সোমবার, ৬ মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নতুন ঘর, চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মাসুদ রানা (৪২)। আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন একজন সদস্য হতে চলছেন। তার আগের ঠিকানা ছিল উপজেলার অলোয়া গ্রামে। ২০১১ সালে তিনি সিএনজি দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনার দিন জীবিকার তাগিদে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে শহরের চরপাড়া নামক স্থানে ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে মাসুদের দুই পা ও ডান হাত বিকল হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে। মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় চলত সংসার। অন্যদিকে তার ভিটেমাটি না থাকায় ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে গাদাগাদি করে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।

পঙ্গুত্ব বরণের ২ বছর পর কিছুটা সুস্থ হয়ে ধারদেনা করে ভাড়া নেওয়া বাড়িটির একপাশে ছোট একটি চায়ের দোকান শুরু করেন। একদিকে বাড়িভাড়া, আরেক দিকে পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খান মাসুন। এভাবে খেয়ে-না খেয়ে চলে তার অভাবের সংসার। ২০২১ সালের দিকে জানতে পারেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী অসহায়, ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছেন। তা শুনে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে। সেখান থেকে দিকনির্দেশনা মতে ঘরের জন্য আবেদন করেন।

মাসুদ বলেন, আবেদনের পরে যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যারের সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাকা নতুন ঘর পেয়েছি। যেন স্বপ্নের নতুন ঠিকানায় উঠেছি। একইসঙ্গে ২ শতাংশ জায়গা, বিদ্যুৎ ও যাতায়াতের রাস্তাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও পেয়েছি। ভাবতেই পারেনি মুহূর্তেই আমার পঙ্গুত্ব জীবন ও পরিবারের স্বপ্ন বদলে যাবে। এর ফলে সন্তানদের স্কুল-মাদ্রাসায় পাঠাতে পেরেছি। আমার এ স্বপ্নপূরণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ইউএনও এবং পিআইও স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কথা হয় উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মমতা রানী শীলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার জায়গা-জমি ছিল না। রাস্তার পাশে অন্যের জমিতে ভূমিহীন অবস্থায় ঝুপড়ি ঘর তুলে থাকতাম স্বামী-সন্তান নিয়ে। স্বামী নাপিতের কাজ করে যা রোজগার করে তা দিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়েছি। আশ্রয় পেয়ে আমরা আনন্দিত। দিনশেষে আপন ঠিকানায় ফিরছি। ইউএনও স্যার আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। স্যারের কাছে দাবি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে চুলকাটা দোকানের জন্য একটু জায়গা চাই।



সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ভূঞাপুর পৌরসভার শিয়ালকোলস্থ ফায়ার সার্ভিসের পাশে চতুর্থ পর্যায়ে ১২টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেও কয়েক সপ্তাহ ধরে উপকারভোগীরা বসবাস করছেন। নতুন এ স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে নিজ নিজ ঘর গোছাতে ও কাজ-কর্মে ব্যস্ত নববাসিন্দারা। মুহূর্তেই বদলেছে এসব দরিদ্র-অসহায় মানুষের জীবনমান। তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধপাকা বাড়িতে। এর মধ্যেই অল্প সময়ে কেউ করছেন হাঁস-মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সুযোগ পেলে মুদিখানা, সেলুন ও দর্জি দোকান করার আশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

