শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

'মন্ত্রীরা টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিলে বুঝতাম তারাও অসুবিধায় আছেন'

মন্ত্রীরা টিসিবির ট্রাকের সামনে এসে লাইনে দাড়িয়েছে, এমনটা দেখলে বুঝতাম তারাও অসুবিধায় আছে? কিন্তু আসলে তো তাদের অসুবিধা নাই, অসুবিধায় আছেন সাধারণ মানুষ; বলেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। রবিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সবকিছুতেই দলীয়করণ, চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট। সেজন্য আজকে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীরা বলে যাচ্ছেন মানুষের নাকি ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বরাদ্দ সরকার দেয় আবার সেই বরাদ্দ সাধারণ মানুষের কাছে পৌছায় না। আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট করে যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় তেমনি বরাদ্দও তারাই নিয়ে যায়। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষকে রাজপথে নেমে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

'একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিন' -এ মতব্যক্ত করে আব্দুস সালাম বলেন, এনাফ ইজ এনাফ, শেখ হাসিনার অধীনে এই দেশ চলছে না, চলবে না। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা দাবি করছি অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আর সেটা না পারলে বিদায় নিন।

আগাম দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি দেখতে পাচ্ছি উল্লেখ করে আব্দুস সালাম বলেন, বর্তমান সরকার সবকিছুতে ব্যর্থ। স্বাধীনতার পর ৭২ থেকে ৭৫ সালের মধ্যে আমরা যা দেখেছিলাম, এ রকম আগাম দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি দেখতে পাচ্ছি, এর মূল কারণ হলো লুটপাট, চুরি ও দলীয়করণ। তাই আমরা মনে করি এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই জনগণের দাবি-দাওয়া আদায় হবে না। বরং দিনের পর দিন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, সরকার তেলের দামের কথা বলে কিন্তু বাঁধাকপি তো আর বিদেশ থেকে আসে না। পেঁয়াজ বাংলাদেশে উৎপাদন সম্ভব, যদিও তা প্রতিবেশী দেশ থেকে আসে। এর মূল কারণ হলো অব্যবস্থাপনা। সরকার পরিচালনায় ব্যর্থ। তাই আমি বলব, অনতিবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। দেশের জনগণ চায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন হোক। তাহলে জবাবদিহিতা আসবে। সমস্যার সমাধান হবে। কারণ অনির্বাচিত সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নাই।

গণতান্ত্রিক বাম জোটের ডাকা হরতাল কর্মসূচিতে বিএনপির অবস্থান কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ন্যায্য দাবি, ন্যায্য অধিকার আদায় প্রশ্নে বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে আছে। এমনকি আগামী দিনেও ন্যায্য দাবি আদায় করতে যারাই এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক সমর্থন থাকবে। তারপরও বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা সাপেক্ষে হরতালে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করা হবে।

এমএইচ/কেএফ/

 

Header Ad

ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি।

নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম সাইদুর রহমান। তিনি উপপরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহরচর প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। রেলক্রসিংটি অরক্ষিত বলে জানা গেছে।

ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক

ছবি: সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরে হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এক হাজার একশ ১০ দিন আগে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বিকালে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে জামিনের সব কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়। সেখানে কাজ শেষ হলে তাকে আজ মুক্তি দেওয়া হয়।

গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মামুনুল হকসহ হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতা জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নিতেন। শুধু মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা নয়, যাত্রাবাড়ী, বারিধারা, লালবাগের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে তারা অর্থ নিতেন। এসব মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসাবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য থেকে মাদ্রাসার নামে যেসব অনুদান এসেছে, সেগুলোর তারা ভাগবাটোয়ারা করে নিতেন।যদিও এসব তথ্য পুরোপুরি অস্বীকার করে আসছেন অভিযুক্তরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
এসএসসির ফল প্রকাশ ১২ মে
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক
রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
আজ তিনশ ফিট এলাকায় বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আলু ঘাটি উৎসব
দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান
বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের