শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রংপুরে গত ছয় বছরে দ্বিগুণ হয়েছে রেশম চাষ

রংপুর অঞ্চলে ছয় বছরের ব্যবধানে রেশম চাষ ও সুতা উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রংপুর অঞ্চলের ঠাকুরগাঁওয়ে রেশম সুতা তৈরি ও সিল্ক কাপড় তৈরির মিল থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জঠিলতার কারণে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় রংপুর আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় রেশম গুটি রাজশাহীতে পাঠাচ্ছে। কারখানাটি চালু থাকলে সিল্কের কাপড় তৈরিতে রংপুর প্রসিদ্ধ হতো এবং কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানে সৃষ্টি হতো বলে মনে করেন রংপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা সরোয়ার টিটু।

রেশম চাষে রংপুর এখন রাজশাহী অঞ্চলের ঠিক পরেই অবস্থান করছে। জনবল সংকট সহ নানা সমস্যা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে রংপুরের রেশম শিল্প। বর্তমানে রংপুর অঞ্চলে বছরে প্রায় পাঁচ টন সুতা উৎপাদন হচ্ছে, প্রতি বছরই নতুন নতুন এলাকা লাভ জনক রেশম চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রাচীন শিল্পের মধ্যে রেশম শিল্প দেশ ভাগের আগ থেকেই রাজশাহী অঞ্চলে রেশমের চাষ হতো। এখনো এক্ষেত্রে রাজশাহী অঞ্চল এগিয়ে তবে পিছিয়ে নেই রংপুর বিভাগ। রংপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা সরোয়ার টিটু সিল্কের কাপড় তৈরি কারখানাটি চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রেশম চাষের আওতায় চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগের প্রায় একশত হেক্টর জমি আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন, রংপুর আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রংপুরের উপপরিচালক মো. মাহবুব-উল হক।

রংপুরের আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও রংপুরে রেশম চাষে যুক্ত ছিলেন প্রায় এক হাজার চাষী। সে সময় প্রতি বছর রেশম গুটি উৎপাদন হতো ৩০-৩৫ হাজার। বর্তমানে চাষীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজারের বেশি এবং রেশম গুটি প্রতি মৌসুমে উৎপাদন হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার। এ অঞ্চলের প্রায় ৩ হাজার পরিবার রেশম পোকার চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। যাদের দেখে আরো অনেকে এ কাজে উৎসাহ পেয়েছেন। এমনই একজন রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের ফতেপুর ভুরাঘাট এলাকার রোখসানা পারভীন। অনেকটা কৌতূহলের বশেই রেশমের চাষ শুরু করেন তিনি। রংপুর রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় থেকে তিনি রেশম (পলু) পোকার ১০টি ডিম, পোকা প্রতিপালনের উপকরণ ডালি, চন্দ্রকী, পোকার এক মাত্র খাবার তুঁত পাতার ছোট-বড় মিলে ৬০০ গাছ বিনামূল্যে সংগ্রহ করেন। ডিম ফোটার পর পোকাগুলোকে এক মাস শুধু তুঁত পাতা খাওয়ানোর মাধ্যমে পাঁচ কেজি রেশম গুটি সংগ্রহ করেন তিনি। ৩০০ টাকা দরে প্রতি কেজি রেশম গুটি বিক্রি করেন।

নগরীর রেশম চাষি রোখসানা বলেন, এখন কেবল তুঁত পাতা সংগ্রহের জন্য ৮ শতক জমিতে তুঁতের চাষ করেছি। ভবিষ্যতে রেশম চাষের পরিমাণ আরো বাড়াতে চাচ্ছি।

রংপুর নগরীর আব্দুল খালেক, নিত্য চন্দ্র বর্মণ, রাজিয়া বেগমসহ অনেকেই এখন রেশম পোকা আবাদ করে বাড়তি আয় করেছেন। তবে এসব চাষি নিয়মিত তদারক করতে পারে না রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্র। মূলত লোকবল সংকটের কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ কারণে একাধিক জেলার রেশম চাষ তদারকির দায়িত্ব পালন করতে হয় একজন কর্মকর্তাকে। ফলে তার পক্ষেও সবসময় সবকিছু দেখভাল করা সম্ভব হয় না।

রংপুর বিভাগসহ কয়েকটি জেলার দায়িত্বে থাকা রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রের ম্যানেজার (সম্প্রসারণ) মো. হাসিবুল ইসলাম বলেন, সংকর (হাইব্রিড) জাতের রেশম পোকা শুধু তুঁত পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে। এ গাছের নতুন পাতা হতে সময় লাগে দুই মাস। ডিম থেকে রেশম পোকা বের হওয়া ও গুটি সংগ্রহ পর্যন্ত সময় লাগে এক মাস। তাই বছরে চার বার রেশম চাষ হয়। চাষিরা উৎপাদিত গুটি কেন্দ্রের কাছে বিক্রি করেন। ১০-১২ কেজি গুটি থেকে এক কেজি রেশম সুতা পাওয়া যায়।

রংপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি রেশম নীলফামারী জেলায় উৎপাদন হয় জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, রেশম গুটি উৎপাদন হয় ৮-১০ হাজার কেজি। নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার অনেক কৃষক আছেন, যারা বছরে রেশম গুটি বিক্রি করে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা আয় করেন।

