শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ব্রিটিশ সাপ্তাহিকী ‘দ্য উইক’ নিউজ ম্যাগাজিন চলতি সংখ্যায় একটি কাভার স্টোরি করেছে। যার শিরোনাম ছিল "Destiny's Child"- বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘নিয়তির সন্তান’।

দ্য উইক ম্যাগাজিনের নয়াদিল্লি ব্যুরো চিফ নম্রতা বিজি আহুজা’র লেখা ওই শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারকর্তৃক বিএনপি ভাঙার চেষ্টার বিপরীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং তারেক রহমান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ দিন দিন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

সাপ্তাহিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘দ্য উইক’-এর চলতি সংখ্যার কাভার স্টোরি ‘ডেসটিনি’স চাইল্ড’ সময় সংবাদের পাঠকের জন্য বাংলায় তুলে ধরা হলো-

বাংলাদেশে পরিবর্তন তারেক রহমানকে একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে পারে তারেক রহমানের জন্য। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন। সমর্থকদের কাছে ‘তারেক জিয়া’ নামে পরিচিত। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে। মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা জেনারেল জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হওয়ার পর খালেদা জিয়া দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের পতনের দিকে নিয়ে যায়।

৫৭ বছর বয়সী তারেক এখন তার মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন, কারণ বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে দেয়ার পর বিএনপি দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ঢাকায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

তারেক রহমানের জন্য, যিনি ভার্চুয়ালি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন, ঢাকায় নামার পর তার জীবনে পূর্ণ চক্র সম্পূর্ণ হবে। খালেদা জিয়া আশা করছেন, তারেকই আসন্ন নির্বাচনে দলের মুখ হিসেবে আবির্ভূত হবেন।

তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন বলেন, তারেক রহমান এরইমধ্যে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা করেছেন।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা এবং তারেকের উপদেষ্টা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার বলেন, চাকরি, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষক, শ্রমিক বা শ্রমজীবী যেই হোক না কেন, আমরা তাদের সমান সুযোগ, ন্যায্য মজুরি এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিতে চাই। আমরা একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নয়নকেন্দ্রিক রাজনীতি গড়ে তুলতে তারেকের দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করতে চাই।

সব নজর এখন থাকবে এ দিকে যে, কতটা দক্ষতার সঙ্গে তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্ব নিতে সক্ষম হবেন যখন তিনি ঢাকায় নামবেন।

জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ বিন আলী বলেন, তিনি নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, এবং সামরিক-প্রশাসনিক কর্তৃত্ব তার কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়েছিল যে তিনি ভবিষ্যতে আর রাজনীতিতে জড়াবেন না। এটি ছিল তার রাজনৈতিক অধিকারের লঙ্ঘন।

১৬ বছরের নির্বাসনকালে তারেক ব্যক্তিগত ক্ষতির সম্মুখীন হন (তিনি তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোকে হারান) এবং বহু আইনি ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। তবুও, তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী থেকে যান এবং দলকে একত্রিত রাখেন।

আসিফ আলী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দল ভাঙার চেষ্টার বিপরীতে তারেক এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন।

২০০৯ সালে দলের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার মায়ের কারাবরণের পর থেকে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ বিন আলী বলেন, তারেক বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে রয়েছেন, কারণ তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।

তারেক ১৯৮৮ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন, কিন্তু পরে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না, যদিও বিএনপি সরকার গঠন করে। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারে পুনরায় সক্রিয় হন এবং বিএনপি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এই সময়ে তিনি দলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব অর্জন করেন। তবে, মায়ের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ এবং সরকারে কোনো আনুষ্ঠানিক পদে না থেকেও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়।

২০০৭ সালে, ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি সামরিক-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং তারেক তার মায়ের সঙ্গে বন্দি হন। দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনকালে, অনেক শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়। তারেক ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মুক্তি পান এবং চিকিৎসার জন্য প্যারোলে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি পান।

বাংলাদেশে পরিবর্তন তারেকের জন্য একটি সুযোগ, যাতে তিনি তার পূর্বসূরিদের ধারা ভেঙে নিজস্ব একটি উত্তরাধিকার তৈরি করতে পারেন। প্রশ্ন হলো, তিনি কেমন নেতা হবেন?

Header Ad
Header Ad

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, দিয়েছে দেশে ফেরার সুযোগ

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের জন্য এক বছরের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ‘সেলফ ভলান্টারি রিটার্ন’ বা স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের জেল বা বিচারের মুখোমুখি না হয়েই নিজ নিজ দেশে ফেরার সুযোগ পাবেন তারা।

শুক্রবার (১৬ মে) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

এই কর্মসূচির মেয়াদ শুরু হবে চলতি বছরের ১৯ মে থেকে এবং তা চলবে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। অভিবাসীদের অপরাধের ধরন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৫০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের থেকে কোনো জরিমানা নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র বিশেষ পাসের জন্য ২০ রিঙ্গিত ফি প্রদান করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এর আগে যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে নিবন্ধন করেছিলেন কিন্তু মালয়েশিয়া ত্যাগ করেননি, তারা নতুন করে এই কর্মসূচির আওতায় পড়বেন না।

এশিয়ার ২০টি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন 'ক্যারাম এশিয়া'র তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসী অবস্থান করছেন। তবে এই সংখ্যাটি সুনির্দিষ্ট নয়। বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও দেশটির দূতাবাসের শ্রম বিভাগ ধারণা করছে, এই সংখ্যা কয়েক হাজার হতে পারে। তবে বাংলাদেশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও প্রবাসী ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেড় থেকে দুই লাখ বাংলাদেশি অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ বিমানবন্দর, পুলিশ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে মালয়েশিয়া থেকে ৮০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। এছাড়া, গত ছয় মাসে প্রায় আড়াই হাজার অভিবাসী ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন।

বাংলাদেশের ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) জানায়, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে গিয়েছেন। তবে নানা অনিয়ম ও সমস্যার কারণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ রয়েছে। এই বাজারটি পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

সম্প্রতি তিনি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনায় শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত করা এবং অভিবাসীদের কল্যাণে একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সময়মতো এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বৈধ প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি সমন্বয়ে শনিবার খোলা থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি সমন্বয়ের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) এবং পরবর্তী শনিবার (২৪ মে) দেশের সব ব্যাংক, বিমা কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ফলে সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও এদিনগুলোতে চলবে স্বাভাবিক দাপ্তরিক, আর্থিক ও শিক্ষা কার্যক্রম।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ দীর্ঘ ছুটির ভারসাম্য রক্ষায় সরকার ৬ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৭ ও ২৪ মে, দুটি শনিবার অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত শনিবারগুলোতে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে এসব দিনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোতে স্বাভাবিকভাবে জমা-উত্তোলন, চেক নিষ্পত্তি, অনলাইন লেনদেনসহ সব কার্যক্রম চলবে। একইসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্র জানিয়েছে, শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন চলবে।

অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত—১৭ ও ২৪ মে খোলা থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন এড়াতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এসব দিনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার কথা জানিয়েছে।

সরকারের এ উদ্যোগের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কার্যক্রমে স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

‘বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়’- এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে পেরেছি, কিন্তু তাদের অর্থব্যবস্থা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।”

শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লায় ‘জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে’ আহত, শহীদ ও বীর সন্তানদের সম্মানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসনাত বলেন, “কুমিল্লার অনেক উপজেলায় সব দলের রাজনীতি আওয়ামী লীগের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। এমনকি বিএনপির রাজনীতিও চলছে তাদের টাকায়।”

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তারা জামিন পায় কিভাবে? এর পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।”

তিনি আরও বলেন, “আপনি (আসিফ নজরুল) বলছেন, আপনাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না—তাহলে তা জাতির সামনে তুলে ধরুন। বিচার হয়নি, দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল হয়নি—এটাও আপনার ব্যর্থতা।”

এনসিপি নেতা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যদি মনে করে খুনিদের বিচার ও আওয়ামী লীগের বিচার অপেক্ষা সংস্কার বড় বিষয়, তাহলে তারা ভুল করছে। বিচার হবে, সংস্কার হবে, তার পরেই হবে নির্বাচন।”

তিনি মানবিক করিডোর ও ১৪ দল প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান। বলেন, “আমরা কোনো পরাশক্তির আধিপত্য চাই না। ভারতের, পিন্ডির বা মার্কিন আধিপত্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষাই আমাদের অঙ্গীকার।”

কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আয়োজন করা এ সমাবেশে বিএনপি, এনসিপি, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অংশ নেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফেস দ্য পিপলের সম্পাদক সাইফুর রহমান সাগর, বিএনপি নেতা আশিকুর রহমান ওয়াসিম, এনসিপি নেতা রিফাত রশিদ, নাভিদ নওরোজ শাহ, এবি পার্টির জিএম গোলাম সামদানী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরাফ ভূঁইয়া।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, দিয়েছে দেশে ফেরার সুযোগ
ঈদের ছুটি সমন্বয়ে শনিবার খোলা থাকবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দাপ্তরিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায় : হাসনাত আব্দুল্লাহ
সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৬৬২ জন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার
নেপালকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ
বোতল নিক্ষেপকারী শিক্ষার্থীকে বাসায় দাওয়াত দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ
পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করে বিক্রি, ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ
প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের
বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ডিবি কার্যালয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ও সাম্য হত্যার তদন্ত করে লাভ নেই: ফারুক
শাহজালালে ৭১ আরোহীসহ নিরাপদে অবতরণ করল চাকা খুলে পড়া বিমান
শ্রীনগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই
উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ল চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে মাঝ আকাশে বিমান
গত ৮ মাসে ৯০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে : মির্জা আব্বাস
সাম্য হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগ থানা ঘেরাও, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম