রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

৬ মাস ধরে জামালপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে অস্ত্রোপচার বন্ধ

চিকিৎসা সরঞ্জাম, অস্ত্রোপচারের আধুনিক কক্ষ সবই আছে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচারের আগে যিনি ‘অ্যানেসথেসিয়া’ প্রয়োগ বা অচেতন করেন, সেই অবেদনবিদ নেই। এতে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে জামালপুর সদর উপজেলার মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে অস্ত্রোপচার (সিজার) বন্ধ রয়েছে। অথচ এই কেন্দ্রে প্রতি মাসে গড়ে ৩০টি অস্ত্রোপচার হতো। এ অবস্থায় এলাকার দরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে জেলা শহরের বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জামালপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে অন্তঃসত্ত্বা নারীরা চিকিৎসা নিতে আসছেন। দ্বিতীয় তলায় অস্ত্রোপচারের কক্ষ। তবে কক্ষটি তালাবদ্ধ। কেন্দ্রের একজন নার্সের সহযোগিতায় তালা খোলা হয়। দেখা যায়, সেখানে অস্ত্রোপচারের জন্য সব সরঞ্জাম রয়েছে।

জামালপুর শহরের জিগাতলা এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহিলা আক্তার (২৫) কেন্দ্রের চিকিৎসকদের আন্তরিকতা ও সেবায় খুশি। কিন্তু এই শেষ সময়ে তাকে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ওই কেন্দ্রে বিনামূল্যে অনেক ভালো সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সুবিধা না হওয়ায় এখন বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হবে। এতে তার অন্তত ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। এখন এত টাকা জোগার করতে তাকে হিমশিম খেতে হবে।

শহরের লাঙ্গলজোড়া এলাকার মুক্তা খাতুনের সন্তান প্রসব হতে এখনো কিছুটা সময় বাকী। তবে যদি অস্ত্রোপচার করাতে হয়, সেই ক্ষেত্রে তিনি কী করবেন, চিন্তায় আছেন। মুক্তা খাতুন বলেন, ‘দেখেন, কত মায়েরা আসছেন। বিনামূল্যে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন সিজার করাতে হলে প্রাইভেট ক্লিনিকে করাতে হচ্ছে। আর এই সিজারের খরচ জোগানো অনেক কষ্টকর।’

মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী এলাকার পূর্ণিমা আক্তার জামালপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে অস্ত্রোপচার করাতে আগ্রহী ছিলেন। পরে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। সব মিলিয়ে তার ১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামালপুর মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের এক নার্স বলেন, তাদের অস্ত্রোপচার কক্ষে সব ধরনের যন্ত্রপাতি আছে। গত বছরের মার্চে কেন্দ্রের অবেদনবিদ সোহরাব আলী অবসরে চলে যান। এরপর একজন ডিপ্লোমাধারী অবেদনবিদ দিয়ে অস্ত্রোপচারের কার্যক্রম চালু করা হয়েছিল। কিন্তু তিনিও গত বছরের জুলাই মাসে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যান। এর পর থেকে অস্ত্রোপচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ।

তিনি আরও বলেন, গত বছরের ১৫ নভেম্বর একজন অবেদনবিদ যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আর এক দিনও কেন্দ্রে আসেননি। গড়ে প্রতি মাসে এ কেন্দ্রে ৩০টি অস্ত্রোপচার হতো।

কেন্দ্রটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (ক্লিনিক) উম্মে হাবিবা বলেন, এই কেন্দ্রে অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন সেবায় কোনো টাকা লাগে না। ফলে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। প্রতিদিন শতাধিক অন্তঃসত্ত্বা নারী চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে যাদের কোনো সমস্যা থাকে তাদের বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করা হতো। কিন্তু প্রায় ৯ মাস ধরে তাদের অবেদনবিদ না থাকায় অস্ত্রোপচার হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মাজহারুল হক চৌধুরী বলেন, দ্রুত একজন অবেদনবিদ দেওয়ার জন্য তিনবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

এসআইএইচ

Header Ad

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই

ছবি: সংগৃহীত

বাদীপক্ষের কাছে টাকা দাবি ও বিবাদীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ে দরকষাকষির অডিও ক্লিপ ভাইরালের পর ফেঁসে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলতাফ হোসেন। এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। 

এর আগে গত ১৩ মে এএসআই আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আফরোজা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী নারী। এরপরই পুলিশ সুপার অভিযোগটি আমলে নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

ভুক্তভোগী নারী আফরোজা খাতুন বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত আমার স্বামী আতিয়ার হোসেন অসুস্থতার জন্য কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। তিন ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। কখনো দর্জির কাজ ও পাড়া-মহল্লার বাড়ির কাঁথা সেলাই করে সংসার চালিয়েছি। গত ১০ মাস যাবত স্থানীয় একটি বেসরকারি এনজিওতে (বীজ) রান্নার কাজ করছি। এ কাজ করি বিধায় আমার দেবর আক্তার আলী ও মেজো ভাশুর হাশেম আলী আমাকে নিয়ে স্বামীকে বিভিন্নভাবে ভুল বোঝাতে থাকেন। তারা আমার স্বামীকে বলেন, আফরোজার জন্য আমাদের মানসম্মান চলে গেল, সে খারাপ কাজ করে বেড়ায়। তাদের কথা শুনে আমার স্বামীও আমাকে অশালীন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ ঘটনার জের ধরে গত ৯ মে আমার দেবর ও মেজো ভাশুর হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে আসেন। প্রাণ রক্ষার্থে আমিসহ দুই নাবালক সন্তান আরেফিন রহমান (১৭) ও আল মেরাজকে (১২) নিয়ে ঘরের দরজা আটকে দিই। পরে ঘরে ঢুকতে না পেরে চাইনিজ কুড়াল ও হাঁসুয়া দিয়ে টিনের বেড়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান তারা। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১০ মে আমার বড় ছেলে আরেফিন বাড়িতে এসে তার বাবাকে বিষয়টি নিয়ে বলছিল। আমিসহ আমার অপর দুই সন্তান উপস্থিত ছিলাম। এ সময় আমার দেবর ও মেজো ভাশুর লোহার রড, লোহার পাইপ নিয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। আমাকেসহ আমার তিন সন্তানকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মেজো ছেলেকে ভর্তি করি এবং আমার বড় ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার দিন ১০ মে আমার স্বামী, দেবর ও মেজো ভাসুরের বিরুদ্ধে আসমানখালী ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দায়ের করি। ক্যাম্পের পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে আপস-মীমাংসা করে দেয়। এরপর আমি আমার সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিবাদীরা আমাদেরকে ঢুকতে দেননি। দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় খেয়ে না খেয়ে দুইদিন ঘুরেছি। আমার বড় ছেলে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সামনে তার এইচএসসি পরীক্ষা। এমন অবস্থায় তার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

আফরোজা খাতুন বলেন, গত ১৩ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসানখালী ক্যাম্পের এএসআই আলতাফ হোসেন আমার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার বড় জা, তার পুত্রবধূ ও তার মেয়ের সঙ্গে আমার নামে অশালীন ভাষায় কথাবার্তা বলেন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসমানখালী ক্যাম্পে দেখা করার জন্য বলেন। আমি একজন অসহায় গরিব মানুষ, আমার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। সে কারণে সঠিক বিচারের আশায় বড় স্যারের (পুলিশ সুপার) নিকট অভিযোগ করেছি।

এদিকে এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অডিও ক্লিপটিতে এএসআই আলতাফ হোসেন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজনের কণ্ঠ শোনা যায়। এএসআই আলতাফ হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই মানুষই ভালো করে, আবার এই মানুষই খারাপ করে। আমি যেভাবে বলব সেভাবে হবে।’ এমন কথা বলার পর ৫০ হাজার টাকা দাবি করতে শোনা যায় এএসআই আলতাফ হোসেনকে। এ নিয়ে দর-কষাকষি হতে থাকে। 

এএসআই আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমার একটা পাওয়ার আছে, সার্কেল স্যার আমার কাছের লোক (চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান)। তাকে আমি বুঝ দিতে পারব। আমার ব্যাকআপ কিন্তু সে।’   

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এএসআই আলতাফ হোসেন ঢ বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগটির তদন্ত চলছে। ভাইরাল অডিও ক্লিপটিতে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত এএসআই আলতাফ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তার দাবি অডিও ক্লিপটি এডিট করা। প্রয়োজন হলে আমরা অডিও ক্লিপটি ফরেনসিকে পাঠাব। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের নিকট জমা দেওয়া হবে।

দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার

ছবি: সংগৃহীত

দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকা জোলফায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রইসির সাথে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুলাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নরও ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই সেখানে পৌঁছায় উদ্ধারকর্মীরা। তবে তীব্র ‍বৃষ্টি ও বাজে আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।

ইব্রাহিম রইসি একটি বাঁধ উদ্বোধনের জন্য আজারবাইজান গিয়েছিলেন। এসময় বহরে আরও ৩টি হেলিকপ্টার ছিল বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে