রাজশাহীতে ছিনতাইয়ের পর প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় ছিনতাইয়ের পর প্রতিবন্ধী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে পুঠিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে ওই ভুক্তভোগীর পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার কোয়ালিপাড়া গ্রামে। তিনি জামগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কাচুপাড়ার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। ইফতারের পর একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। সেই ভ্যানে আরও দু’জন ছিল। গাড়িটি কাচুপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ফাঁকা মাঠের মধ্যে ৫-৬ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ভ্যানটির গতিরোধ করে। এ সময় সবার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এরপর অস্ত্রের মুখে সবাইকে তাড়িয়ে ওই মেয়েকে গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি কলা বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তারা মেয়েটিকে ফেলে রেখে চলে গেলে সে একাই বাজারে এসে লোকজন দেখে কান্না করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে মেয়েটি থানায় এসেছে। তার কাছে বিস্তারিত শুনার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি যাচাইসহ এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করেছে। সেখানে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখন বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, ওই নারীর ভাষ্যমতে সেখানে কয়েকজন থাকলেও একজনই ধর্ষণ করেছে। আর এই নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
এসআইএইচ