজন সব। জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে এসে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে, যাতে ভোটটা দিতে যাই। স্বাভাবিকভাবেই আমি অপারগ ছিলাম। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে আমি ভোটটা দিয়ে আসি। এতটুকুই যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি চেষ্টা করছি এখান থেকে ভালো কিছু হোক। আমি ভিতর থেকে চাচ্ছিলাম এই প্ল্যাটফর্মটার অন্তত ভালো কিছু হোক। কিন্তু বুঝতে পারছিলাম যেভাবে সাপের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে প্ল্যাটফর্মকে জড়িয়ে ফেলা হয়েছে, এখান থেকে ভালো কিছু অসম্ভব। এই নির্বাচনে কিছু প্রার্থী ছিল যাদের কাজ করার সত্যিকার ইচ্ছা ছিল। আমি ঐ সাপোর্টটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে রাতের বেলা ফলাফলের পর দেখলাম নির্বাচনে অংশ না নেওয়া একজন এসে মেম্বার হয়ে গেছে কাউন্সিলের। এসব দেখে আমি অত্যন্ত লজ্জিত। সেই একই স্বেচ্ছাচারিতা, স্ট্যান্ডবাজি, ভাই-ব্রাদার কোরামের খেলা। এখন বোধ করি এই প্ল্যাটফর্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

অভ্যুত্থানের কথা চিন্তা করে আমি এই প্ল্যাটফর্ম থেকে সকল ধরনের সমর্থন ও কাউন্সিলে প্রদত্ত ভোট প্রত্যাহার করলাম। আমি অত্যন্ত অশান্তিতে আছি। অভ্যুত্থান যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে, গোষ্ঠীস্বার্থে এই প্ল্যাটফর্ম একইভাবে বহু মানুষের স্বপ্ন ও সময় নষ্ট করেছে। আমি অভ্যুত্থানের স্বপ্নকে রক্ষার জন্য এই প্ল্যাটফর্মে গিয়েছিলাম। প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার আগে আমাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র হিসেবে যাওয়ার পরেই টের পাই সংস্কার, জুলাই, শহীদ, আহত এসব মুখের বুলিমাত্র। শুধু আমি না, অনেক ছাত্ররাই পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছিল। সবার সাথে শুধু ছলনা হয়েছে। যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে, আমার সাথে নোংরামি করেছে এতগুলা মাস, অভ্যুত্থানকে বাজারদরে কেনা-বেচা করেছে তাদের আমি কখনো ক্ষমা করব না। আমি রুহের ভেতর থেকে বদদোয়া দিচ্ছি এই মোনাফেকদের। রাজনৈতিকভাবে চাইলে অনেক সুবিধা আমি নিতে পারতাম। কিন্তু পারি নাই। আসে নাই ভেতর থেকে। অনেক বেশি মানুষ মারা গেছে আসলে। এতগুলা সন্তান এতিম হয়েছে, মেয়েরা বিধবা হয়েছে, বাবা-মা সন্তানহারা হয়েছে। আমি পারি নাই এসবকে পলিটিক্যালি ক্যাশ করতে। আমি গত ৮-৯ মাসকে ঝেড়ে ফেলে সামনে আগাতে চাই। অনেক ভালো ছেলে-পেলেকে এই প্ল্যাটফর্মে আমি দেখেছি, Goodwill আছে যাদের। আমি পরামর্শ দিব আপনারা সবাই যাতে পড়ার টেবিলে মনোযোগ দেন, কাজে মনোযোগ দেন। আমিও ভেঙে পড়ছি না, গুছিয়ে আনছি সবকিছু। ফি আমানিল্লাহ।'

Header Ad
Header Ad

বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডার নতুন ওয়েবসাইট চালু

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতা আরও কার্যকর ও তথ্যসমৃদ্ধ করতে চালু করেছে নতুনভাবে ডিজাইন করা একটি আধুনিক ওয়েবসাইট। শনিবার (২৮ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও বিনিয়োগবান্ধব হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

