চাচার চাঁদাবাজি মামলায় ভাতিজা কারাগারে
বরগুনায় ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে পৈতৃক ভিটায় যেতে বাধাসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে চাচা গোলাম মোস্তফার দায়ের করা মামলায় ভাতিজা আমীর হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৮ মে) দুপুরে বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. হারুন আর রশীদ এ আদেশ দেন। ওই ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামি আমীর হোসেন বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুরি ইউনিয়নের সাহেবের হাওলা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বাদী গোলাম মোস্তফাও একই এলাকার বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ মার্চ সাহেবের হাওলা এলাকায় গোলাম মোস্তফার নির্মাণাধীন বসতঘরে রামদা ও শাবল নিয়ে প্রবেশ করে নির্মাণ ও মিস্ত্রিদের কাজের সামগ্রী ফেলে দেয় আসামি আমীর হোসেন ও তার লোকজন। এ ছাড়া ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও মূল্যবান কাগজপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরদিন তিনি বরগুনা সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বিষয়টি মীমাংসার জন্য বললেও কোনো মীমাংসা না হওয়ায় পরবর্তীতে তিনি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
এ বিষয়ে বাদী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার পৈতৃক ভিটায় ঘর তুলতে ভাতিজা আমীর ও আউয়াল আমাকে বাধা দেওয়াসহ চাঁদা দাবি করে লোকজন দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। সঠিক বিচার পেতে আমি আদালতে মামলা করেছি।
অপরদিকে আসামি আমীর হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, পৈতৃক সূত্রে ওই জমির মালিক আমরা। আদালতে দলিলপত্রও দাখিল করেছি।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ও আসামি আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা থাকায় তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের পরিদর্শক বশিরুল আলম বলেন, আদালতের নির্দেশে রবিবার বিকালে আসামি আমীর হোসেনকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসজি