আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, নির্বাচন সাংবিধানিক পদ্ধতিতেই হবে। বিশ্বে যেসব গণতান্ত্রিক দেশ রয়েছে, সেসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবেই নির্বাচন হবে। এখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই। সেটা সংবিধানে নেই, এমনকি পৃথিবীর কোথাও নেই।
শুক্রবার (৯ জুন) মাদারীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই। তবে বহির্বিশ্বের আশা ও প্রত্যাশা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে।
যুক্তরাষ্টের ভিসানীতি নিয়ে শাজাহান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি জারি করেছে, এটার মধ্যে দিয়ে বিএনপির আশার গুড়ে বালি। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়ার বিষয় শুধু সরকার বা আওয়ামী লীগের নয়, যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদেরকে এই ভিসানীতির আওতায় আসতে হবে।
এসময় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুরের বিরামপুর রাইয়ান ক্লিনিকে মাইমুন্না আক্তার মীম (১৮) নামের এক প্রসূতির সিজারের পরে পেটের মধ্যে গজ ও ফুল রেখে সেলাই দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রসূতির বাবা বাদী হয়ে জেলা সিভিল সার্জনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ৩ সদস্যে একটি তদন্তের টিম গঠন করেন দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার এই তিন জনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন জেলা সিভিল সার্জন। প্রসূতি মাইমুন্না আক্তার মীম নবাবগঞ্জ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর স্ত্রী।
প্রসূতির বাবা মতিয়ার রহমান বলেন, আমার মেয়ের প্রসব ব্যথা উঠলে, গত ৬মার্চ বিরামপুর রাইয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করি। পরে ওইদিন ডা. তাহেরা খাতুন আমার মেয়ের সিজার করেন। তিনদিন পর মেয়েকে রিলিজ দেয় এবং বাড়ি নিয়ে যাই। ৭দিন পর সেলাই কাটা হয়। সেলাই কাটার ২৭ দিন পর মেয়ের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। আবার চলতি মাসের ৩ তারিখে রাইয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করি। ভর্তি করে চিকিৎসা নিলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। শেষে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও মেয়ে অপারেশন করেন। তখন ডাক্তাররা বলেন মেয়ের পেটের মধ্যে গজ ও অনেক ময়লা ছিল। এছাড়াও আপনার মেয়ের জরায়ুতে ইনফেকশন হয়েছিল, তা কেটে ফেলা হয়েছে, সে আর মা হতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে আর কোনোদিন মাতৃত্বের স্বাদ নিতে পারবে না, তার জীবন শেষ। আমি আমার মেয়ের এই ক্ষতির ন্যায্য বিচার চাই। সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগ করেছি। আমি চাই আর কোন মেয়ের যেন এমন সর্বনাশ না হয়।
প্রসূতি মাইমুন্না আক্তার মীম বলেন, গত ৬ মার্চ আমার প্রসব ব্যথা উঠে। আমাকে হাসপাতালে নিলে সেখানে ডা. তাহেরা ম্যাডাম আমার সিজার করেন। পরে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। দিনাজপুরে আবার আমার অপারেশন করে। অপারেশন করে আমার পেট থেকে গজ আর অনেক ময়লা বের করা হয়। ডাক্তাররা বলেন আমি আর কোনোদিন মা হতে পারবো না।
রাইয়ান ক্লিনিকের ম্যানেজার মাহবুব আলম বলেন, গত ৬মার্চ আমাদের ক্লিনিকে মাইমুন্না আক্তার মীম নামের একজন প্রসূতি ভর্তি হয়। ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলী ম্যাডাম তার সিজার করেন। কিছু দিন পর ওই রোগীর রক্তক্ষরণ হয় এবং আমাদের এখানে আবারও ভর্তি করান। সেদিন তাহেরা ম্যাডাম ছিলেন না, দিনাজপুর ছিলেন। শেষে আমাদের ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম রসূল রাখি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলীর বিরুদ্ধে একজন প্রসূতির সিজার নিয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। আমি ও দুইজন মেডিকেল অফিসারসহ তিন সদস্যের একটি তদন্তের টিম গঠন করে দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজনকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে ডা. মোছা. তাহেরা খাতুন লাভলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তার পেটে কোনো গজ বা ফুল রাখা হয়নি। এটা আমাকে হেয়ো করার চেষ্টা করছে। তবে যদি দিনাজপুর মেডিকেল রিপোর্টে আমার ভুল প্রমাণিত হয় তাহলে আমি অপরাধ মেনে নিবো।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে নাজেহাল অবস্থা সবার। এর মাঝে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। কিছু এলাকায় বিদ্যুতের এ লুকোচুরি অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে মানুষকে। তবে খুব শিগগিরই গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিলেন না বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান। তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না বলে জানান তিনি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের জায়গা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যা চাহিদা, তার তুলনায় একটু কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, এর জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। তবে হিটওয়েভ কমে গেলে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন আর লোডশেডিং থাকবে না৷ আর লোডশেডিং কিন্তু বেশি না।
তিনি আরও বলেন, বোরো মৌসুমে সেচের জন্য আমরা অগ্রাধিকার দেই। যাতে সেচে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। কেপিয়াই এরিয়াগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বাদ দিয়ে বাকি সব জায়গায় সমানভাবে লোডশেডিং দেওয়া হয়।
পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, চরের মধ্যে সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করা যায় কি না, সেটার সম্ভব্যতা দেখার জন্য এখানে এসেছি, দেখে গেলাম কী অবস্থা। সোলার পাওয়ার প্লান্ট করে মানুষের উপকার করা যায় কি না৷ প্রায় ২০ হাজার একর জমির চর, তাই এখান থেকে সাত হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
এসময় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
একের পর এক ফিচার আনছে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ফিচার বেশ সাড়াও ফেলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অফলাইনে ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট শেয়ার করার ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ।
হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার ট্র্যাকার ডব্লিউএবেটাইনফোর তথ্য অনুযায়ী, স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও অন্য ব্যবহারকারীকে ছবি পাঠাতে পারবেন।
এমনকি অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড থাকবে। তাই প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। নতুন ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ডেটা কানেকশন ছাড়াই ছবি পাঠানো যাচ্ছে। তবে একটি শর্ত রয়েছে, আপনার কাছাকাছি অন্য ডিভাইসটি থাকতে হবে এবং অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে।
কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল ও ছবি শেয়ার করবেন-
অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনও রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। স্ক্যান করে ব্লুটুথের মাধ্যমে দ্রুত সেই ফাইল এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। এটি অন/অফ ও করা যায়, সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিতে হবে। যা না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের নম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে।
শেয়ার ইট অ্যাপের মতোই অনেকটা কাজ করবে এই ফিচার। যার ব্যবহার এখন বেশ কমে গিয়েছে। নেট কানেকশন বা ওয়াইফাই না থাকলেও পাঠানো যাবে ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট সব। যা ইউজারদের অনেক ডেটা এবং সময় বাঁচাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কবে আসবে হোয়াটসঅ্যাপের অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ফিচার?
অ্যানড্রয়েড ও আইওএস ফোনে কবে থেকে এই সুবিধা তার দিনক্ষণ জানা যায়নি। ফিচারটি বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপের পরীক্ষাধীন রয়েছে, এবং বেটা ভার্সনে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সবার ডিভাইসে রোল আউট শুরু করা হবে। তবে ফিচারটি লাইভ হলে তার সুবিধা পাওয়ার জন্য অবশ্যই অ্যাপটি লেটেস্ট ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে।