শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাতক্ষীরায় সাত বছরে ছয় গুণ বেড়েছে কাঁকড়ার চাষ

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার কৃষি উৎপাদন এখন ঝুঁকির মধ্যে। এর ফলে স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজতে হচ্ছে। আয়ের বিকল্প উৎস হিসেবে তাই ক্রমেই বাড়ছে কাঁকড়ার চাষ।

চিংড়ির রাজধানী খ্যাত সাতক্ষীরায় গত সাত বছরে কাঁকড়া চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে ছয় গুণ। কারণ হিসেবে চিংড়ির চেয়ে কাঁকড়াতে কম ভাইরাসমুক্ত ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ার কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় কাঁকড়ার চাষ হয়েছে ৩১৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৯০০ টন। সাত বছর আগে কাঁকড়া চাষ হয়েছিল মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে। বছর হিসাবে সাত বছরে কাঁকড়া চাষ বেড়েছে ছয় গুণ। প্রকারভেদে প্রতি কেজি কাঁকড়া ৬০০থেকে ১১০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। জেলাতে মোট ৩৬৪টি কাঁকড়ার ঘের রয়েছে। আর ছোট-বড় মিলে প্রায় ২ হাজার সরকারি ও বেসরকারি কাঁকড়া মোটাতাজাকরণের খামার গড়ে উঠেছে। আর সপ্ট সেল খামার রয়েছে ৪২টা। যেখানে ৪২ লক্ষ প্লাসটিকের খাঁচায় কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ চাষ হচ্ছে।

ওসমস্ত কাঁকড়া রফতানির মাধ্যমে বছরে প্রায় ১০কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ একদিকে যেমন অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন অন্যদিকে তেমনি বেকারত্বের হারও কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। আর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোশকতা পেলে এই শিল্প আরো বিকশিত হতে পারে জানান সংশ্লিষ্টরা।

খোজঁ নিয়ে জানা যায়, জেলার সাত উপজেলায় ১১ হাজার ৭২০ জন কাঁকড়া চাষী রয়েছে। এসমস্ত চাষীরা সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী থেকে কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করে তা চাষ করে থাকেন। তবে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে সুন্দরবনের পাদদেশে অবস্থিত শ্যামনগর উপজেলায় সর্ব প্রথম কাঁকড়ার বাচ্চা ফুটিয়ে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান নওয়াবেকী গণমুখী ফাউন্ডেশন কাঁকড়া চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। ফলে বিগত দিনে কাঁকড়ার ক্রাভলেট অর্থাৎ বাচ্চা নদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করতে হলেও তা এখন চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। ফলে এ অঞ্চলের কাঁকড়া চাষীদের উন্নয়নের মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

কাঁকড়া চাষের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জানা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে যে পরিমান কাঁকড়া ধরা পড়ে তা প্রাকৃতিকভাবে রেনু থেকে বড় হয়। চিংড়ি ঘেরে বা কাঁকড়ার পুকুরে কাঁকড়ার পোনা ছাড়ার পর তা ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে বড় হয়ে পরিপক্ক কাঁকড়ায় পরিনত হয়।এ অঞ্চলের ১২ মাস লবনাক্ত পানি কাঁকড়া চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। তাছাড়া চিংড়ি চাষের জন্য প্রচুর জমি ও অর্থের প্রয়োজন হলেও কাঁকড়া চাষের জন্য জমি ও অর্থ দুটোই কম লাগে।

জেলার একাধিক চাষীরা বলেন, 'প্রতিদিন স্থানীয় বাজার থেকে ছোট সাইজের কাঁকড়া কিনে খাচায় রেখে মোটাতাজা করা হয়। খাঁচায় কাঁকড়ার খাবার হিসেবে তারা প্রতিদিন ছোট ছোট একটি করে তেলাপিয়া মাছ খাঁচায় দেন। যা বাজার থেকে সস্তায় কেনা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে খোলস পরিবর্তন করলেই কাঙ্খিত ওজন বেড়ে যায় কাঁকড়ার।

কলগাছি এলাকার কাঁকড়া চাষী জালাল হোসেন বলেন, 'তিনি ২০১৬ সালে ছোট্ট পরিসরে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৩বিঘা জমিতে কাঁকড়া চাষ করছেন। বিগত সময়ে ৫০-১৫০ টাকায় এক কেজি কাঁকড়ার পোনা সংগ্রহ করলেও করোনা পরবর্তী চলতি বছর বিশ্ববাজারে কাঁকড়ার চাহিদা বেশি থাকাই বাড়তি দামে (৪০০-৪৫০ টাকা) কাঁকড়ার রেনু সংগ্রহ করেছেন। এবং প্রকার ভেদে ৬০০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকেন।'

একই এলাকার কাঁকড়া চাষী সাইফুল ইসলাম ও শ্যামনগরের রামকৃষ্ণ জোয়ারদার জানান, 'মোটাতাজা করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁকড়া জোগান দেওয়া সম্ভব হলে রপ্তানি খাতে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হতে পারে। কিন্তু, যতই মোটাতাজাকরণের খামার বাড়ছে ততই ছোট কাঁকড়ার প্রাপ্যতা নিয়ে চিন্তাই রয়েছেন তারা।'

কাঁকড়া ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম জানান, 'কাঁকড়া অল্প জায়গায় অনেক বেশি চাষ করা যায়। আমরা স্থানীয় চাষী বা বাজার থেকে ন্যায্যমূলে কাঁকড়া কিনে আনি। তারপর প্লাস্টিকের খাঁচায় একটি করে কাঁকড়া রেখে দুই/তিন সপ্তাহ পরিচর্যার পর কাঁকড়ার খোলস পরিবর্তন করা হয়। এতে কাঁকড়ার ৮০ ভাগ ওজন বৃদ্ধি পায়। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর কাকড়াঁ প্যাকেটজাতকরণ করা হয়।'

সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলে কাঁকড়ার চাষ কর্মসংস্থান ও দারিদ্রতা দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা রয়েছে বিস্তর। চীন, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালায়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে রপ্তানি হয় কাঁকড়া।

কাঁকড়ার পোনার মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাপি কাঁকড়ার চাহিদা থাকলেও বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা, তারউপর প্রাকৃতিকভাবে পোনার সংখ্যা কমে যাওয়াতে চাহিদা অনুযায়ী কাঁকড়ার পোনার সংকট দেখা দিয়েছে। একারণে চলতি বছর পোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পোনার সংকট নিরশনে একাধিক হ্যাচারী তৈরির মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে কাঁকড়ার রেণুর উৎপাদন বাড়াতে হবে।'

তিনি বলেন, 'সরকার যদি কাঁকড়া চাষের ওপর স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাহলে এ শিল্পের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে। সারাদেশের যে পরিমাণ কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করা হয় তার মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উৎপাদিত কাঁকড়ার পরই সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান।

 

 জেডএকে/

Header Ad

অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া

রোহমালিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অবিশ্বাস্য এক বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ইন্দোনেশিয়ার অফ-স্পিনার রোহমালিয়া। ৩ দশমিক ২ ওভারে শূন্য (০) রানে ৭ উইকেট নিয়ে এই বিশ্বরেকর্ড গড়েন রোহমালিয়া।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বালিতে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন ১৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইন্দোনেশিয়া অধিনায়ক নি ওয়ান সারিয়ানি। এরপর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। ৪৪ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন ওপেনার সাকারিনি। অন্যদিকে মঙ্গোলিয়ার হয়ে ২৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ ‍উইকেট শিকার করেন এনখজুল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রোহমালিয়ার বোলিং তোপে ১৬ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ২৪ রানেই গুটিয়ে যায় মঙ্গোলিয়া। ৩ দশমিক ২ ওভারে কোনো রান না দিয়েই ৭ উইকেট নেন ডানহাতি এই অফস্পিনার।

মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ নিয়ে তৃতীয়বার ৭ উইকেট নেওয়ার ঘটনা দেখা গেল। আগের রেকর্ডটি ছিল নেদারল্যান্ডসের ফ্রেডেরিক ওভারডাইক ও আর্জেন্টিনার অ্যালিসন স্টকসের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইউরোপ বাছাইপর্বে ৩ রানে ওভারডাইক ৭ উইকেট এবং ২০২২ সালে পেরুর বিপক্ষে ৩ রানে ৭ উইকেট নেন অ্যালিসন।

ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস

ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় সাত মাস ধরে চলা নির্বিচার এই হামলার জেরে নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। লাগাতার হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এমন অবস্থায় অনেকটা শান্তির বার্তাই সামনে আনলো হামাস। স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলছে, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করা অঞ্চলগুলোতে ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে দিতে পারে বলে হামাসের কিছু কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির কিছু কর্মকর্তার দেওয়া এই বার্তাটি হামাসের অবস্থান কিছুটা নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ গাজা ভূখণ্ডের শাসন ক্ষমতায় থাকা এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে ইহুদি রাষ্ট্র তথা ইসরায়েলকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক সদস্য বাসেম নাইম বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নিজেদেরকে নিরস্ত্র করতে রাজি হবে।

হামাসের সশস্ত্র শাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি যদি জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে আল কাসামকে (ভবিষ্যত) জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করা যেতে পারে।’

হামাস ঐতিহ্যগতভাবে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। এই সমাধান নীতি অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থাকবে। বরং এর পরিবর্তে হামাস এতোদিন সমস্ত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে কথা বলে এসেছে।

প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, তিনি হামাসের অস্ত্র সমর্পণের প্রস্তাব সম্পর্কে আগে থেকে অবগত নন। তবে তিনি বলেন, এটি সত্য হলে তা হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

অন্যদিকে হামাসের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ইসলামিক এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইচ্ছুক এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে তারা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে এবং রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে ইচ্ছুক।

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল তা দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিরোধী দল) দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এত হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি-উচ্চতা, এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। আগে পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে তাদের শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

অভিষেকেই শূন্য রানে ৭ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন রোহমালিয়া
ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না: ওবায়দুল কাদের
কয়েক মিনিটের দেরিতে বিসিএসের স্বপ্ন ভঙ্গ ২০ পরীক্ষার্থীর
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
থাই প্রধানমন্ত্রীর গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শেখ হাসিনা
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, ২ ফায়ারম্যান আহত
পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্নসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
মৃত্যুর দু’বছর পর ব্রুনাই থেকে দেশে ফিরছে দুই প্রবাসীর লাশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে
পরিবারের অমতে বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সৌদির যেকোনো ভিসা থাকলেই ওমরাহ পালন করা যাবে
নাটোরে বোনের বৌভাতে গিয়ে একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
জনপ্রতি ১২-১৪ লাখ চুক্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নফাঁস, গ্রেপ্তার ৫
কুড়িগ্রামে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এখন লজ্জিত হই: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে নওগাঁ
চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা সবসময় স্বপ্ন ছিল: মোস্তাফিজ
বৃষ্টি কামনায় টাঙ্গাইলে ইস্তিস্কার নামাজ আদায়