আশ্রয়ণে আসা নতুন বাসিন্দারা স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে তাদের চোখেমুখে হাজারো স্বপ্ন। সকাল হলেই সন্তানদের পাঠাচ্ছেন স্কুলে। দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করছেন। সরকারের উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর থেকে নিচ্ছেন নানা ধরনের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ। অনেকের মাঝে একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রকল্পের বাসিন্দারা হয়ে উঠছেন আত্মনির্ভরশীল। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির ফলে এগিয়ে যাচ্ছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের দরিদ্র ও আশ্রয়হীন বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় উপজেলায় মোট ২৪২টি ঘর নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়। তার মধ্যে চতুর্থ দফায় ৭২টি ঘরের কাজ শুরু চলমান। ইতোমধ্যে ৩০টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন এবং উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প এটি। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় এ পর্যন্ত ২১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ৪২টি ঘর নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে ৩০টি ঘর আগামী ২২ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। এই ঘরগুলো টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আমাদের উপজেলা পর্যায়ে ঘর নিমার্ণ কমিটির সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিয়ে কাজের গুণগত মানোন্নয়ন বজায় রেখে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং উপজেলার সব জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ত রেখে প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীন যারা আছে তাদেরকে তালিকা করে তাদের মাঝে এ ঘরগুলো দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘরগুলো উদ্বোধনের দিন ৩০ জন উপকারভোগীদের মাঝে অন্যান্য কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ঘর পাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তারা ঘরগুলো পেয়ে অনেক খুশি ও উচ্ছ্বসিত। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে এ ঘরগুলো আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করব।

এসজি

Header Ad

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিয়েছেন এক পাষণ্ড মা। ৬ বছর বয়সী ওই ছেলেকে ডান্ডেলি তালুক নদীতে ফেলা দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে। রোববার (৫ মে) পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

জন্মের পর থেকে বড় ছেলে কোনো সাড়া শব্দ করেনি। এ নিয়ে এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই মারামারি এবং ঝগড়া হতো। তাদের দুই বছরের আরও এক ছেলে রয়েছে।

সাবিত্রীর ২৭ বছর বয়সী সামী প্রায়ই তার সঙ্গে ঝগড়া করতেন। কেন সে প্রতিবন্ধী ছেলে জন্ম দিয়েছে তার জন্য তাকে মারধরও করা হতো। কখনও কখনও তার স্বামী ছেলেকে ফেলে দিতে বলত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানায়, ছেলেকে নিয়ে শনিবার বিকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে সাবিত্রী ছেলেকে বাধ্য হয়ে নদীতে পেলে দেয়। ওই নদীতে কুমির রয়েছে।

প্রতিবেশীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে ঘটনা জানানোর পরই ছেলেটিকে খুঁজে পেতে স্থানীয় ডুবুরিদের নিয়ে ওই নদীতে তল্লাশি চালায় হয়। কিন্তু রাত হয়ে যাওয়ায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে দিন রোববার সকালে পুলিশ ওই ছেলেটির ছিন্নভিন্ন দেহ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কিনা তা জানতে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। সূত্র: এনডিটিভি

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে;

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্স এ ইন্সটল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

৫) দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করিতে পারিবে না”। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অতএব, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (২) এ উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারিবে না”। অতএব আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪ (১)-এ উল্লেখ আছে, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিবে না”। অতএব, লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

১০) আইন বা নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে;

২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;
৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্স এ ইন্সটল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি কর্তৃক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

৫) দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করিতে পারিবে না”। এছাড়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অতএব, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (২) এ উল্লেখ আছে, “কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারিবে না”। অতএব আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪ (১)-এ উল্লেখ আছে, “লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারিবে না”। অতএব, লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

১০) আইন বা নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে বন্দরের প্রায় ৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামারবাড়িতে ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) জন্য আবেদন করার পর তাদের এই অনুমতি দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ মে) থেকে অনেকেই খামারবাড়িতে পেঁয়াজ আমদানি অনুমতি পত্রের জন্য আবেদন করেন। এদের মধ্য রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আরও আবেদন রয়েছে যেগুলো এখনও প্রক্রিয়াধীন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দু-এক দিনের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে ঢুকবে। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে বন্দরের আমদানিকারকদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে।

যদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারতের রপ্তানি মূল্য ও বাংলাদেশের পেঁয়াজের ওপর আরোপকৃত শুল্ক কমানো গেলে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। ভারত থেকে টন প্রতি ৫৫০ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করলে প্রতিকেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়বে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

সর্বশেষ সংবাদ

স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে কুমির ভর্তি নদীতে ফেলে দিলেন মা!
অবৈধ দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বন্ধের কার্যক্রম শুরু
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মেনোত্তি মারা গেছেন
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা আমান
ফের পেছালো রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২
সারাদেশে ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৯ জনের মৃত্যু
হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু