হবু বউয়ের সঙ্গে প্রেম করা কি জায়েজ?
ছবি: সংগৃহীত
পুরুষদের উদ্দেশ করে আল্লাহ বলেছেন, ‘(হে রাসুল! আপনি) মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহতাআলা সে ব্যাপারে খবর রাখেন।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩০)
নারীদের উদ্দেশ করে আল্লাহ বলেছেন, ‘(হে রাসুল! আপনি) ইমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। সাধারণত প্রকাশমান ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বুকের ওপরে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, বাবা, শ্বশুর, ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও (এমন) বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত অন্য কারও সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। এমনকি তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তাওবা কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)
রাসুল (সা.) বলেন, দুই চোখের ব্যভিচার হলো, (পরনারীর দিকে) তাকানো, কানের ব্যভিচার যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের ব্যভিচার আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, হাতের ব্যভিচার (পরনারীকে খারাপ উদ্দেশ্যে) স্পর্শ করা আর পায়ের জিনা ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হওয়া এবং মনের ব্যভিচার হলো চাওয়া ও প্রত্যাশা করা। (মেশকাত, হাদিস : ৮৬)
তাই হবু বউ ও হবু স্বামীর উচিত হলো— কোনোভাবেই শরিয়ত অননুমোদিত কোনো সম্পর্কে না জড়ানো। একান্ত কোনো প্রয়োজনে যদি কথাবার্তা বলতেও হয়, তা হলে হবু বউ কথাবার্তার মধ্যে কোনো নম্রতা অবলম্বন করতে পারবে না। বরং প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলেই শেষ করে দেবে। নিজের কণ্ঠস্বর মোটা রাখবে। অন্যথায় যাদের অন্তরের মধ্যে ব্যাধি আছে, তারা তার প্রতি ঝুঁকে যেতে পারে। এ বিষয়ে মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘সুতরাং তোমরা কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, পাছে অন্তরে ব্যাধি আছে এমন ব্যক্তি লালায়িত হয়ে পড়ে। আর তোমরা বলো ন্যায়সঙ্গত কথা। (সুরা নিসা-৩২)
সূত্র: মুফতি তোফায়েল গাজালি