রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নেত্রকোনায় ৪০ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পানির সংকটে

 

নেত্রকোনা সীমান্তবর্তী কলমাকান্দায় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আদিবাসীদের বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি ছড়ার ময়লাযুক্ত ঘোলা পানি অথবা টিলার নিচে তৈরি অগভীর কূপের ময়লা পানিই তাদের ভরসা। উপজেলার লেংগুরা, খারনৈ ও রংছাতি ইউনিয়নের অন্তত ৪০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন বিশুদ্ধ পানির এ সংকটে পড়েছেন।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানায়, এলাকায় পানির গভীর নলকূপ না থাকার কারণে দেখা দিয়েছে এমন সংকট। তবে শুধু এবারের শুষ্ক মৌসুমেই নয়, প্রতিবারই শুষ্ক মৌসুমে এমন সংকট দেখা দেয় পাহাড়ি গ্রামগুলোতে। এসব গ্রামের সচ্ছল পরিবারের লোকজন প্রয়োজন মতো একাধিক নলকূপ স্থাপন করে পানির সংকট মেটায়। কিন্তু দিন আনে দিন খায় এমন হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোর পক্ষে তা সম্ভব হয় না।

অনেক পাড়াতেই কোনো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অগভীর নলকূপগুলোতে পানি উঠছে না। এ কারণে অনেককে দূর থেকে খাবার পানি আনতে হচ্ছে। আবার বেশির ভাগ পরিবার ব্যবহার করছে কুয়া অথবা ছড়ার পানি।

কলমাকান্দা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা লেংগুরা ইউনিয়নের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বেশ কিছু গভীর কুয়া সরকারিভাবে তৈরি করে দিয়েছেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, অধিকাংশ কুয়া নির্মাণের চার থেকে ছয় মাসের মধ্যেই অকেজো হয়ে পড়েছে।

রংছাতি ইউনিয়নের চন্দ্রডিঙ্গা, পাচগাঁও, সন্নাসীপাড়া, জাকিরপাড়া, মনগড়া খারনৈ ইউনিয়নের ভাষাণকুড়া, কচুগড়া, বিশ্বনাথপুর, রানীগাও, খারনৈ, গোবিন্দপুর লেংগুরা ইউনিয়নের চেংগ্নী, গোপালবাড়ী, ফুলবাড়ী, কালাপানি, কাঠাবাড়ীসহ আরও বেশ কিছু গ্রামের লোকজন তাদের সংকটের কথা জানান।

তারা জানান, একসময় তারা ওপারের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়ার ময়লাযুক্ত পানিই কাপড় দিয়ে ছেঁকে কোনো রকম পরিষ্কার করে পান করতেন। কিন্তু এখন ছড়াগুলোও শুকিয়ে খাঁ-খাঁ করছে।

এদিকে সচ্ছল পরিবারের লোকজন কয়েকটি বাড়িতে গভীর নলকূপ বসালেও মাত্রাতিরিক্ত আয়রনের কারণে তা-ও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে অনেকে বাড়ি থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে ছড়ার পানি ছেঁকে আবার অনেকে কোনো রকম একটি কুয়া (ইদারা) তৈরি করে খাবার পানিসহ নিত্য ব্যহারের পানি সংগ্রহ করছেন।

খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে পানির দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা জানি। আসলে ওখানে প্রায় হাজার ফুট গভীর নলকূপ বসাতে হবে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। মাটির নিচ থেকে পাথর সরিয়ে যদিও বিকল্প হিসেবে গভীর কুয়া বসানো যায় তাতেও ৭০ হাজার থেকে লাখ টাকা ব্যয় হয়।

তিনি আরও বলেন, সরাসরি উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই কেবল দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই গ্রামগুলোতে পানির সমস্যা নিরসন করা সম্ভব হবে।

কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ওই অঞ্চলগুলোতে পাথরের জন্য টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয় না। তবে পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বেশ কিছু রিংওয়েল বসানো হয়েছে। এখনো ১০টি রিংওয়েল বসানোর কাজ চলমান।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, আমি এ সংকট সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এ ব্যাপারে আমি আন্ততরিকভাবে চেষ্টা করব।

এসএন

Header Ad

এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ৯ থেকে ১১ মের মধ্যে প্রকাশিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তপন কুমার সরকার বলেন, ‘ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯, ১০ ও ১১ মে-এই তিনটি তারিখের মধ্যে যে কোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।’

সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

এবার সারা দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় এ বছর মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্র ১ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫২৬ জন। সারাদেশের ৯ হাজার ৬৭৯টি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা ৭১৮টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা দেয়।

এছাড়া বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষা দিয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৩১ জন, ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। সারা দেশের ২ হাজার ৮৭৭টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৭০৯টি কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষা দিয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জে চোরাবালিতে আটকে পড়া কিশোরকে উদ্ধার

চোরাবালিতে আটকে পড়া কিশোরকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঠান্ডার পরশ নিতে চোরাবালিতে আটকে পড়া অপূর্ব বিশ্বাস নামের এক কিশোরকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তাকে উদ্ধার করে। অপূর্ব বিশ্বাস পৌর এলাকার বোয়লিয়া গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে তার সঙ্গীদের সাথে নিয়ে খেলার সময় নির্মাণাধীন শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে একটি পাইলিং কাদা পানিতে খেলা করছিল এসময় অপূর্ব বিপদজ্জনক ভাবে পাইলিংয়ের চোরাবালিতে আটকে যায়। এক পর্যায়ে সে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তাকে চোরাবালি থেকে উদ্ধার করে।

গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিটার আতিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উদ্ধার করা অপূর্ব বিশ্বাসকে সুস্থ করে তার পরিবারের কারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে নাচানাচি, ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

কর্ম পরিবেশকে বিরক্তিকর উল্লেখ করে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন ভারতের পুনের এক ব্যক্তি। বিক্রয় সহযোগী হিসেবে কাজ করা অঙ্কিত চাকরি ছেড়েই বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। এ ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেন তারই বন্ধু জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আনিশ বাগাত।

ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, এ ধরনের ঘটনা সামনে আরও দেখা যাবে, কর্ম পরিবেশ দিন দিন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। কারণ কর্মপরিবেশ ভালো না হলে চাকরি করা কঠিন।

বাগাত বলেন, তিন বছর ধরে কর্মপরিবেশ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন অঙ্কিত। ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিও শেয়ার করে অঙ্কিত বলেন, বসের কাছে আমার কোনো সম্মান ছিল না। মধ্যবিত্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে এতদিন চাকরি করতে হয়েছে।

অঙ্কিত তার অফিসের শেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বন্ধু বাগাতের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাগাতই তাকে অফিসের বাইরে ঢোল বাজানোর পরামর্শ দেয়। যখন ওই অফিসের ম্যানেজার বাইরে বের হন তখনই অঙ্কিতের বন্ধুরা ঢোল বাজাতে শুরু করে। ম্যানেজার এ দৃশ্য দেখে রেগে গিয়ে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

 

 
 
 
View this post on Instagram

A post shared by Anish Bhagat (anishbhagatt)

হারাপ্পা ইনসাইডের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মী বান্ধব বস এবং কর্মপরিবেশ ভালো না হলে অনেকে চাকরি ছেড়ে দেন। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বসের খারাপ ব্যবহারের কারণে প্রায় ৫৮ শতাংশ কর্মী চাকরি ছাড়েন।

সর্বশেষ সংবাদ

এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড
গোবিন্দগঞ্জে চোরাবালিতে আটকে পড়া কিশোরকে উদ্ধার
চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে নাচানাচি, ভিডিও ভাইরাল
টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, হিটস্ট্রোকে নারীর মৃত্যু
৬০ বছর বয়সে সেরা সুন্দরীর খেতাব, কে এই আর্জেন্টাইন নারী?
গোবিন্দগঞ্জে দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে
স্বর্ণের দাম আরও কমলো
আজও দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবের পুরস্কার জিতল বাংলাদেশের সিনেমা
বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন
টাঙ্গাইলে ইসতিসকার নামাজ শেষে মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের
উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
চিফ হিট অফিসার একটি টাকাও বেতন নেন না: মেয়র আতিক
বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস
বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল একই পরিবারের ৩ জনের
সরকারি স্কুল খুলছে রোববার, শ্রেণি কার্যক্রম চলবে যেভাবে
শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় নওগাঁয় ইসতিসকার নামাজ
জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে তিন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