শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেরে আঙান মে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়: সাঈদ খোকন

কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘মেরে আঙান মে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়।’ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে উদ্দেশ্য করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন একথা বলেন।

এর আগে বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

এ সময় ঢাকা-৬ এর বর্তমান সংসদ সদস্য মহাজোটের কাজী ফিরোজ রশীদের প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকরা। আওয়ামী লীগ জোটে গেলে যদি এই ঢাকা-৬ আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড়তে হয় তখন আপনার (মোহাম্মদ সাঈদ খোকন) করণীয় কি হবে? এই প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন হিন্দি গানের লাইনটি বলেন, ‘মেরে আঙান মে তুমহারা কেয়া কাম হ্যায়।’

আওয়ামী লীগ তার নেতাকর্মীদের জন্য যা নির্ধারণ করবে তা দলের নেতাকর্মীদের আইন, অনুসরণীয়-অনুকরণীয় জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, এটা প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনীতি করি। দলের কথাই শেষ কথা, দলের কথাই চূড়ান্ত। পার্টির ডিসিশন-ই ফাইনাল।

দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-৬ আসনে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি আশা করি, এই আসনটা আমরা তাকে উপহার দিতে পারবো। এ জন্য ঢাকাবাসীসহ দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ওয়াদা করেছিলেন। বাস্তবতায়ও তিনি তার ওয়াদা অক্ষর অক্ষরে পালন করেছেন। তার কল্যাণে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজড হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। সে জন্য আমি মনে করি এবারের নির্বাচনটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সারা বাংলাদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন-অগ্রগতি, অগ্রযাত্রা যেভাবে বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন এবং করে চলছেন সেই সমস্ত উন্নয়নের গল্গ, সেই সমস্ত উন্নয়নের কথা আমরা প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায়, প্রতিটি ঘরে ঘরে নৌকা প্রতীক নিয়ে পৌঁছে দেব এবং নৌকার পক্ষে ভোট চাইবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী, ‘আই আম ভেরি ম্যাচ কনফিডেন্ট’ আমার এলাকার মানুষ, ঢাকা-৬ নির্বাচনী এলাকার মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীত্ত্ব তুলে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।

Header Ad

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এমন সহিংসতা চালানো হয়েছে ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন-নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর বিচার দেশবাসীর কাছে চাই। আন্দোলনের নামে এতোগুলো পরিবারের ক্ষতি হলো এর দায়িত্ব্য কার? আহতদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার।’

বিস্তারিত আসছে......

সর্বশেষ সংবাদ

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে
অলিম্পিক উদ্বোধনের আগেই প্যারিসে উচ্চগতির রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা