বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির

উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির। ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে দলের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাচুর্য়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়।

এতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে, সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংস্র রূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই কোনো নির্বাচনই (জাতীয় ও স্থানীয় সরকার) অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি দাবি করে বিএনপি বলে, তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানিরর শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেয়া হয়নি।

অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেয়া, ইন্টারনেটের গতি শ্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজীরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হলেও পরক্ষণেই তাদেরকে বের করে দেয়া হয়।

আরও বলে, এরা একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনও কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত থাকে। এমতাবস্থায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। এখনও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

ভোট বর্জনের বিষয়ে জানায়, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

Header Ad

শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অনন্য মাইলফলক। তার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আর তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেন বঙ্গবন্ধু। এসময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তারা। কিন্তু তারা দেশে ফিরতে পারেন নাই। পরিবারের সাথে শেষ দেখাটাও তাদের কপালে জোটেনি। বাবা-মা ও ভাইসহ আপনজনদের হারানোর বেদনাকে বুকে ধারণ করে পরবর্তী ৬ বছর তাকে লন্ডন ও দিল্লীতে চরম প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এটি ছিল আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের এক দূরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন ধরনের উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। বৈরি পরিবেশ সত্ত্বেও ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে লাখো মানুষের ঢল নামে। সেদিন বাংলার জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হন। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে সেদিন শেখ হাসিনা বলেন, সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন। বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি এসেছি। আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক। তার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৯০’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়, বিজয় হয় গণতন্ত্রের। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। এসময় পাহাড়ি-বাঙালি দীর্ঘমেয়াদী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডে বিচারের পথ সুগম হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসে এবং জনগণের কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হয়। গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন, বিদ্যুৎ তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো, বৈদেশিক কর্মসংস্থানসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর হয়।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু ও রায়ের বাস্তবায়নসহ সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণে নিরলস প্রয়াস চালান। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জোট সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় এসে ইতিহাস সৃষ্টি করে। সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূর্তপ্রতীক। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শেখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনে অনন্য গৌরব ও স্বীকৃতি। এরই ধারাবাহিকতায় জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত।

নানা ধরনের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু, ঢাকার স্বপ্ন ‘মেট্রোরেল’ ও কর্ণফুলী টানেল জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০২১’ এর সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ এর মতো দূরদর্শী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বিশ্বে আজ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষ্যে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা গোটা বিশ্বে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দারিদ্র্যবিমোচনের ধারণার ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা সূচিত কমিউনিটি ক্লিনিক এখন বিশ্বব্যাপী ‘শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ নামে পরিচিত। মহামারি করোনা ও বিশ্বে চলমান যুদ্ধবিগ্রহের প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপে সরকার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে সরকারের নানামুখী আর্থসামাজিক ও বিনিয়োগধর্মী প্রকল্প, কর্মসূচি এবং কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, ইনশা আল্লাহ।

বাণীতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সরকারের অব্যাহত সাফল্যসহ তার নিজের ও পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু, সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সূত্র: বাসস

সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

সুস্থতা মহান আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। সুস্থ দেহ, সুস্থ মন। দেহ ও মনের সুস্থতা জরুরি। শরীর অসুস্থ থাকলে মনও অসুস্থ হয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকার জন্য আমাদের বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলা ও নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখানো দোয়া পাঠ করা উচিত।

আমরা অসুস্থ অবস্থায় সুস্থতার কদর করি। আর সুস্থ অবস্থায় বেখবর থাকি। ইসলামে স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখার বিষয়ে অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য আর ইবাদতের জন্য শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুইটি নিয়ামত এমন আছে, যে দুইটিতে (অবহেলার কারণে) অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর তা হলো, সুস্থতা আর অবসর সময়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৪১২)

স্বাচ্ছন্দ্যে ও সুস্থ থাকতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত একটি দোয়া পড়তেন। আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, বাবা! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি, যে আপনি এই দোয়া পাঠ করছেন।

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ বাক্যগুলোর মাধ্যমে দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৯০)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি; আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবারি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।

৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর

জোরায়া বিক। ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি পেয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এক তরুণী। জোরায়া বিক নামের এই তরুণী ২০২০ সালে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন। দীর্ঘ চার বছর পর চলতি বছরের মে মাসে তিনি অনুমতি পেয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন তিনি।

জোরায়া বিক মানসিক রোগে ভুগছেন। তার মধ্যে সবসময় বিষন্নতা, হতাশা, ভয় কাজ করে। এ কারণে ইচ্ছে করে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে চান। নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আইন রয়েছে। তবে স্বেচ্ছায় মৃত্যবরণে যারা আগ্রহ দেখান তাদের কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

জোরায়া বিক। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া যে সকল ব্যক্তি কঠিন রোগে ভুগছেন এবং সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই তারাই কেবল স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেতে পারেন। নেদারল্যান্ডসের এই তরুণী জানিয়েছেন, তিনি তার রোগের জন্য সব ধরনের চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু কোনো উন্নতি না হওয়ায় তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন।

কীভাবে মৃত্যু হবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় এটি সম্পন্ন করা হবে সেটি নিজেই জানিয়েছেন এই তরুণী। তিনি বলেছেন, “তারা প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে শুরু করবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি কোমাতে না যাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাকে হার্টের কার্যকারিতা বন্ধের ওষুধ দেওয়া হবে না। আমার জন্য বিষয়টি এমন হবে যেন আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। আমার পার্টনার (প্রেমিক) আমার সঙ্গে সেখানে থাকবে। তবে তাকে আমি বলেছি আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সে চাইলে বাইরে বের হয়ে যেতে পারবে।”

মৃত্যুর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এই তরুণীর বাড়িতেই চিকিৎসক আসবেন।

তিনি জানিয়েছেন, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে তার ভয় লাগে। অপরদিকে পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তবে তিনি সব জেনে বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
ক্রিকেট ছাড়লে আপনারা আমাকে আর দেখবেন না: কোহলি
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা!
চট্টগ্রাম বন্দর গত ১৫ বছরে আন্তর্জাতিক বন্দরের সক্ষমতা অর্জন করেছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
কাক পোশাকে ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ভাবনা
সাবেক এমপি পাপুলের শ্যালিকা ও দুই কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ধানমন্ডিতে ছিনতাই হওয়া ফোন উদ্ধার হলো ভারতের গুজরাট থেকে
এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব
তীব্র তাপপ্রবাহে কিশোরগঞ্জে এক বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ
ফোর্বসের ‘অনূর্ধ্ব ৩০’ সেরা উদ্যোক্তার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি
যে কারণে জয়কে থাপড়াতে চাইলেন মিষ্টি জান্নাত
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল
দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান
ইঞ্জিনে আগুন লাগায় হজ ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