রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হাওরের অধিকাংশ কৃষক

হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে ৯৬ শতাংশের বেশি ধান কেটে ঘরে তুললেও হাসি নেই চাষিদের মুখে। যদিও কৃষকের কথা বিবেচনা করে সরকার ধানের দাম বাড়িয়েছে। মণ প্রতি ১ হাজার দুই'শ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে পুরোদমে ধান কেনায় দেরি হওয়ায় নগদ টাকার প্রয়োজনে কৃষকরা বাধ্য হয়েই কম মূল্যে খোলা বাজারে ফরিয়াদের কাছে ধান বিক্রি করছেন।

এদিকে সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে ৭ এপ্রিল। তবে জেলায় পুরোদমে ধান কেনা শুরু করা যায়নি। সুনামগঞ্জে গত বছর সরকারিভাবে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ হাজার টন। চলতি বছর তা কমে ১৭ হাজার ৪৮৩ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সুনামগঞ্জে এবার প্রায় পৌনে ৪ লাখ কৃষক ১৩ লাখ ৬০ হাজার টন ধান উৎপাদন করেছেন। ধানের এই বাম্পার ফলনেও ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ কৃষক। সরকার ধানের দাম প্রতিমণ ১ হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করলেও জেলার কোথাও এক হাজার টাকার বেশি ধান বিক্রি হচ্ছে না।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গুয়ারচুরা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালিক বলেন, ‘সরকারিভাবে ধান কিনার জন্য আমরার এদিকে কেউ আইছে না খোঁজ খবর নিছে না। আমি প্রায় ১০ কেয়ার জমিতে ধান চাষ করছি টাকা ঋণ আইন্না। এখন ঋণের টাকা আর শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করতে হচ্ছে ফরিয়াদের কাছে ধানের মণ ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় করে বিক্রি হচ্ছে।

সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হাওড়পারের কৃষক মো. হাসান তালুকদার বলেন, ‘আমি এবার ছয় একর জমিতে বোরো ধান করেছি, কয়েক বছর পর এবারই আমার ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু সরকার মণ প্রতি ধানের মূল্য নির্ধারণ করছে ১২শ টাকার বেশি কিন্তু এই ধামে আমি বিক্রি করতে পারছি না। আমাদের এইদিকে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯০০- ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়। পরিবারের ব্যয় মেটাতে বাধ্য হয়েই কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।’

কৃষক যেন তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পান, সেটি সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য হাওরের বোরো ও আমন ফসল বাজারজাত-ব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার। এ ছাড়া কৃষক যাতে সঠিক সময়ের মধ্যে ধান ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারেন ও খোলা বাজারের ফরিয়া ও দালালদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করেন হাওরবাসী।

ধান কিনতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম ভূঞা বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে ৭ তারিখ থেকে প্রস্তুত, তবে কিছু কাজ বাকি ছিল, যেমন ধরেন অনলাইনে আবেদন, আবেদনের পরে আমাদের লটারি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ধান ক্রয় করব। কিন্তু এই কার্যক্রর্ম গুলো একদম ক্লিয়ার, এখন কৃষকের জন্য উম্মুখ হয়ে আছি।

এই কর্মকর্তা আরও জানান অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বরাদ্দ কম আসছে, গত বছর ছিল ২৮ হাজার টন, এবার আসছে ১৭ হাজার টন।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ সোম বলেন, সুনামগঞ্জে কৃষক পরিবার রয়েছে চার লাখ, প্রকৃত কৃষকেরাই যাতে সরকারিভাবে গুদামে ধান বিক্রি করতে পারেন সেভাবেই আমরা খাদ্য বিভাগের কাছে তালিকা করে পাঠিয়েছি। হাওরের প্রকৃত কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবেন বলেন আমার বিশ্বাস। তিনি আরও বলেন জেলার কোনো কৃষক হয়রানি হলে আমরা তাদের পাশে আছি। আমাদের সকল অফিসারদের বলা আছে একজনও কৃষক যেন হয়রানি শিকার না হন।

আরএ/

Header Ad

নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে ২টি রেস্টেুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির দীঘিনালাতে ঘরের চালে বজ্রপাতে ঘরে থাকা মা ও শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) ভোরে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮)। দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিভিয়ে লাশ দুটি উদ্বার করে।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, বজ্রপাতে টিনের ঘরটি পুড়ে নিহতদের লাশ অঙ্গার হয়ে গেছে। ঘটনার সময় হাসিনা বেগমের গাড়িচালক স্বামী ছাদেক আলী বাড়িতে ছিলেন না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দীঘিনালা থানার ওসি মো. নুরুল হক জানিয়েছেন, লাশগুলো আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

 

যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

সাত মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এর মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই যুদ্ধে বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সে দিকে মনোযোগ না দিয়েই গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি করতে ইসরায়েলকে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তবে এই চাপকেও উপেক্ষা করেছে দখলদার ইসরায়েল।

গতকাল শনিবার (৪ মে) মিসরের রাজধানী কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেখানে তারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করে। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, কোনো ফলাফল ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি ভেস্তে যায়নি। তাই আজ রোববার আবারও আলোচনায় বসবেন তারা।

আরব বিশ্ব ও ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে— যদি তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয় তাহলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে।

এমন খবর প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হয়নি।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকাল মিসরের কায়রোতে ইসরায়েলকে প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাদের কথা শোনেননি। তিনি কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানান।

গতকাল হামাসের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছিলেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন।

কিন্তু এরপর যখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করতে রাজি হয়নি তখন হামাস জানায়, যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া অন্য কোনো চুক্তিতে তারা রাজি হবেন না।

দখলদার ইসরায়েলের উগ্রপন্থি জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভির এবং অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচ হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি না করতে হুমকি দিয়েছেন। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, রাফাহতে হামলা ছাড়া যদি যুদ্ধবিরতি করা হয় তাহলে সরকার ভেঙে দেওয়া হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

সর্বশেষ সংবাদ

নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
যুক্তরাষ্ট্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে: ইরান
নিজের মান ইজ্জত রক্ষা করুন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রতি ইসি রাশেদা
উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারী : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
টানা ৬ দিন হতে পারে ঝড়বৃষ্টি জানাল আবহাওয়া অফিস
সেই ভাইরাল নেতা পাকিস্তান জামায়াতের আমির নির্বাচিত
টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
দিয়াবাড়ির লেক থেকে ২ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীবাসীর জন্য সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
মক্কায় প্রবেশে আজ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ
‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার জিতলেন মিথিলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বগুড়ার আলু ঘাঁটি উৎসব
টাঙ্গাইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২২ জন আহত