যে তিন সময় সেজদায় গিয়ে দোয়া করলে কবুল হয়

১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ পিএম


যে তিন সময় সেজদায় গিয়ে দোয়া করলে কবুল হয়

সেজদা হলো সকল ইবাদতের শ্রেষ্ঠ অংশ। আল্লাহর কাছে কোনোকিছু চাওয়ার তথা দোয়া করার ইচ্ছায় এবং শুকরিয়াস্বরূপ সেজদার নিয়ম রয়েছে। সেজদায় গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কেননা আল্লাহ তাআলা সেজদার সময় সবচেয়ে নিকটবর্তী থাকেন।

আসলে সেজদা হলো আল্লাহর প্রাপ্য। পৃথিবীর সবকিছুই মহান আল্লাহর জন্য সেজদা করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে এবং তাদের ছায়াসমূহও (সেজদা করে) সকালে ও সন্ধ্যায়—ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায়।’ (সুরা রাদ: ১৫)

সেজদায় গিয়ে দোয়া করতে উৎসাহিত করেছেন নবীজি (স.)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সেজদারত থাকে। অতএব তোমরা তখন অধিক দোয়া করতে থাকো।’ (মুসলিম: ৪৮২)

ফেরেশতারাও মহান আল্লাহর উদ্দেশে সেজদা করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কি আল্লাহর সৃষ্ট বস্তুসমূহের প্রতি লক্ষ করে না। তাদের ছায়া ডানে ও বাঁয়ে ঢলে পড়ে আল্লাহর প্রতি সেজদাবনত হয় বিনীতভাবে? আসমান ও জমিনে যত প্রাণী আছে, সবই আল্লাহকে সেজদা করে এবং ফেরেশতারাও। আর তারা অহংকার করে না।’ (সুরা নাহল: ৪৮-৪৯)

তবে, তবে কেউ কেউ এই সেজদার ক্ষেত্রেও আদব রক্ষার কথা বলেছেন। সেজদা যেহেতু নামাজের রুকন, তাই সেজদার আদব রক্ষার্থে কেবলামুখী হওয়া, সতর ঠিক রাখা, অজু থাকা ইত্যাদিকে উত্তম বলেছেন তারা।

অতএব, যেকোনো সময় দোয়া করতে হলে আল্লাহর হামদ এবং নবীজির ওপর দরুদ পাঠের পর দুরাকাত নামাজের সেজদায় গিয়ে অথবা সিঙ্গেল সেজদায় গিয়ে দোয়া করলে কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। নবীজি (স.) সেজদায় কখনো কখনো তাসবিহের সঙ্গে এ দোয়াটি পড়তেন— سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي উচ্চারণ: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম্মাগফিরলি। অর্থ: হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ্‌! আমাকে ক্ষমা করে দিন। (বুখারি: ৭৬১; মুসলিম: ৪৮৪)

আল্লাহর খুব কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এবং দোয়া কবুলের জন্য আরেকটি সুন্দর সময় হলো ভোর রাত। এই সময় সেজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন। তখন আল্লাহ তাআলা শেষ আসমানে চলে আসেন বান্দার ডাক শোনার জন্য। হাদিসে এসেছে— ‘আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিচের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব! কে আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে দান করব! আর কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব!’ (সহিহ বুখারি: ১১৪৫, মুসলিম: ৭৫৮)

দোয়া কবুলের আরেকটি অন্যতম সময় হলো আরাফাতের দিন। সেদিন ওই ময়দানে থাকাবস্থায় দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘আরাফার দিনের মতো আর কোনোদিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না। আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার নিকটবর্তী হন এবং বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন। আল্লাহ বলেন, কী চায় তারা? (সহিহ মুসলিম: ১৩৪৮)

জাবের (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে, সেদিন আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, দেখো- আমার বান্দারা উস্কোখুস্কো চুলে, ধুলোমলিন বদনে, রোদে পুড়ে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে সমবেত হয়েছে। তারা আমার রহমতের প্রত্যাশী। অথচ তারা আমার আজাব দেখেনি। ফলে আরাফার দিনের মতো আর কোনোদিন এত অধিক পরিমাণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় না।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩৮৫৩)

অতএব, সেজদা শুকরিয়াস্বরূপ দেওয়া যায়, দোয়া করার জন্যও দেওয়া যায়। যেকোনো বিষয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়ার জন্য সেজদায় লুটিয়ে পড়েন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। ইনশাআল্লাহ সেই দোয়া কবুল হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

 


বিভাগ : ধর্ম



বাংলাদেশ থেকে নেয়া পুরো ঋণ সুদসহ পরিশোধ করলো শ্রীলঙ্কা

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪১ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪৩ পিএম


বাংলাদেশ থেকে নেয়া পুরো ঋণ সুদসহ পরিশোধ করলো শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে দেওয়া ঋণের পুরোটাই সুদসহ পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 


তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীলংকা সুদসহ তৃতীয় কিস্তিতে ৫১ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ থেকে বাংলাদেশ সুদ পেয়েছে ২৫ মিলিয়ন ডলার। 


২০২১ সালের মে মাসে এক বছর মেয়াদে এ ঋণ নিয়েছিল দেশটি। তবে গত বছর অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। সে কারণে কয়েকবার ঋণ পরিশোধে সময় নেয় তারা। চলতি বছর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে।


এর আগে গত ২০ আগস্ট শ্রীলঙ্কা প্রথম কিস্তিত ৫০ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়। তারপর ৩১ আগস্ট আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। 


করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতিতে পড়েছিল। বৈদেশিক বিনিময়ে প্রতিনিয়ত মান হারাতে শুরু করে দেশটির মুদ্রা রুপি। এতে টান পড়ে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুতে। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ডলার ধার করে শ্রীলঙ্কা। 


‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ডব্লিউ ডি লক্ষ্মণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে ডলার চেয়ে চিঠি দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।  ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সরকার ২০০ মিলিয়ন ডলার ধার দেয় দেশটিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এ ডলার দেওয়া হয়।


বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধার হিসেবে নয়, বরং ডলারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কান রুপি অদলবদল বা সোয়াপ করে এই অর্থ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে কিছু সুদও পায় বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি জমা ছিল। বাংলাদেশ এর আগে ১৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ রুপি ফেরত দিয়েছে। এবার বাকি ৫ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রুপিও ফেরত দেবে।

 


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ পিএম


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি কিছু নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে কারো নাম উল্লেখ করা না হলেও যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের বিষয়ে বলা হয়, এরা বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচারবিভাগের সদস্য এবং নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ পররাষ্ট্র বিভাগ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেছে বা এর জন্য দায়ী কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল’।

যাদের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে সেসব ব্যক্তি তা তাদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, “আমাদের আজকের পদক্ষেপ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যের প্রতি সমর্থনকে প্রতিফলিত করে। একই সাথে এই পদক্ষেপ যারা সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চান তাদের প্রতিও সমর্থন”।

এর আগে চলতি বছরের ২৫শে মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র।

তখন বলা হয়েছিলো যে, এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় - তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এ নীতি বাংলাদেশের তখনকার রাজনৈতিক পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো। এরপরই মূলত রাজনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন হয় এবং বিরোধী দলগুলো নিয়মিত রাজনৈতিক সভা সমাবেশের সুযোগ পেতে শুরু করে।

তবে এর জের ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এমনকি বিবিসির সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন যে ‘আমেরিকা হয়তো তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না”।

এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের র‍্যাব ও এর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতর 'গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার' অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতর।

দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা অনেকেই ঢাকায় এসে সরকার ও বিরোধী দলসহ বিভিন্ন পক্ষের সাথে আলোচনা করে গেছেন।

এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশন জানায় যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না বলে তাদের নিশ্চিত করেছে।

ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলো থেকে পর্যবেক্ষক আসবে কি-না তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় আসবে।

তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে যে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কি-না।

আমেরিকার এই ভিসা নীতি ঘোষণার পর শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন। সেসময় তিনি মন্তব্য করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে বাধা তৈরি করে তাহলে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সাথে আলোচনা করবেন তারা।

 

 


কেবিনেই সিসিইউ সেটআপে পর্যবেক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ পিএম


কেবিনেই সিসিইউ সেটআপে  পর্যবেক্ষণে বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। তবে পরে তাকে আবারও কেবিনে আনা হয়েছে। (সিসিইউ) সেটআপে কেবিনেই অসুস্থ খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।


তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ। গতকাল তার অবস্থার অবনতি হলে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। বিকালের দিকে তার শারীরিক অবস্থা স্টেবল হলে আবার কেবিনে নিয়ে আসা হয়। এখন কেবিনে সিসিইউ সেটআপে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক নিবিড় অবজারভেশনে আছেন।’


৭৮ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার, ফুসফুস, কিডনি জটিলতাসহ হৃদরোগ, ডায়াবেটিক প্রভৃতি রোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিসকদের সমন্বয় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন।


গত ৯ আগস্ট গুলশানের বাসা ফিরোজায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


উত্তরার আবদুল্লাহপুরে দলীয় সমাবেশে গতকালকেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অতিদ্রুত খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে আবারো সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আজকে যখন তার (খালেদা জিয়া) জীবন-মরণ সমস্যা… তখন তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন বন্দি নন, এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রী। একবার নয় তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী। এখন কারাগারে থেকেও এই অসুস্থবস্থায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। এই নেত্রীকে আজ তারা বন্দি রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’


তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, দেশনেত্রীর যদি সুচিকিৎসা না হয়, তাকে যদি বিদেশে পাঠানো না হয় তবে তার অবস্থা আরো অবণতির দিকে যেতে পারে।’


খালেদা জিয়ার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে অবিলম্বে তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণের সুপারিশ করেছেন।

 

 

অনুসরণ করুন