শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আজ পবিত্র আশুরা

সংগৃহিত ছবি

 

ইসলামিক ক্যালেন্ডারে মহররম চাঁদ্রবছরের প্রথম মাস, এই পবিত্র মাসে বিশেষ গুরুত্বের বিষয় ঘেরা।, সম্মানিত চার মাসের তৃতীয়। ইসলামের ইতিহাসে মহররম অত্যন্ত ফজিলতময় মাস। এ মাসের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়।

মহররমের দশ তারিখে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার কথা বলা হলেও বিশুদ্ধ বর্ণনায় মাত্র দু’টি ঘটনার কথা জানা যায়।

১. হজরত মূসা আলাইহিস সালাম এবং তার সাথীদের ফেরাউন ও তার সৈন্যদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা। যেখানে দরিয়ায় রাস্তা বানিয়ে আল্লাহতায়ালা তাদেরকে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন।

২. এই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করার সময় ফেরাউন ও তার সৈন্যদের দরিয়ায় ডুবিয়ে ধ্বংস করার ঘটনা।
এই দুই ঘটনা বিভিন্ন সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিমসহ হাদিসের অনেক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।

ইতিহাসে পাওয়া যায়, আশুরার দশ তারিখে অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের হাত থেকে আল্লাহতায়ালা বনী ইসরাঈলকে রক্ষা করেন। ফেরাউনের ওপর বিজয় দান করেন। এ জন্য দিনটিকে মুসলিম মিল্লাতের বিজয়ের দিন বলা হয়। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর বনী ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশ্যে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোনো মাবুদ নেই তাকে ছাড়া যার ওপর ঈমান এনেছে বনী ইসরাঈলরা। বস্তুত আমি তারই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। এখন একথা বলছ। অথচ তুমি ইতোপূর্বে নাফরমানি করেছিলে এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।’ -সূরা ইউনুস: ৯০-৯২

এ বিজয়ের শোকরিয়াস্বরূপ হজরত মুসা (আ.) ও তার অনুসারীরা আশুরার দিনে রোজা রাখতেন। হজরত আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সা.) যখন মদিনায় আগমন করলেন, দেখলেন এদিনে ইহুদিরা রোজা রাখে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন দিন যে, তোমরা রোজা রাখছ? তারা বলল, এটা এমন এক মহান দিন, যেদিন আল্লাহ হজরত মুসা (আ.) ও তার সম্প্রদায়কে মুক্তি দিয়েছিলেন ও ফেরাউনকে তার দলবলসহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

অনেক কিতাবে লেখা আছে, আশুরার দিনে কিয়ামত সংগঠিত হবে। কিন্তু এ কথার কোনো ভিত্তি নেই, নির্ভরযোগ্য কোনো বর্ণনায় এ কথার কোনো আলোচনা আসেনি। আবার কোনো কোনো রেওয়ায়েতে বলা হয়, আশুরার দিনে হজরত আদম আলাইহিস সালামের তওবা কবুল হয়েছে। এমনকি একথা আবুল কাসেম ইস্পাহানি (রহ.) কর্তৃক সংকলিত আত তারগিব ওয়াত তারহিবের ১৮৬৮ নম্বর রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু এই রেওয়ায়েতের সনদ খুবই দুর্বল। এ ছাড়া আরও কিছু রেওয়ায়েতে এই কথা এসেছে, সেগুলো মওযু তথা দুর্বল।

অবশ্য কোনো কোনো তাবেয়ি থেকে এ কথা বর্ণিত হয়েছে যে, তারা হজরত আদম আলাইহিস সালামের তওবা কবুল হওয়া সম্পর্কে আশুরার দিনের কথাই বলতেন।

হজরত নূহ আলাইহিস সালামের কিশতি যেদিন জুদি পাহাড়ে থেমেছিল সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন। এই রেওয়ায়েতও দুর্বল। তবে এটা ঠিক যে, একথা মুসনাদে আহমাদের একটি রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু তার সনদ দুর্বল।

আর হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম আশুরার দিন হয়নি। একথা প্রমাণিত নয়। আবুল কাসেম ইস্পাহানি (রহ.)-এর কিতাব আত তারগিব ওয়াত তারহিবের পূর্বোক্ত রেওয়ায়েতেই একথা এসেছে। আগেই বলা হয়েছে, এর সনদ খুবই দুর্বল।

আরেকটি বিষয়। আমাদের দেশের সংবাদপত্র থেকে শুরু করে আশুরাকেন্দ্রিক যাবতীয় আলোচনায় শুধু কারবালার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। মনে হয়, আশুরায় শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছে। আশুরা তাৎপর্যময় হয়েছে কারবালার কারণে। বিষয়টি কিন্তু তা নয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের প্রায় ৫০ বছর পর ৬১ হিজরির ১০ মহররমে কারবালায় হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আশুরার দিনের সঙ্গে মিলে যাওয়া একটি ঘটনাবিশেষ। আশুরার আমলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো বিষয় নয়।

কারণ হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের আগেই আমাদের শরিয়ত পূর্ণ হয়ে গেছে। কিয়ামত পর্যন্ত এই শরিয়ত পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত থাকবে। আল্লাহতায়ালা নিজে এই শরিয়ত, শরিয়তের দলিল ও দলিলের উৎসসমূহ হেফাজত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই শরিয়ত যেভাবে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে আজ পর্যন্ত সেভাবেই সংরক্ষিত আছে। সে অনুযায়ী সবার আমল করা জরুরি। তাতে কোনো ধরনের সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ নেই।

অতএব হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পরে সংঘটিত কোনো বিপদ বা আনন্দের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো দিন বা কোনো মাসের নতুন কোনো ফজিলত বা নতুন কোনো বিধান আবিষ্কার করা যাবে না। এগুলো ইসলাম সমর্থন করে না।

দুঃখ ও আনন্দ উভয়টির বিধান শরিয়তে আছে এবং তা নির্ধারিত। উম্মতের ওপর ওয়াজিব হলো সেই হুকুম অনুযায়ী আমল করা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- বিপদ-আপদের সময় একজন বান্দার কী করণীয়, কী বর্জনীয় তার বর্ণনা আছে কোরআন-হাদিসে।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা (তাদের জীবিত থাকার বিষয়টা) উপলব্ধি করতে পারো না। আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব (কখনও) কিছুটা ভয়-ভীতি দ্বারা, (কখনও) জানমাল ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতির দ্বারা। সুসংবাদ শোনাও তাদেরকে, যারা (এরূপ অবস্থায়) সবরের পরিচয় দেয়। যারা কোনো মসিবত দেখা দিলে বলে ওঠে, আমরা সকলে আল্লাহরই এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। এরাই তারা, যাদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে বিশেষ করুণা ও দয়া রয়েছে এবং এরাই আছে হেদায়েতের ওপর। -সূরা বাকারা: ১৫৪-১৫৭

এ আয়াতের আলোকে বুঝা গেল, কারবালায় হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের ঘটনা আমাদের জন্য বিপদ ও মসিবতের বিসয়। এক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়তের হুকুম হলো, বিপদগ্রস্ত লোকেরা সবর করবে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়বে এবং আল্লাহতায়ালার কাছে সওয়াবের আশা করবে।

কারও ইন্তেকালে শরিয়তের হুকুম হলো সবর করা অর্থাৎ ধৈর্যধারণ করা। অধৈর্য হয়ে অভিযোগপূর্ণ কোনো কথা বলা, বিলাপ করা, হাত পা ও বুক চাপড়ানো, চেহারা খামচানো, শোকের পোশাক পরা ইত্যাদি হারাম। ইসলামি শরিয়তে খুব কঠোরভাবে তা থেকে বারণ করা হয়েছে।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি মুখে আঘাত করে, জামার বুক ছিঁড়ে, জাহিলি যুগের (মতো) বিলাপ করে; সে আমাদের দলভুক্ত নয়। -সহিহ বোখারি: ১/১৭২

অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি ওই ব্যক্তি থেকে মুক্ত, যে শোকে মাথা মুণ্ডায়, বুক চাপড়ায় ও কাপড় ছিঁড়ে। -সহিহ মুসলিম: ১৬৭

হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের পর থেকে তিন শ’ বছর পর্যন্ত ১০ মহররমে কান্নাকাটি, আহাজারি, চিৎকার ও বুক চাপড়ানো প্রথার কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। সর্বপ্রথম ৩৫২ হিজরিতে মুঈযযুদ দাওলা দাইলামি (একজন শিয়া) দশ মহররমে শুধু বাগদাদে হজরত হুসাইন (রা.)-এর জন্য মাতম করার হুকুম জারি করে। এরপর ৩৬৩ হিজরিতে মিসরেও এই হুকুম জারি করা হয়। সেই থেকে এই প্রথা চলে আসছে কোনো কোনো সম্প্রদায়ের মাঝে।

Header Ad

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবিতে নেওয়া ওই তিন সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

নাহিদ, আসিফ ও আবু বাকের তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে এই তিনজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।

গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নাহিদ হাসপাতালের সপ্তম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে আর আসিফ তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন। নাহিদের সঙ্গে তার স্ত্রী আর আসিফের সঙ্গে বাকের ছিলেন।

আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ। বিপাকে পড়েছেন এসব ইউজাররা। যদিও দিন দুয়েক আগে চালু করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া এই ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সুবিধা অনেকেরই নেই।

এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, রবি-সোমবারের মধ্যেই চালু হবে কাঙ্ক্ষিত মোবাইল ইন্টারনেট।

প্রতিমন্ত্রী পলক আশ্বাস দিয়েছেন, রবি সোমবারের মধ্যেই দেশে পুরোদমে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হবে।

তবে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা যাবে কি না সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

এদিকে দেশে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি)।

জানা গেছে, দেশের আইন ও সরকারের নির্দেশনা না মানায় বন্ধ থাকবে মেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে যদি ফেসবুক সরকারের নির্দেশনা মানার নিশ্চয়তা দেয়, তখনই এটি চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

এর আগে, পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। এরপর বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা মিলছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ইস্যুতে কলকাতায় গত ২১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার।

মমতার এমন মন্তব্যে আপত্তিও জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবহিত। আমি সাতবারের সাংসদ ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি আমি অন্যদের থেকে ভালো জানি। আমাকে শেখানোর দরকার নেই। বরং সঠিক নিয়মগুলো ওরাই শিখে নিক।

একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখটায় তাহলে আমি তাদের আশ্রয় নিশ্চয়ই দেবো। কারণ রাষ্ট্রপুঞ্জেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, উদ্বাস্তু হলে তাকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও প্ররোচনা, উত্তেজনাতে না যাই। ছাত্রছাত্রীদের তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে, তার প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আপত্তি জানায়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ধরনের মন্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসওয়াল জানিয়ে দেন, অন্য কোনও রাষ্ট্র সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

ডিবি হেফাজতে নাহিদসহ কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক
আগামীকাল চালু হতে পারে মোবাইল ইন্টারনেট
'আমাকে নিয়ম শেখানোর দরকার নেই, ওরাই শিখে নিক'
‘দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা’
দুর্নীতির দায়ে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী গ্রেপ্তার
আজও ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল
আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
সহিংসতার অভিযোগে ঢাকায় ২০৯ মামলায় গ্রেপ্তার ২৩৫৭
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাইরে বাকি ৯৫ শতাংশ নিয়ে আদালতে বোঝাপড়া করব’
কোটা আন্দোলনে নিহত রুদ্রের নামে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকের নামকরণ
সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
এক সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৬ কোটি টাকা লোকসান
পাকিস্তানের ইসলামাবাদ-পাঞ্জাবে ১৪৪ ধারা জারি
রিমান্ড শেষে কারাগারে নুরুল হক নুর
ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার নেই সরকারের: মির্জা ফখরুল
নরসিংদী কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার
বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানাল বিটিআরসি
পুলিশকে দুর্বল করতেই পরিকল্পিতভাবে হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ: ডিবি হারুন
মৃত্যুর দিনক্ষণ গোপন রাখা হয়েছে যে কারণে