নতুন ওয়েবসাইটে বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য, নীতিমালা, সেবা নির্দেশিকা ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ফোকাল পয়েন্টদের হালনাগাদ তথ্য একসাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সহজেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন।

বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বিডার এফডিআই হিটম্যাপে চিহ্নিত সম্ভাবনাময় খাতগুলোর ওপর, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।

বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রচি বলেন, “আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা সাধারণত কোনো দেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই দেশের বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার ওয়েবসাইট ঘেঁটে সম্ভাব্য খাত ও সুবিধা বিশ্লেষণ করেন। তাই আমাদের নতুন ওয়েবসাইটটিকে তথ্যসমৃদ্ধ, সংগঠিত ও ব্যবহারবান্ধবভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।”

তিনি জানান, ওয়েবসাইটটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন একজন বিনিয়োগকারী প্রাথমিক সম্ভাবনা যাচাই থেকে শুরু করে বাজার বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সংযোগ পান।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, পূর্বের ওয়েবসাইটটি ছিল মূলত একটি সাধারণ সরকারি পোর্টালের মতো, যা সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ সহায়তা দিতে পারত না।

“নতুন ওয়েবসাইটটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বিনিয়োগকারী-কেন্দ্রিক সেবা মডেলের ভিত্তিতে তৈরি। এটি আধুনিক ও টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একটি পদক্ষেপ,” বলেন তিনি।

এছাড়াও বিডার পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়েবসাইটটি পরিচিত করে তুলতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার কার্যক্রম চালানো হবে, যাতে তারা বাংলাদেশের বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পান।

উল্লেখ্য, ওয়েবসাইটের পাশাপাশি বিডার লোগোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা নতুন চেহারায় প্রকাশিত হয়েছে। নতুন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে এখানে ক্লিক করুন

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই

টাঙ্গাইল পৌর শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নগদ টাকা, বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ ১২টি থাকার ঘরসহ বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের কান্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ১ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১ টাকার দিকে একটি ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করা হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানকার লোকজন পানি দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আগুন লাগার ঘটনায় ১২ টি ঘর ও বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যায়। ঘরে থাকা নগদ টাকা, আলমিরা, টিভি, ফ্রিজ, সুকেজ, বইপত্রসহ নানা ধরনের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা শুকুর, সালমা, লাল মিয়া, সন্ধ্যা ও আলোসহ বলেন, হঠাৎ করেই গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে যায়। পরে তা মুহূর্তেই পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘরে থাকা টাকা-পয়সা ও আসবাবপত্র সব পুড়ে গেছে। আমাদের এখন থাকার জায়গা নেই। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের যেন নতুন করে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, সকাল ১১ টার দিকে খবর আসে পৌর শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লীতে আগুন লেগেছে। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

তিনি আরও বলেন, ১০/১২টি ঘরসহ ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে মাইনুল ইসলাম স্বপন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কমলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।

শুক্রবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার 'মুন' আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, স্বপন হোটেলটির একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হোটেল ঘিরে ফেলেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইনুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়।

স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, মহানগর বিএনপির একজন শীর্ষ নেতাকে ওই হোটেলে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় বাইরে অপেক্ষার পর, পুলিশের উপস্থিতিতে তারা হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি হয়।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, “মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় সরাসরি কোনো মামলা ছিল না। তবে চলমান ছাত্র আন্দোলনে হামলার একটি মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিনিয়োগকারীদের জন্য বিডার নতুন ওয়েবসাইট চালু
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১২টি ঘর পুড়ে ছাই
আবাসিক হোটেল থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের খুশির খবর দিল সৌদি আরব
চীন সফর অত্যন্ত ‘সফল’ ও ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে: মির্জা ফখরুল
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ইনিংস ব্যবধানে হারের পরই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া সেই মনু মিয়া মারা গেছেন (ভিডিও)
কলম্বো টেস্ট: ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ
গাজায় আবারও রক্তক্ষয়, একদিনেই প্রাণ হারালেন ৭২ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়