শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগকে সরাতে হবে: ফখরুল

আওয়ামী লীগ এমনিতেই যাবে না, এদেরকে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ প্রতিদিন আন্দোলনে জড়ো হচ্ছেন। আন্দোলন চলমান, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আন্দোলনে জয়ী হব।’

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোন রাষ্ট্রপতি? কোনো রাষ্ট্রপতির কিছু করার ক্ষমতা নেই। রাষ্ট্রপতির আসনটা সম্মানের, আমরা সম্মান করি যিনিই রাষ্ট্রপতি আসুক। তিনি কি অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে গিয়ে আইন তৈরি, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারবেন?

যে কারণে আমরা আমাদের ২৭ দফা রূপরেখায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার কথা বলেছি। ভারসাম্য আনতে হবে, যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়ে গেছে। এদেরকে যেতে হবে। যারা গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামে হত্যা গুম, খুন, আহত, নির্যাতন ও কারাগারে প্রেরণ করেছে তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে যেতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ছদ্মবেশী বাকশাল দিয়েছে। এখন আবার নির্বাচনী তামাশা নাটক তৈরি করে আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু এই দেশের মানুষ এদেরকে সেই নির্বাচন করতে দেবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এরা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু কাজ করে উল্টো। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে সন্ত্রাসের। এরা সন্ত্রাস করে জোড় করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

আওয়ামী লীগ ও তার সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পাঠ্যপুস্তকে সংস্কৃতি ঐতিহ্য মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিচ্ছে। অবিলম্বে ওই সকল পাঠ্যপুস্তক বাতিল করতে হবে, নতুন করে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ও বর্তমান অনির্বাচিত সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, জ্বালানি কোনো কিছুর দাম কমাবে না। এদেরকে সরাতে হবে। বিদায় করতে হবে। আমাদের পবিত্র দায়িত্ব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয় এর তীব্র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের এত ভয়, ভীত যে নিজেদের উপর আস্থা নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন প্রমুখ। ঢাকা মহানগর (উত্তর দক্ষিণ) বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

এমএইচ/এমএমএ/

 

Header Ad

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।

১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।

ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।

পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।

শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।

তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গত ছয়মাস ধরে দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন লাখ লাখ। বাস্তহারা করেছে ২০ লাখের বেশি মানুষকে। এই হত্যার বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে চলছে প্রতিবাদ। তুরস্কে লাগাতার বিক্ষোভ মুখে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখছে।

বলা হয়েছে, গাজায় যতদিন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণ দিতে না দেয়া হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্য বন্ধ রাখবে তুরস্ক।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ''ইসরায়েলের সঙ্গে সব পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকছে।''

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমঝোতা ভেঙে ইসরায়েলের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ''এভাবেই একজন ডিক্টেটর কাজ করেন। তুরস্কের মানুষ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ তিনি দেখলেন না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিও অবহেলা করলেন।''

তিনি বলেছেন, ''ইসরায়েল বিকল্প খুঁজে নেবে। অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়াবে।''

তুরস্ক গতমাসে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েল থেকে বাণিজ্যে কাটছাঁট করছে। সেসময় তুরস্কের অভিযোগ ছিল, তাদের বিমান গাজায় মানবিক ত্রাণ দিতে গিয়েছিল। ইসরায়েল তা করতে দেয়নি। তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে তুরস্ক। এর্দোয়ান তো ইসরায়েলকে 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' পর্যন্ত বলেছেন।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।’

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দু’টির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরাইলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরাইলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিল।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দু’বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায়।

এরদোগান গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, ‘হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা হিটলার যা করেছিল তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’

জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এরদোগান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সঙ্ঘটিত করেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন।’

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে ১১ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিল এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে বন্দর নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েক দিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

ভাসমান ওই বন্দরে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল।

যদিও জাতিসঙ্ঘ বলেন, সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরাইল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে।

তবে জর্ডান বলেছে, তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বলেন, এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরাইল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসঙ্ঘের বিরুদ্ধে।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তাতে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং তারা আরো ২৫৩ জনকে পণবন্দী করেছিল।

মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে সবশেষ আসা প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

খবর অনুযায়ী, এবারের প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দী ও ফিলিস্তিনি কিছু বন্দী মুক্তি পাবে। সূত্র : বিবিসি

বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।

এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।

প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন।

এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত
সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ
সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০