সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাতক্ষীরায় বৈশাখকে রাঙাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার প্রতিটা ঘরের রান্না থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া, অতিথি অ্যাপায়ণসহ অধিকাংশ কাজেই মাটির তৈরি পাত্র ব্যবহার করা হতো। স্বাস্থ্যকর আর সহজলভ্য ছিল বলে সব পরিবারেই ছিল এই মৃৎশিল্পের ব্যবহার। কিন্তু কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প।

এই শিল্পের চাহিদা বছরের অন্য সব সময়ে না থাকলেও পহেলা বৈশাখের উৎসবে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের কদর বেড়ে যায়। চৈত্রের রৌদ্রদগ্ধ দিন জানান দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ।

আর সেই উৎসবকে ঘিরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরায় হারিয়ে যেতে বসা এই মৃৎশিল্পের অল্পসংখ্যক কারিগররা। মৃৎশিল্পীরা দক্ষ হাতের সুনিপুণ নৈপুণ্যে তৈরি করছেন মাটির তৈরি হাড়ি, কলস, ঢাকনা ও ঘর সাজানোর উপকরণসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র।

লোকশ্রুতিতে জানা যায়, 'এক দশক আগেও দক্ষিণ জনপদের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় খেঁজুর ও তালের রস সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি পাত্রের ব্যবহার করা হতো সর্বত্র। মাটির তৈরি খোলা (পাত্র), ফুল গাছের টপ, দধির পাতিল, টালি, ঘট, মুচি, মুটকি থালা-বাসনসহ বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হতো বিভিন্ন ধরনের খেলনা। এ সব তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে পরিষ্কার এঁটেল মাটি।

এ সকল জিনিসপত্র তৈরির কারিগররা 'কুমার' নামে পরিচিত। আর যে স্থানে এ সকল জিনিসপত্র তৈরি করা হয় সে স্থানকে সাতক্ষীরার ভাষায় 'পালপাড়া' বলা হয়। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া, সুলতানপুর, গড়েরকান্দা, ইটাগাছা, ধুলিহর, ঝাউডাঙ্গা, তালা উপজেলার নগরঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০০ পরিবার এ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। আর এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে জেলার একাধিক কুমাররা ঢাকাপ্রকাশকে জানান, 'বংশ পরম্পরায় ও জীবিকা নির্বাহের তাগিদে এখনও মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তারা। দূরদূরান্ত থেকে সংগ্রহ করা এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি করা পাত্রগুলোকে প্রথমে রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। পরে শিল্পীর নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায় রঙের তুলির আঁচড়ে ফোটানো সব চমৎকার নিদর্শন তৈরির পর সেগুলো সাইকেল, ভ্যান বা মাথায় করে দূরদূরান্তে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতেন তারা। আর তাতেই চলতো তাদের সংসার।'

'তবে বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ধাতব, মেলামাইন ও প্লাস্টিকের পণ্য সহজে বহনযোগ্য আর সস্তা মাটির তৈরি জিনিসপত্র আজ বিলীন হতে চলেছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প।'

কুমারদের দাবি, 'তৈরিকৃত মাটি, উপকরণ ও পোড়ানোর খরচ বেশি হওয়ায় এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে অনেক পরিবার।'

এসময় তারা বলেন, 'বৈশাখ মাসটা তাদের পালনী মাস। এইজন্য চৈত্র মাসে তাড়াহুড়ো করে কাজ করেন। বৈশাখে মেলা হয় যেখানে তাদের পণ্যগুলো বিক্রি হয়। নতুন বছর শুরুর এই সময়টায় মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয় বেশি। এ আয়ের ওপরই তাদের বছরের বাকি দিনগুলো চলায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন তারা।'

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বাবুলিয়া গ্রামের দিলীপ কুমার পাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'আগে আমরা এখানে ২০-২৫টি পরিবার বিভিন্ন ধরনের মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ধাতব ও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বাজারে আসায় মাটির হাড়ি-পাতিল এর চলন উঠে গেছে। এখন আর আগের মতন বেচা-কেনা না থাকায় এ পেশা ছেড়ে অন্যের ক্ষেত-খামারে দিনমজুর দিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে।'

একই এলাকার অঞ্জনা রানী পাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, 'আমাদের মাটি দিয়ে এ সব তৈরি করার জন্য মাটিকে চটকিয়ে নরম করতে হয়। এতে বিভিন্ন সময় মাটিতে থাকা ঝিনুক, শামুক, ব্লেড ও কাঁচে আমাদের হাত পা কেটে যায়। সরকার যদি আমাদের কাঁদা মাটি চটকানোর জন্য মেশিন দেয় তাহলে আমাদের খুব উপকার হবে।'

একই এলাকার স্বপন পাল বলেন, 'যদি জাত পেশা না হতো তাহলে অন্য কাজ করতাম। আমাদের এখানে প্রায় ২৫টি পরিবার এই কাজ করত, কিন্তু এখন ৬-৭টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বাকিরা অন্য কাজ করছে।'

তালা উপজেলার নলীতা পাল বলেন, 'প্লাস্টিকের পণ্য বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। প্লাস্টিকের পণ্য সহজে বহনযোগ্য আর সস্তা হওয়ায় আমাদের এ ব্যবসা এখন আর ভালো নেই। অনেকেই এসে ছবি তুলে নিয়ে যায় কিন্তু কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা পাই না।'

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সাতক্ষীরার উপব্যবস্থাপক গোলাম সাকলাইন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, 'সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৪০০ পরিবার এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। আমরা একটি এনজিওর মাধ্যমে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। যাতে তারা উন্নতমানের বিভিন্ন ধরনের মাটির হাড়ি-পাতিল, শো-পিচ তৈরি করে বিদেশে রপ্তানির জন্য উপযোগী করতে পারবে।'

এসময় তিনি বলেন, 'জেলার ঐতিহ্যগত এই মৃৎশিল্প তৈরির জন্য আমাদের কাছে কেউ আবেদন করলে আমরা স্বল্প সুদে তাদের ঋণের ব্যবস্থা করে দিব।'

টিটি/

Header Ad

আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং

ছবি: সংগৃহীত

পেশাগত জীবনে তুলুন সাফল্য পেলেও হানির ব্যক্তিগত জীবন দুঃখে জর্জরিত। বছর খানেক আগেই তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তার প্রাক্তন স্ত্রী শালিনী তালওয়ার হানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন গার্হস্থ্য হিংসার। এ সবে ভয়ানকভাবেই জর্জরিত ছিলেন গায়ক হানি সিং। তিনি নাকি কাউন্সেলিংও করিয়েছিলেন নিজের।

নেশা করার বিষয়টা নিয়ে অনেক ভাবনাচিন্তা করেছিলেন। ছেড়েছিলেন গাঁজা খাওয়া। গাঁজার কুফল যে কতখানি ভয়ানক হতে পারে, তা গায়ক বেশ ভালই বুঝেছেন তার জীবন দিয়ে। তরুণ প্রজন্মের সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি মঞ্চে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত কথা বলে ফেলেছেন তিনি, যা শুনে সকলেই চমকে উঠেছেন। হানি সিং বলেছেন, জীবনে যত খুশি মদ খাও, কিন্তু কখনও গাঁজা-চরস খাবে না। ওর থেকে বাজে জিনিস আর পৃথিবীতে একটাও নেই। আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি। তাই ভাই-বোনেরা গাঁজা একদম ছুবে না।

হানি সিংয়ের গানের মধ্যে অদ্ভুত এক মাদকতা রয়েছে। তার সেসব গানের মধ্যে থাকে নেশার কথাও।

মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাসায় টাকার পাহাড়

মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাড়ি থেকে বিপুল কালো টাকা উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজ্যের পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাড়ি থেকে বিপুল কালো টাকা উদ্ধার করেছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

সোমবার (৬ মে) মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের বাড়িতেও অভিযান চালান ইডির কর্মকর্তারা। সঞ্জীব লাল অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে তার গৃহকর্মীর কাছে টাকা রেখে দেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই গৃহকর্মীর ঘরের মেঝেতে নোটের পাহাড় ছড়িয়ে আছে।

এদিন ইডি ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ২৫ কোটি রুপি কালো টাকা উদ্ধার করেন। এরমধ্যে সঞ্জীব লালের গৃহকর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২০ কোটি রুপি। গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারেতের অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের অধীনে এসব অভিযান চালানো হয়।

মূলত ঝাড়খণ্ডের পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীরেন্দ্র রাম ও তার ঘনিষ্ঠ চক্রের লোকজনের বাড়িতে এসব অভিযান চালানো হয়। অর্থ পাচার মামলায় জড়িত থাকায় ইডি বীরেন্দ্র রামকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার করেছিল।

বীরেন্দ্র রামের আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে সঞ্জীব লালের নাম আসে। সেই যোগসূত্র ধরেই তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায় তার গৃহকর্মীর ঘরে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রী আলমগীর আলম (৭০) কংগ্রেসের একজন নেতা এবং তিনি ঝাড়খণ্ড বিধানসভার একজন সদস্য। দেশটিতে লোকসভা নির্বাচন চলাকালে কংগ্রেস নেতার সচিবের এমন অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিচ্ছে।

স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে বজ্রপাতে কুলসুম বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরে উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কুলসুম বেগম ওই এলাকার আফসার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন স্বামী আফসার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে স্ত্রী কুলসুম বেগম রান্নাবান্না শেষ করে স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে রওনা হয়। এসময় বজ্রপাতে হলে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন বলেন, দুপুরে কুলসুম বেগম তার স্বামীর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। পরে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানতে পেরেছি। তার মরদেহ চাঁদপুর হাসপাতালে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

আমার জীবনের পাঁচটা বছর আমি গাঁজা খেয়ে নষ্ট করেছি : হানি সিং
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবের গৃহকর্মীর বাসায় টাকার পাহাড়
স্বামীকে মাঠে খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু
এক ফোনে ২ সিম ব্যবহার করলেই গুণতে হবে বাড়তি খরচ
অসহায়দের সেবা না দিয়ে টাকা ব্যাংকে জমাতেন মিল্টন: ডিবি হারুন
সৌদি আরব বাড়িয়ে দিয়েছে তেলের দাম
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছেন ৫০ ফিলিস্তিনি ছাত্রী
সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মারতে গেলেন সাকিব
হিট স্ট্রোকে ১৫ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা ও সমাবেশ
টাইটানিকের সেই ক্যাপ্টেন বার্নার্ড হিল আর নেই
সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন চেয়ারম্যানরা: টিআইবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়