রংপুর আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রংপুরের উপপরিচালক মো. মাহবুব-উল হক বলেন, রেশম চাষ বৃদ্ধিতে দুটি প্রকল্প কাজ করছে। এর মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদি রেশম চাষের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলার দারিদ্র্য হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। এতে সুফল ভোগ করছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। রেশম চাষের আওতায় এসেছে ৫০০ বিঘা জমি। আবার তিন বছর মেয়াদি বাংলাদেশ রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা ফেজ-২ শুরু হয়েছে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২)। এর মাধ্যমে রেশম চাষের আওতায় এসেছে ৩৫০ বিঘা জমি। রংপুর বিভাগের ১৬ টি নদ-নদী প্রবাতি অববাহিকার জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা রেশম চাষের আওতায় নতুন করে আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, রেশম চাষ বৃদ্ধির লক্ষে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ৬ লাখ ৪ হাজার তুঁত চারা বিতরণ করা হয়েছে। নতুন ১১৭ জন চাষিকে এক বিঘা করে জমিতে তুঁত গাছ আবাদের মাধ্যমে রেশম চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। গড়ে তোলা হচ্ছে আইডিয়াল রেশম পল্লী, রেশম ব্লক। এছাড়া আগ্রহী চাষীদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। রেশমচাষীদের সব উপকরণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। দক্ষ চাষিদের রেশম চাষের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত গুটি মানভেদে কেজি প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা দরে কিনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। লোকবল সংকটের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিশ্রম বেড়ে গেছে বলে জানান মো. মাহবুব-উল হক। তিনি বলেন, তার কার্যালয়ে ১৫টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন চারজন। এছাড়া সাত কেন্দ্রের কাজ করা হচ্ছে চারজনকে দিয়ে। ফার্মে ২০ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন কেবল একজন। অবসর ও মৃত্যু জনিত কারণে এসব পদ শূন্য হলেও সেগুলো এখনো পূর্ণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের কাছে লোকবল সংকটের নিরসন হলেএ সমস্যার সমাধান হলে রেশম চাষের তদারকি আরো ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।

 

Header Ad

রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের

ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমাকে হারিয়েছে লেভারকুসেন। ছবি: সংগৃহীত

লিগ ম্যাচে এক হারের স্বাদ পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যানচেস্টার সিটি হেরেছ ৩টি লিগ ম্যাচ। এসবের ভিড়ে বায়ার লেভারকুসেনের ৪৭ ম্যাচে অপরাজিত থাকা চমক জাগানিয়া বটেই।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে রোমাকে ২-০ হারিয়েছে জাবি আলোনসোর দল।

ইতালির জায়ান্টদের মাঠ থেকে সহজে জিতে ফেরায় দলটি ইউরোপা লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে। অপরাজিত ফিফটির পথে ছোঁটা লেভারকুসেন ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে বড় ব্যবধানে না হারলেই ফাইনালে উঠে যাবে। ক্লাব ইতিহাসে প্রথম লিগ শিরোপা জয়ী দলটি এখন ইউরোপের শিরোপাসহ ট্রেবলের স্বপ্ন দেখতেই পারে।

রোমের অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে বেশ সহজ জয়ই পেয়েছে বুন্দেসলিগার চ্যাম্পিয়নরা। ২৮তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন দারুণ ছন্দে থাকা ফ্লোরিয়ান ভাইর্টজ। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রবার্ট আনড্রিখ।

জয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারায় বেশ খুশি আলোনসো। বায়ার্ন কোচ বলেন, ২-০ ভালো রেজাল্ট। আমরা খুশিমনে বাড়ি ফিরব তবে সতর্কও থাকব। এই মৌসুমে আমরা যা করছি তা অসাধারণ। আমাদের খুবই উচ্চমানের ফুটবলার আছে। তবে সবচেয়ে কঠিন জিনিস হলো ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। আমরা থামতে চাই না। মৌসুম শেষের আগপর্যন্ত এভাবেই চালিয়ে যেতে চাই।

১৯৮৮ সালে ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লেভারকুসেন। সেটাই তাদের একমাত্র ইউরোপিয়ান শিরোপা। ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে উঠলেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যাওয়ায় শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি।

এদিকে ইউরোপা লিগের অপর সেমিফাইনালে ১-১ গোলে ড্র করেছে আতালান্তা ও মার্শেই।

অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি

নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় ধরে নিয়ে যাওয়া ১২ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত পৌনে ৮টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গেল বুধবার সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদীর অংশের মোদিরখালে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় ১২ জেলে। এ সময় আরাকান আর্মির একটি দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জেলেদের ধরে নিয়ে যায়।

ফেরত আসা জেলেরা হলেন- অপহৃত জেলেরা হলেন - পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার রোমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ও দৈংগ্যাকাটা এলাকার হোসাইন আহমদ (৫৫)।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশি ১২ জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার দুপুরে তাকে অবগত করেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি বিজিবিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানান। এরপর জেলেদের ফেরত আনতে তৎপরতা শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ১২ জেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সীমান্তের এপার পৌঁছার পর জেলেদের বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বাসা—বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ফেরত আসা জেলেরা নিজ নিজ বাড়িতে নিরাপদে ফিরেছেন। ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত

জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে এটি উত্থাপন করেন। শুক্রবার (৩ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

স্থায়ী মিশন বলছে, চলতি বছর আলোচ্য প্রস্তাবনাটি একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজোল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য আটটি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান রয়েছে এতে। এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

প্রস্তাবনাটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।

এবারের রেজোল্যুশনে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদ্‌যাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া এ রেজোল্যুশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণবাদী অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

রেজোল্যুশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য দেয়। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানায়।

সর্বশেষ সংবাদ

রোমাকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
অপহৃত ১২ জেলেকে ছেড়ে দিল আরাকান আর্মি
জাতিসংঘে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
আজ তিনশ ফিট এলাকায় বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী আলু ঘাটি উৎসব
দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিল ইরান
বজ্রপাতে পাঁচ জেলায় প্রাণ গেল ১১ জনের
যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি
টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫
সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী
মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস
আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ?
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দিলেন স্বামী